পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 15

সেজান : আর ভীষন রাগি।
নীড় : হামমম।
সেজান : ভালোবাসতে শিখেছি । কিন্তু ভাইয়া ভালোবাসার প্রমান … সেটা কিভাবে দিবো বলো …
নীড় : ok… i understand …
নীড় রোজকে পটানোর awwwe ki cute ১টা suggestion দিলো । এরপর রেখে দিলো ।
সেজান : ওয় ঢিংকা চিকা। ধিনাক ধিনাক … কি যে খুশি লাগতেছে । আহা… my dear মামা…তুমিই পৃথিবীর প্রথম বাবা যে কিনা নিজের মেয়েকে পটানোর বুদ্ধি দিচ্ছো ।😂। thank u… যাই হোক শুভকাজে দেরি করতে নেই । আর রোজ তো সকালে jogging করতে বেক হয়। so… কাল সকালেই…. plan আনজাম দিতে হবে… হায়… জয় শশুড়মামার জয়… এমন শশুড়মামা যেন ঘরে ঘরে হয়…
.
সকালে …
প্রতিদিনের মতো আজকেও রোজ পাশের মিনি পার্কে হাটতে গেলো । তবে আজকে গিয়ে দেখলো যে পার্কে মানুষ নেই ।
রোজ : আজকে কি আমিই তারাতারি এলাম? anyway … lets go inside …
রোজ ভেতরে ঢুকলো। আর ঢুকে অবাক হলো। কারন সারা পার্ক জুরে লাইটিং করা। সেই সাথে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা । তাও রোজের পছন্দের কালো গোলাপ দিয়ে ।
রোজ : wow… আরে ওটা কি?
রোজ দেখলো যে খুব সুন্দর করে নানা ধরনের গোলাপ দিয়ে “i love you” লেখা । যেটা দেখে যে কারোরই মন ভরে যাবে । রোজের ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো । ও বুঝে গেছে যে এগুলো সেজান করেছে । তখনই গিটারের শব্দ পেলো। রোজ গিটারের সুর ধরে এগিয়ে গেলো । দেখলো black jins , black shirt পরে black guitar কাধে নিয়ে দারিয়ে আছে সেজান। ভীষষষষষষষন সুন্দর লাগছে । সেজান গান গাইতে লাগলো।
🎶🎵🎶
দিল নে ইয়ে কাহা হ্যা দিলসে
মোহাব্বাত হো গেয়ি হ্যা তুমসে…
মেরে জান মেরে দিলবার
মেরা এ্যাতবার কারলো
জিতনা বেকারার হু ম্যা
খুদকো বেকারার কারলো
মেরে ধারকানো কো সামঝো
তুম ভি মুঝছে পেয়ার কারলো।
🎶🎵🎶
সেজান রোজের চারদিকে ঘুরে ঘুরে গান গাইছে । সেজানের চোখ রোজের চোখের দিকে । eye contact হচ্ছে ২জনের মধ্যে।
সেজানের গান গাওয়া শেষ হলো । সেজান গিটারটা রাখলো । এরপর কেবল ১টা কালো গোলাপ বের করলো। এরপর নিলডাউন হয়ে বসলো ।
সেজান : তোমাকে কেন black rose বলে ডাকি জানো? কারন সব গোলাপের মধ্যে কালো গোলাপ unique & rare … খুব কম পাওয়া যায়। very very special … as like you…
তুমি আমার কাছে ভীষষষন special …
যখন ভালোবাসা কি সেটাও বুঝিনি তখন থেকে তোমাকে ভালোবাসি। আমার জীবনটা তুমিময়। হ্যা ভুল হয়েছে সেটা আমি জানি। আসলে তোমাকে বলার সাহস পাচ্ছিলাম না । তাই জন্য । কিন্তু তোমাকে ধোকা দেয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলোনা। ভুল করেছি শাস্তি দাও । কিন্তু ভালোবেসে দাও। তোমাকে আমার ভালোবাসার অনুভব আলাদা ভাবে কি করে করাবো ? অনুভবই তো তোমার…
হবে তুমি অনুভবের ছোয়া… ভালোবাসবে আমাকে…
সেজানকে accept করা ছারা রোজের কাছে কোনো option ই নেই ।
সেজান : ভালোবাসবে আমাকে???
