ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 05

নীড় টিভি অন করে অবাক হয়ে গেলো । টিভিতে দেখাচ্ছে যে খান & চৌধুপী groups এখন একসাথে কাজ করবে।
এই খবরটা আজকের breaking news… তবে এর সাথে আরো ১টা খবর আছে । সেটা হলো best business man award of the year নিয়ে । আর এবারের best business man of the year হয়েছে নীড়…
অথচ গত ১০বছর ধরে এটা মিস্টার ভুইয়া পেয়ে এসেছে । আর এবার পেলো নীড় ।
মেরিন নীড়কে জরিয়ে ধরে
বলল : congratulations জান…
নীড় ভালোমতোই জানে যে এর পিছে মেরিনের হাত আছে ।
নীড় : তু…
.
তখন ম্যানেজার হাসনাত এলো।
হাসনাত : স্যার…স্যার…স্যার…
নীড় : কি হয়েছে?
হাসনাত : স্যার নিচে press & media হাজির ।
নীড় : what ?
হাসনাত : জী স্যার…
মেরিন : oh great চলুন interview দিবেন।
নীড় : এসব কিছু কেন করেছো?
মেরিন : আমি তো কিছুই করিনি… এতোদিন অযোগ্য ব্যাক্তি পেতো এবার থেকে যোগ্য ব্যাক্তি পাবে। চলুন চলুন চলুন… interview দিবেন…
মেরিন নীড়কে টেনে নিয়ে গেলো । নীড় interview দিতে লাগলো । দিয়ে টিয়ে ওরা বাসায় গেলো । বাসায় গিয়ে দেখে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ । বন্ধু-পরিবার অনেকে এসেছে । নীড়কে congrats জানাতে এসেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে নীরাও আছে । আর নীরাকে দেখে মেরিনের মেজাজ বিগরে গেলো। নীরা দৌড়ে এলো নীড়ের দিকে । এসে just নীড়কে জরিয়ে ধরবে তখন ওর চোখ মেরিনের দিকে গেলো। আর নীরা break মারলো।
হাত বারিয়ে
বলল : congratulations জান…
নীড় হাত মিলিয়ে
বলল : thank u জান…
নীরা : চলো কেক কাটবে… সবাই wait করছে ।
নীড় : চলো…
নীড় নীরার সাথে এগিয়ে গেলো । মেরিন গিয়ে চুপচাপ সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসলো। এরপর চারদিকের decorationএ চোখ বুলালো। এরপর ছোট round table টার দিকে তাকালো । তাকিয়ে ববাকা হাসি দিলো।

