ঘর জামাই

ঘর জামাই——-পর্ব-০৩

আব্বাজান আপনি বাজারের ব্যাগটা ধরেন। আমি
জুইকে ধরতেছি, এই তুমি ঐদিকে কোথায় যাও?
বলে জুইয়ের হাত ধরে টেনে বাসার ভীতরে
নিয়ে এসেছি।
জুই:- তোমার এত বড় স্পর্ধা, আমার হাত ধরে
টেনে নিয়ে আসলে? ছোট লোকের বাচ্ছা
কোথাকার, বলে এক থাপ্পড় মারলো আমার গালে।
আমি এভারও কিছু বলেনি, জুইয়ের হাতটা ছেরে
দিয়ে, সোজা ছাদে চলে গেলাম, কিছুক্ষন পর
আমাকে শ্বাশুড়ি ডাকছে,,
আমি:- জি আম্মাজান বলেন ডাকছেন কেন?
শ্বাশুড়ি:- বাবা তোমাকে তোমার শ্বশুড় মসায়
ডাকছে।
আমি:- হ্যা আসছি, আপনি যান। তারপর আমি নিছে
নেমে এলাম। জি আব্বাজান বলেন কেন
ডাকছেন?
শ্বশুড়:- সৌরভ বসো এখানে, তোমার সাথে আমার
কিছু কথা আছে।
আমি:- হ্যা আব্বাজান বসেছি। এবার বলেন কি কথা
বলবেন?
শ্বশুড়:- শোন সৌরভ, জুই তোমাকে এখনো স্বামি
হিসাবে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি, এইটা
আমি বুঝতে পারছি। তবে তুমি এখন মন খারাপ
করোনা? দেখবে আসতে আসতে সব ঠিক হয়ে
যাবে। তবে জুই এখন যা বলে তুমি তাই করো, এর
ব্যতিক্রম কোন কিছু করোনা। কারন জুই এখনো
ছোট মানুষ এত কোছু বুঝেনা, আর ভালো মন্দ
এখনো যাচায় করা শিখেনি। আমি কি বলছি তুমি কথা
গুলো বুঝতে পারছো তো বাবা?
আমি:- হ্যা বুঝতে পারছি, আচ্ছা আমি রুমে গিয়ে
বাথরুমের দরজাটা ঠিক করি আব্বাজান। তানা হলে আবার
আমার কপালে খারাপি আছে। তখন আমার শ্বশুড় মসায়
হাসি হা হা হা, তারপর আমি রুমে এলাম, দেখি জুই
ফোনে কথা বলছে। তবে কথা বলার ধরন
দেখে মনে হচ্ছে কোন ছেলের সাথে কথা
বলছে। কোন কিছু না বলে, আমি গিয়ে বাথরুমের
দরজাটা ঠিক করতে শুরু করলাম। আর ইচ্ছে করে
দজায় জোরে জোরে শব্দ করতেছি। তখনি,,
জুই:- তোমার মাথার কি তার ছিরা টিরা আছে নাকি?
একজন মিস্ত্রী এনে এইটা ঠিক করবে। তানা নিজে
শুরু করে দিয়েছো। এভার কিন্তু বেশি হয়ে
যাচ্ছে?
আমি:- তুমি একটু ছাদের উপড় থেকে গুড়ে
আসোনা? আমি দরজাটা লাগিয়ে নেই। বলে আরো
জোরে জোরে শব্দ করতে লাগালাম।
জুই:- অসহ্য একটা, বলে রুম থেকে বেড়িয়ে
চলে গেল।
আমি:- বাথরুমে দরজাটা লাগিয়ে নিলাম, তারপর আমি
নিছে গিয়ে দেখি, আমার আব্বাজান মানে শ্বশুড়
বসে আছে। আব্বাজান আপনার সাথে আমার কিছু কথা
আছে।
শ্বশুড়:- বলো সৌরভ কি কথা বলবে?
আমি:- আপনি যদি অনুমতি দিতেন তাহলে আমি জুইকে
নিয়ে আমাদের বাড়ী থেকে গুড়ে আসতাম।
শ্বশুড়:- তুমি বিয়ের আগে কি বলছিলে মনে
আছে তো?
আমি:- হ্যা মনে আছে, তবে আম্মা তার ছেলের
বউকে দেখতে চাই ছিলো। যদি আপনি বলে
দিতেন জুইকে তাহলে আমার আম্মার মনের আশা
পূরন হতো।
শ্বশুড়:- ঠিক আছে নিয়ে যেও, তবে আরও কিছু
দিন যাক। তারপর আমরা সবাই এক সাথে তোমাদের
বাড়ী থেকে গুড়ে আসবো।
আমি:- ঠিক আছে আব্বাজান, আমি একটু রুমে যাই।
দেখি জুই কি করে? বলে আব্বাজানকে সালাম
করে রুমে দিকে আসছি, আমার শ্বশুড় মসায় কিন্তু
