ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 07
মেরিনকে তো নিয়ে গেলো। মেরিনকে নিয়ে যাওয়ার পর দাদুভাই নীড়কে ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
দাদুভাই : তুমি তো সব লিমিট ক্রস করে ফেলেছো নীড় সব…. ধিক্কার তোমার ওপর…
নীড় : নানাভাই… এবার তো মেরিনের support করা বন্ধ করো । এতো বড় ভুল কাজের পরও ওর support করছো…
দাদুভাই : হ্যা করছি … কারন দিদিভাই ভুল করেনি…
নীড় : নানাভাই তুমি তো support করবেই । কারন তুমি তো আগে থেকেই জানতে । তুমিও তো জরীত আছো।
নীলিমা : নীড়… মুখ সামলে কথা বলো। তুমি ভুলে কি যাচ্ছো যে তুমি কার সাথে বলছো ? কিসের ভিত্তিতে কোন সাহসে বলছো ?
নীড় : ঠিকই বলেছি । আমি নিজের কানে শুনেছি … মেরিন আর নানুভাই কে বলতে শুনেছি…
নিহাল : মানে?
নীড় সেদিনের কথা বলল। সব শুনে সবাই অবাক । দাদুভাই ৩টা তাচ্ছিল্যের হাত তালি দিলো …
দাদুভাই : বাহ… বাহ… তোমার তুলনা দেয়া অসম্ভব… তুমি তো অতুলনীয়… তোমার জন্য যতো প্রশংসা করবো ততোকম… সেদিন… সেদিন মেয়েটা নিজের জীবন বাজী রেখে কয়েক’শ শিশু আর মেয়েদের বাচিয়েছিলো… একটুর জন্য gang leader কে ধরতে পারেনি… এখন বলবে এগুলো কেউ জানলো না কেন? মিডিয়ায় এলোনা কেন? news এ তো দেখালো যে অন্যকেউ উদ্ধার করেছে।
হ্যাহ…
ও হলো মেরিন বন্যা…
যেখানে সবাই ভালো কাজ প্রকাশ্যে আর খারাপ কাজ লুকিয়ে করে সেখানে ও… বিপরীত…
খারাপ কাজ প্রকাশ্যে আর ভালো কাজ লুকিয়ে করে… কারন ও
#ঘৃণার_মেরিন …
ঘৃণার…
যার বাবা নেই তবুও সে মন করে যে তার বাবা বেচে আছে …
যার মা আছে কিন্তু মনে করে মা মরে গেছে…
যে ছোট বেলায় ২মায়ের ভালোবাসা পেয়েছে… নিজের মা আর ফুপ্পি মায়ের ভাসোবাসা পেয়েছে কালের পরিবর্তনে সে তার ২মায়েরই ঘৃণার ব্যাক্তিতে পরিনত হয়েছে ।
বাধিয়ে রাখার মতো ভাগ্য…
নীড় : মমমিথ্যা বলছো তততুমি… মেরিন দোষী…
নীলিমা : হামম। মেরিন দোষী। কারন ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে…
নিহাল… আমার মেয়েটাকে ছারিয়ে আনো। যে করেই হোক । কালকের মধ্যেই ।
নিহাল : সে আর বলতে… আমি এখনই দেখছি….
.
দাদুভাই : দারাও নিহাল…
নিহাল : বাবা…
দাদুভাই : ১পাও বারাবেনা…
নীলিমা : কিন্তু বাবা… মেয়েটা…
দাদুভাই : মেয়েটা? অবাক না আজকে তোর কাছে মেরিন মেয়ে হয়ে গেলো। কারন টা কি একটু বলবি? তোর ছেলেকে heart donate করতে চেয়েছিলো বলে? না কি খান empire তোর নামে করেছে বলে?
