ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 06
নিহাল-নীলিমা দৌড়ে এলো ।
নিহাল : কি হয়েছে মামনি ?
মেরিন : বববাবা দেখো নননীড় যেন কেমন করছে…
নীলিমা : ও বাবা… বাবা… নীড়… কোথায় কষ্ট হচ্ছে ? বলনা… ও নীড়…
কিছুক্ষনপর নীড় নরমাল হলো । চোখ মেলল। উঠে বসলো।
যনীলিমা : সোনা কি হয়েছিলো তোর ? কোথায় কষ্ট হচ্ছিলো … এখন কেমন লাগছে? চল ডক্টরের কাছে চল…
নীড় ১বার মেরিনের দিকে তাকালো। তাকিয়ে বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো ।
নিহাল : হ্যা চলো…
নীড় : no no… not needed …ঠিক আছি… just এমনি একটু … normally কোনো disorder হবে… তাছারা কিছুইনা… ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে।
নীলিমা : হামম মামনি…
নিহাল : তবুও ডক্টরের কাছে চলো।
নীড় : বাবা।। i need rest… প্লিজ।
নিহাল : ok then ঘুমাও। নীলা চলো…
নীলিমা ছেলের কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো। ওরা যাওয়ার পর নীড় চুপচাপ শুয়ে পরলো…
মেরিন নীড়কে দেখতে লাগলো । কেন যেন ওর গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছেনা । মেরিন নীড়ের বুকে মাথা রেখে নীরবে চোখের পানি ফেলতে লাগলো। নীড় বুঝতে পারছে যে মেরিন কাদছে ।
নীড় : তুমি কি একটু ঘুমাতেও দিবেনা? এমনিতেই দম ছারতে কষ্ট হচ্ছিলো … তারমধ্যে আমার ওপর শুয়ে ছিলে। আর এখন তো কেদে আমার t-shirt টাও ভেজাচ্ছো।
মেরিন নীড়ের বুকে ১টা কিস করে বুক থেকে নেমে গেলো। চোখের পানি মুছে নিলো।
মেরিন : sssorry বুঝতে পারিনি…
নীড় : তুমি তো নিজেরটা ছারা কারোটাই বোঝোনা…
মেরিন : আর disturb করবোনা। আপনি ঘুমান। আমি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি… 😊…
মেরিন নীড়ের মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো …. না চাইতেও নীড় ঘুমের সাগরে পারি দিলো । আর নীড়কে দেখতে দেখতে মেরিন সারাটা রাত কাটিয়ে দিলো ।
.
সকালে…
নীড়ের ঘুম ভাঙলো ।অবাক হয়ে গেলো । কারন ওর রুমে ১০-১২জন ডক্টর ।
নীড় : একি আপনারা? এখানে ? কেন ?
মেরিন : আপনার check up করার জন্য ।
নীড় : what?
মেরিন : হামমম।
নীড় : r you totally mad…
মেরিন : হামমমম। only for you…
নীড় : ১জন ডক্টর ১২জনের check up করে কিন্তু ১২জন ডক্টর ১জনের check up করেনা।
মেরিন : অন্য ১২জন আর নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন নয়… অন্য ১২ জম মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর জান নয়….
নীড় : আর এটা চৌধুরী প্যালেস । কোনো মেডিকেল বোর্ড মিটিং রুম নয়।
মেরিন : সেটা জায়গা বা সময় নয় আমি ডিসাইড করবো। আমি চাইলেই এটা চৌধুরী প্যালেস আর আমি চাইলেই এটা মেডিকেল বোর্ড মিটিং রুম। ডক্টরস start your duty …
ডক্টররা নীড়ের check up করতে লাগলো ।
ডক্টর হামিদ : ম্যাম কিছু টেস্ট করাতে হবে…
মেরিন : যদি টেস্ট ই করাতে হয় তবে আপনাদের এতোজনকে এখানে আনলাম কেন?হসপিটালেই নিতে পারতাম।
ডক্টর জালাল : ম্যাম আমাদের মনে হচ্ছে all is fine… তবুও… ১টা বার টেস্টগুলো করালে ভালো হতো।
মেরিন : get lost please …
সবাই বেরিয়ে গেলো ।
নীড় : always এমন rude behave করা কি জরুরী?