রোজের চোখের কোনে পানি চলে এলো।
রোজ : হামমম। ভালোবাসবো …. ভালোবাসি। তোমাকে ভালোবাসি… অনেক ভালোবাসি …
ব্যাস শুরু হয়ে গেলো অনুভব-ছোয়ার প্রেমকাহিনী।
.
ওদিকে…
নির্বন : ওই মেয়ের সাহস কি করে হয় আমাকে হারানোর। ওকে তো আমি… ১ মিনিট… আচ্ছা এসব কিছুর আড়ালে নিরালীর অন্যকোনো উদ্দেশ্য নেই তো? তাহল propose করার কথাই কেন বলল। আর propose এর পর relation এর কথাই বা কেন বলল? আচ্ছা এসবের পিছে ওর অাসল উদ্দেশ্য আমার সাথে নিজেকে জুরে দেয়া নয়তো? যদি এমনটা হয় তবে ওই নিরালীর সাথে যে কি করবো নিজেই জানিনা । খুব শখ না মিস নিরালী ইমান আমার সাথে relation করার? এখন দেখো আমি তোমার সাথে কেমন relation করি। ড্যাড নিরালীর কাছে হেরে আমার মোটেও ভালো লাগেনি। তাই এখন নিরালীর relation করার স্বাধ আমি মিটাবো।
wait… নির্বন… মম যে বলে কারো মন নিয়ে খেলা করা ঠিকনা। মম জানতে পারলে কতো কষ্ট পাবে ? কি করবো? মম কে জানতেই দিবোনা… i can’t hurt her….
.
একটুপর…
মেরিন রান্না করছে। তখন নির্বন এসে মাকে জরিয়ে ধরলো ।
নির্বন : মম…
মেরিন : awwwwe… কি হলো? আজকে মমের প্রতি এতো ভালোবাসা?
নির্বন : i love you মম।
মেরিন : & i love you too my baby…
নির্বন : মম যদি আমি কখনো কোনো ভুল করি মাফ করে দিবে?
মেরিন মুচকি হেসে নির্বনের কপালে কিস করলো ।
মেরিন : মাফ করার প্রশ্নই ওঠেনা… কারন আমার ছেলে এমন কিছু কোনো ভুল করতেই পারেনা । যে ক্ষমা করার পরিস্থিতি আসবে।
নির্বন : love you মম।
মেরিন : তুমি আর রোজ হলো আমার অহংকার । আমি জানি তোমরা কখনোই আমার এই অহংকার ভাঙবেনা ।
নির্বন নিরালীর সাথে fake relation start করলো। এভাবেই কাটতে লাগলো দিনকাল । নির্বন-নীরালি কলেজ থেকে ভার্সিটিতে উঠলো। সেজান অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্স কোর্স start করলো। রোজ final year এ উঠলো । নির্বন নিরালীর সাথে অভিনয় করতে করতে সত্যিই নিরালীর প্রেমে পরে গেলো । কিন্তু নিজের রাগের জন্য সেই ভালোবাসা নিজেই বুঝতোনা । আর রোজ-সেজান তো চুটিয়ে প্রেম করতে লাগলো । যেটা জানতো কেবল মেরিন, মেঘ , পলি আর জিসান ।
.
কিছুদিনপর…
সেজান : ফুপ্পি…
মেরিন : হামম। একি তোমার মুখ এমন ফ্যাকাশে লাগছে কেন? কি হয়েছে?
