ঘর জামাই——-পর্ব-০২
ছোট লোকের বাচ্ছা তুই আমারে কিস করলি,
তোর সাহুস হল কি করে? দাড়া তোর কিস করার মজা
আমি দেখাচ্ছি। কাল সকালে বারান্দায় থেকে বেড়
হবিনা তখন তোর কপালে খারাপি আছে। (জুই)
আমি:- তুমি আমার বউ আমি তোমার স্বামি, আমার একটা
দ্বায়িত্ব বোদ আছেনা। তুমি না বললেও আমি
বুঝতে পারছি, তুমি কেন এমন করছো? ঠিক আছে
এখন থেকে বেশি করে কিস করব।
জুই:- আর যদি তুই আমার শরিলে টাচ্ করিসনা, তাহলে
তোর এমন অবস্তা করবো। আয়নায় নিজের
চেহেরা দেখে ভয় পাবি। বলে ভীতরের দিকে
বারান্দার দরজা লক করে দিয়েছে।
আমি:- ঠিক আছে, দেখবো তুমি কি মশা মারতে
পারো। বলে বারান্দায় শুধু ফ্লোরে শুয়ে পড়লাম,
একটা বালিশও নেই, সারা রাত ঠিক মত ঘুম আসেনি, কারন
মশা মন মত আমাকে ওদের খাবার বানিয়ে খায়ছে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি দরজাটা এখনো
লক করা আছে। আমি আসতে করে জুইকে ডাক
দিলাম, জুই জান আমার দরজটা খোলবে একটু প্লিজ
জান খোলনা। কোন সাড়া শব্দ নেই, তখনি আমি,,
মরে গেলাম ওমাগু বলে এক জোড়ে চিৎকার
দিলাম। তখনি জুই তারা তারি করে দরজাটা খোলে
দেখে আমি ফ্লোরে শুয়ে আছি।
জুই:- সৌরভ তোমার কি হয়ছে, এই সৌরভ কথা
বলছোনা কেন?
আমি:- জুইয়ের দিকে তাকিয়ে এক চোখটিপ
মেরে দিলাম। জুই লাফ মেরে বসা থেকে দাড়িয়ে
গেলো। আরে তোমার কি হয়ছে? তুমি কি
ভাবছিলে আমি মরে গেছি, আর তুমি শাওন
ছেলেটাকে বিয়ে করতে পারবে। এত সহজে
আমি তোমাকে মুক্তি করে দিতেছিনা।
জুই:- কিছুদিন যাক, তারপর যদি তোমাকে আমার
জীবন থেকে, আর এই বাড়ী থেকে লাথি
মেরে বেড় করে না দেয় আমার নাম জুই খন্দকার
নয়। বলে চলে যেতে ছিল।
আমি:- ঠিক আছে, আমিও বলছি তুমি নিজে আমাকে
তোমার জীবনে রাখার জন্য। দুই হাত জোর
করে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে। শুধু ক্ষমা নয়
অনেক কান্না করবে, তখন আমি ভেবে
দেখবো তোমার জীবনে আমি থাকবো কিনা?
জুই:- ঠিক আছে, তাহলে এই কথা রইল।
আমি:- হ্যা এই কথা রইল। তখন জুই বেড়িয়ে এলো,
আমিও রুমে এলাম, তারপর ফ্রেসহয়ে নিছে গিয়ে
নাস্তা করে নিলাম, নিছে বসে আছি, তখনি,,
শ্বাশুড়ি:- বাবা সৌরভ, তুমি একটু বাজারে যাবা? আমার এই
কয়টা জিনিস এনে দাওনা বাবা?