মেরিন : always careless হওয়াটা কি জরুরী??? এখন চুপচাপ রেডি হয়ে নিন। আমরা হসপিটালে যাচ্ছি ।
নীড় : why?
মেরিন : আপনার check up করাতে ।
নীড় : তাহলে একটু আগে কি ছিলো ?😱
মেরিন : উফফ। বেশি কথা কম বলুন। hurry up…
মেরিন নীড়কে টেনে হেচরে হসপিটালে নিয়ে গেলো । সব টেস্ট সেস্ট করালো । সব নরমাল এলো। মেরিন relax হলো।
মেরিনের love torture তো চলছেই নীড়ের ওপর। নীড়ের সকল ঘৃণাই মেরিনের ভালোবাসা। ভালোই কাটছে দিন। তবে ১২-১৫দিন আবার নীড়ের বুকে ব্যাথা হলো। দম নিতে কষ্ট হলো। সেই ১ম দিনের মতো । মেরিন আবার check up করালো … এবারও সব নরমাল এলো।
এরপর থেকে ২-৩দিন পরপরই নীড় same অবস্থা হতো। infact আগের থেকে খারাপ অবস্থা হতে লাগলো । মেরিন আগের ২টা হসপিটাল যেখানে নীড়ের টেস্ট করিয়েছিলো ওই ২টা হসপিটালের সিল মারার ব্যাবস্থা করালো।
মেরিন নীড়কে সিঙ্গাপুর নিয়ে গেলো । সাথে নিহাল-নীলিমাও গেলো।
.
in singapore …
মেরিন নীড়ের treatment এর জন্য singapore এর best হসপিটালে best cardiologist এর কাছে গেলো । নীড়ের নরমাল check up করে ডক্টর kane মুখটা কালো করে ফেলল। যেটা মেরিন ঠিকই খেয়াল করলো । kane CXR, HTN , CABG , CCF , CHD , COPD , LBBB, LVF এর মতো অনেক গুলো test করাতে দিলো।
মেরিন আলাদাভাবে ডক্টরকে জিজ্ঞেস করলো।
মেরিন : ডক্টর… নীড়ের কোনো বড় কিছু হয়নি তো?? আপনি clearly বলুন…
kane : রিপোর্ট হাতে পেয়ে নেই then বলবো।
মেরিন : but i want the answer right now damn it…
kane : lady lady lady… অপেক্ষা করুন ।না হলে অন্যকারো কাছে যান…
৩দিনপর…
রিপোর্টগুলো নিয়ে মেরিন একাই গেলো ডক্টরের কাছে । আর সব চেক করে kane যা বলল তা শুনে মেরিনের মরে যাওয়ার উপক্রম …
kane : i am sorry মিসেস চৌধুরী…
মেরিন : মমমমানে?
kane : মিস্টার চৌধুরীর heart condition ভীষন খারাপ । point … >//3…
এর কোনো treatment নেই…. accept heart tranplanting or heart donating …
মেরিন এসব শুনে blank হয়ে গেলো ।
Kane : মিসেস মেরিন… মিসেস মেরিন… আপনি কি বুঝেছেন আমি কি বলেছি ?