সেজান : aaactually ফুপ্পি…
মেরিন : আমার ভাতিজার কন্ঠে এতো দ্বিধা-দ্বন্ড মানায়না।
সেজান : ফুপ্পি আসলে… কিছু share করার ছিলো ।
মেরিন : বলো …
সেজান : ফুপ্পি i think ভিলেনটা আর কেউ না মামা নিজেই…
মেরিন ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : এমন কিছু বলোনা সেজান যেটার জন্য তোমার ওপর আমাকে আরো রাগ করতে হয় ।
সেজান : ফুপ্পি ফুপ্পি ফুপ্পি… তুমি বসো এখানে বসো ।
সেজান মেরিনকে বসালো । সেজান মেরিনকে বসালো । এরপর মেরিনের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো ।
সেজান : ফুপ্পি… তুমি । ১বার না ১০ বার চর মারতে পারো । কিন্তু ঠান্ডা মাথায় আমার কথাটা শোনো… দেখো আমি জানি মামা তোমাকে ভীষন ভালোবাসে । কিন্তু এমন master mind মামার ছারা আর কার হতে পারে?
মেরিন : না অনু… নীড় আমার সামনে থাকে। ওর মধ্যে এমন কিছুই দেখিনা।
সেজান : আগেও তো এমনই ছিলো । মামা যে ভিলেন ছিলো সেটা বুঝেছিলে?
মেরিন : তখন situation অন্যরকম ছিলো । motivation ছিলো । reason ছিলো । কিন্তু এখন এমন কেন করবে?
সেজান : motive জানিনা। আর এটা বলছিনা যে মামাই ভিলেন। আমি বললাম যে মনে হয়।
মেরিন : অসম্ভব । কোনোদিনও না ।
সেজান : তুমি আমার point গুলো তো শোনো।
মেরিন : বলো।
সেজান : ফুপ্পি… 1st… ভিলেন তোমাকে মানে মেরিনকে জান বলে ডাকে । আর জান্নাতকেও জান বলে ডাকে। মামা তোমাকে জান বলে ডাকতো।
মেরিন : কিন্তু জান্নাতকে কখনোই ডাকেনি ।
সেজান : হামম। কারন মামার নীড় সেজে তোমাকে জান ডাকার দরকারই নেই । কারন দিনের মধ্যে ২-৩ঘন্টা তোমার সাথে ভিলেন সেজে কথা হয় । তখন জান বলে ডাকে ।
মেরিন : …
সেজান : 2nd… মামাই একমাত্র রোজকে ছোয়া ডাকে । ভিলেনও রোজকে ছোয়া বলেই ডাকে ।
মেরিন : …
সেজান : 3rd… the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ছারা কারো ক্ষমতা নেই খান & চৌধুরীদের ওপর নজর রাখা ।
মেরিন : ….
সেজান : 4th… এতো বড় ভিলেন । এতো খারাপ কিন্তু খান & চৌধুরীদের মধ্যে কারো গায়ে ১টা ফুলের টোকা পর্যন্ত দেয় নি। তোমাকে নিজের কাছেই রেখেছে ।
মেরিন : …
সেজান : 5th… যতোই বাধ্যবাধকতা থাকুক না কেন মামা অন্য কাউকে মেরিন বন্যা সাজিয়ে রাখতো না সারা দুনিয়ার সামনে। ভিলেন যতোবার বলেছে যে এটা হবে সেটাই হয়েছে। we know মামা। কখনো কারো কথা শোনেনা। ভিলেন কি মামার এতোটাই close যে ভিলেনের সব কথা শোনে।
মেরিন : …
সেজান : এগুলো just আমার ধারনা ।
.
রাতে….
মেরিন বারান্দায় বসে আছে । রকিং চেয়ারে বসে আছে । আর সেজানের বলা কথা গুলো ভাবছে । তখন নীড় এলো ।
নীড় : এই স্টার জলসা আমার ব্লু টি শার্ট কোথায় রেখেছো?
মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো । কিছু ১টা ছিলো সেই চাহনীতে ।
নীড় : ওয় কি হলো?
মেরিন : নীড়…
নীড় খানিকটা অবাক হলো । কারন জান্নাত এভাবে নীড় বলে ডাকেনা। এভাবে তো কেবল আর কেবল মেরিনই ডাকে ।
নীড় : দেখো ভীষন মাথা ব্যাথা করছে । i want to sleep… t-shirt টা দাও।
মেরিন বের করে দিলো।
.
