অদ্ভুত ভালোবাসা ! পর্ব- ০৩

….গল্প বিলাসী…
।
কি হলো কি ভাবছো হা করো
।
করবো একশর্তে
।
আবার কি?
।
আমাকে সবসময় আপনি খাইয়ে দিবেন done?
।
এই মেয়ে বলে কি আমি খাইয়ে দিবো তাও আবার অপরিচিত একটা
মেয়েকে বয়েই গেছে আমার কিন্তু কি করবো
আগে এখন তো খাওয়াই পরের টা পরে দেখা যাবে)
Ok Done
।
পাক্কা?
।
হুম পাক্কা।
এবারতো হা করো?
।
দেখতেই যা বড় হয়েছে স্বভাবে পুরাই বাচ্চা
।
ঔষুধ খাইয়ে দিয়ে একেবারে বের হলাম।
।
আমিতো দুপুরে বাসায় থাকিনা তখন এমনি নিন্স বা জেন্স এর হাতে খেয়ে
নিবে আর রাতে ১২টার পর আসবো আমাকে আর পাবেনা তুমি মিস নিশি
।
পরের দিন অফিস টাইমের আগেই বের হয়ে আসলাম সাধের ঘুমটা
ছেড়ে আসতে ইচ্ছে হচ্ছিলোনা
কিন্তু কি করবো
ঐযে কপাল নিশিকে খাওয়াতে হবে তাই চলে আসা এবার দেখি তুমি কার
হাতে খাও
।
নিশি খেয়ে নাও Medicine খেতে হবে
।
তুমি কেনো? তোমার স্যার কোথায়?
।
স্যারের আর্জেন্ট মিটিং আছে তাই চলে গেছে ( একদম মিথ্যা কথা)
নিজের চাকরী বাঁচাতে বললাম
।
( এ মা এতো দেখছি আমার থেকেও ফার্স্ট। কিন্তু দুরে দুরে
থাকলেতো আমি কিছু জানতে পারবোনা আমাকে যে জানতে হবে
কেনো আমার সাথে এমন করছে? খেয়ে নিবো?
।
নাহ খাওয়া যাবেনা একবার খেলে বার বার মেয়ে গুলাই আসবে খাওয়াতে
পরে আমি আর কিছুই জানতে পারবোনা)
।
না আমি খাবোনা তুমি যাও।
।
plz নিশি খেয়ে নাও আমি তো তোমার ভালোর জন্য বলছি plz লক্ষি
বোন আমার খেয়ে নাও
।
না খাবোনা। আর এখন তুমি না গেলে আমি কিন্তু চেঁচাবো।
।
ওহ এই কোন মেয়ে ধরে আনলো স্যার পাগল একটা
।
যাই ভাবুন না কেনো আমি কারো হাতে খাচ্ছিনা।
আমি 100% sure আপনি আমাকে খাওয়ানোর ভয়ে পালিয়েছেন সকাল
৭টায় আবার কোনো মিটিং হয় নাকি আমাকে বোকা পাইছে হুম।
।
দেখেন আজ আপনার চালাকির জন্য আপনার কি হয়
।
সকালের Medicine ও খায়নি আর এখন যদি না খায় তাহলেতো আরো
problem হয়ে যাবে
।
স্যার pick up the phone
।
নিশি খেয়ে নাওনা দেখো পরে খুব অসুস্থ হয়ে যাবে আর স্যার যদি
রেগে যায় তাহলে কিন্তু আবার মারবে?
।
সত্যি? আবার মারবে?
How Funny
আর কি মারার বাকি আছে বলোতো?
।
হয়তো আমি দেহ জীবিত আছে কিন্তু আমার মনটা?
আচ্ছা তুমিই বলোনা আমি কি করেছি কেনো আমার সাথে এমন করছে
ওনি?
।
কিন্তু তুমিতো স্যারকে ফলো করেছিলে তাই তোমাকে আনা
হয়েছে
।
কিন্তু আমি কেনো ওনাকে Follow করবো বলোতো?
আমিতো কখনো ওনাকেই দেখিনি ওনি যখন আমাকে ধরেছে তখন
ওনাকে দেখেছি।
।
কিন্তু কিভাবে সম্ভব?
।
তারপর নিশি নিন্স কে শুরু থেকে সবটা বললো
।
ওহ মাই গড! এইটা কিভাবে সম্ভব? স্যার এতো বড় একটা ভূল করলেন
কিভাবে?
