ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 08

মেরিন : আপনি #বন্যারবর্ষন …
বলেই মেরিন নীড়ের হাতের ব্যান্ডেজে কিস করলো ।
নীড় : হাতে ঘৃণার মেরিন লেখা টা জরুরী ছিলো?
মেরিন : of course … মানুষ ডানহাত বেশি use করে। accept lefty… আপনি যখন কাজ করবেন তখন আমার নামেটাকে দেখতে পাবেন…
এই লেখাটা এটা মনে করিয়ে দেবে যে বনে , জ্বলেজঙ্গলে যেখানেই যান না কেন আমাকে পাবেন ।
এই লেখাটা মনে করিয়ে দেবে যে আপনার জীবনেে এখন আমি আছি…. #ঘৃণার_ম়েরিন আছে ।
এই লেখা কখনোই আপনাকে ভুলতে দেবেনা যে ঘৃণার মেরিন আপনার জীবনের অংশ …
নীড় : …
মেরিন : নিন এখন ঘুমিয়ে পরুন… good night … & i love you… uffs…
মেরিন দৌড়ে ১টা injection নিয়ে এসে নীড়ের হাতে push করে দিলো ।
মেরিন : সকাল পর্যন্ত ব্যাথা ঠিক হয়ে যাবে। 😊।

সকালে…
নীড় রেডি হয়ে নিচে নামলো । দেখলো মেরিন already office এর জন্য রেডি হয়ে বসে আছে । ফুল হাতার dress পরা ।
নীড় মনে মনে : নির্ঘাত নিজের হাতেরও band বাজিয়েছে । সাইকো কোথাকার… 😒..
নীড় গিয়ে টেবিলে বসলো ।
নীড় : এসব কি!!! এই জঘন্য খাবার… yuck…
মেরিন : এগুলোকে healthy খাবার বলে।
নীড় : হোক… আমি এগুলো খাবোনা…
মেরিন : এগুলোই খেতে হবে।
নীড় : oh hello… তোমার কথা শুনবো কেন?
নিহাল : শুনতে হবে। কারন ও চৌধুরানী… চৌধুরী empire এর মালকীন…
নীড় : ও যদি মালকীন হয় আমি মালিক। 😎।
নিহাল : no my son… you r nothing … now she is everything …
নীড় : what???
মেরিন : হামমম। 😘
নিহাল : এখন থেকে তুমি মেরিনের servant …
নীড় : কি??? 😱।
মেরিন : হামম জান…
নীড় : এসবের মানে কি বাবা?
মেরিন : মানের আবার কি আছে? কিছুইনা। ভাবছি আমি আপনাকে বডিগার্ড বানাবো…

