পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 11
রোজ : লোকটা বরই আজব ।
পলি : কিরে তুই এখানে ? এ কি তোর কপালে কি হয়েছে?
রোজ : তেমন কিছুনা । চল ।
২জন ক্লাসে যাচ্ছে । তখন
সেজান বলল : হ্যালললো ব্যা ব্যা ব্ল্যাক শিপ থুরি ব্ল্যাক রোজ। 😂। & হাই পলি মাটি । 😘।
পলি : উফফ… এই সেজান ভাইয়াটাও না।কি রে আজকে কিছু বলছিস না যে?
রোজ : কি বলবো?
পলি: কিছুনা চল ক্লাসে ।
রোজ মনে মনে : সেজান ছোট করে জান … উফফ রোজ কি যা তা ভাবছিস… ক্লাসে চল… একে নিয়ে ভাবতে হবেনা ।
২জন ক্লাসে চলে গেলো ।
.
সেজান : হ্যালো … জানতে পেরেছো রোজের কপাল কি রে কাটলো ?
রকি : yes sir… ম্যাম ভার্সিটিতে আশার সময় ৪-৫টা ছেলেকে অনেক মেরেছে। ওরা মনে হয় ১টা মেয়েকে ডিস্টার্ব করছিলো ।
সেজান : হামমম। সাহস কতো বড়… আমার রোজ ওদেরকে পিটিয়েছে ওরা একটু আরামসে পিটানি খেলেই পারলোনা । ওদের জন্য আমার ব্ল্যাক রোজের কপাল কেটে গেছে। anyway … find them fast …
রকি : yes sir…
সেজান রেখে দিলো।
জিসান : তুই কি পাগল?
সেজান : হামমম। but only for my black rose .
জিসান : আরে মারামারি করতে গিয়ে রোজের কপাল কেটেছে । আর কোন মানুষ আছে যে মাইর এমনিতেই খাবে? নিজেকে defence করবেনা?
সেজান : না। কারন আমার রোজ ওদেরকে পিটিয়েছে । by the way তুই ওদের support করছিস কেন?
জিসান : আরে support না। ছার বাদদে। চল ক্লাসে।
সেজান : ওকে চল ।
ওরাও ক্লাসে গেলো ।
.
ছুটিরপর…
রোজ বের হচ্ছে ।
সেজান : hey black rose…
রোজ : আবার আপনি?
সেজান : চলো আমি তোমাকে বাসায় ড্রপ করে দিচ্ছি ।
রোজ : কেন? আপনি কেন আমাকে ড্রপ করবেন ? আমি কি যেতে পারবোনা। আমার গাড়ি আছে ।
সেজান : আছে but গাড়ি আপাদত চলার উপযোগ্য না । তাই। …
রোজ ঘুরে গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো গাড়ির হাল খারাপ ।
সেজান : no no no আমি কিছু করিনি। আমি খুব ভালো ছেলে। chocolate boy…
মনে মনে : হ্যা আমিই করেছি my black রোজ।
রোজ মনে মনে : কেন যেন মনে হচ্ছে যে আপনিই করেছেন ।
সেজান : তো চলো তোমাকে ড্রপ করে দিচ্ছি ।
রোজ : ok…
সেজান : ok?
রোজ : হামম। ok…
সেজান : ok… চলো ।
মনে মনে : black rose এতো সহজে রাজী হলো কি করে?
রোজ মনে মনে : আপনাকে জানতে চাই । কেন যেন আপনাকে জানতে ইচ্ছা করছে।
সেজান : এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো …
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো
..
nice song… isn’t it?
.
রোজ : হামমম। ১টা কথা জিজ্ঞেস করি?
সেজান : করো।
রোজ : আচ্ছা আপনি তো senior ভাইয়া power আছে । তো ১টা কাজ করতে পারবেন ?
সেজান : কি কাজ ?
রোজ : আসলে আজকে লাইব্রেরীতে আমার সাথে ১টা দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
কথাটা শুনে সেজান ব্রেক মারলো ।
সেজান : দুর্ঘটনা?
মনে মনে : আমি চলে আসার পর কিছু হয়েছিলো?
রোজ : হামম। দুর্ঘটনা।
সেজান : কিসের দুর্ঘটনা ?
রোজ : কোথায় থেকে ১টা ছেলে এসে হুট করে আমার চোখ বেধে হাত বেধে আমার কপালে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে চলে গেলো। এতো জোরে হাত বেধেছিলো যে কি বলবো??? জান বেরিয়ে যাচ্ছে ব্যাথায় ।
সেজান : অনেক জোরে হাত বেধে ফেলেছ…ছিলো?