নীলিমা : বাবা…
দাদুভাই : হামম। ঠিকই তো বলেছি ।
নীলিমা : …
দাদুভাই : আমার নাম শমসের খান হলেও খান বাড়ির আসল সের খান তো মেরিন বন্যা…
বন্যাকে হয়তো কিছুদিনের জন্য বাধ দিয়ে আটকে রাখা যায় কিন্তু আজীবনের জন্য না…
যে মেরিন মানে জাহাজ… নিজের destination এর উদ্দেশ্যে ১বার পারি জমায় তখন যতোই বাধাবিপত্তি আসুকনা কেন সাগরে সেই মেরিন ফিরে আসেনা। নিজের পথে নিজের গতিতেই ধেইধেই করে চলতে থাকে। গভীর তলে তলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সে লরাই করতে থাকে ।
কোনো বন্দুকের গুলি যেমন ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব না তেমনি মেরিন বন্যার মুখের কথাও। ও কবির ফয়সাল খানের মেয়ে।
ও যখন বলেছে যে ৭দিনপর ও বের হবে তখন ঠিক ৭দিন পরই ও বের হবে। না ১দিন আগে আর না ১দিন পরে। 22nd july …
তারিখটা মনে রেখো মিস্টার নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ।
বলেই দাদুভাই চলে যেতে নিলো ।
নীলিমা : দারাও বাবা …
বলেই নীলিমা সব দলিলপত্র নিয়ে এলো । এরপর সেগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিলো ।
নীলিমা : খান empire সের খানেরই না হয় থাক বাবা …
.
in the jail…
মেরিন দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে। বার বার দেয়ালে মাথা বারি দিচ্ছে ।
মেরিন : কেন কেন কেন নীড়… এতোবড় ছলনা কেন করলেন ? কেন ? শুধু আপনাকে ভালোবাসি বলে এমন শাস্তি দিলেন তো … ঠিক করেন নি… ভুল করেছেন … এর শাস্তিও আপনাকে পেতে হবে। হবেই…
তবে ভুলটা আপনার নয় আমার । আমি আমার ভালোবাসাকে নিজের ওপর ভারী হতে দিয়েছি…
ভালোবাসার কালো কাপড়ে চোখ বেধে ফেলেছিলাম … এখন সেই কাপড় নিজেই খুলবো …
আপনাকে ভালোবেসে নরমালভাবে থাকতে চেয়েছিলাম … কিন্তু আপনি … ভালো হওয়া আমার নসীবে নেই । ঘৃণা যার অস্তিত্ব তার জীবনে ভালোবাসার ছিটেফোটা থাকাও বেমানান…
.
ওদিকে…
নীড় : আমি এতো বড় ভুল কি করে করতে পারি… ছিঃ ছিঃ নীরার কথার জালে পা দেয়া ঠিক হয়নি … কিন্তু ওই সব প্রমান… damn it…
আমি যখন ভুল করেছি তখন শুধরাবোও আমি …
কালই বনপাখিকে বের করিয়ে আনার ব্যাবস্থা করবো ।
এসব ভাবতে ভাবতে নীড় সাগর পার দিয়ে হাটছে । তখন কোথায় থেকে ১দল কালো পোশাক পরা মুখোশধারী লোক এলো। তাদের মধ্যে ১জন খুব সাবধানে নীড়ের ঘাড়ে ১টা injection push করলো । নীড় অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
পরদিন…
জন মেরিনের সাথে দেখা করতে এলো ।
জন : ম্যাম কেন আপনি ৭দিন পরের bail এর কথা বললেন ? আপনি এতোগুলো দিন এখানে কি করে থাকবেন ?
মেরিন : ৭সংখ্যাটার সাথে আমার অনেক পুরোনো সম্পর্ক … সেই সাথে ভীষন পছন্দেরও… ১ম কাজ হয়েছে ???
জন : জী ম্যাম… নীড় স্যারকে আপনার কাল কোটরীতে পাঠানো হচ্ছে by water…
মেরিন : good… ambassador এর সাথে কথা বলো । আর… আমার ছোট্ট ১টা message নীড়ের কাছে পৌছাতে হবে …
জন : sure mam…
.
পরদিন …
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো । বেশ বড় অন্ধকারময় ১টা রুমে নিজেকে আবিষ্কার করলো । আর শুনতে পেলো কারো কন্ঠ । মেরিনের কন্ঠ….
মেরিন : hello জান… কেমন মেরিনের কাল কোটরী? king size presidential কাল কোটরী এটা …
অবাক হচ্ছেন যে আপনি এখানে কেন-কিভাবে এলেন …
আপনার প্রশ্ন যেখানেই শুরু হোক শেষ হবে আমাতেই। কারন আপনি বর্ষন আমি বন্যা …
আপনার অর্ধাঙ্গিনী আমি… তো আমি যদি জেলের চার দেয়ালে অন্ধকারে বন্দী থাকি তবে আপনি কিভাবে মুক্ত থাকতে পারেন …
আমি যদি ওই 3rd class খাবার খাই আপনি কিভাবে রাজকীয় খাবার খেতে পারেন?
