ঘর জামাই

ঘর জামাই——-পর্ব-০৪

আমার বউ হয়ে অন্য ছেলের সাথে প্রেম
করবে? আর আমি বসে বসে আঙ্গোল চুইবো?
এভাবে তোমার ঠেঙ ভেঙে রুমে বসিয়ে
রাখবো। (আমি)
জুই:- তার মানে তুমি ইচ্ছে করে সিরিতে তৈল দিয়ে
রেখেছো? দাঁড়াও আমি একটু সুস্থ হয়ে নেই।
তারপর তোমার #ঘর_জামাই গিরি দেখাবো।
আমি:- তুমি কি করতে পারবে, তা আমার ভালো করে
জানা আছে? তখনি দেখি আব্বাজানের কথা
শোনতে পেলাম। তারা তারি করে আবার জুইকে
কোলে তুলে খাঠের উপড় শুয়ে দিলাম।
জুই:- তুমি আবার আমাকে কোলে তুলছো? বাবা
এসে দেখুক তুমি কত ভাল ঘর জামাই। একদিন ঠিকই
আমি তোমার আসল রুপটা দেখিয়ে দেব? তখনি
শ্বশুড়, মানে আব্বাজান ডাক্তার নিয়ে রুমে
ডোকছে।
শ্বশুড়:- দেখেন ডাক্তার আমার এক মাত্র মেয়ে
জুই। হঠাত করে পা পিচলিয়ে সিড়িতে পড়ে
গেছে। আর দাঁড়াতে পারছেনা।
ডাক্তার:- হ্যা দেখছি, তারপর ডাক্তার জুইকে দেখে,
কিছু ঔষুধ লিখে দিয়ে গেছে। আর বলছে আজ
সারা দিন জেনো রেস্টে থাকে। বেশি জুরুলি কাজ
ছারা নিছে না নামে।
আমি:- ডাক্তার বাবু আপনি কোন চিন্তা করবেননা। আমি
একদম জুইয়ের পাশে পাশে থাকবো? আর
জুইকে দেখে রাখবো।
শ্বশুড়:- চলেন ডাক্তার আমি আপনাকে এগিয়ে দিয়ে
আসি। তারপর ওনারা চলে গেলো, আম্মাজান মানে
জুইয়ের মা, জুইয়ের পাশে বসে আছে।
শ্বাশুড়ি:- বাবা সৌরভ, তুমি একটু গিয়ে ঔষুধ গুলো নিয়ে
আসোনা?
আমি:- আম্মাজান আপনি আমাকে শুধু হুকম করবেন।
আর আমি আপনার হুকম পালন করবো। বলে ঔষুধ
গুলো আনতে নিছে গেলাম। তারপর
ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষুধ গুলো কিনে বাসার
দিকে আইতেছি, তখনি পেছন থেকে আমাকে
ডাকছে,,
সৌরভ দাড়া একটু (জুয়েল)
আমি:- কিরে ডাকছিস কেন?
জুয়েল:- আমার পান্জাবিটা কই?
আমি:- কেন? ভাড়ার মেয়াদ এখনো (৬)ছঁয় দিন
আছে।
জুয়েল:- শোন সৌরভ, আমার পান্জাবিটা যদি কিছু হয়।
তাহলে আমাকে (১০)দশ হাজার টাকা দিতে হবে? আর
আমার আব্বার শেষ স্মৃতি ভাই আল্লাহর দুহায় তুই
পান্জাবিটার কোন ক্ষতি করিসনা। যা তুই আজকে
পান্জাবিটা ফেরত দিয়ে দে। তাহলে ভাড়ার টাকা
থেকে ১০ টা কম দিস।
আমি:- মাত্র দশ টাকা, যদি ১০০ টাকা কম নিস তাহলে
ভেবে দেখব।
জুয়েল:- তা হবেনা। ঠিক আছে যে কয়দিন আছে
সে কয় দিন ব্যাবহার কর। যদি একটা বুতাম ছিরেনা
তাহলে (১০) দশ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করে
নিবো।
আমি:- ঠিক আছে নিছ। এখন বাড়ীতে যাইতে
হবে, পড়ে তোর সাথে কথা বলবো। বলে
