পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 12

সেজান : what ? তুমি কি বললা?
রোজ ভয়ে ভয়ে বলল : fffflirting master …
সেজান : really ?? yahoo … i am so proud of me… এই প্রথম আমাকে কেউ এমন ১টা টাইটেল দিলো। thank you so much … thank you very much…
বলেই রোজকে জরিয়ে ধরে গালে কিস করে লাফাতে লাফাতে চলে গেলো । রোজ তো just shocked … রোজ ওখানেই জমে গেলো । একটুপর পলি এলো।
পলি : কি রে এখানে এভাবে দারিয়ে আছিস কেন?
রোজ : ….
পলি ধাক্কা মারলো রোজকে ।
এতোটাই জোরে ধাক্কা মারলো যে রোজ নিচে পরে গেলো।
পলি : উইই … sorry sorry… দে হাত দে ।
রোজ নিজে নিজেই উঠে দারালো।
রোজ : শালি.. এতো জোরে কেউ ধাক্কা মারে? পালোয়ান কোথাকার।
পলি : তো কি করবো? তুই অমন মূর্তি হয়ে দারিয়ে ছিলি কেন?
রোজ : আগের জন্মে মূর্তি ছিলাম তাই ।huh…
বলেই রোজ চলে গেলো।
.
সবাই বেরাতে বের হলো। রোজ সেজান থেকে দূরে দূরে থাকছে । কেন যেন ওকে ফেস করতে রোজের লজ্জা করছে । দূর থেকেই আরচোখে বারবার সেজানকে দেখছে। চলতে চলতে হঠাৎ ই সেজান গায়েব হয়ে গেলো ।
রোজ মনে মনে : আরে সেজান কোথায় গেলো ? এখানেই তো ছিলো ।
রোজ এদিক ওদিক খুজতে লাগলো।
সেজান : আমায় খুজছিলে বুঝি? 😏।
রোজ না তাকিয়েই সেজানকে খুজতে খুজতে
বলল : আপনি কে যে আপনাকে খুজবো?
সেজান : তো কাকে খুজছো?
রোজ : সেজানকে …
সেজান : ও…. গুড। তুমি যদি সেজানকে খোজো তবে আমি কে?
রোজ : who the he… আআআপনি?
সেজান : হ্যা আমি । i think tour এ আসা ব্যাক্তিদের মধ্যে আমার একার নামই সেজান। আর কোনো সেজান নেই । তাই না miss black rose…?
রোজ মুখ ভেংচিয়ে চলে যেতে নিলে সেজান হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনলো । একেবারে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
রোজ : কককি কককরছেন?
সেজান : shushh… কোনো কথা বলো না। let me see you…
রোজ : ছছছারুন …
সেজান : না। তোমাকে ছারলে বাচবো কি করে? তোমাকে ছারতে পারবোনা my black রোজ…
সেজানের নিঃশ্বাস গুলো সব রোজের মুখে পরছে আর রোজ কেপে উঠছে । রোজের সব গুলিয়ে যাচ্ছে । আর সেজানেরও । তাই হঠাৎ ই সেজান রোজের হাত ছেরে দিলো । কিন্তু রোজ তখনও একইভাবে রইলো । ওর খেয়ালোই নেই যে সেজান ওর হাত ছেরে দিয়েছে।
সেজান রোজের মুখের সামনে তুরি বাজিয়ে
বলল : হেই সদ্য ফোটা ভোরের black rose… কোন জগতে আছো … রোজের হুশ ফিরলো। আর ভীষন লজ্জায় পরে গেলো ।
সেজান : হায়… এতো লজ্জা পেওনা black rose… মরে যাবো ।
রোজ আর মিনিটও দারালোনা। ছুটে পালিয়ে গেলো ।
সেজান :পাগলি । আমার পাগলি।
.
