ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 04

মেরিন নিচে পরে গেলো । মেরিন উঠে দারালো ।
মেরিন : its too hard … ব্যাথা পেয়েছি । 😒
নীড় ১টা file মেরিনের ওপর ছুরে মারলো ।
নীড় : কি মনে করো নিজেকে?
মেরিন : আপনার বউ…😎
নীড় : shut up… তুমি ওদের company আমার নামে কেন করেছো?
মেরিন : আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই।
নীড় : তোমার ইচ্ছাই কি সব?
মেরিন : হামমম ।
নীড় : ওই মানুষগুলোর কি হাল করেছো তুমি… ওদেরকে দেউলিয়া বানিয়ে পরিবারকে বরবাদ করেছো।
মেরিন : i swear আমি ওদের দেউলিয়া করতে চাইনি। আমি ওদের double payment করতে চেয়েছিলাম । কিন্তু গাধা গুলা আমার দিকে বন্দুক তাক করেছে… how dare.. আমার দিকে … বন্দুক তাক করে…
নীড় : ওওও.. বন্দুক তাক করেছে বলে ওদের এমন হাল করলে?
মেরিন : হামমম।
.
নীড় ওর গান বের করে মেরিনের মাথায় ঠেকালো।
নীড় : আমি তোমাকে থাপ্পর মারলাম… তোমার মাথায় গানও ঠেকালাম… তো এখন আমার সাথে কি করবে???
মেরিন হা হা করে হাসতে লাগলো । এরপর ২হাটু গেরে বসলো ।
মেরিন : আপনার দেয়া মৃত্যু আমি সাদরে গ্রহন করবো। তবে ১টা অনুরোধ…
মেরিন বুকের বা পাশে আঙুল রেখে
বলল : ঠিক এখানটাতে shoot করবেন প্লিজ…
নীড় গানটা ছুরে ফেলে চলে গেলো ।
মেরিন : আমাকে তুমি মারতে পারবেনা নীড়… আমি জানি তুমি আজও আমায় ভালোবাসো … শুধু আমায়… নীরাকে না…

একটুপর…
নীড় কপালে হাত দিয়ে শুয়ে আছে।
নীড় মনে মনে : তুই অমানুষ হয়ে গিয়েছিস… একদম অমানুষ…
এসব ভাবছিলো তখন বুকের ওপর ভারী নরম কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করলো। আর খুব সুন্দর ঘ্রাণ পেলো। নীড় বুঝতে পারছে এটা মেরিন ।
মেরিন : উঠুন খেয়ে নিবেন…
নীড় : …
মেরিন : উঠুন না…
নীড় : …
মেরিন : আমার ভীষন ক্ষুধা লেগেছে।
নীড় : …
মেরিন : উঠুন…
নীড় : চুপ থাকবে? তোমার ক্ষুধা লেগেছে তুমি গিয়ে খাও। আমার পিছে পরেছো কেন?
মেরিন : আপনাকে ছারা কি আমি খাই?
নীড় : oh just shut up… আমি খাবোনা। got it…?
মেরিন : তাহলে কিন্তু আপনাকে খাবো…
নীড় : …
মেরিন : রাতে না খেয়ে ঘুমালে যে আপনার শরীর খারাপ করবে…
নীড় : করুক… মর…
আর বলতে পারলোনা। মেরিন ওর ঠোট জোরা দখল করে নিলো ।
মেরিন : আপনার সাহস দেখে তো আমি মহা অবাক হচ্ছি। আপনি কোন সাহসে ফালতু কথা বলতে নিয়েছিলেন শুনি? আর কখনো এমন কথা মাথায়ও আনবেন না । আমি আপনার জন্য খাবার নিয়ে আসছি ।
বলেই মেরিন খাবার নিয়ে এলো ।
মেরিন : দেখি উঠে খেয়ে নিন…
নীড় :…
মেরিন নীড়কে টেনে ওঠালো ।
মেরিন : হা করুন…
নীড় : 😒😒😒।
মেরিন : হা করতে বলেছি না…
মেরিন নীড়কে জোর করে খাইয়ে দিলো ।
মেরিন : নিন এবার ঘুমান ।