নীরা : আরে knife টা কোথায়? আমি তো এখানেই রেখেছিলাম… মামনি দেখেছো…?
নীলিমা : হ্যা তাই তো । দারাও মা দেখছি…
নীলিমা দেখতে লাগলো। নীরাও খুজতে লাগলো । নীরা যেই নীড়কে দার করিয়ে ২-৪কদম পা সরলো ওমনি টেবিলের চারদিকে round হয়েই আগুন জ্বলে উঠলো ।
নীলিমা : নীড় … 😥।
সবাই অবাক হলো। নীড় যেই ওই আগুনের boundary থেকে বের হতে নেয় তখনি আগুন ভয়ানকভাবে বেরে যায়। আর যখন নীড়কে rescue করতে যায় তখনও আগুন বেরে যায়। extinguish আনতে গেলো । সেটাও পেলোনা । সবাই নীড় নীড় করতে লাগলো । নীরা ভীরের আরালে আগুন থেকে সরে দরজার খানিকটা কাছে গিয়ে দারালো । যদি আগুন আরো বারতে দেখে তবে বেরিয়ে যাবে। মেরিন এতোক্ষন বসে বসে সব দেখছিলো। মেরিন এগিয়ে গেলো। সেই boundary এর চারদিকে হাটতে লাগলো। নীড়ের দিকে তাকিয়ে…
মেরিনের ঠোটের সেই হাসি আর চোখের চাহনী দেখে নীড় অবাক হচ্ছে । মেরিন আগুনের line cross করে ভেতরে ঢুকলো । আর মেরিন ঢোকার সময় আগুন বারলোও না । নিচু হয়েই ছিলো । ভেতরে ঢুকে মেরিন ওরনা দিয়ে নীড়ের কপালের ঘাম মুছে দিলো । সবাই অবাক চোখে দেখছে ।
নীড় : তুমি স…
মেরিন : সব করেছি…😘… চলুন কেকটা কেটে উৎসব সম্পূর্ন করি… &&& please don’t refuse … না হলে উপস্থিত বেগুনাহ রা আহত-নিহত হবে…
নীড় : 😒।
মেরিন : ভয়ের কিছুই নেই my dear guests … lets celebrate this time…
নীড়-মেরিন মিলে কেক কাটলো। মেরিন নীড়কে খাইয়ে দিলো ।
নীরা : তুই এমনটা কেন করলি ?
মেরিন : কি?
নীরা : আগুন কেন লাগিয়েছিস
মেরিন : ওওও… আগুন। ইশ ভুল হয়ে গেছে। ১কাজ কর… আমি আগুন জ্বালিয়েছি তুই নিভিয়ে দে… নিজের হাতে…
নীরা : মানে ?
মেরিন : খুব সহজ…
বলেই মেরিন নীরার হাত ধরে ১টান মেরে সামনে এনে নিচে ফেলল। নীরার হাত আগুনের ওপর পরলো। এরপর মেরিন নীরার হাতের ওপর দারালো। pencil heel এর আঘাতে নীরার হাত থেকে রক্ত বের হতে লাগলো । আগুন নিভে গেছে । তবে সবকিছু এতো দ্রুত ঘটলো যে কেউ কিছু করার বা বলারই সুযোগ পেলোনা ।
নীড় : কি করছো কি মেরিন… ছারো ওকে…
নীড়ে টেনেও মেরিনকে সরাতে পারছেনা। নীরার তো জান বেরিয়ে যাচ্ছে ।
মেরিন : তোর সাহস কি করে হয় আমার নীড়ের হাত ধরার? বল… বল…
নীড় : ছারো ওকে মেরিন… আর ও তো একানা… আমিও ওর হাত ধরেছিলাম… ওকে একা কেন শাস্তি দিবে ? আমাকেও দাও…
মেরিন : বল কোন সাহসে তুই নীড়ের দিকে হাত বারাস?
নীরা : ছেরেদে প্লিজ… আমার ভীষন কষ্ট হচ্ছে…
মেরিন : তোর কষ্টের জন্যেই তো এমন করছি…
নীলিমা : বন্যা ছার ওকে…

নীড় ১টা গ্লাস ভাঙলো । কাচ ভাঙা হাতে নিয়ে
বলল : মেরিন তুমি যদি ওকে না ছারো আমি কিন্তু আমার হাত ক্ষতবিক্ষত করবো…
মেরিন নীরার হাত ছেরে দিলো। এরপর ওর চুলের মুঠি ধরে টেনে দার করালো ।
মেরিন : বাচতে চাইলে আমার নীড়ের থেকে দূরে থাকবি…
বলেই মেরিন নীরাকে ছুরে ফেলল ।
মেরিন : আপনি কি এখনও ওটা হাতে নিয়ে দারিয়ে থাকবেন?
নীড় : …
মেরিন : ওই আবর্জনাকে আরো শাস্তি দেওয়াতে চান…? 😎..
এই কথা শুনে নীড় রেগে হাতের কাচটা আছার মারলো। যেটা গিয়ে লাগলো মেরিনের পায়ে। একে বারে গেথে গেলো।
নিহাল : মামনি…
নিহালের চিৎকার শুনে নীড়ও তাকালো।
নীড় : অন্যকে কষ্ট দিলে বিনিময়ে তুমিও কষ্টই পাবে…
বলেই নীড় রুমে চলে গেলো।
.
কিছুদিনপর…
নীড় : hello…
নীরা : জান…
নীড় : একি তুমি?
নীরা : তুমি আমার ফোনে বিরক্ত হচ্ছো ?
নীড় : কি যা তা বলছো ? আমি তোমার ফোনে বিরক্ত হবো? আমি তো তোমার জন্যেই বলছি ।
নীরা : মানে?
নীড় : মানে মেরিন যদি জানতে পারে যে তুমি আমাকে ফোন করেছো তাহলে অযথাই তুমি শাস্তি পাবে…
নীরা : পেলে পাবো … তোমার জন্য কোনো কষ্টই আমার কাছে কষ্ট না …
নীড় : …
নীরা : শোনো তোমাকে ১টা কথা বলার আছে মেরিনের বিষয়ে।
নীড় : কি কথা?
নীরা : ফোনে বলা যাবেনা। দেখা করতে পারবে???
নীড় : দেখা ?
নীরা : হামম। its really veru urgent …
নীড় : ok…
নীরা : তাহলে কালকে রোজ গার্ডেনে বিকাল ৫টায় চলে এসো….
নীড় : আচ্ছা।
নীরা : হামম। রাখছি …
নীরা ফোন রেখে দিলো…
নীড় : কি এমন বলবে নীরা? যাবো তো… কিন্তু মেরিন….

