ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 09

মেরিন : আমার শ্রাদ্ধ …
কথাটা শুনে নীড়ের মেজাজ বিগরে গেলো ।
নীড় : তুই কি কোনোদিনই নরমালভাবে কথা বলতে পারিসনা ব…
মেরিন : 😒। অশিক্ষিত লোকেরা বউদেরকে তুই তুখারি করে…
নীড় : shut up…
মেরিন : আমার mobile কোথায় ?
নীড় : কি করবি… i mean কি করবে সেটা আগে বলো…
মেরিন : মোবাইল দিয়ে কেউ আচার বানায় না i think…
নীড় : ঠ্যাটা…
নীড় মেরিনকে মোবাইল দিলো ।
মেরিন : হ্যালো জন…

নীড় : আজই রিলিজ নেয়া টা কি জরুরী?
মেরিন : of course…
নীড় : impossible …
মেরিন : Ik।
নীড় : Ik!
মেরিন : i know …😒…
তখন মেরিনের breakfast নিয়ে নিহাল-নীলিমা এলো ।
নিহাল : কেমন আছো মামনি?
মেরিন : absolutely fine বাবা।
নীড় মনে মনে : অ্যাহ absolutely fine… huu… কথা বলার energy নেই । সে আবার absolutely fine…
নীলিমা : ভালো থাকলেই ভালো এখন খেয়ে নিবি ।।
মেরিন : একদমই ক্ষুধা লাগেনি শাশুড়ি ফুপ্পি ।
নীলিমা : কোনো কথানা । নে হা কর ।
মেরিন : আচ্ছা দাও আমি হাত দিয়ে খাচ্ছি ।
নীলিমা : ও তো আমার সাথে খেলতে ঘৃণা করছে। বেশ চামচ দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছি…
মেরিন : কি যে বলো না ? দাও খাইয়েই দাও ।
নীলিমা মেরিনকে খাইয়ে দিতে লাগলো ।
নীড় মনে মনে : এরা সাপে নেউলো থেকে আমদুধ কি করে হলো!!!