এটা অন্যায় হবে। তাইনা?
so… যে কদিন আমি জেলহাজতে থাকবো সে কদিন আপনি এই কাল কোটরী তে থাকবেন …
জান…
কথা বন্ধ হয়ে গেলো ।
নীড় : মেরিন… মেরিন আমার কথাটা তো শোনো … তুমি কি শুনতে পাচ্ছো ? মেরিন … এই মেয়েটা just impossible … ধ্যাত … এই রুমে কিভাবে থাকবো … এই মেয়েটা আমাকে পাগল করে দিবে ।
21st july…
নীড় : yuck… কি খাবার ? এই কদিন ধরে এই ফালতু খাবার গুলো খেয়ে কি হাল হয়েছে… এতো শক্ত রুটি , ভাত , ঝাল কারি। ইউউউ… আর কতোদিন এখানে থাকতে হবে? আজকে কতো তারিখ? ২০ না ২১? may be ২১ ই হবে। তারমানে কালই বের হবে মেরিন… কালকে birthday wish করি না করি sorry বলে নিতে হবে । অনেক বারাবারি করে ফেলেছি… কিন্তু আমার আজকে এতো ঘুম পাচ্ছে কেন ? কখন দিন হয় কখন রাত হয় … বোঝাই যায়না …ধুর… ঘুমিয়েই পরি । কে জানে কালকে কি হবে ???
নীড় ঘুমিয়ে পরলো।
.
পরদিন…
নীড়ের ঘুম ভাংলো । কিন্তু নরমালভাবে না । গোলা-বারুদের আওয়াজে । নীড় চমকে উঠলো ।
নীড় : কি হয়েছে ? আরে এটাতো আমার রুম!!! এখানে কি করে এলাম !!! 😱। নিচে কিসের এতো হৈচৈ???
নীড় নিচে নামলো । নেমে দেখে যে ঢোল-নাগারা বাজছে । নিহাল-নীলিমা-দাদুভাই হাত তুলে তালে তালে নাচছে । সাথে মেরিনও নাচছে ধুমচে।
নীড় : মেরিন …
মেরিন নীড়কে দেখে ছুটে গেলো । গিয়ে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : জান…. happy birthday জান… i missed you so mach… i love you…
নীড় : …
মেরিন : বলেছিলাম না আমাদের happy birthday এর দিন বেরিয়ে আসবো। hope you are not happy after seeing me…
নীড় : মে…
মেরিন : leave it… আপনার happy থাকা না থাকা matter করেনা । so lets dance জান…
মেরিন নীড়কে টেনে নিয়ে নাচতে লাগলো। কথা বলার সুযোগই দিলোনা ।
নীড় : এসব হচ্ছে টা কি??
মেরিন : আপাদত double celebration … তবে আজকের পার্টিতে তো triple celebration হবে ।
নীড় : মানে ?
মেরিন : মানেটাও জেনে যাবেন। এখন বর্তমান নিয়ে happy থাকুন। কে জানে ভবিষ্যত কেমন না কেমন হয়… এই পলকের আনন্দ পরের পলকে নাও থাকতে পারে … isn’t it… জা…ন ।
সন্ধ্যার পর…
grand party শুরু হলো। কেক কাটা মধ্যে দিয়ে program start হলো। ধুম-ধারাক্কা উৎসব চলছে। তখন মেরিন স্টেজে গেলো।
মেরিন : attention everybody… আজকে আমার birthday .. but i have something special to give you… as return gift… আমি damn sure যে এই hot hot gift সবার ভালো লাগবে … lights off.. please …
মেরিন স্টেজ থেকে নেমে গেলো। একটুপর স্টেজে spot light জ্বলে উঠলো ।
নীড় : নীরা…
মেরিন : yeah my jaan… its your জান… lets enjoy together … item girl লাগছে ? তাইনা…
নীড় : ও কেন নাচবে?
মেরিন : কষ্ট হচ্ছে ওর জন্য ? কিভাবে defective পা নিয়ে dance করবে? সবাইকে entertain করবে?