রোজ : হামমম। এই দেখুন দাগ পরে গেছে ।
সেজান : দেখি দেখি …
সেজান অস্থির হয়ে রোজের হাত ২টা নিজের হাতে নিয়ে চেক করতে লাগলো । সেজানের হাত ধরাতে কেন যেন রোজের background এ মিউজিক বাজতে লাগলো।
লা লা লা লা লা লা লা …
সেজান : খুব লেগেছে না…
রোজ : হামম ভাইয়া । 😜।
ভাইয়া শুনে সেজানের মেজাজটা বিগরে গেলো । সেজান রোজের হাত ছেরে drive করতে লাগলো।
রোজ : anything wrong ভাইয়া!!!
সেজান : no… 😒..
মনে মনে : ভাইয়া বলে কলিজাটা পুরিয়ে দেয়। আবার বলে anything wrong … huh… পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং ।
সেজান রোজকে ড্রপ করে চলে গেলো। রোজ হাসতে হাসতে শেষ ।
রোজ : পাগল।
.
রোজ ভেতরে ঢুকলো ।
মেরিন : কি ব্যাপার মা জননী … আজকে মনটা এতো ভালো? কি হয়েছে?
রোজ : you know মম ওই যে সেজান আছে না …
মেরিন : হামম। আবার কি করেছে সেজান ??? একি তোমার কপালে কি হয়েছে? ব্যান্ডেজ কেন?
রোজ : কিছুনা মম।
মেরিন : কিছুনা বললেই হলো…
রোজ ব্যান্ডেজটা খুলে দেখালো। মেরিন দেখলো । সামান্য একটু কাটা ।
রোজ : happy ..?
মেরিন : কিন্তু কাটলো কি করে?
রোজ সব বলল।
মেরিন : proud of u my বাচ্চা।
রোজ : thank u মম।
মোরিন : হামম। কিন্তু কালকে থেকে বডিগার্ড নিয়ে যাবে । বুঝিয়াছো ?
রোজ : সে না হয় যাবো কিন্তু তুমি আগে শোনো তো সেজান কি করেছে ?
মেরিন : হামম বলো বলো।
রোজ : শোনো.. আমি লাইব্রেরিতে ১টা বই খুজতে যাই । তখন কেউ ১জন পেছন থেকে আমার চোখ আর হাত বেধে ফেলে।
মেরিন : কি? কার এতো বড় সাহস? তাকে তো… তখন বুঝি সেজান এসে বাচিয়েছে???
রোজ : no mom… সেজানই তো ওসব করেছে।
মেরিন : কি!!!
রোজ : হামম। ও আমার চোখ আর হাত বেধে মুখ আটকে খুব কিউট করে কেটে যাওয়া জায়গায় মেডিসিন লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে চুপটি করে চলে যায়। আমি তো খেয়ালই করিনি যে আমাক কপাল কেটেছে … 😳
মেরিন : awwwe… but তুমি বুঝলে কি করে যে ওটা সেজান… 😏
রোজ : ওর perfume এ। 😒।
মেরিন : একইরকম perfume অনেকেই লাগাতে পারে । আর যে সেজান দিনরাত তোমার সাথে ঝগড়া করে সে তোমার কপালে ব্যান্ডেজ করবে…. isn’t it wired ?
রোজ : no mom… ওটা সেজানই ছিলো। i can feel him…
মনে মনে :oh no কি বলে ফেললাম। মম তো এখন আমাকে ক্ষেপাবে .
মেরিন : 😱😏😍।। কুছ কুছ হোতা হ্যায়।
রোজ : মম… nothing like that…
বলেই রোজ চলে যেতে নিলে মেরিন ওর হাত ধরলো।
মেরিন : কোথায় পালাচ্ছে রে আমার সোনাপাখিটা ? বসো এখানে ।
রোজ বসলো।
মেরিন : সেজান কেন তোমার আঘাতে মলম দিলো …?
রোজ : হ্যা তাইতো? কেন বলোতো মম?
মেরিন : প্রশ্ন আমি করেছি উত্তর তুমি দিবে।
রোজ : ….
মেরিন : যাও fresh হয়ে নাও । আজকে তোমার favorite snacks করেছি। go fast…
রোজ গেলো। কিন্তু মেরিনের কথায় চিন্তায় পরে গেলো ।
.
একটুপর…
নির্বন রেগে আগুন হয়ে বাড়িতে ঢুকলো ।
মেরিন : কি হয়েছে আব্বাজান ? মুড অফ কেন? আর শার্টে কাদা কেন?
