পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 14

সেজান : yeah my black rose…
রোজ রাগ দেখিয়ে নীড়ের কাছে গিয়ে দারালো ।
সেজান : যা বইনা যা … বাপের কাছে যা । নেহাত তোর বাপটাকে একটু ভয় পাই । না হলে তোকে দেখিয়ে দিতাম ।
রোজ মনে মনে : শালি দেখ কেমন লাগে। ভার্সিটি টা open হোক না ১বার । তোকে তো নাকে দরি দিয়ে ঘোরাবো।
ওদিকে নির্বন তো নিজের হার মানতে না পেরে দামদুম করে চলে গেলো ।
নিহাল : বাপরে নাতি আমার ক্ষেপে গেছে …
নীড় : ক্ষেপবেই তো বাবা… জীবনে প্রথম যে হারলো।
নীলিমা : ছেলেটা কার দেখতে হবেনা …
নীড় : 😎। আচ্ছা তোমরা বাসায় যাও… আমি দেখি নির্বনকে …
সেজান : yahoo … শশুড়মামা চলে যাবে। এবার তোমার কি হবে জানেমান?
.
রোজ drive করে বাসায় যাচ্ছে । তখন দেখলো যে সামনে সেজান ওর গাড়িটা আড়াআড়ি ভাবে দার করিয়ে রেখেছে। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে পরম সুখে কোকাকোলা খাচ্ছে । রোজ গাড়ি reverse gear এ নিলো। কিন্তু looking mirror এ দেখলো পেছন থেকে ১টা গাড়ি এসে পথ আটকে দিলো । রোজ বেশ বুঝতে পারছে যে সেজান ঘাপলা করবে।
রোজ : শালা… গাড়ি থেকেই নামবো না। দেখি কি করিস? huh…😏…
সেজান : জানিতো black rose তুমি গাড়ি থেকে নামবে না… but আমি নামাবো। তুমি নিজের ইচ্ছায় নামবে।
সেজান সিটি বাজালো ।
সেজান গিটার বের করলো। সাথে মাইক্রোফোনও ।
রোজ : wow… গান গাইবে… হায়…
সেজান গিটার বাজাতে বাজাতে কিউট কন্ঠে না বিশ্ব বেসুরা কন্ঠে গান গাইতে লাগলো ।
🎶🎵🎶
হো…
এক ল্যারকি কো দেখাতো
অ্যাসা লাগা
🎶🎵🎶
সেজান এমন বিকট কন্ঠে গান গাইতে লাগলো যে রোজের কানের পোকা মরে যাওয়ার অবস্থা । বাচার জন্য রোজ গাড়ির মিউজিন অন করলো। কিন্তু মাইক্রোফোন নিয়ে সেজান এমনভাবে গান গাইছে যে সেই মিউজকে কিচ্ছু হলোনা। বাধ্য হয়ে রোজ গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে সেজানের সামনে থেকে মাইক্রোফোন সরিয়ে ওর মুখে হাত রাখলো।
রোজ : চুপ চুপ চুপ একদম চুপ… আপনি কি পাগল?