রাতে…
মেরিন :
don’t you give up…
nah nah nah…
i won’t give up…
nah nah nah
let me love you…
woh woh woh…
let me love you…
নীড় রুমে ঢুকে মেরিনর কন্ঠে গান শুনতে পেলো।
মেরিন : আরে আপনি? আজকে এতো লেট হলো যে!!!
নীড় কোনো কথা বলল না । washroom এ চলে গেলো । এটা মেরিনের জন্য অভ্যস্ত । নীড় বেরিয়ে খেতে বসলো । মেরিনও ওর কোলে এসে বসলো ।
নীড় : রোজ কি আমার কোলে বসে খাওয়াটা কি জরুরী?
মেরিন : হামম ।
নীড় : বিরক্ত লেগে যায় এতো নূনের বস্তা ওঠাতে …
মেরিন : তাই বুঝি?
নীড় : হামমম ।
মেরিন : তাহলে তো আরো ভালো …

পরদিন…
rose garden restaurant …
নীরা জান বলেই নীড়কে জরিয়ে ধরতে গেলো । কিন্তু নীড় কৌশলে বাধা দিলো ।
নীড় : চলো ভেতরে চলো ।
২জন গিয়ে বসলো ।
নীরা : কি ব্যাপার পুরো restaurant empty … আজ কি কেউ আসেনি???
নীড় : না actually আমি পুরোটা বুক করেছি ।আমি চাইনা আজকের মিটিং টা মেরিনের কানে যাক। আর অযথা কোনো ঝামেলা হোক…
নীরা : হামম।
নীড় : কি news ???
নীরা : মেরিন নারী ও শিশুপাচার কাজে জরিত…
নীড় : কি ?
নীরা : হ্যা। ও খান empire কে এভাবেই broad করছে… শুধু তাই না… ও তো কিডনির ব্যাবসাও করে।
নীড় : what ???
নীরা : হ্যা। আমারও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিলো … এই দেখো prove …
বলেই নীরা মোবাইলে কিছু আকডুম বাগডুম প্রমান দেখালো। আবার নীড়েরও মনে পরলো সেদিন দাদুভাইয়ের সাথে মেরিনের বলা কথা গুলো।
নীড় : i can’t believe this… ১টা মেয়ে হয়ে এমন জঘন্য কাজে জরিত… ছিঃ…
নীরা : হ্যা আ…
তখন সব light নিভে গেলো ।
¤ : এখন আপনাদের মনোরঞ্জন করতে আসছে… নাম বলবোনা। নিজেরাই দেখে নিন…
নীড় : আরে এসব কি ??? আমি তো … ম্যানেজার… ম্যা…
তখন music on হলো।।। আর item girl হিসেবে যখন ২জন মেরিনকে দেখলো তখন মহাঅবাক হলো। নীরার তো কলিজা শুকিয়ে গেল। মেরিন অনেকটা item song এর heroinদের মতোই dress পরেছে । আর dance ও করছে ওভাবেই…
মেরিনকে ওভাবে নাচতে দেখে নীড়ের ভীষন রাগ উঠছে… চোখ-মুখ লাল হয়ে গেছে নীড়ের ।