নির্বন : don’t ask mom… i just hate girls …
বলেই নির্বন রেগে ওপরে চলে গেলো ।
মেরিন : যা বাবা … মেয়ে তো মেয়ে … ছেলের আবার কি হলো ? আগে ঝগড়া পরে প্রেম??
নীড় : কার ঝগড়া কিসের প্রেম ?
মেরিন : আপনার আর আমার পেরে । 😍।
নীড় : shut up… fresh হয়ে আসতে আসতে কফি রেডি করো । স্টার জলসা কোথাকার।
.
রাতে …
রোজ : ঠিকই তো … আমার কাটাতে সেজান কেন ব্যান্ডেজ করলো? সেদিন তো হিরাকে কতো মারলো আমার সাথে অসভ্যতামী করার জন্য । তখন যখন হাতে ব্যাথা পাওয়ার কথা বললাম কেমন অস্থির হয়ে পরলো । এছারাও এই ২বছরে যখনই ভার্সিটিতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি তখন কোনো না কোন ভাবে সেজান হেল্প করেছে । উফফ ভাবতে পারছিনা।
ওদিকে সেজান…
সেজান : ভীষন ভালোবাসি তোমাকে black rose…. জানিনা মামার রাগ কবে কমবে? কবে বাবার সাথে মামার patch up হবে? কবে ভালোবাসি বলতে পারবো তোমাকে … কবে ২পরিবার এক হবে?
.
কিছুদিনপর …
আজকে ভার্সিটি থেকে সুন্দরবন ট্যুরে যাওয়া হবে। 3rd & final yearএর student দের নিয়ে । যার মানে সেজান আর রোজ দের ক্লাস । রোজ তো সুপার excited । ওর ভালো লাগে বেরাতে ।
নীড় : সাবধানে থাকবে। মো…
রোজ : মোবাইল always কাছে রাখবো , একা কোথাও যাবোনা , বনে-জঙ্গলে যাওয়া avoid করবো , পানিতে নামবোনা , রাতের বেলা বের হবো না , ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবো … ড্যাড সব মুখস্ত হয়ে গেছে ।
নীড় : i will miss you my princess …
রোজ : i’ll also miss u…
মেরিন : মমজি … রাতে না খেয়ে ঘুমাবে না । কেমন?
এরপর মেয়ের কানে কানে
বলল : সেজান তো আছেই খেয়াল রাখার জন্য… 😁😁…
রোজ : মম.. যা তা একেবারে…
নীড় : কি বললে ছোয়ার কানে ?
মেরিন : আপনাকে কেন বলবো? huh… মা-মেয়ের কথা শুনতে আসেন লজ্জা করেনা ?
নির্বন : ড্যাড don’t be upset … আমরাও বাবা-ছেলের কথা কাউকে বলবোনা ।😎।
মেরিন : huh…
মেরিন রোজের কপাল চুমু একে দিলো ।
রোজ : bye মম , ড্যাড , দাদু , দীদা , নির্বন ।
রোজ চলে গেলো ।
.
রোজ বাসে উঠলো । দেখলো সবগুলো সিটে ফুল। শুধু ১টা ছারা। পলিটা ওর জন্য জায়গাও রাখেনি । জিসানের সাথে বসে আছে । মনের সুখে ঝগড়া করছে।
রোজ মনে মনে : ২জন ২জন কে দেখতে পারেনা আবার একসাথে বসেছে । আহা কি ভাব… কোথায় বসবো? ওখানে ১টা সিট বাকী? কে বসে আছে? ভালোই হয়েছে window side এর টা খালি রেখেছে । যেই হোক গিয়ে বসি।
for very স্বাভাবিক ওখানে সেজানই বসে আছে ।
রোজ : excuse me… please let me go inside …
সেজান রোবটের মতো পা সরালো। রোজ গিয়ে বসলো।
রোজ : thank you…
সেজান মুখ থেকে রুমালটা সরিয়ে
বলল : welqqq ( ওয়েলকিউ ) my black rose…
রোজ : আবার আপনি?
সেজান : yeap…
রোজ : oh no…
সেজান : oh yes… ভালোই হলো তোমার সাথে গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে।
রোজ : গল্প ? তাও আপনার সাথে? অসম্ভব । হুহ।
সেজান : ওকে এই আমি মুখে তালা মারলাম। দেখি তুমি চুপচাপ কি করে থাকো? huh….
.
১ঘন্টাপর ….