সেজান মাথা নারিয়ে হ্যা বলল। সেজান রোজের হাতের তালুতে কিস করলো । রোজ কেপে উঠলো । তারাতারি হাত সরিয়ে ফেলল । সেজান মুচকি হেসে রোজের হাত ধরে ঘুরিয়ে রোজকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো । এরপর ওর কাধে মাথা রাখলো । রোজ তো জমে বরফ । সেজান রোজের গালে কিস করলো ।
সেজান : i am really very my black rose… কিন্তু তোমাকে hurt করার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিলোনা। program টা শুরু করেছিলাম কারন RJ হওয়ার অনেক ইচ্ছা ছিলো। আর আমি আমার কোনো ইচ্ছাই অপূ্র্ন রাখিনা। আমি জানতাম না যে তুমি সেই অচেনা অনুভবকে ভালোবেসে ফেলবে। পরে ধীরে ধীরে জানতে পারি । যখন তুমি অনুভবকে ম্যাসেজ করতে । তোমার সব ম্যাসেজ পড়তাম আমি। যখন বুঝতে পারলাম যে আমি যাকে ছোটথেকে ভালোবাসি সেও আমাকে ভালোবাসে তখন এতো খুশি হয়েছিলাম সেটা বলার বাইরে । এখন তোমার মাথায় এটাই ঘুরছে যে ছোটথেকে কিভাবে ভালোবাসি । তুমি হয়তো জানোনা যে তোমার আমার স্কুল কলেজ একই ছিলো।
রোজ তো অবাকের ওপর অবাক । সেজান রোজকে নিজের দিকে ঘোরালো। ওর ২গালে হাত রাখলো ।
সেজান : অনেকগুলো মিথ্যার মধ্যে ১টা সত্য আছে… অনেক গুলো অভিনয়ের মধ্যে ১টা reality আছে… সেটা হলো এই যে আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
অনেক বেশি। তুমিই অনুভবের ছোয়া আর তুমিই সেজানের black rose…
i just love you…
বলেই সেজান রোজের কপালে কিস করলো। সেজানের চোখের সত্য ভালোবাসা রোজ বেশ ভালোভাবেই দেখতে পাচ্ছে। বুঝতে পারছে । সেজান যে ওকে এতো ভালোবাসে সেটা ও জানতো না । তবুও রোজের মনে ১রাশ অভিমান জমে আছে ।
.
তাই অভিমানে সেজান থেকে সরে দারালো । সেজান অবাক হলো ।
রোজ : জানিনা আপনি আমাকে সত্যিই ভালোবাসেন কিনা। কিন্তু অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছেন । খুব বেশি … যখন জানলেন যে আমি আপনাকে ভালোবাসি তখন বললেন না কেন যে আপনিই সে… আপনি কখনোই আমাকে ভালোবাসেন নি…
সেজান : আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি…
রোজ : প্রমান কি?
সেজান : প্রমান দিয়ে ভালোবাসা হয়না … ভালোবাসা অনুভব করার জিনিস…
রোজ : তবে যেদিন আপনি আমাকে অনুভব করাতে পারবেন যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন সেদিন আমিও আপনাকে মেনে নিবো। ভালোবাসবো। সেদিনই হবো অনুভবের ছোয়া ।
বলেই রোজ চলে গেলো । সেজান অবাক চোখে রোজের চলে যাওয়া দেখলো ।
সেজান : অনুভব এবার অনুভবের খেলা খেলবে । মানতেই হবে… তুমি মেরিন বন্যার মেয়ে। জেদী…
.
ওদিকে…
নির্বন একের পর এক পাথর পানিতে ফেলছে । প্রচন্ড রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে । পানিতে পাথর ফেলছে আর পা দিয়ে মাটিতে আঘাত করছে । রাগ কমানোর ১টা পদ্ধতি । মেরিনও রাগলে পা দিয়ে মাটিতে আঘাত করে । নির্বনকে দেখে নীড় মুচকি হাসি দিলো । এরপর বাদামওয়ালার কাছে থেকে বাদাম কিনে নিয়ে নির্বনের পাশে বসলো ।
নির্বন : ড্যাড আমি একা থাকতে চাই ।
নীড় : হামমম। আমিও চলে যাবো। ব্যাস বাদাম গুলো শেষ করে ।
নির্বন : 😒।
নীড় : খাবে …?
নির্বনও নীড়ের হাত থেকে বাদাম নিয়ে খেতে লাগলো ।
নির্বন : এটা কিভাবে হতে পারে ড্যাড? আমি ১টা মেয়ের কাছে কি করে হারতে পারি? how could …
নীড় : রাগটা কিসের জন্য? নিরালীর কাছে হেরেছো সেজন্য? নাকি ১টা মেয়ের কাছে হেরেছো সেজন্য ?
নির্বন : ২টাই।
নীড় : জানো তোমার ড্যাডও কখনো কারো কাছে হারেনি ১জনের কাছে ছারা ।
নির্বন : তুমিও হেরেছো কারো কাছে?
নীড় : হামম। ১বার না। বার বার ।
নির্বন : কার কাছে?