৩দিনপর…
নীড় বসে অফিসে কাজ করছে । ওর ফোন বাজলো । ধরলো। কিন্তু কেউ কথা বললনা। কেটে দিলো। আবার ফোন এলো। same ঘটনাই ঘটলো । ৩বারের বেলায় নীড় ক্ষেপে গেলো ।
নীড় : who the hell are you? মজা করছো?
মেরিন : নীহড় …
নীড় : জান…
মেরিন : নননীড়…
নীড় : মেরিন… হ্যালো হ্যালো…
মেরিন কেটে দিলো ।
নীড় : মেরিন মেরিন মে… মেরিন… 📢📢📢..
নীড়ের চিৎকার শুনে নিহাল ছুটে এলো…
নিহাল : কি হয়েছে নীড়…
বাবা-ছেলের মেলোড্রামা মেরিন মোবাইলে দেখলো ।
.
সন্ধ্যায়…
নীড়-নিহাল বাসায় ফিরলো । নীড়ের sad sad মুখ দেখে নীলিমা ঘাবড়ে গেলো ।
নীলিমা : নীড়… কি হয়েছে ? তোকে এমন লাগছে কেন?
নীড় কোনো জবাব না দিয়ে রুমে চলে গেলো।
নীলিমা : কি হয়েছে?
নিহাল : মেরিন ফোন করেছিলো।
নীলিমা : কি? সত্যি? কোথায় ? কেমন আছে মামনি?
নিহাল : জানিনা। নীড় পাগলের মতো আজকে আবারও খুজেছে মেরিনকে । location track করার try করেছে ।
মেরিন রুমে গেলো। দেখলো নীড় মেরিনের ছবি নিয়ে কান্না করছে।
মেরিন মনে মনে : কোনটা সত্য? তোমার চোখের পানি নাকি সব লজিক? বুঝতে পারছিনা । আরো ১বার ধোকা দিলে আমাকে??? কিন্তু তোমার চোখের পানি অন্যকথা বলছে ।
নীড় সারারাত কান্না করলো। মেরিন নকল ঘুমের ছলে দেখলো।
মেরিন মনে মনে : না… তুমি ভিলেন হতেই পারোনা ।
.
৭দিনপর…
সেজান : sorry ফুপ্পি । মামার ওপর আমাদের সন্দেহ করা ঠিক হয়নি।
মেরিন : sorry কেন বলছো। its ok…
সেজান : বাট ফুপ্পি এখন ভিলেনটা কে আবিষ্কার করা অত্যন্ত দরকারী হয়ে গেছে । আর কতোদিন সে আমাদের নিয়ে খেলবে ?
মেরিন : ধরা ছোয়ার একদম বাইরে । যখন মিট করতে চাই তখন ওর মুখ ঢাকা থাকে । attack যে করবো তারও উপায় থাকেনা । নিজেকে যে কতোটা safe এ রাখে সেটা explain করতে পারবোনা ।
সেজান : হামম। কিন্তু এটার সাথে আরো ১টা প্রশ্ন আছে । বাবাকে মামা কেন সহ্য করতে পারেনা?
মেরিন: thats million dollar question .
সেজান : মামার কাছে লুকিয়ে আর কতোদিন প্রেম করবো বলোতো? সবসময় ভয়ে থাকি এই বুঝি মামা জেনে গেলো।
মেরিন : awwwwe…
সেজান : আমি কাউকে জানাতে পাচ্ছিনা যে আমি আমার রোজকে কতো ভালোবাসি । কি করবো বলো তো!!!
মেরিন : আপাদত লুকিয়েই প্রেম করো।
.
কিছুদিনপর….
নীড় : হ্যালো …
মেঘ : হ্যালো নীড়।
নীড় : একি মিস্টার খান আপনি?
মেঘ : হামমম আমি।
নীড় : কেন ফোন করেছেন?
মেঘ : good news দিতে।
নীড় : good news ?
মেঘ : হামম good news … তবে good newsটা আমার জন্য good হলেও তোমার জন্য bad।
নীড় : মানে?
মেঘ : মানে খুব সহজ। তোমার মেয়ে প্রেমে পরেছে । কার জানো? আমার ছেলের। অনুভব খান সেজানের।
নীড় : what?