চলে এলাম, এসে আগে আমি পান্জাবির খোজ
করতে লাগলাম। দেখে পান্জাবিটা সুন্দর করে
গুচানো আছে। তারপর জুইকে ঔষুধ দিয়ে আমি
একটু ছাদে গেলাম। দুপুরে নামাজের সময় হইছে
আমি আর আমার আব্বাজান মানে শ্বশুড় দুজনে নামাজ
পড়তে মসজিদে গেলাম। নামাজ শেষে আমি আর
আব্বাজান মানে শ্বশুড় এক সাথে বাহিরে আছি তখনি,,
শ্বশুড়:- সৌরভ চলো তোমার সাথে আমার কিছু ভাল্য
কালের বুন্ধর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
আমি:- হ্যা চলেন আব্বাজান, তারপর ওনি আমাকে
সাথে করে নিয়ে গেছে। তারপর ওদের সাথে
কথা বলে চলে এলাম বাসায়, দুপুরের খাবার খেয়ে
রুমে গিয়ে এক ঘুম। আমি আবার বারান্দায় ঘুমালাম, ঘুম
থেকে উঠে দেখি জুই রুমে নেই। নিছে গিয়ে
আম্মাজান মানে শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞেসা করলাম জুই
কোথায়।
শ্বাশুড়ি:- জুই একটু ওর বান্দবীর কাছে গেছে।
কেন তোমাকে বলে যাইনি?
আমি:- না আমাকে বলেনি, আমি ঘুমায় ছিলাম তাই, হয়ত
বলে যেতে পারেনি। আপনি একটু ফোন করে
জিজ্ঞাসা করেননা জুই এখন কোথায় আছে?
শ্বাশুড়ি:- হ্যা করছি, তারপর শ্বাশুড়ি জুইয়ের সাথে কখা
বলে, আমাকে বলছে। সৌরভ বাবা জুই এখন তার
বান্দবীর সাথে নিউ মার্কেটে আছে।
আমি:- আচ্ছা আম্মাজান, আমারও একটু কাজ আছে নিউ
মার্কেটে, তাহলে কাজটা সেরে আসি আম্মাজান।
শ্বাশুড়ির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা তারি করে নিউ
মার্কেটে গেলাম। সারা নিউ মার্কেট তন্য তন্য
করে জুইকে খোজলাম, কিন্ত কোথাও পেলামনা।
মনটা খারাপ করে বাড়ীর দিকে আসতেছি, তখনি,,
আরে ঘর জামাই যে, কেমন আছেন জামাই?
শ্বশুড়ের বুন্ধ।
আমি:- ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন?
হ্যা ভালো আছি, তবে আমার একটা কথা রাখবেন
জামাই।
আমি:- হ্যা বলেন আগে শুনি?
আমার মেয়ের জন্য একটা ঘর জামাই খুঝতেছি,
তোমার জানা মতে যদি কেও থাকে তাহলে আমার
কাছে নিয়ে এসো।
আমি:- তেমন ছেলে তো নেই তবে এই গল্পটা
অনেক অবিভাহিত ছেলেরা পড়বে, তাদেরকে
জিজ্ঞেসা করবো আপনার মেয়েকে বিয়ে
করে ঘর জামাই থাকবে কিনা। (আপনারা কেও আবার
কিছু মনে করিয়েন না) ঠিক আছে এখন আমি যাই
আমার একটু কাজ করতে হবে, বলে চলে এলাম।
যখনি বাসার সামনে এসেছি তখনি দেখি জুই আর শাওন
দাঁড়িয়ে কথা বলছে। তা দেখে আমার মেজাজটা
খারাপ হয়ে গেছে। তারাপর তারা তারি করে কাছে
যেতেই, শাওন এক দুর। আর জুই আমার দিকে হা
করে তাকিয়ে আছে,,

চলবে,,,,,