।
এখন তুমি আমাকে কথা দাও আমি যাই করিনা কেনো তুমি আমার সাথে আর
জোড় করোনা plz আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই।
।
আর যাওয়ার আগে যে আমাকে সবটা জানতে হবে।
।
হুম। ওকে কিন্তু না খেলে যে আরো Problem হয়ে যাবে
।
কিছু হবেনা তুমি যাও।
আর নয়তো আমার সাথে বসে গল্প করো
।
হ্যা তা করা যায়
।
আর ওদের সাথে এসে যোগ দেয় জেন্স। নিশি আর নিন্স
জেন্সকে সব খুলে বললো
।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা বেস্ট হয়ে গেলো।
।
যাক বাবা ডিলটা হয়ে গেলো Tention শেষ এইটা নিয়ে আরো
টেনশনে ছিলাম।
।
ওরে ব্বাবা এতো কল তাও আবার নিন্স?
আবার ঐ মেয়েটা কিছু করলোনাতো
।
হ্যা নিন্স বলো
কি বলছো এসব?
আমি এখনি আসছি
।
ওকে নিশি তুমি শুয়ে থাকো আমরা আমাদের রুমে যাই স্যার আসছে আর
এসে এখানে দেখলে problem হতে পারে বলে নিন্স আর জেন্স
চলে গেলো।
।
কি করলাম আমি?
নিজের একটু ভূলের জন্য না,জানি আবার মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পরে
।
কেনো করলাম এইটা? ওফ নিজের কাছে নিজেকে অনেক অপরাধী
মনেহচ্ছে
।
সকাল থেকে না খাওয়ার কারনে এখন আমার খুব খারাপ লাগছে কেমন জানি
লাগছে কাউকে ডাকতেও পারছিনা
।
খুব দ্রুত ড্রাইভ করে নিজে চলে আসলাম এসেই নিশির রুমে চলে
গেলাম
।
গিয়ে দেখি পানির গ্লাসটা নিতে চাইছে কিন্তু পারছেনা
।
কেউ মুখের মধ্যে পানির গ্লাস তুলে ধরলো আমি পুরোটা পানি
খেয়ে নিলাম।
।
কে দিলো পানি? তাকিয়ে দেখি রাক্ষসের মতো আমার দিকে তাকিয়ে
আছে একজোড়া চোখ মনেহচ্ছে চোখ দিয়েই গিলে খাবে।
।
কিকককি হলো
আপপপনি আমার দিকে এইভাবে তাকিয়েয়য়য় আছেন কেনো?
।
দেখেন এইভাবে তাকাবেন না (
হে আল্লাহ্ এতো কোনো কথাই শুনছেনা)
।
আমাকে কি তোমার কাজের লোক মনেহয়? তোমাকে খাইয়ে
দিবো?
আমার কাজ নেই?
।
এখন পর্যন্ত খাওনি কেনো?
।
আপনার জন্যই তো আপনি চলে গিয়েছিলেন কেনো?
।
দেখো মেয়ে আমার এতো ঢং করার কোনো ইচ্ছে নেই
কি ভেবেছো? হ্যা?
এইভাবে খাওয়ার মাঝখানে তোমাকে বার বার দেখবো আর তোমার
প্রেমে পরে যাবো? তারপর তোমাকে নিয়ে আমি সংসার করবো?
।
তোমরা গরীব রা তো এইটা খুব ভালো করে পারো কিভাবে একটা
বড়লোকের গলায় ঝুলে পরবে।
তোমাদের আর কি বলবো?
।
আসলে গরীব আছো তাই থাকো বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন
দেখোনা।
।
শুধু একবার সুস্থ হও তারপর এইখান থেকে বিদায় হও বলে চলে আসলাম।
।
কি বললো ওনি? আমি কি এমন করেছিলাম? যার জন্য এইভাবে কথা
শুনালো?
।
আমিকি কখনো ওনাকে এমন কিছু বুঝিয়েছি? খুব ছোট মনে হচ্ছে
নিজেকে
ওনার কথা গুলো খুব কষ্ট লাগলো কাঁদতে লাগলাম।
।
কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়েছি জানা নেই
।
স্যার আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?
আমি কি ডক্তরকে কল করবো?
।
হাত দিয়ে ইশারায় থামতে বললাম নিন্স কে।
।
বিকেলবেলা
।
স্যার একটু সময় হবে আপনার কাছে?
।
হ্যা বলো জেন্স
।
স্যার আমি এতো বছর আপনার সাথে আছি কিন্তু কখনো আপনাকে
এতোটা টেন্স মনে হয়নি
।
R u ok sir?
।
Yah Jens I m ok
।
নিশি কি করছে?
।
স্যার ঘুমিয়ে আছে?
স্যার একটা প্রশ্ন করবো?
।
হ্যা বলো।
।
নিশি কি আপনাকে কোনো ভাবে Attack করেছিলো ঐদিন?