৭দিনপর …
রাত ১১:৩০…
সেজানের দুষ্টুমিষ্টি romance আর রোজের লজ্জাতে টমেটো হয়ে যাওয়াতে ৭দিন কেটে গেছে । রোজ আয়নার সামনে দারিয়ে আছে। নিজেকে দেখছে । নিজের চুলগুলো নিজেই এলোমেলো করে দিলো ।
রোজ : তুই ১টা ভূতু। আর আমি হলাম black rose…🙈…
বলেই লাফাতে লাগলো পাগলের মতো। তখনই ঘড়ির দিকে নজর গেলো । দেখলো ১২টা বাজতে চলল।
রোজ : ওমা আজকে না মঙ্গলবার। আজ না অনুভবের program হয়। ১২টা বাজতে চলল। যা কাইল্লা অনুভব তোকে মুক্ত করলাম। তোর থেকে সেজান বেশি কিউট । তবুও আজকে কেন যেন তোর romantic কথা আর কিছু romantic গান শুনতে ইচ্ছা করছে ।
রোজ রেডিও অন করে বসে পরলো। ওদিকে সেজানও নিজের সাথে আনা ছোটো ছোটো ডিভাইস গুলো সেট করে নিজের program শুরু করলো ।
.
সেজান : hello hello hello guys… চলে এসেছি তোমাদের সকককককলের প্রিয় অনুভব … শুরুতেই শুনে নিবো welcome song… as its raining outside … & i am in a romantic mood so now i am going to play a romantic song… চলো শুনেনি ।
রোজ : awwwe আমিও romantic mood এ আছি । ঢাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে ?
গানের পর…
অনুভব : মুহাব্বাত বারসা দেনা তু …
শাওয়ান আয়া হ্যা …
উফফ… what a song… my favorite song… প্রিয় শিল্পী অরিজিৎ সিং । লাভলী। যাই হোক আজকে এই বৃষ্টি আমার ভীষন প্রিয়। i think rain is the sign of love… হ্যা কিছু rural area & কিছু দুস্থ মানুষের কাছে এটা খুবই কষ্টের সময় । may ALLAH help them…
যাই হোক আজকে আমার মনটা ভীষষষষষন ভালো। তাই নিজে থেকেই ১টা গান গাইতে ইচ্ছা করছে। গাইবো? গাই তবে…
🎶🎵🎶
মন মোর মেঘের সঙ্গী…
🎶🎵🎶
সেজান গানটা গাইলো ।
রোজও মনোযোগ দিয়ে গান শুনছে । infact প্রায় সবাই কানে হেডফোন গুজে গান শুনছে । অনেকেই অনুভবের program শুনছে । বৃষ্টির মধ্যে গান শুনতে কার না ভালো লাগে। তখন হঠাৎ রোজের রুমের দরজায় করা নরলো । রোজ ১বস্তা বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলল । দেখলো হিরা। হিরাকে দেখে রোজ অবাক হলো। কারন হিরা তো ওদের সাথে ট্যুরে আসেনি। তাহলে?
রোজ : আপনি ?
হিরা : হ্যা সুন্দরি আমি …
বলেই দুম করে রোজের হাতে ১টা injection push করলো।
রোজ : how da…
হিরা রোজকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে রোজকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে দিলো । এরপর ধপাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো ।
.
দরজা এতো জোরে লাগালো যে আওয়াজটা সেজানের কান পর্যন্ত গেলো। যদিও অনেক বৃষ্টি । সেজান তারাতারি রুম থেকে বের হলো। বাইরে তাকালো। চারদিক দেখতে লাগলো। কেমন যেন ১টা খটকা লাগলো ।
সেজান : এমন লাগছে কেন?
ওদিকে injection টা দেয়ার পর থেকে রোজের হাত পা অবশ হয়ে আসছে । মুখ দিয়েও যেন শব্দ বের হচ্ছেনা …
হিরা : সুন্দরী… এখন তুমি সব দেখবে বুঝবে কিন্তু কিছু করতে পারবেনা । নিজের চোখের সামনে নিজের সর্বনাশ হতে দেখবে … তোমার জন্য ওই খান সেদিন ক্যাম্পাসে সবার সামনে আমাকে মেরেছে । আজকে তোমাকে আমি ছারবো না …
রোজ বুঝতে পারছে যে ও কিছুই করতে পারবেনা । তবে এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। কিছুটা শক্তি এখনও অবশিষ্ট আছে ।কিছুটা ধ্বনি এখনও অবশিষ্ট আছে । ও খুব কষ্টে ভেতর থেকে শক্তি সঞ্চার করে সবটুকু জোর লাগিয়ে “সেজান” বলে চিৎকার করলো । কেন যেন এই নামটাই সবথেকে ভরসার বলে মনে হলো। তবে রোজের চিৎকার ওর কাছে অনেক জোরে হলেও আসলে সেটা খুব জোরে ছিলোনা।
সেজান চেক টেক করে আবার রুমের ভেতরেই ঢুকছিলো। তখন রোজের কন্ঠ ওর কানে এলো। আর ১মিনিটও দেরি না করে রোজের রুমের দিকে দৌড়ে গেলো । আর জোরে জোরে ডাকতে আর দরজা ধাক্কাতে লাগলো ।
সেজান : রোজ…. এই রোজ… রোজ… are you ok রোজ? রোজ ….