😎
নীড় : 😒।
মেরিন : কিন্তু না আপনাকে বডিগার্ড বানাবোনা … আপনাকে বডিগার্ড বানালে দেখা যাবে আমাকে রক্ষা করার জায়গায় আমার শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকেই মেরে দিবেন।শত্রুদের সাথে হাতও মিলাতে হবেনা। নিজের ইচ্ছাতেই মেরে দিবেন…😎।
নীড় : 😤।
.
office এ…
নীড় : একি আমার কেবিনে মেরিনের নাম কেন ? আমার নাম কোথায় গেলো?
মেরিন : দেখতে চান?
নীড় : হামম।
মেরিন : come with me…
নীড় মেরিন সাথে সাথে গেলো ।
নীড় : এটা আমার desk???
মেরিন : yeah…
নীড় : কিন্তু এটাতো আমার p.a. এর রুম ।
মেরিন : একটু ভুল । এটা আমার p.a. এর রুম। আপনার রুম। আজকে থেকে আপনি আমার p.a. ।
নীড় : কি ? 😱।
মেরিন : জী। so মিস্টার p.a. ৫মিনিটের মধ্যে আমার জন্য black coffee নিয়ে আসুন। এক মিনিটও যেন লেট না হয় ।
বলেই মেরিন চলে গেলো।
নীড় : এটা কোনো কথা না কবিতা ? নিজের বউর p.a. হবো? no never …
নীড় বসে বসে নিজের মতো কাজ করতে লাগলো ।
.
৬মিনিটপর…
মেরিন নীড়কে ফোন করলো ।
নীড় : hello…😒
মেরিন : আমার কফি কোথায় ?
নীড় : কিচেনে । বানিয়ে খেয়ে নাও । huh…
মেরিন : আরো ২মিনিট সময় দিলাম বানিয়ে নিয়ে আসুন । না হলে খবর আছে।
নীড় : হোক । huh…
নীড় ফোন রেখে দিলো ।
মেরিন : চৌধুরী বাবু… কফি তো আপনাকে বানাতেই হবে।
নীড় : জীবনেও বানাবোনা । আমি আমার project এ focus করি । আরে আমার project file টা কোথায় ?
নীড় খুজতে লাগলো । পাচ্ছেইনা ।
মেরিন : এটা খুজছেন বুঝি নীড়…
নীড় তাকিয়ে দেখে মেরিনের হাতে সেই file …
নীড় : তোমার হাতে এই file কিভাবে গেলো?
মেরিন : হেটেহেটে।
নীড় : দাও…
মেরিন : কেন দিবো… এটা আমার হাতে আমি যা ইচ্ছা করতে পারি।
বলেই মেরিন ম্যাচবক্স বের করলো। কাঠি জালিয়ে fileটার ৪দিকে ঘোরাতে লাগলো ।
নীড় : কি করছো কি?
মেরিন : যেটা দেখছেন…
নীড় : প্লিজ এমন কোরোনা।
মেরিন : আমি কেন আপনার কথা শুনবো ? আপনি কি আমার কথা শুনেছেন?
নীড় : কি কথা?
মেরিন : আমার p.a. হয়ে কাজ করার কথা…
নীড় : ok fine শুনবো…
মেরিন : god promise …
নীড় : god promise … এখন তো দাও।
মেরিন : হামম দিবো । তবে বিকালে।
নীড় : বিকালে কেন?
মেরিন : আপনি কেমন কাজ করবেন সেটার ওপর depend করেই file হাতে পাবেন।
নীড় : কিন্তু বিকালে file পেলে কি হবে? কাজ কিভাবে করবো?
মেরিন : IDK …
নীড় : মানে ?
মেরিন : i don’t know… ৫মিনিটের মধ্যে কফি বানিয়ে আনুন। bye…
বলেই মেরিন চলে গেলো ।
নীড় : বউ নাকি আজরাইল…
মেরিন সারাদিন নীড়কে অনেক জালালো। বিকালবেলা অবশেষে নীড় file হাতে পেলো । file খুলে নীড় অবাক হলো । মুচকি হাসলো । কারন file টা ও incomplete ই রেখেছিলো । আর এখন দেখছে complete … তাও একদম perfect … কোনো ভুল নেই । ও করলে এতো perfect হয়তো হতোনা ।
নীড় মনে মনে : মেয়েটা আসলেই কোনো ভুল করেনা।
.
রাতে…
মেরিন চুল বাধছে । চুল বেধে ১টা pillow & blanket নিয়ে সোফায় শুয়ে পরলো। নীড় খানিকটা অবাক হলো । গতরাতে তো ব্যাথা আর মেডিসিনের effect এ ঘুমিয়ে পরেছিলো । তাই দেখেনি যে মেরিন সোফায় ঘুমিয়েছিলো।
নীড় মনে মনে : একি দেখছি আমি ? স্বপ্ন ? নাকি সত্যি? ও আমার কলিজার ওপর থেকে সরে সোফায় ঘুমাচ্ছে !!! জ্বর টর এসেছে নাকি ভূতে ধরেছে ??? কিছু তো ঘাপলা আছে । কিন্তু কি?? অসুস্থই মনে হয়…
মেরিন : না ঘুমিয় তাকিয়ে আছেন কেন?
নীড় : আমার চোখ আমার ইচ্ছা। তাকিয়ে থাকবো না চোখ বন্ধ করে থাকবো সেটা আমার ব্যাপার। 😒।
মেরিন : সারাদিন অনেক কাজ করেছেন । এখন ঘুমান…
নীড় : না…
মেরিন : ok তাকিয়ে থাকুন…
বলেই মেরিন শুয়ে পরলো । শুয়ে শুয়ে mobile এ কিছু করছে ।
নীড় : তোমার কি জ্বর এসেছে ? 😕
মেরিন : কেন ? 😒।
নীড় : কিছুনা। তোমার মোবাইলের আলোতে আমার ঘুম আসছেনা । চোখে লাগছে ।
মেরিন কোনো কথা না বলে চুপচাপ বারান্দায় চলে গেলো ।
নীড় : এই মেয়েকে বোঝা বড় দায়। কি করে কেন করে…
নীড় সোজা হয়ে শুয়ে পরলো। তখন ওর মাথায় ঢুকলো যে কাহিনী কি? নীড় আর ১মিনিটও দেরি না করে বারান্দায় গেলো । গিয়ে মেরিনকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো । মেরিন অবাক react করলোনা ।
নীড় : i am sorry …