আমি:- আম্মাজান, আপনি এমন করে বলছেন,আর
আমি না করতে পারি। দেন আমি এখুনি এনে দিতেছি।
শ্বাশুড়ি:- এই নাও সিলিপ ব্যাগ আর টাকা।
আমি:- দেন, তারপর আমি এই গুলো নিয়ে বাজারে
যেতেছি, আর মনে মনে ভাবছি, বিয়ের পড়ের
দিন, বাজারে পাঠিয়ে দিল। কোন মতে খালি আব্বাজান
আম্মাজান ডেকে ওদের মনটা রক্ষা করি। তারপর
এমন মজা দেখামু তখন বুঝবেন ঘর জামাই কি জিনিস।
আরে আমিত আপনাদের আমার পরিচয় দেয়নি, নিশচয়
রাগ করছেন আপনারা? তাহলে শোনেন, আমার নামটা
শুনছেন, আমার যার সাথে বিয়ে হয়ছে তার নামটা
জানেন। এখন আমার বাড়ীর পরিচয় দেয়, আমাদের
গ্রামের বাড়ী রুসলপুর, বাড়ীতে বাবা মা, আর একটা
বড় আপু আছে, বড় আপুর বিয়ে হয়ে গেছে, ওর
স্বামি মানে আমার দৌলাভাই বিদেশ থাকে, যার ফলে
আপু আমাদের বাড়ীতে থাকে, দৌলাভায়ের বাবা মা
কেও নেই তাই আমাদের কাছে থাকে। আমার
একটা ভাঙনি আছে অনেক কিউট। এবার আমার শ্বশুড়
বাড়ীর কথা একটু বলি, কিছু কথা পড়ে বলবো শুধু
এইটুকু জেনে রাখুন শ্বশুড়ের টাকা পয়সার কোন
অভাব নেই, ঢাকা ওনাদের নিজের বাড়ী, নিজের
কারখানা আছে, মানে বিশাল ব্যাপার সেপার। আর জুই
হচ্ছে ওনাদের এক মাত্র মেয়ে, তাই ওনারা
জুইকে বিয়ে দিছে আমার সাথে, কারনটা আপনা
জেনে গেছেন তাই নতুন করে আর বলছিনা। যাক
বাজারে চলে এলাম, সব তাজা তাজা জিনিস দেখে
দেখে কিনলাম। তখনি,,
আরে দুস্ত তুই নাকি বড়লোকের মেয়ে বিয়ে
করেছিস? এত বড় বাজি কি করে মারলি। দুস্ত তুই
আমার মাথায় একটু তোর হাতটা রাখে দোয়া করে
দে, যাতে করে আমিও তোর মত একটা এমন ঘর
জামাই হতে পারি (হারুন)
আমি:- যা দোয়া করে দিলাম।
হারুন:- কিন্তু তুই বাজারে এলি কনে?
আমি:- কাজের লোকটা নাকি সব পচা জিনিস কিনে
নেই। তাই আম্মাজান আমাকে বলছে, তাই বাজারে
চলে এলাম। ঠিক আছে দুস্ত এখন যায়, পরে
আরেক দিন বসে আড্ডা মারবো। বলে চলে
এলাম, সাড়া রাস্তায় বাজারের হিসাব করতে করতে
এলাম, যে টাকা দিয়েছে একদম কাটায় কাটায় ঠিক
আছে টাকা। বাড়ীর সামনে এসে দেখি একটা
ছেলে ওকি মারতেছে, কাছে গিয়ে বাজারের
ব্যাগটা রেখে চোর বলে আনজা করে ধরে
চিৎকার চেচা মিচি শুরু করে দিলাম, আর মারতে লাগলাম।
তখনি বাড়ীর ভীতর থেকে জুই আর শ্বাশুড়ি ও
আব্বাজান মানে শ্বশুড় দৌরে বেড় হলো। এসে
শ্বশুড়:- সৌরভ বাবা কি হয়ছে। কে এই ছেলে?
আমি:- চোর হবে, বাড়ীতে ওকি মারছে। বলে
আরে কয়টা কিল আর কুনি। তখনি,,
জুই:- ও চোর নই, ও হচ্ছে শাওন।
আমি:- কি টাওন, মনে হয় ডাকাত হবে তা বলে
আরো কইটা কিল কুনি দিতেছি। আর বলছি ওরে
চোররে বলে আরে কিল কুনি শুরু। আর শাওন
আম্মা আব্বা করছে। তখনি শ্বশুড় আমার কাছ থেকে
শাওনকে ছারিয়ে দিল। আর শাওন এক দৌরে
পালালো, আর জুই ঐদিকে যেতে ছিল। তখনি,,
।
চলবে,,,,