সেজান কোনো সারা পেলোনা । সেজানের আরো খটকা লাগলো। সেজান জোরে জোরে বলতে
লাগলো: মনে হয় আমারই শোনার ভুল ছিলো । মিস চৌধুরীর ঘুম ভাঙলে আমার খবর আছে । কেটে পর সেজান…
সেজান এমন করে পায়ের আওয়াজ করলো যে ভেতর থেকে মনে হলো যে সেজান চলে গেলো ।
রোজ মনে মনে : না সেজান যাবেন না প্লিজ । আল্লাহ …
হিরা : হিরো তো চলে গেলো কিন্তু হিরা তো আছে ।
বলেই হিরা ডেভিল স্মাইল দিলো । রোজ তো সমানে কান্না করছে । আর আল্লাহকে ডাকছে । হিরা ১টা রোজের ওরনাটা সরিয়ে ফেলে জিপে হাত দিলো।
.
৩মিনিটপর …
প্রচন্ড বিদঘুটে ভয়ংকর আওয়াজ পেয়ে হিরা পিছে ঘুরলো। ঘুরে দেখে দরজা উরে গেছে । হিংস্র সেজান দারিয়ে আছে । এই সেজানকে দেখে যে কারো রুহূ কেপে উঠলো । হিরার আত্মাও কেপে উঠলো । রোজের চোখ দিয়ে কৃতজ্ঞতার পানি গরিয়ে পরলো । সেজান ১পলক রোজের দিকে তাকালো । এরপর চোখ ফিরিয়ে নিয়ে হিরার দিকে তাকালো । হিরার দিকে এগিয়ে গেলো । রুমের বাইরে ভীর জমে গেছে ।কিন্তু কেউ রুমের ভেতর উকি মারতে সাহস পেলোনা । এমনকি টিচাররাও না । এদিকে সেজানকে নিজের এতো কাছে দেখে হিরার heart attack করার অবস্থা ।
সেজান : পলি…
এমন তীব্র কন্ঠে সেজান ডাকলো যে পলি ছুটে এলো।
সেজান : take care of her… & you come with me …
বলেই সেজান ঘুরে ২কদম আগে বারলো । কিন্তু হিরা স্থির হয়ে দারিয়ে রইলো ।
সেজান : কিছু বলেছিতো …come follow me …
হিরা তবুও নরছে না ।
সেজান দাতে দাত চেপে
বলল : i said come & follow me…
হিরা সেজানের পিছে হাটতে লাগলো । ২জন রুম থেকে বের হলো।
সেজান : রিক্তা ম্যাম পলি needs your help…
রিক্তা ম্যাম দৌড়ে ঢুকলো ।
সেজান :& all of you guys…. its a raining night… go & enjoy …. আমি হিরাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাবো ।
সবাই তারাতারি কেটে পরলো ।
জিসান মনে মনে : সেজান এতো ঠান্ডা সুরে কথা বলছে । আজকে হিরার ওপরে যাওয়া ফুল & ফাইনাল । আমার সেজানের যদি জেল ফাসি হয়? কি করি কি করি? ওর বাবাকে বলবো না ফুপ্পিকে? ওর ফুপ্পিকেই ফোন করি।
মেরিন: হ্যালো ।
জিসান : ফুপ্পি আমি জিসান। সেজানের best friend …
মেরিন : oh hi… whats up….