নীড় : হামম। প্রকৃতির ভয়ংকর কন্যার কাছে। মেরিন বন্যার কাছে । কখনো মন হেরেছি … কখনো নিজেকে হেরেছি… কখনো এটা কখনো সেটা… তবে প্রতিবার হারের পর ১টা নিজস্ব সুখ পেয়েছি । মন চেয়েছে আবারও হারতে। যে তোমাকে হারিয়েছে তার মধ্যে কিছু তো আছে।
নির্বন : ….
নীড় : নির্বন… হামম তুমি enough mature নও but enough immatureও নও… আর কিছুদিন পরই তোমার ১৮ পূরন হবে । তাই আমার বলা কথা তুমি কিছুটা হলেও বুঝবে । & you are my buddy … so i can share you many things… right?
নির্বন : yeah buddy …
নীড় : যেদিন হারের মধ্যে জিতের আনন্দ পাবে সেদিন তুমি সব পাবে ….
hey বাদাম শেষ … ok bye… নিজের সাথে সময় কাটাও ।
বলেই নীড় চলে গেলো । নির্বন নীড়ের বলা কথা গুলো গবেষনা করতে লাগলো ।
.
পরদিন…
কলেজে ক্যাম্পাসে সবার সামনে নির্বন নিরালীকে propose করলো ।
নিরালী: wow now we are in relationship …
নির্বন : what?
নিরালী : হামম।
নির্বন : listen… it was just a challenge … got it? stupid girl…
বলেই নির্বন চলে গেলো ।
নিরালী মনে মনে : just challenge হলে এতো সুন্দর করে কেউ propose করতে পারেনা my dear forest … 😍😍😍 love you… তুমি আমার নির্বন আর আমি তোমার নিরালী। কি দারুন জুটি হবে আমাদের । just perfect … দেখি ভবিষৎে কি আছে…
.
রাতে…
খান বাড়িতে …
সেজান হাপুস হুপুস করে গরুর খাবার খাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই খাচ্ছে । এটা নতুন কিছুনা। সেজান যখনই tension এ থাকে তখনই এত্তো এত্তো খাবার খায় । অধরার মতো। সেজান খাচ্ছে আর বাকী ৪জন খাওয়া বাদ দিয়ে সেজানকে দেখছে।
অধরা : তোমার ছেলের কি হয়েছে জানো?
মেঘ : জানলে কি আর চোখ হাতে নিয়ে দেখতাম???
কনিকা : কিছু তো ১টা বড় সরো হয়েছে । তা না হলে solve করতে আমার দাদুভাইয়ের এতো সময় তো আর লাগতোনা ।
কবির : আমার মনে হয় আমার শের খান কোনো শেরনীর চক্করে পরেছে। i mean রোজের। তা না হলে তো আমার শের খান চুটকি বাজিয়ে সমাধান করতো ।
অধরা : i agree with you বাবা ।
সেজান : মাম্মি… পায়েস দাওতো ।
অধরা ছোট বাটিতে দিতে নিলো।
সেজান : আরে ওটায় তুলছো কেন… পুরো বাটিটাই আমাকে দাও। তোমাদের তো খাওয়া শেষই।
সবাই অবাক। কারন ৭-৮জনের খাবার একাই খাওয়ার পর এই এক দের কেজি পায়েস সেজান একাই খাবে… !!! হামম খাবে। আর খেলোও ।
সেজান : উফফ পেট ভরলোনা। যাই গিয়ে চকোলেট খাই।
সবাই: 😱।
.
রুমে…
সেজান রুমে চকোলেট খেতে খেতে পায়চারি করছে ।
সেজান : কি করা যায় কি করা যায়…? আচ্ছা গান তো ওর দূর্বলতা … ওর জন্য ১টা গান লিখবো? ধূর গান তো লিখতেই পারিনা । ওর নামের ট্যাটু করবো? বা ওর নাম নিজের বুকে লিখবো? no no no সেজান মা মেয়ে ২জনই তেরে আসবে। ২জনই dangerous … কি করি কি করি? idea… কিন্তু সকালে যে উঠতে পারিনা? 😔। উঠতেই হবে। মাম্মি মাম্মি…
অধরা ছুটে এলো ।
অধরা : কি?