এতোক্ষন ধরে চুপচাপ থেকে রোজের মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে । সেজান আসলেই মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে আছে ।
রোজ : এই যে শুনছেন?
সেজান হাত দিয়ে ইশারায় বলল কি?
রোজ : sorry…
সেজান ১ভ্রু উচু করলো।
রোজ : চলুন ২জন কথা বলি।
সেজান : 😒।
রোজ : কি হলো? কথা বলুন না।
সেজান : 😏।
রোজ : বলুন না কথা।
সেজান : কথা কথা কথা কথা কথা…
রোজ : হাহাহাহাহা… you are too much funny …
সেজান : oh তারমানে আমি ১টা জোকার ।
রোজ : হামমম।
সেজান : অগত্যা… যদি কোনো black rose জোকার উপাধী দেয় তাহলে সেটাই ভালো।
২জন গল্প করতে করতে সুন্দরবন পৌছালো।
.
৩দিনপর…
এই ৩দিনে রোজ আর সেজানের মধ্যে সুন্দর ১টা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক গরে উঠেছে । কেন যেন সেজানের সবকিছুই রোজের ভালো লাগে । রোজ কালো রঙের dress পরে বের হলো। দেখলো ১দল মেয়ে সেজানকে ঘিরে রেখেছে । আর সেজানও হেসে কথা বলছে । মেজাজ গেলো গরম হয়ে । হনহন করে সেজানের ওখানে গেলো ।
রোজ : সেজান ভাইয়া ।
সেজান শুনেও না শোনার ভান করলো। রোজ মেয়েদের কে ঠেলে সেজানের সামনে গেলো ।
সেজান : একি black rose তুমি?
রোজ : হামম। আপনার সাথে আমার ১টা কাজ আছে । urgent …
সেজান : কি কাজ বলো।
রোজ : আসুন আমার সাথে ।
সেজান : আসলে এতো কিউট কিউট butterfly দের ফেলে যেতে ইচ্ছা করছেনা ।
রোজ : আপনি যাবেন না তাহলে?
সেজান : না ।
রোজ : fine…
বলেই রোজ সেজানের কলার ধরে টেনে নিয়ে গেলো ।
সবাই : 😱।
সেজান রোজকে ভীষন ভালোবাসে। কিন্তু কলার ধরা সেজানের মোটেও ভালো লাগেনি । যে কারনে সেজান ভীষন ক্ষেপে গেলো । রোজ সেজানকে নিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে থামলো।
রোজ : আপনার সাহস কি করে হয় আপনি ছোয়া চৌধুরী র…
আর বলতে পারলোনা। কারন সেজানের চোখ ভয়ংকর রকমের লাল হয়ে আছে । ভয়ে চুপ হয়ে গেলো। রাগ উঠলে সেজানের মাথা ঠিক থাকেনা । ইচ্ছা করছে রোজকে কাচা চিবিয়ে খেতে । কিন্তু ও কিছুতেই রোজের সাথে বাজে ব্যাবহার করতে চায়না। রাগ না কমালে যা তা হতে পারে। তাই সেজান পাশের বড় গাছটাতে সজোরে দিলো ১টা ঘুষি । ঘুষিটা এতোটাই জোরে ছিলো যে গাছে চিহ্ন পরে গেলো। সেজান ওখান থেকে চলে গেলো। রোজের তো কাপাকাপি অবস্থা ।
রোজ : কি ভয়ংকর রে বাবা… মেয়েদের সাথে flirting বন্ধ করেছি বলে এতো রাগ… না না…. এর সামনে এখন যাওয়া যাবেনা । শালা লুচি আলুর দম ।
.
.
সকালে….
রোজ রুম থেকে বের হতেই চোখের সামনে ইয়া বড় ১টা কালো গোলাপের তোরা দেখলো ।
রোজ : wow…
তবে গোলাপের আড়াল থেকে যেই সেজান বেরিয়ে এলো ওমনি রোজ ভয় পেয়ে ২কদম পিছে চলে গেলো ।
সেজান : i am really very sorry black rose… আসলে কালকে একটু বেশি react করে ফেলেছি ।actually রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকেনা । তাই । কালকে তুমি কলার ধর…
রোজ : কলার ধরে মেয়েদের কাছে থেকে টেনে নিয়ে এলাম তাই রাগ হলো। তাই না মিস্টার flirting master ….
সেজান : what?
.
((( কালকে ২টা পার্ট দিবো । 😊😊😊। ১টা সকালে অন্যটা same time এ। )))
চলবে…
Comments