জিসান সব বলল। সব শুনে মেরিন
বলল :ওহ ।
জিসান : ফুপ্পি আপনিই পারবেন সেজানকে আটকাতে। please ওকে থামান।
মেরিন : why should i? let him kill the bloody rascel…. এত্তো সাহস মেরিন বন্যার মেয়ের দিকে হাত বারায়??? 😤😤😤
জিসান : 😱😱😱
.
১ঘন্টাপর…
সেজান : মৃত্যুর আগে সবার শেষ ইচ্ছা জানা হয় । তোর টাও হবে। বল কিভাবে মরতে চাস ? বল বল…. বলে ফেল…
হিরা : ক্ষমা করে দাও সেজান আমি আর কখনো …
সেজান : এই …. চুপ … যদি আরেকবার কিছু বলিস এতো ভয়ংকর মৃত্যু পাবি সেটা বলার বাইরে । তোর মতো কুকুরকে সেদিনই মেরে দিলে সব থেকে better হতো।
সেজান : প্লিজ এবারের মতো ক্ষমা কর…
আর বলতে পারলোনা। সেজান সজোরে হিরার বুকের মধ্যে লাথি মারলো । হিরা চিত হয়ে পরে গেলো । সেজান গিয়ে হিরার গলা চেপে ধরলো।
সেজান : তোর এতো বড় কলিজা যে তুই আমার কলিজায় হাত দিস? আজকে তোর কলিজাটাই বের করে ফেলবো ।
.
পরদিন…
সেজান মেয়েদের সাথে flirt করছে । রোজ হাতে গোলাপ নিয়ে দারিয়ে আছে । আর ভাবছে যাবে কি যাবেনা?
রোজ : go for it রোজ । thank you তো বলতেই হবে । আর তুই ভয় পাচ্ছিস like really ? ভুলে যাসনা তুই ছোয়া চৌধুরী রোজ ।
রোজ কোনো কথা না বলে সেজানের দিকে এগিয়ে গেলো ।
রোজ : girls… you may go now…. আমার সেজানের সাথে কথা আছে ।
সেজান মনেমনে : impressive ….
মেয়েরা চলে গেলো ।
সেজান : whats up black rose?
রোজ : ভালো। & all thanks to you…. আপনি না থাকলে হয়তো এখন আমার লা…
আর বলতে পারলোনা। সেজান রোজের মুখে হাত দিলো।
সেজান : সেজান যতোদিন আছে ততোদিন তার ব্ল্যাক রোজের কিছু হতে পারে না … বুঝেছো ।
রোজ : ….
সেজান রোজের চোখের কৌতূহল বুঝতে পারলো ।
সেজান : দেখো অন্যান্য আর ৫টা ছেলের মতো নেকামো ভালোবাসা হয়না । তাই আজকে এখনই directly তোমাকে ১টা কথা বলতে চাই । রোজ
i love you… অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়। এই যে আমার চারপাশের মেয়েদের দেখো এরা just আমার time pass. কখনো কাউকে টাচও করে দেখিনি। তবুও আমাকে ভালোবাসবে কি বাসবেনা সেটা তোমার ব্যাপার । but you have to be mine…
বলেই সেজান চলে গেলো । রোজ কল্পনাও করতে পারেনি যে সেজান এমন কিছু করবে। ও কিছুই বুঝতে পারছেনা ।
.
পরের মঙ্গলবার …
রোজ বুঝতে পারলো যে ও নিজেও সেজানকে ভালোবাসে । তাই ঠিক করলো রাতে সবাই যার যার রুমে গেলে ও সেজানকে গিয়ে i love you 2 বলবে। আর যেহেতু মঙ্গলবার সেহেতু সবাই অনুভবের program নিয়ে পরবে । তাই রাতের অপেক্ষা করতে লাগলো ।
রাত হলো । ১২টা বাজলো । অনুভবের program টা শুরু হলো । সেজানও নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরলো।
সেজান : আমি অনুভব আবার ফিরে এসেছি তোমাদের মাঝে । আসলে সেদিন কিছু personal issue এর জন্য program মাঝপথে বন্ধ করতে হয়েছিলো । i am really very sorry…..
বলতে বলতে সেজানের চোখ দরজার দিকে গেলো । দেখলো রোজ দারিয়ে আছে …
.
চলবে…