মেরিনের হুশ ফিরলো। তেরে গিয়ে kane এর গলা চেপে ধরলো ।।
মেরিন : তোর সাহস কিভাবে হয় কথা বলার? বল..
kane কোনো রকমে নিজেকে ছারালো । কাশি দিতে লাগলো।
kane : have you lost it? আমি আপনার মনের অবস্থা বুঝি। কিন্তু কিছু করার নেই ।
মেরিন : iii m sssorry ডক্টর । আপনি আমার নীড়কে বাচান। প্লিজ । যতোটাকা লাগে আমি ব্যায় করবো তবুও আমার নীড়কে বাচান।
মেরিন kane এর পা ধরে কাদতে লাগলো।
kane : hey মেরিন… প্লিজ স্টপ… প্লিজ। দেখুন এখানে টাকার বিষয়না । আর এটা চোখ , কিডনী বা লিভার না যে easily donor পাওয়া যাবে। এটা heart… আর heart donate করা মানে নিশ্চিত মৃত্যু…
মেরিন :আমি কিচ্ছু জানিনা । আমি কেবল জানি আমি আমার নীড়কে সুস্থ চাই… ব্যাস… আর কিছুনা। আপনি just donor খুজুন।
kane : of course….
.
বাসায়…
মেরিন যেতেই ওরা ৩জন জানতে চাইলো যে কি হয়েছে ।
মেরিন : ততেমন কিছুনা। ওই just ছোট্ট ১টা surgery করতে হবে তারপরেই সব okk…
নীলিমা : আলহামদুলিল্লাহ । আমার কলিজার টুকরার কিছু হয়নি…
মেরিন জোরাতালির হাসি দিলো । নিহালের কেমন ১টা সন্দেহ হলো। ওর মনে হলো মেরিন কিছু ১টা লুকাচ্ছে ।
একটুপর নিহাল মেরিনকে একা নিয়ে
জিজ্ঞেস করলো : সত্যি করে বলো নীড়ের কি হয়েছে ?
মেরিন : বলললাম তো তেমন কিছুনা।
নিহাল মেরিনের হাত নিজের মাথায় রেখে
বলল : বলো আমার ছেলের কি হয়েছে ?
মেরিন বাধ্য হলো সব বলতে …
নীলিমাও সব শুনতে পেলো আর সব শুনে ২জন নির্বাক হয়ে গেলো । কান্নায় ভেঙে পরলো । মেরিন ২জনকে কোনো রকমে সামাল দিলো ।
২দিনপর দাদুভাইও singapore চলে এলো ।
পরদিন…
মেরিন : ডক্টর আজকে কোন donor পাওয়া গিয়েছে?
kane : no…
মেরিন : no no no no… আর কতোদিন no শুনতে হবে? ৩দিন ধরে একই কথা বলছেন…
Kane : মেরিন আপনি অযথাই আমার সাথে এমন ব্যাবহার করছেন… এটা heart অন্য কোনো body part না যে easily donor পাওয়া যাবে…
মেরিন : কতোদিন wait করতে হবে… ১ ১টা দিন যাচ্ছে আর নীড়ের condition আরো…
kane : হ্যা … জানি যে নীড়ের condition অনেক খারাপ হচ্ছে… ধীরে ধীরে… হয়তো বেশি লেট হলে নীড়কে বাচানোও সম্ভব হবেনা । but we r helpless… কিছু করার নেই….
.
৭দিনপর…
রাতে…
নীড় ঘুমিয়ে আছে। মেরিনের চোখে তো রোজকার মতো। নীড় অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ১টা রাতও মেরিনের তেমন ঘুম হয়নি। নীড়ের চিন্তায়।
মেরিন মনে মনে : যদি donar না পাওয়া যায়….? already কতো গুলো দিন শেষ । heart তো কেউ donate করবেও না । সেই সাথে blood group ও match ও করাতে হবে । ১টা উপায় আছে। আমার blood group ও তো O+… আমার heart টাই যদি আমি নীড়কে দেই…? but female & male দের তো খানিকটা difference থাকে। কালই ডক্টর kane কে জিজ্ঞেস করবো।
পরদিন…
kane : পাইনি donor মেরিন।
মেরিন : না আজকে কিছু জিজ্ঞেস করতে এসেছি।
Kane : কি?
মেরিন : opposite gender এর heart transplant করা টা কি risky?
kane : কেন ?