মেরিন : …
নীড় : অনেকবেশি বারাবারি করে ফেলেছি…
মেরিন : …
নীড় : আমি জানি যে আমি অনেক hurt করে ফেলেছি তোমাকে। ধোকা দিয়েছি… ছলনা করেছি … অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি …
মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো ।
নীড় অবাক হলো । মেরিন নীড়কে ছারালো ।
মেরিন : কালকে আপনাকে ১টা জায়গায় নিয়ে যাবো ?
নীড় : কোথায় ?
মেরিন : গেলেই বুঝবেন। যান গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন জান …
নীড় : তুমি ঘুমাবেনা?
মেরিন : হামম। আপনি যান ।

সারারাত নীড়-মেরিনের ঘুম হলোনা।
.
পরদিন…
নীড় : ১ঘন্টা ধরে drive করেই যাচ্ছো । কোথায় যাচ্ছো কোথায় ?
মেরিন : এই তো ৫মিনিট… ওরা পৌছালো ।
নীড় : এটাতো কুমোড়পারা…
মেরিন : আমি কি বলেছি এটা কামারপারা??? নামুন…
২জন নামলো । ভেতরে ঢুকলো । নীড় মেরিনের পিছু পিছু গেলো। মেরিন ১টা কুমোড়কে সরিয়ে দিয়ে ১টা চাকার সামনে বসলো । একটু মাটি নিলো ।
মেরিন : এই একটু মাটি নিলাম । চলুন ১টা মুর্তি বানাই ।
নীড় : তুমি মুর্তিও বানাতে পারো ?
মেরিন মুচকি হাসি দিলো । মেরিনের হাসির রহস্য নীড় কখনোই বুঝবেনা ।
মেরিন ১টা মুর্তি বানালো ।
মেরিন : সুন্দরনা মুর্তিটা? দেখুন।
নীড় : হামম। 😒
মেরিন : 😊।

পলকেই মু্র্তিটা মেরিন নষ্ট করে ফেলল ।
নীড় : এটা কি করলে?
মেরিন : ভেঙে ফেললাম।
নীড় : বানালেই বা কেন আর ভাঙলেই বা কেন ?
মেরিন : কারন এই মাটিই বলুন আর মুর্তিই বলুন ২টার ১টারও কোনো feelings নেই । তবে এই মাটি সবথেকে ভয়ংকর… এরথেকে বড় শাস্তি প্রদানকারী আর কিছু নেই … মাটির কোনো feelings নেই । কিন্তু কখনোই সে কিছু ভুলেনা …
যেখানে মাটিই কিছু ভোলেনা সেখানে পানি… পানি কি করে আপোস মানবে ? পানির অপর নাম কেবল জীবন নয় কখনো পানির অপর নাম মরনও …
নীড় : তোমাকে চেনা বড় দায়।
মেরিন : হাহাহা…
মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীকে চেনার বা বোঝার ক্ষমতা তো স্বয়ং মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীরই নেই… বাকীরা কি বুঝবে?
নীড় : …
মেরিন : চলুন… back করা যাক…
নীড় : হাত ধুবেনা ?
মেরিন : হামম । ওই তো নদী ওখানেই ধুয়ে নিবো ।
নীড় তাকিয়ে দেখলো নদী ।
নীড় : wow…
মেরিন বাকা হাসি দিলো ।
মেরিন হাটু পর্যন্ত পানিতে নামলো । নীড়েরও নদী অনেক প্রিয়। তাই নীড়ও নামলো । নীড় পানি ধরে খেলতে লাগলো ।
নীড় : ইচ্ছা করছে গোসল করি। সাতার কেটে ওই পারে যাই… lovely…
নীড় ভবের দুনিয়ায় আছে। তখন হঠাৎ করে মেরিন দিরিম করে নীড়কে ধাক্কা মারলো। হঠাৎ করে ধাক্কা মারাতে নীড় balance রাখতে পারলোনা। পরে গেলো। হাবুডুবু খেতে লাগলো। মেরিন দারিয়ে দেখতে লাগলো। দেড় মিনিটপর মেরিন নীড়কে টেনে তুলল । নীড় কাশি দিতে দিতে
বলল : তুমি কি পাগল?
মেরিন : হামমম। only for you… সাতার কাটবেন ? ওইপার যাবেন ?
নীড় : অতো বড় নদী পারী দিবে ?
মেরিন : হামম।
নীড় : স্রোত যে বিপরীতমুখী…
মেরিন : তাই জন্যেই তো পারী দিতে চাইছি ।😎।
নীড় : alien …
মেরিন : ok । bye…
বলেই মেরিন দৌড়ে পানির গভারের দিকে গেলো।
নীড় : আরে দারাও…
নীড়ও পিছে পিছে গেলো। ২জন ১সাথেই অপর পাশে গেলো ।