সেজান : হামমম। তোমার মেয়ে আমার ছেলেকে পাগলের মতো ভালোবাসে । আর আমার ছেলে…. হাহাহা… আমার ছেলে তোমার মেয়েকে ১বিন্দুও ভালোবাসেনা। আমার ছেলে ওর ফুপ্পির সাথে করা অন্যায়ের প্রতিশোধ নিবে। চরম প্রতিশোধ…
নীড় : মেঘ খান… ভুলে যেওনা যে ছোয়া মেরিন আর আমার মেয়ে।
মেঘ : ছোয়া কেবল তোমার মেয়ে । আমার বোন নেই তাই তোমার সাথে আর তোমার মেয়ের সাথেও আমার কোনো সম্পর্ক নেই । আমার বোনের সাথে তুমি যা যা করেছো তার ১০গুন তোমার মেয়ে ভোগ করবে। পারলে আটকাও। 😏। bye bye…
মেঘ রেখে দিলো । নীড় রেগে মোবাইলটা আছার মারলো।
.
অন্যদিকে…
নির্বন : i hate you…
নিরালী : জান.. আমি মোটেও এমন মজা পছন্দ করিনা।
নির্বন : আর আমি মজা করছিও না । আমি তোমাকে ভালোবাসিনা। আর না কখনো বেসেছি।
নিরালী : মিথ্যা কথা । তোমার চোখ বলছে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
নির্বন : ঘৃণা করি আমি তোমাকে। তুমি আমাকে bike race এ হারিয়েছো । আমি তোমাকে love race এ হারিয়ে দিলাম। আমি তোমাকেনা তোমার best friend দীপাকে ভালোবাসি । দীপা ডার্লিং।
দীপা এগিয়ে এলো । নির্বন দীপার কাধে হাত রেখে
বলল : meet দীপা । my love …
নিরালীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো । ওর ভালোবাসা আর ওর best friend ২জনই ওকে ধোকা দিলো।
নিরালী : তুমি এমন করতে পারোনা ।
নির্বন : এমনটাই করেছি। right জান? চলো জান…
দীপা : চলো…
নিরালী : না নির্বন তততুমি এমন করতে পারোনা… নির্বন নির্বন…
নিরালীর হাজার আকুতি মিনতি করতে থাকে । আর নির্বন সেগুলো উপেক্ষা করে চলে যায় । অথচ নিজেও ভেতরে ভেতরে গুমরে মরছে । কিন্তু নিজের ইগোর কাছে হেরে যায়।
.
১রাশ হতাশা নিয় নির্বন বাড়িতে পৌছালো। আর পৌছাতেই গালে ১টা জোরদার থাপ্পর পরলো ।
নির্বন : মম….
মেরিন : don’t call me mom.. তুমি আমার অহংকার ছিলে। আর নিজেই সেটা ভেঙেছো । আর কখনো আমাকে মম বলে ডাকবেনা।
নির্বন : i am sorry ম…
মেরিন : বলেছিনা আমাকে মম বলে ডাকবেনা…
বলেই মেরিন চলে গেলো।
নির্বন : মম … মম please listen to me…
নিহাল : কি হয়েছে দাদুভাই ?
নির্বন সবটা বলল ।
নীলিমা : কি করেছো কি দাদুভাই? এটা ভুল.. কারো মন ভাঙা ঠিকনা।
নিহাল : ঠিক করোনি দাদুভাই…
.
অপরদিকে…
রোজ : হাহাহাহাহা… তুমি আমার ড্যাডকে এতো ভয় পাও কেন?
সেজান : তোমার ড্যাড যে জল্লাদ। ভয় পাবোনা কেন?
রোজ : oh hello… আমার ড্যাড মোটেও জল্লাদ না ok… huh… আমার ড্যাড অনেক sweet …
সেজান : আহা sweet না অ…
সেজান থেমে গেলো। কারন সামনে সাক্ষাত যম দারিয়ে আছে । নীড় দারিয়ে আছে ।
রোজ : কি হলো থেমে গেলে যে? কি হ… আরে ড্যাড… 😊…