মেরিন : বলুন না…
kane : হামমম। enough risky…. 50-50 chance…
মনে মনে : কোথাও মেরিন নিজের heart donate করার কথা ভাবছে না তো… যাই হোক ওকে distract করা দিয়ে কথা…
মেরিন : ওহ…
kane : আর heart transplant তো এমনিতেই risky… opposite gender হলে ৮-১০% বেশি । এই আর কি। but আমার কিন্তু record আছে আমি opposite gender এর heart transplant করেছি। আর তারা ঈশ্বরের দয়ায় এখনও সুস্থ আছে।
মেরিন : ….
kane : এখন বলুন তো কাহিনী কি???
মেরিন : ডক্টর আমি আমার heart নীড়কে দিতে চাই…
kane : what ?
মেরিন : জী…
kane : have you lost it… heart donate করার মানে কি জানেন? মরে যাওয়া…
মেরিন : আর কিছু হলে সেটা আমার কাছে মরে যাওয়ার থেকেও ভয়ংকর ।
kane : i am sorry মেরিন কিন্তু আমি এটা পারবোনা।
মেরিন : তাহলে বাধ্য হয়ে আমাকে অন্য ডক্টরের কাছে যেতে হবে…
kane মনে মনে : oh no… অন্য ডক্টরের কাছে গেলে তো…
kane : মেরিন মেরিন… দেখুন… এটা অনেক বড় decision … ভালো করে ভেবে দেখুন । হয়তো change হবে।
মেরিন : ভেবেছি। অনেক ভেবেছি । আর মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর decision always unchanged …
kane : কিন্তু…
মেরিন : কোনো কিন্তু টিন্তু নয়। আমি আমার নীড়কে সহী-সলাামত চাই…
kane : ok… fine… চলুন… আগে আপনার কিছু check up করতে হবে।
মেরিন check up করালো।
মেরিন : যতো তারাতারি সম্ভব surgery এর ব্যাবস্থা করুন।
kane : ok then 15th july… মানে কালকে ।
মেরিন : no… 15th না 16th july…
kane : why ?
মেরিন : ডক্টর আসলে 15th july আমাদের 7month married anniversary … আর তো anniversary পালন করা সম্ভবনা… তাই এটাই…
kane : আপনি নীড়কে এতো ভালোবাসেন…?
মেরিন কিছু না বলে চলে গেলো…
নীড় সাগর পারে বসে আছে…
তখন ওর ফোনটা বেজে উঠলো…
নীড় : hello … my dear friend kane…
kane : নীড়…
নীড় : কি ব্যাপার দোস্ত… তোর কন্ঠ এমন লাগছে যে…
kane : তোর বউ তোকে খুব ভালোবাসেরে। খুব…
kane নীড়কে সব বলল। আর সব শুনে নীড়ের চোখ কোন দিয়ে টুপটুপ পানি গরিয়ে পরতে লাগলো…
kane : জানিনা এতো বড় মিথ্যা নাটকটা তুই কেন করছিস ? আর কেন 15th julyটাই climax এর ব্যাবস্থা করেছিস। কিন্তু মেয়েটাকে এতো বড় ধোকা না দিলেও পারতি…
kane রেখে দিলো।
হামম নীড় সবই নাটক করেছে। বাংলাদেশে হয়তো মেরিনকে জেলে ঢোকানো সম্ভব না। কিন্তু singapore বা যেকোনো foreign country তে মেরিন তেমন কিছুই করতে পারবেনা। আর interpole officer দের দিয়ে মেরিনকে শাস্তি দিবে। নারী ও শিশু পাচারের জন্য ।
.
রাত ১২টা….