নীড় : তুমি …
মেরিন : আমি যা করি তা কেবল নিজেকে entertain করার জন্য । অন্যকে নয় জান … lets see the “মুঝরা” … hey u নী…রা … what are you waiting for ? কোনো শুভক্ষনের ? শুরু কর…
নীরা নাচতে শুরু করলো। তবে ১৫-২০সেকেন্ডের মাঝে ও বুঝতে পারলো যে floor টা গরম হতে হতে অনেক গরম হয়ে গিয়েছে । ১টা পর্যায়ে ওর আর দারিয়ে থাকতেই পারলো না।
আহ বলে বসে পরলো।
নীরা : আহ… its too hot মেরিন আমাকে ছেরে দে… আর পারছিনা…
মেরিন : পয়সা দিচ্ছিতো । hey gusy… ব…ব…বা… বায় whatever … নর্তকীরানীর মন ভরেনি পয়সায় আরো পয়সা লাগবে…
মেরিন টাকা ছিটাতে লাগলো নীরার ওপর।
মেরিন : আপনি কি উঠবেন নাকি নিজের চিতায় পুরবেন?
নীরা কোনো রকম উঠে দারিয়ে নরতে লাগলো।
মেরিন : আরেকটু twist দেই… জন…
জন স্টেজে কাচ ভাঙা বিছিয়ে দিলো । গরম আর কাচভাঙার আঘাতে নীরার বেচে থাকা দায়। অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
মেরিন : awwwe … poor girl… জন আবর্জনাটাকে বাহিরে ফেলে আসো । right now….
.
রাতে…
নীড় : what is all this… তুমি আমার হাত-পা শেকল দিয়ে বাধলে কেন ?
মেরিন : এখনই বুঝে যাবেন … জান…
নীড় : তুমি ওই লোহার কাঠি আগুনে কেন গরম করছো?
মেরিন : নীড়… এটা নরমাল লোহার কাঠি নয়। ধারালো লোহার কাঠি…
নীড় : গরম কেন করছো ?
মেরিন : সেটাও এখন বুঝে যাবেন…
মেরিন সেই কাঠিটা গরম করে নীড়ের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।
মেরিন : জানেন নীড় … আজ পর্যন্ত তো আমি মেরিন চাইনি আপনার গায়ে কোনো ফুলের আচর লাগুক… লাগতে দেইও নি… কিন্তু আজকে আপনার শরীরে সবথেকে ক্ষত আমি সৃষ্টি করবো… আর আপনি সেটা feel করবেন…
ভীষন ইচ্ছা হচ্ছে যন্ত্রনায় আপনার কাতর কন্ঠ…
আর্তনাদ…
নীড় : ….
মেরিন : আপনাকে birthday gift দিবো নীড়….
আজকে আপনার হাতে আমি আমার নাম লিখবো। #ঘৃণার_মেরিন লিখবো…
চাইলেও আপনার মাঝে থেকে আমাকে সরাতে পারবেন না…
মেরিন নীড়ের হাতে লিখতে লাগলো। নীড় ব্যাথা তো পাচ্ছে তবে তার থেকে বেশি অবাক হচ্ছে … কারন মেরিন ওকে এভাবে ব্যাথা দিচ্ছে।
মেরিন মনে মনে : i am sorry … আপনাকে কষ্ট আমি দিতে চাইনি । আপনি আমাকে বাধ্য করেছেন এমনটা করতে…
.
নীড়ের হাতে লেখা শেষে মেরিন পরম যত্নে নীড়ের হাতে মলম লাগিয়ে দিতে লাগলো। ওর reaction দেখে মন হচ্ছে যে ব্যাথা নীড় না ও ই পেয়েছে…
নীড় : আঘাত দিয়ে মলম লাগানোর মানে কি ?
মেরিন : নীড়… যখন আমরা জায়গা কিনি সেখানে খুব সুন্দর করে ঘড় তুলি… আবার মন চাইলে সেই ঘর ভেঙে নতুন করে তুলি… কেন জানেন ?
নীড় : …
মেরিন : কারন হলো ওই জমি আর ঘর ২টাই আমাদের নিজেদের হয়… যা ইচ্ছা করতেই পারি… ঠিক তেমনি আপনি পুরোটাই আমার….
আপনাকে ভালোওবাসবো আমি… কষ্টও দিবো আমি… আঘাতও করবো আমি… মলমও লাগাবো আমি…
যা মন চায় তাই করবো …
কারন আপনি #বন্যারবর্ষন …
.
চলবে….