একটুপর …
মেরিন রেস্ট করছে । আসলে সেটাও করছেনা । শুয়ে শুয়ে আঙ্গুলের কর গুনতে গুনতে কিছু ভাবছে ।
নীড় :মেরিন… মেরিন …
মেরিন : বলুন… আমার চোখ বন্ধ ।কান নয় …
নীড় : তুমি কালকে কাকে দেখেছিলে? কি দেখেছিলে ?
মেরিন : তা জেনে আপনি কি করবেন ?
নীড় : আরে তুমি বারবার মামার কথা বলছিলে …
মেরিন : হামম। তো?
নীড় :বলোনা কি দেখেছিলে?
মেরিন : অস্তিত্ব ।
নীড় : অস্তিত্ব ?
মেরিন : হামমম ।
নীড় :কার ?
মেরিন : আমার।
নীড় : মানে ?
মেরিন :কিছুনা ।
নীড় : তুমি এমন কেন ?
মেরিন : কেমন ???
নীড় : ওঠো খেয়ে নিবে । ওঠো। এটা বলোনা যে ক্ষুধা লাগেনি ।
মেরিন উঠে বসলো । নিজের হাতে খেতে নিলো ।
নীড় : তুমি আমাকে কি মনে করো বলবা ?
মেরিন : নীড় …
নীড় আর কোনো জবাব না দিয়ে মেরিনকে খাইয়ে দিতে লাগলো । বিকালে মেরিনকে রিলিজ দেয়া হলো । মেরিন বাসায় গেলোনা ।
.
মেরিন : জন…
জন : জী ম্যাম।
মেরিন : ঢাকা শহরে যতো পাগল আধা-পাগল লোক আছে সবাইকে আমি দেখতে চাই ।
জন : কিন্তু ম্যাম… ঢাকা শহরটা বিশাল বড় । কতোশত অমন মানুষ আছে । কোথায় … কিভাবে পাবো কবির স্যারকে ? quit impossible …
মেরিন : nothing is impossible … find …
জন : ok mam…
মেরিন : good …
জন : তাহলে ম্যাম এখন আপনি গিয়ে rest করুন ।
মেরিন : কেন আমার কি হয়েছে ?
জন : না মানে ম্যাম…
মেরিন : আচ্ছা শোনো কালকে পরশু তুমি আমার জার্মান যাওয়ার arrangement করো ।
জন : ম্যাম আপনি এই শরীর নিয়ে ?
মেরিন : হামমম। ১টা important meeting আছে ।
জন : ok mam…
মেরিন চলে গেলো ।
.
পরদিন …
নীড় : একি তুমি অফিসে ?
মেরিন : আমার অফিস আমার ইচ্ছা …
বলেই মেরিন রুমে চলে গেলো।
মেরিন : হ্যালো….
এ.কে. সৌরভ : আচ্ছা মিসেস মেরিন বন্যা আমরা কি মিটিংটা ৩০মিনিট delay করতে পারি প্লিজ ? ac…
মেরিন : ৩০মিনিট কেন ৩০বছর delay করুন।i don’t mind …
সৌরভ : thank you…
মেরিন : not yet… আমি মিটিং & ডিল ২টাই cancel করছি । i am here not to wait others …
সৌরভ : প্লিজ প্লিজ প্লিজ… don’t do this… delay করতে হবেনা । আমি সময় মতোই আসবো ১২টায়…
মেরিন : better for you…
মেরিন ফোন রেখে দিলো। আর তখনই নীড় রুমে ঢুকলো । খাবার নিয়ে।
মেরিন ল্যাপটপে মুখ গুজেই
বলল : নক করে রুমে ঢুকতে হয় …
নীড় : তাই জানতাম না তো … আসো খাবে আসো। ডক্টর বলেছে একটু পরপর খেতে।
মেরিন : 😒 । ১টা কথা বলবেন? এখন কোন অপরাধের সাজা দেয়ার ধান্দা করছেন ? কোন দেশের জেলে ঢোকানোর ইচ্ছা ?
নীড় : হা করো… 😒..
মেরিন চুপচাপ খেয়ে নিলো ।