নীড় বাসায় গেলো। রুমে ঢুকে অবাক হয়ে গেলো । কারন রুমটা নানাধরনের সুন্দর সুন্দর মোমবাতি দিয়ে সাজানো । যা দেখে নীড়ের কেন যেন চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে । মেরিন এসে নীড়কে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : happy 7 month anniversary জান…
বলেই মেরিন নীড়ের পিঠে কিস করলো।
মেরিন : ৭ মাস হয়ে গেলো আমাদের বিয়ের। আর এই ৭মাস আমার এই ২৩বছরের জীবনে সব থেকে সেরা ৭মাস। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে এই ৭টা মাস উপহার দেয়ার জন্য।
নীড় ভেবে দেখলো যে এই ৭মাসে ও মেরিনকে ঘৃণা , অপমান , অবহেলা ছারা কিছুই দেয়নি । তবুও মেরিন ধন্যবাদ দিচ্ছে ওই ৭টা মাসের জন্য। নীড় আর পারলোনা নিজেকে ধরে রাখতে । নীড় মেরিনকে নিজের থেকে সরিয়ে ওর দিকে ঘুরে ওকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
নীড় : কেন এতো ভালোবাসিস আমাকে বনপাখি… কেন… কেন এতো বেশি ভালোবাসিস আমাকে… এমন করে যে কখনো তোকে আমি ভালোবাসতে পারবোনা… কখনো না…
মেরিন নীড়ের কোনো কথাই শুনতে পায়নি। ও তো তখনই স্থির হয়ে গেছে যখন নীড় ওকে “বনপাখি” বলে ডেকেছে। চোখ দিয়ে আপনগতিতে পানি গরিয়ে পরছে। কতোবছর পর নীড়ের মুখে “বনপাখি” শুনলো।
নীড় মেরিনকে ছারলো। ওর চোখের দিকে তাকালো। মেরিনও নীড়ের চোখের দিকে তাকালো । মেরিনের মনে হচ্ছে আজকে ও নীড়ের চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা দেখছে ।
নীড় ঠোট দিয়ে মেরিনের চোখের পানি শুষে নিলো। এরপর কোলে তুলে নিলো। এরপর romance করলো…
😒😒😒
for the first time…
ভোর ৪টা…
মেরিন নীড়ের বুকে ঘুমিয়ে আছে । নীড় এখনও জেগে আছে।
নীড় মনে মনে : ভালোবাসি তোকে… হ্যা তোর মতো এতো বেশি ভালোবাসার ক্ষমতা আমার নেই । কিন্তু আর কোনো মাসুম বাচ্চাদের জীবন শেষ হতে দিতে পারিনা…
.
সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। নীড় ঘুমিয়ে আছে। মেরিন নীড়ের চোখে মুখে অসংখ্য ভালোবাসার পরশ দিয়ে
বলল : মরেও শান্তি পাবো ।
মেরিন fresh হয়ে বাইরে গেলো।
মেরিন : দাদুভাই… দাদুভাই…
দাদুভাই : বলো দিদিভাই।
মেরিন দাদুভাইয়ের হাতে ৪-৫টা file দিলো। দাদুভাই সেগুলো দেখে অবাক। কারন সব property file..
দাদুভাই : এসব কি ? তুমি সব নীলিমার নামে transfer করেছো?
মেরিন : ফুপ্পিই তো খান বাড়ির উত্তরসুরী ।
দাদুভাই : হ্যা but ও তো তোর ওপর রাগ করে ১টা সুতাও নেয়নি…
মেরিন : এখন তো নিতেই হবে। এখন তো রাগের কারনই থাকবেনা।
দাদুভাই : মানে?
মেরিন : মানে কিছুনা। বলো কি খাবে?
দাদুভাই : কথা কাটাচ্ছো দিদিভাই…
মেরিন : ধ্যাত না।
দিদিভাই : আমার কসম দিদিভাই বলো …
মেরিন বাধ্য হলো সব বলতে।
দাদুভাই : কি বলছো দিদিভাই.. তুমি…
মেরিন : প্লিজ দাদুভাই… আমাকে বাধা দিওনা। নীড়কে ছারা আমার বেচে থাকা সম্ভব না। নীড়ের কিছু হলে আমিও মরে যাবো । এরথেকে ভালো আমিই চলে যাই । আমি থাকি না থাকি নীড়তো থাকবে…
নীলিমা : এতো ভালো কিভাবে বাসলিরে…
২জন ঘুরে দেখে নীলিমা দারিয়ে আছে। ও দাদুভাইকে মেডিসিন খাওয়াতে এসেছিলো। আর সব শুনে নিলো । ফুপু-ভাতিজীর মিল হলো। melodrama হলো।
🐸🐸🐸
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ারপর…
বিকালে…
সবাই বসে কথা বলছে তখন ১দল interpol officers এসে হাজির।
office : মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী you are under arrest …
সবাই : what???