সেজান : কালকে আমাকে ভোর ৫-৬টায় ডাক দিবে ।
অধরা : 😒😱😤।
সেজান : বিদঘুটে reaction দেয়ার কারন কি?
অধরা : কারন আপনি খান বাড়ির রক্ত। ভোরে ওঠার স্বভাব আপনাদের ১৪ পুরুষের মধ্যে কাররররো নেই । আর আপনাকে ভোর ৫-৬টায় ওঠানোর ক্ষমতা আমার ১৪পুরুষের মধ্যে কারো নেই । ক্ষমা করবেন। বলেই অধরা বেরিয়ে গেলো।
সেজান : মাম্মিটাও না। ফুপ্পির থেকে কম ড্রামা করেনা। ফুপ্পি? awwwe … আমার মুশকিল আসান।
সেজান মেরিনকে ফোন করলো।
সেজান : ফুই ফুই…
মেরিন : 😒। কেয়া হুয়া চড়ুই।
সেজান : help me…
মেরিন : ফুই ফুই ডাক শুনেই বুঝেছি। কি চাই?
সেজান : ভোরের দিকে উঠতে চাই।
মেরিন : কেন?
সেজান : ভোরে fresh air থাকে। fresh air এ fresh idea আসবে। তাই। 😊
মেরিন : ল্যাহ… আমি ভাবলাম যে solution পেয়ে গেছিস ?
সেজান : না। আপাদত সকালে ওঠার idea দাও।
মেরিন : সকালে ওঠাতো আমাদের রক্তে নেই । কি করা যায় ? ১কাজ করবি মাকে বলবি যেন সকালে ১বালতি পানি তোর গায়ে ঢালতে। তার মধ্যে তোর dislike perfume potion mix করে।
সেজান : অ্যা?
মেরিন : হ্যা।
সেজান : ok… ফুই ফুই… fresh idea…
মেরিন : আমি কোথায় পাবো ?
সেজান : তাহলে কো…
তখন ফুপু-ভাতিজার মাথায় ১জনের নামই এলো। আর মেরিন-সেজান একসাথেই বলে
উঠলো : নীড়/মামা।
সেজান : love you ফুপ্পি।
মেরিন : love u 2….. গুডি গুডি নাইট।
মেরিন ফোন রেখে দিলো।
.
সেজান : মাম্মি…মাম্মি…
অধরা আবার ছুটে এলো। সেজান অধরাকে পদ্ধতিটা বলল।
অধরা : 😒।
মনে মনে : এমন তরো বুদ্ধি খানদের মাথায়ই আসতে পারে।
সেজান : ok.। ঘুম পাচ্ছে । good night…
অধরা চলে গেলো।
সেজান : গুরু হো জা শুরু। লাভগুরু নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন এবার তারই মেয়েকে পটানোর টিপস দিবে । 😏।
সেজান একটু sad version make over করে নীড়কে ভিডিও কল দিলো। যদিও মেঘের ওপর ভীষন রাগ। কিন্তু প্রকাশ না করলেও ১মাত্র ভাগনে কে নীড় অনেক ভালোবাসে । আর তাই সেজানের কাদো কাদো চেহারা আর কাদতে কাদতে লাল হয়ে যাওয়া & dark circle পরা চোখ দেখে নীড়ের বুকটা কেপে উঠলো।
নীড় : সেজান… কি হয়েছে সোনা তোমার?
সেজান : মামাহ… 😭…
নীড় : কি হয়েছে??
সেজান : মামা আমি ১টা মেয়েকে ভীষন ভালোবাসি … সেও বাসে। কিন্তু express করেনা । উল্টা বলেছে ভালোবাসার প্রমান দিতে। আমি কি কি না করেছি তবুও সে… মামা আমি ওকে ছারা বাচবোনা । ওকে না পেলে suicide করতে হবে।
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো । এমন কথা বলে?
সেজান : তো কি করবো মামা ?
নীড় : আচ্ছা মেয়েটা কেমন?
সেজান : অনেক cute… shy… গান ভীষন পছন্দ করে । অনেক রাগীও।
.
চলবে…