একটুপর…
মেরিন মিটিংরুমে যাচ্ছে । নীড় কফি খেতে খেতে ফাইল দেখতে দেখতে হাটছে। কোটটা খুলে রেখেছে। কেবল শার্ট & টাই পরা… অন্যদিকে সৌরভও মিটিং ও লেট হওয়ার ভয়ে ছুটে আসছে । লাগলো ২জনের মধ্যে বড় সরো ধাক্কা । দোষ নীড়ের তাই নীড় sorry বলল। যদিও সৌরভের হাতে থাকা গাড়ির চাবিটা দিয়ে নীড় কনুই এ ব্যাথা পেয়েছে । হালকা রক্তও বের হচ্ছে । তবুও নীড়ই sorry বলেছে। কিন্তু ওই সৌরভ নীড়কে employee মনে করে নীড়কে বকতে লাগলো ।
সৌরভ : r u blind or what??? আমার এতো দামী ড্রেসটা নষ্ট করে দিলে? তোমার মতো ১টা idiot লোক মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর employee ? আমাকে ৫মিনিট লেট করিয়ে দিলে । stupid ।
বলেই সৌরভ মিটিংরুমের দিকে গেলো। দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে ।
নীড় : হাসনাত …
হাসনাত : জী স্যার …
নীড় : তুমি মিটিংরুমের দরজার সামনে কি দেখছো ?
হাসনাত : কেন স্যার মেরিন ম্যাম …
নীড় : আর আমি কি দেখছি জানো?
হাসনাত : কি স্যার ?
নীড় : সাক্ষাত যম…
হাসনাত : স্যার যে কি বলেন ? 😁
নীড় : ঠিকই বলেছি । দেখোনা কি হয়। 😁।
সৌরভ : হ্যালো ম্যাম…
মেরিন : হ্যালো …
সৌরভ : চলুন ম্যাম …
মেরিন : কোথায় আর কেন ?
সৌরভ : for the মিটিং?
মেরিন : the meeting … right ?
সৌরভ : right … 😅..
মেরিন : cancel …
সৌরভ : sorry…
মেরিন : মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী কোনো কথা ২য় বার বলেনা ।
সৌরভ : আরে ম্যাম … কারনটা কি? সেটা বলবেন তো …
মেরিন কোনো কথা না বলে নীড়ের কাছে গেলো । নীড়ের হাত নিলো ।
মেরিন : জান… ইশ কতোখানি কেটে গিয়েছে ? দেখি … জন জন… icecube… & first aid box immediately …
জন দৌড়ে icecube নিয়ে এলো। মেরিন সৌরভের সামনে নীড়কে চেয়ারে বসিয়ে নীড়ের কোলে বসে ওর হাতে বরফ দিয়ে মেডিসিন দিয়ে দিলো । এরপর ব্যাথার মধ্যে কিস করলো।
সৌরভ হা করে দেখছে।
হাসনাত : সৌরভ স্যার মুখটা বন্ধ করুন।
সৌরভ : ওই লোকটা কে?
হাসনাত : the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন । the king of চৌধুরী empire …
সৌরভ : oh my goodness… 😱…
সৌরভ দৌড়ে নীড়ের কাছে গেলো ।
সৌরভ : স্যার স্যার স্যার… নীড় স্যার… i extremely sorry… আমি জানতাম না যে আপনিই নীড় স্যার…
নীড় : its ok…
মেরিন : নীড় বাসায় চলুন… জান। you need rest…
নীড় : আরে অল্প একটুই তো ব্যাথা পেয়েছি… অফিসে কতো কাজ পরে আছে…
মেরিন : থাকুক…. চলুন…
মেরিন নীড়কে নিয়ে গাড়িতে বসালো।
নীড় : আরে অল্প কেটেছে। drive করতে পারবো…
মেরিন কোনো কথা না বলে drive করতে লাগলো….
নীড় : অাচ্ছা লোকটা খেয়াল করেনি । আর আমাকে চিনেও না। তাই … forgive him…

বিকালে…
সৌরভ : ধ্যাত কতো বড় ১টা ডিল হাত ছাড়া হয়ে গেলো। তাও ছোট্ট ১টা ভুলের জন্য। damn it…
সৌরভ গাড়িতে হেলান দিয়ে দারিয়ে কথাগুলো ভাবছিলো । তখন হঠাৎ কেউ কোথাও থেকে just সৌরভের গাড়িটাকে ধাক্কা মারলো … সৌরভ চমকে উঠলো । পেছনে ঘুরলো। ঘুরে দেখে কালো রঙের গাড়ি । যার ভেতরে কালো ড্রেস পরে মেরিন বসে আছে ।
সৌরভ : মমম্যাম…
মেরিন বাকা হাসি দিয়ে গাড়ি start দিলো । …
সৌরভ : ম্যাম আপনি কককি করছেন?
মেরিন কোনো কথা না বলে সৌরভের পিছে গাড়ি চালাতে লাগলো । আর সৌরভ দৌড়াতে লাগলো । ধীরে ধীরে মেরিন স্পিড বারাতে লাগলো । আর সৌরভ ওর দৌড়ের স্পিড… দৌড়াতে দৌড়াতে সৌরভ হাপিয়ে উঠলো ।
মেরিন : energy কি শেষ ?
সৌরভ : ম্যাম … sorry … ম্যাহম…
মেরিন : 😏।
মেরিন গাড়ি পিছে নিলো । সৌরভ হাফ ছেরে বাচলো । গাড়ির আওয়াজ পেয়ে সৌরভ সামনে তাকালো । দেখলো মেরিন প্রচুর স্পিডে গাড়ি চালিয়ে এলো। সৌরভকে উরিয়ে দিলো। মুখ থুবরে পরে রইলো সৌরভ ।
মেরিন : মেরিন কখনো কাউকে 2nd chance দেয়না । আমার নীড়কে অপমান করা … আমার নীড়ের হাত থেকে রক্ত বের করা…
এখন দেখ কেমন লাগে?
সৌরভকে ফেলে মেরিন গাড়ি চালিয়ে চলে গেলো । জন এসে সৌরভের গতি করলো। ওর পরিবারের কাছে পাঠালো ।