officer : yes…
নিহাল : কেন? কি করেছে মামনি?
officer : তিনিই নারী ও শিশুপাচারে জরীত…. আমাদের কাছে সব প্রমান আছে।
দাদুভাই : অসম্ভব কোনোদিনও না ।
তখন নীড়
বলল : কোনোদিনও…
নীড় এগিয়ে এলো ।
নীড় : মেরিন জরীত। actually জরীত কি ও তো নিজেই এই business করে…
নিহাল : নীড়… তোমার সাহস কি করে হয় এতো বড় কথা বলার?
নীড় : ঠিক কাজ করার সাহস বরাবরই আমার অনেক বেশি। আর এই ২মাস ধরে অসুস্থতার acting করে আমি ওর বিরুদ্ধে প্রমান একজোট করেছি…
নীলিমা : মানে?
নীড় : মানে আমার কিছুই হয়নি। i am absolutely fine… এসব কিছু শুনে মেরিন ভেঙে পরবে । আর ওর পুরো focus আমার ওপর থাকবে। আর সেই সুযোগে আমি আমার উদ্দেশ্য হাসিল করবো। আর কারো ওপর ভরসা করাও সম্ভব ছিলোনা accent kane… he is my good friend …
মেরিনের দিন-দুনিয়া ঘুরতে লাগলো। ২চোখ থেকে ২ফোটা করে পানি গরিয়ে পরলো।
মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো। সবাই হাসি দেখে অবাক হলো।
মেরিন : আপনি তো সারাজীবন আমার কাছে ভালোবাসার নীড়ই থাকবেন… কিন্তু আমি কখনোই আপনার কাছে ভালোবাসার মেরিন হবোনা। চিরকাল #ঘৃণার_মেরিন ই থাকবো । আপনি চাইলেও আমাকে ভালোবাসতে পারবেন না। আপনি যতোবার আমাকে ভালোবাসতে চাইবেন ততোবারই আপনাকে ঘৃণার কারন দিবো…
আপনি আমাকে ভালোবাসতে চাইবেন পারবেন না।
৭বছর বিনা দোষে জেল খেটেছি। ছেলেবেলার ৭বছর নষ্ট হয়েছে… এখন আর হবেনা।
৭দিনপর আপনার আর আমার জন্মদিন… আর ঠিক ৭দিন পরই জেল থেকে বেরিয়ে এসে দারাবো আপনার সামনে । একসাথে কেক কাটবো।
বলেই চোখ মারলো। এরপর হাতকরা লাগানো হাতজোরা নীড়ের মাথা ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে নীড় মাথা ধরে কাছে টেনে কিস করতে লাগলো । নীড় তো just shocked… পুলিশ , প্রেস , মিডিয়া বা অন্যকেউ ছারাতে আসবে কি এমন সিন দেখে সবাই বাকরুদ্ধ। লজ্জায় পরে গেলো । নীড় যে সরাবে তার উপায় নেই। কারন মেরিনকে ধাক্কা দিতে গেলে হাতকরার জন্য মেরিনের হাতের সাথে ধাক্কা লেগে ও মেরিনের আরো কাছে চলে যাচ্ছে। মেরিন নিজের মন মতো কিস করে নীড়কে ছারলো। হাত জোরা আবার নীড়ের মাথার ওপর দিয়ে তুলে নিলো। পুলিশ মেরিনকে নিয়ে গেল…
.
চলবে…