সকালে…
আজকে নীড়ের ঘুম আগে ভাংলো । ওর মুখের ওপর মেরিনের চুল গুলো ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে । নীড়ের মনে হচ্ছে ও ওর চিরচেনা স্বপ্নকে দেখছে । নীড়ের অজান্তেই ওর ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো । মেরিনকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে মেরিনের মাথায় কিস করলো ।
নীড় মনে মনে : যদি তুই আমার সেই ছোট্ট বনপাখি হতি তবে তোকে বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখতাম। দেখতে ইচ্ছা হলে বুক থেকে বের করে মন ভরে দেখতাম । আবার বুকের মাঝে ঢুকিয়ে রাখতাম ।
মেরিনকে নরতে চরতে দেখে নীড় চোখ বন্ধ করে ফেলল । মেরিনের ঘুম ভাংলো ।
মেরিন নীড়কে good morning kiss করে উঠে বসলো।
মেরিন : oh no… কয়টা বেজে গেছে । কতো ঘুম ঘুমালাম আমি । important meeting আছে… business association এর ।
মেরিন তারাতারি fresh হতে গেলো । বেরিয়ে দেখে নীড় এখনো ঘুম ।
মেরিন : নীড়… নীড়… উঠুন। দেখুন ১০টা বেজে গেছে । সাড়ে ১১টায় মিটিং আছে । নীড়… নীড়…
নীড় : কি?
মেরিন : উঠুন ১০টা বাজে।
নীড় : বাজুক।
মেরিন : বাজুক মানে? উঠুন…
মেরিন নীড়কে টেনেটুনে ওঠালো।
.
একটুপর…
নীড় রেডি হচ্ছে। হঠাৎ shirt এর button টা ছুটে গেলো।
নীড় : damn it…
নীড় সুচ-সূতা খুজতে লাগলো ।
মেরিন : কি খুজছেন ?
নীড় : বাটনটা পরে গেলো।
মেরিন : হামম। দারান এখানে…
নীড় : কেন?
মেরিন : বাটন লাগিয়ে দিচ্ছি ।
নীড় : লাগবেনা । আমি change করে নিচ্ছি।
মেরিন : না। এটাই পরবেন। দারান সোজা হয়ে ।
মেরিন নীড়ের শার্টের বাটন লাগাচ্ছে ।
হঠাৎ নীড়ের বুকে বা পাশে চোখ পরলো। মেরিন ignore করে নিজের কাজে মন দিলো । বাটন লাগিয়ে মেরিন সেট করতে গেলো। খেয়াল করলো যে কিছু লেখা আছে । মেরিন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলোনা । শার্টটা একটু সরিয়ে মেরিন দেখতে পেলো নীরার নাম ।
নীড় মনে মনে : thanks god যে এই duplicate skin টা লাগিয়ে নিয়েছিলাম। ও যদি “বনপাখি” দেখে নিতো তাহলে…
নীরার নাম দেখে মেরিন কোনো react করলোনা।
নীড় মনে মনে : কি ব্যাপার কোনো react করলোনা কেন ?
মেরিন : চলুন … লেট হচ্ছে ।
নীড় : চলো।
২জন মিটিং রুমে গেলো।
নীড় মনে মনে : একে এতো শান্ত লাগছে কেন? ওর চুপ থাকা অনেক ভয়ংকর…
মিটিং শেষে মেরিন চুপচাপ বেরিয়ে গেলো।