রাতে…
নীড় : কি দরকার ছিলো সৌরভকে মেরে ফেলার ?
মেরিন কোনো কথা না বলে bags pack করছে ।
নীড় : bags pack কেন করছো ?
মেরিন : কারন কালকে আমরা জার্মান যাচ্ছি ।
নীড় : মানে ?
মেরিন : মানের কি আছে ? জার্মান যাচ্ছি মানে যাচ্ছি । কালই।
নীড় : কিন্তু কেন ?
মেরিন : মরতে। চলুন বাবা আর শাশুড়িফুপ্পি বসে আছে। আর আমারও ক্ষুধা লেগেছে ।
মেরিন চলে গেলো।
নীড় : আজব… ধুর নিচে যাই। ক্ষুধাও লেগেছে ।
নীড় নিচে গেলো । খেতে বসলো ।
নিহাল : নীড়… কালকে তো জার্মান যাচ্ছো অ্যালিগনির problem টাও solve করে এসো।
নীড় : তুমিও জানো যে কালকে জার্মান যাচ্ছি ?
নিহাল : হ্যা। না জানার কি আছে ?
নীড় : 😒।
নীলিমা : বন্যা … আমার জন্য ১টা perfume আনবি কিন্তু ।
মেরিন : হামম।
নিহাল : ওহ হ্যা … নীড় নিজের problem solve করেই বসে থেকোনা। মামনির helpও করো ।
নীড় : আমার মনে হয়না যে ওর কারো helpএর কোনো প্রয়োজন আছে। 😒।
মেরিন : right… বাবা। i can handle myself … মেরিন বন্যা কোনো ননীর পুতুল নয়। মেরিন বন্যা আপসহীন iron lady… 😎…
নীড় : huh…
পরদিন ২জন জার্মান পৌছালো ।

পরদিন…
মেরিন : নীড় নীড় নীড়…
মেরিন কোথাও নীড়কে খুজে পাচ্ছেনা ।
মেরিন : নীড়… নীড়… কোথায় গেলো ? নীড়…
মেরিন সারা হোটেল খুজতে লাগলো। কোথাও পেলোনা । মেরিন চিন্তায় পরে গেলো। পরে তাকিয়ে দেখে দরজার বাইরে নীড় ১টা মেয়েকে জরিয়ে ধরে আছে। মুখে ear to ear হাসি দিয়ে আছে । মেরিন তো রেগে আগুনে বেগুনে হয়ে গেলো। হঠাৎ নীড়ের চোখ মেরিনের দিকে গেলো।
নীড় : oh no… এখন ?
সুচি : কি হলো mr. friend ?
নীড় : কিছু হয়নি তবে হবে ।
সুচি: কি হবে আর কার হবে ?
নীড় : কিছুনা…
সুচি : তাহ.. আরে মেরিন?
সুচি দৌড়ে গিয়ে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো ।
সুচি : ভালো আছো angry young lady…?
মেরিন মুচকি হেসে বলল : জী…
সুচি : good to see you… তোমাকে দেখে ভরসা পেলাম।
মেরিন : anything for you…
নীড় মনে মনে : সুচি রে সুচি তোর কপালে দুঃখ আছে … মরবি তুই অকালে ।
সুচি : মেরিন মিট…my friend নীড়…
মেরিন : হ্যালো মিস্টার নীড়…
নীড় : hi… 😅।
সুচি : নীড় ও…
নীড় : মেরিন….
.
চলবে…