আমার ব্যাবহারে পুরাই খুশি। রুমে ডোকে, জান
আমার জান কোথায় তুমি?
জুই:- তোমাকে না কত করে বলছি, আমাকে জান
টান না ডাকতে? আর বিনা অনুমতিতে আমার রুমে না
ডোকতে?
আমি:- আরে কি কও? তোমাকে জান বলবোনা,
তাহলে জান বলব কাকে? আর স্বামি স্ত্রীরির রুমে
ডোকবে এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে? আর
তোমার যা আছে সবই আমার। আর যদিও তোমার
কিছু আমি দেখিও তাহলে দু্ষের কিছু নেই?
জুই:- আমি তোমাকে আমার স্বামী মানিনা। আর
আমার সব কিছু তোমার মানে? আমি স্পষ্ট ভাবে
বুঝতে পারছি তুমি আমাকে আমার বাবার সম্পত্তির
জন্য বিয়ে করেছো? দাঁড়াও আমি এখুনি বাবাকে
বলছি।
আমি:- আরে তুমি এইটা কি বললে? আমি তোমাকে
সম্পত্তির জন্য বিয়ে করবো কেনো? আর
তোমাকে যে বিয়ে করবে, সেই তো
এমনিতে তোমার বাবার সব সম্পত্তি পাবে। তবে
সেইটা তোমার আব্বা মারা গেলে।
জুই:- দাঁড়াও তোমার সম্পত্তির মালিক বানাচ্ছি। বলে রুম
থেকে বেড়িয়ে গেল, আরে কই যাও, জান জান
একটু শোননা, কে শোনে কার কথা। জুই নিছে
চলে এসে আমার আব্বাজান মানে শ্বশুড়কে
বলছে, আমাদের রুমের কথা গুলো বলছে। তখনি
আমার আব্বাজান মানে শ্বশুড়।
শ্বশুড়:- সৌরভ তুমি কি বাবা এমন কথা বলছ?
আমি:- আব্বাজান আপনার কি মনে হয়? আমি এমন কথা
বলতে পারি? আমি তো নামায পড়ে দুয়া করি আপনি
জেনো আরও হাজার বছর বেচে থাকেন। আমি
বলছি জুইয়ের যা আছে, সব কিছু আমার। এভার আপনি
বলেন আব্বাজান আমিকি এমনটা ভাবতে পারিনা।
জুই:- বাবা তুমি এখনও আমার কথাটা শোনো, তানা
হলে পড়ে পস্তাতে হবে? আর এই ছেলেকে
আমার তেমন একটা ঠিক মনে হচ্ছেনা কথাই কথাই
আব্বাজান বলে।
আমি:- ঠিক আছে আব্বাজান, আপনি যদি রাগ করেন
তাহলে আর আপনাকে আব্বাজান বলে ডাকবোনা।
তাহলে যদি আপনি কষ্ট পান এর জন্য জুই দায় থাকবে।
জুই:- আমাকে কেন এর মধ্যে দায় করা হচ্ছে?
শ্বশুড়:- জুই মা তুই চুপ থাক, সৌরভ বাবা তুমি আমাকে
আব্বাজান বলে ডেকো। আর জুই তুকে আবারও
বলি আজকাল ঘর জামাই পাওয়া যায়না। যেহেতু সৌরভ ঘর
জামাই থাকতে রাঝি হয়ছে সেহেতু এমনটা বলতে
পারে।
জুই:- বাবা অতি ভক্তি চোরের লক্ষন। তোমার যা
মন চাই তাই করো? তাতে আমার কি? আমি আবারও
বলে দেই। ওকে আমি আমার স্বামি হিসাবে মেনে
নিবনা? বলে জুই যেতে ছিল। আর আমি একটু
পেছনে গিয়ে সিরিতে তৈল ফেলে দিছি, তখনি জুই
ঠাসসস, ওমা গু আমার কমরটা বুঝি গেছে। জুই
জোড়ে জোড়ে কান্না করতে লাগলো। তখনি
আমি গিয়ে জুইকে কোলে তুলে নিলাম, আর জুই
কান্না করতে লাগলো,
শ্বশুড়:- সৌরভ জুইকে তারা তারি করে রুমে নিয়ে
যাও। আমি ডাক্তারকে ফোন করছি।
আমি:- ঠিক আছে আব্বাজান, আপনি তারা তারি করে
ডাক্তারকে ফোন করেন? তারপর জুইকে
কোলে করে নিয়ে রুমে গেলাম।
জুই:- তুমি আমাকে কোলে তুললে কেন? নামাও
বলছি তানা হলে ভালো হবেনা কিন্ত? আর তখনি
জুইকে কোলের উপড় থেকে ছেরে
দিয়েছি, ঠাসসস করে আওয়াজ হয়ছে একটা,,,

চলবে,,,,,,