কিছুদিনপর…
মেরিন office যাচ্ছে । তখন রাস্তায় ১টা আধা পাগল type দারিওয়ালা লোককে দেখলো ।
মেরিন : বাবা…
রাস্তায় জ্যাম লেগে আছে।
মেরিন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পার হতে লাগলো। গাড়ি টারি কিচ্ছু দেখছে না। পাগলের মতো দৌড়ে যেতে লাগলো। হঠাৎ ১টা গাড়ি এসে মেরিনকে ধাক্কা মারলো । মেরিনের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে । দেখছে দূর থেকে নীড় দৌড়ে আসছে ।
নীড় : বনপাখি…
মেরিন : বাবাহ…. আমার বাবাহ… ওওওহই যে আহমার বাবা …
নীড় মেরিনকে নিয়ে হসপিটালে গেলো ।
নীড় OTএর বাইরে দারিয়ে আছে । ডক্টর বেরিয়ে এলো ।
নীড় : ডক্টর আমার বন… wife?
ডক্টর : no worry … তেমন আঘাত পায়নি ।
নীড় : thanks god…
ডক্টর : তাকে কেবিনে shift করা হচ্ছে । ৩-৪ঘন্টা পর তাকে দেখতে পারবেন।
নীড় : thank u…
ডক্টর : its my duty… excuse me…
ডক্টর চলে গেলো ।

একটুপর…
নীড় : ও মামার কথা বাবা বাবা কি বলছিলো ? হাত দিয়ে কি ইশারা করছিলো ? কিছু তো ১টা দেখাচ্ছিলো । কিন্তু কি? কিছু তো আছে । ওর জ্ঞান ফেরার পর জানতে হবে।
একটুপর নীড় মেরিনকে দেখতে গেলো। মেরিনের মাথায় হাত রাখলো ।
নীড় : ভালোও তুই খারাপও তুই… সত্যিই কি তুই খারাপ ? তোর খারাপের আরালে হয়তো খুবই ভালো কিছু আছে আর না হলে জঘন্য কোনো খারাপ সত্তা…
তুই বরাবরই ১টা রহস্য… যার কোনো কুলকিনারা নেই… তুই সেই রহস্য যা কেউ ভেদ করতে পারবেনা… আর আমি তো অতিসাধারন…
thats why i hate you… তোকে আমার সহ্য হয়না। কিন্তু এখন তুই আমার খারাপ অভ্যাস হয়ে গিয়েছিস… তোকে আর কোনোদিন ছারতেও পারবোনা ।
.
সকালে…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো … তাকিয়ে দেখলো নীড় বসে আছে । মেরিন মুচকি হেসে উঠে বসলো । ফোন খুজতে লাগলো । তখন নীড়ের ঘুম ভাঙলো ।
নীড় : তুমি ঠিক আছো ?
মেরিন : হয়তো… আমার ফোনটা কোথায় ?
নীড় : ফোন দিয়ে কি হবে?
মেরিন :আমার শ্রাদ্ধ …
.
চলবে