নাচ শেষে…
নাচ শেষ করে মেরিন নিজেই তালি দিতে লাগলো ।
মেরিন : wow… what a dancer am i!!!
নীরার মনে হচ্ছে যে ও এখন heart attack বা brain stroke করবে… মেরিন স্টেজ থেকে নেমে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে । নীরার মনে হচ্ছে স্বয়ং যমদূত আসছে । মেরিনের দৃষ্টি নীড়ের দিকে। নীড়ের চোখের দিকে তাকিয়ে নীড়ের রাগের কারন খুজছে । এগিয়ে আসতে আসতে মেরিন ১টা drill machine হাতে নিলো। যেটা দেখা নীরা ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে যেতে লাগলো ।
আর নীড়…
নীড় তো কেবল মেরিনকেই দেখছে। আশেপাশের আর কিছুইনা। এমনকি মেরিনের হাতে কি আছে সেটাও নীড়ের দৃষ্টির অগোচরে। ও কেবল ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে মেরিনকেই দেখে যাচ্ছে। হঠাৎ নীড়ের মাথা আর সারা শরীর যেন কেমন লাগতে লাগলো। মনে হচ্ছে সারা শরীর কাপছে। শক্তি হারাচ্ছে.. বোধ পাচ্ছেনা। ও বসে পরলো । মাথাটাও সোজা করে রাখতে পারছেনা । তাই মাথাটা টেবিলের ওপর রাখলো ।
নীরা : নননীড়… নীড়… বববাচাও…
মেরিন : পারবেনা… নীড় সব দেখবে , শুনবে বুঝবে… কিন্তু কিছু করতে পারবেনা…
নীরা বাইরের দিকে দিলো দৌড়। কিন্তু সব দরজা বন্ধ। নীরাকে চেয়ার বসিয়ে হাত-পা বেধে দেয়া হলো।
মেরিন drill machine টা বারবার on-off করছে।
নীরা : শেষ বারের মতো বলছি ক্ষক্ষক্ষ….
মেরিন : ক্ষমা…? তুই আরো ১বার তোর পা আমার নীড়ের দিকে বারিয়েছিস। আজকে তোর ২পায়ের এমন হাল করবো যে যতোবার তুই পা ফেলবি ততোবার আজকের কথা মনে পরবে….
বলেই মেরিন drill machine দিয়ে নীরার পায়ে চিহ্ন বসিয়ে দিলো…
নীরা তো ব্যাথায় অজ্ঞান হয়ে গেলো ….

৩দিনপর…
নীড় মনে মনে : মেরিনের সব অন্যায় যেমন তেমন নারী ও শিশুপাচারের মতো জঘন্য কাজের জন্য শাস্তি ওকে পেতেই হবে? কিন্তু কিভাবে ? ও তো সব খবরই পেয়ে যায়। কারো সাথে যে discuss করবো সেই উপায়ও নেই… সব খবর ও পেয়ে যায়।
কি করবো …?
১মিনিট… আমি ওর দুর্বলতা… এই আমি দিয়েই ওকে ঘায়েল করবো…. ১টা পথ বের করতেই হবে….
মেরিন : নীড়… নীড় … নীড় …
নীড় : what???
মেরিন : হাত দিন…
নীড় : কেন?
মেরিন : দিননা…
নীড় : কেন বলবে তো ???
মেরিন নীড়ের হাত নিজেই নিলো। এরপর খুব সুন্দর ১টা bracelet পরিয়ে দিলো । যেটাতে “B” লেখা আছে।
মেরিন : বলুন তো b কেন লিখিয়েছি? কারন B দিয়ে আপনি আর আমি ২জনই … এটা কখনো খুলবেন না…
bracelet টা পরিয়ে মেরিন নীড়ের হাতে ১টা কিস করলো ।
মেরিন : i love you…. জান… আপনার হাতে পরানোতে এটার শোভা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিছুদিনপর…
রাতে…
মেরিন নীড়ের বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ ওর মনে হলো যে নীড় যেন কিভাবে নিশ্বাস নিচ্ছে । ভীষন জোরে জোরে…
মেরিন উঠে বসলো।
মেরিন : নীড়… নীড়… কককি হয়েছে আপনার ? নীড়… ও নীড়… বাবা… বাবা… শাশুড়িফুপ্পি…
নীড় বুকের ওপর হাত দিয়ে মুখ যেন কেমন করতে লাগলো।
মেরিন : জান… নননীড়… বববাবাহ…
নিহাল-নীলিমা দৌড়ে এলো…
.
চলবে…