রাত ১০টা…
নিহাল : ১০টা বেজে গেলো । মেয়েটা এখনো এলোনা।
নীলিমা : দেখো কারসাথে কোন ছেলের সাথে আছে ?
মনে মনে : কোথায় আছে বন্যা? কোনো বিপদে পরলো না তো…
নীড় : মামনি… ব… মেরিন অমনটা।
নিহাল : কেমন ঝড় তুফান হচ্ছে । নীড় একটু বাইরে বেরিয়ে দেখনা…
নীলিমা : কেন আমার ছেলে যাবে কেন?
নিহাল : ওর বউ বাইরে… ওর দায়িত্ব ।
নীলিমা : না। এই ঝড়-বৃষ্টির রাতে আমার ছেলে যাবে কেন ?
নিহাল : ন… মামনি…
মেরিন ভেতরে ঢুকলো । মাথায় ব্যান্ডেজ করা । খুরিয়ে খুরিয়ে হেটে ভেতরে ঢুকছে।
নিহাল দৌড়ে গেলো।
নিহাল : কি হয়েছে তোমার মামনি?
মেরিন : কিছুনা।
নিহাল : কিছুনা মানে কি? মাথায় ব্যান্ডেজ… আবার খুরিয়ে খুরিয়ে হাটছো।
মেরিন : ওই ছোট ১টা accident । তেমন কিছুনা । চিন্তা করোনা বাবা… আমি ঠিক আছি ।
নিহাল : চলো আমি ওপরে দিয়ে আসছি…
মেরিন : না না বাবা… লাগবেনা। আমি পারবো।
বলেই মেরিন কষ্ট হলেও নিজেই ওপরে চলে গেলো।

একটুপর…
মেরিন চুপচাপ শুয়ে আছে । তখন মাথায় কারো হাতের স্পর্শ পেলো । চোখ মেলল।
মেরিন : আরে দাদুভাই… ?
মেরিন উঠে বসলো।
দাদুভাই : আরে উঠলে কেন দিদিভাই ? শুয়ে থাকো । ভালো লাগবে।
মেরিন : আর আমার ভালো… তুমি ঠিক আছো ?
দিদিভাই : হামম। কারা ছিলো ওরা?
মেরিন : জানিনা দাদুভাই । কিন্তু নারী আর শিশুপাচারকারীর অনেক বড় গ্যাং ছিলো। main leader কে ধরতে পারলে জানে মেরে দিতাম ।
দিদিভাই : একা অতো বড় risk নিলে কেন?
মেরিন : একা না জন ছিলো।
দিদিভাই : তবুও…
মেরিন : এতো time ছিলোনা।
দিদিভাই : gang leader তো এখন তোমার পিছে পরবে…
মেরিন : পরবেই তো… কতোগুলো মেয়ে , কতোগুলো বাচ্চা হাতছারা হয়ে গেলো…
“কতোগুলো মেয়ে , কতোগুলো বাচ্চা হাত ছারা হয়ে গেলো”- এই কথাটা নীড় শুনলো।
নীড় : কিসের বাচ্চা কিসের মেয়ে…? যাই হোক…
নীড় ভেতরে ঢুকলো ।
নীড় : নানাভাই… চলো… সবাই একসাথে খেয়েনেই।
দাদুভাই : খাবো অবশ্যই খাবো । সময় এলে।
নীড় : সময় এলে মানে ?
দিদিভাই : কিছুনা । দেখি দিদিভাই কিছু খেয়ে নিবে। তোমার প্রিয় খাবার রেধে এনেছি। তাও নিজের হাতে।
মেরিন : দাদুভাই তুমি কেন কষ্ট করতে গেলে দাদুভাই ?
দাদুভাই : কোনো কথা না… হা করো…
দাদুভাই মেরিনকে খাইয়ে দিতে লাগলো ।
নীড় : দাদুভাই আমাকেও একটু খাইয়ে দাওনা প্লিজ…
দাদুভাই মেরিনকে খাইয়ে দাইয়ে চলে গেলো ।

৩দিনপর…
office এ …
মেরিন : নীড়… নীড়…
নীড় : কি হয়েছে?
মেরিন : জানেন না?
নীড় : কি ?
মেরিন : t.v. on করুন…
নীড় টিভি অন করলো। আর করে অবাক হয়ে গেলো।