যার জন্য তুলে নিয়ে আসলেন আমি না কিছুই বুঝতে পারছিনা সব
এলোমেলো লাগছে আমার কাছে
।
জেন্স আমার খুব বিস্যস্ত লোক যার জন্য আমি তার কাছে ঐদিন কি
হয়েছিলো সব বললাম
।
স্যার আপনি বলছেন কেউ আপনাকে ফলো করেছিলো কিন্তু নিশি
বলছে সে ফলো করেনি
।
স্যার এমনো কি হয়ে পারেনা যে আপনাকে ফলো করেছিলো সে
হয়তো আগে নেমে গেছে?
।
আমি বুঝতে পারছিনা।
ওকে আমি দেখছি তুমি নিশির দিকে খেয়াল রেখো
আর নিশিকি খেয়েছিলো?
।
স্যার আমি অনেক বার try করেছি bt খাওয়াতে পারিনি আর এখন ঘুমাচ্ছে
এখন ডাকাও যাবেনা।
।
ওকে নিশির ঘুম ভাংগার পর আমাকে বলো।
।
জ্বি স্যার।
।
নিশিকে স্যারের বলা কথা গুলো বললাম।
।
কিন্তু জেন্স আমিতো প্রথমে ওই সিটে ছিলামনা ঐ সিটে একটা
মেয়েছিলো ও নামার পর আমি ঐদিকের সিটে গিয়ে বসেছিলাম আমার
স্টেশন সামনে তাই এগিয়ে এসে বসেছিলাম
।
আমি যা ভেবেছিলাম তাই হলো যে মেয়েটা স্যার কে ফলো
করেছিলো সে আগের স্টেশনে নেমে গেছে আর স্যার তুমি ঐ
সিটে থাকার কারনে তোমাকে নিয়ে এসেছে
।
এতোক্ষনে বুঝতে পারলাম ওনি কেনো আমার সাথে এমন
করেছিলেন।
কিন্তু একটু আগে কি বলেগেলো কথা গুলো?
ছিঃ
আমি ওনাকে ভালোবাসার জন্য এমন করেছি ভাবতেই ঘৃনা লাগছে
।
হঠাৎ আর্জেন্ট কাজে বরিশাল চলে আসতে হলো।
দুইদিন পর বাসায় আসলাম।
।
এই দুইদিন শুধু বার বার নিশিকে মনে পরেছে তার
কথাগুলো মনে পরেছে।
।
দেখতে ইচ্ছে হয়েছে খুব কিন্তু পারিনি। ঐদিন এইভাবে কথাগুলো না
বললেও পারতাম আজ গিয়েই sorry বলে দিবো।
।
সেদিন ই বাসায় চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমিযে খুব দুর্বল তাই
কিছুদিনের অপেক্ষা করতে হবে।
।
আজ কিছুটা সুস্থ। আল্লাহ সুযোগ করে দিও আমি এই জায়গা থেকে
বের হতে পারি
।
কার যেনো পায়ের শব্দ পেলাম।
শব্দটা আমার কাছে অপরিচিতো নয়।
নীলই আসছে
।
শব্দটা ধীরে ধীরে বেরে চলছে তারমানে এইদিকে আসছে
চোখগুলো বন্ধ করে ফেললাম
।
রুমে এসে দেখি নিশি ঘুমিয়ে আছে তাই আর ডাকলাম না।
।
নিচে চলে আসলাম।
।
স্যার আপনি কখন এলেন?
।
এইতো এখনি। নিশির কি অবস্থা এখন?
সব ঠিকঠাক চলছে?
।
জ্বি স্যার খাবার + medicine সব ঠিক ভাবেই চলছে।
।
ওকে আমি রুমে যাচ্ছি আমাকে একটু কফি দিয়ে যাও
।
জ্বি স্যার।
বিকেল বেলা সবাই সবার কাজে busy. হাটতে হাটতে বাগানে গেলাম।
।
কোনো গার্ডকে দেখতে পাচ্ছিনা যে সবাই কোথায়?
পাশে তাকাতেই দেখি নীল ওদের কি যেনো বুঝাচ্ছে।
।
এইতো সুযোগ পালানোর।
দৌড়ে রুমে গিয়ে কাজটা শেষ করলাম।
।
তারপরেই আস্তে আস্তে বের হয়ে চলে আসলাম।
কি ভেবেছিলেন Mr. Nil আমি আপনার প্রেমে পরার জন্য এইসব
করেছি?
ভাবতেই অবাক লাগে।আমার যা জানার আমি জেনে নিয়েছি তাই চলে
গেলাম।
।
আপনাদের Mind এতোটা নিচ আমি জানতাম না
।
চলে তো আসলাম কিন্তু কোথায় যাবো?
বাসায় যাবো কিভাবে? আমার কাছে তো টাকাও নেই।
হাটতে হাটতে একটা হসপিটালের সামনে চলে এলাম
।
আরে এইটাতো ঐ হসপিটালটা।
যেইটাতে ঐ আন্টিটা ছিলো ওনি নিশ্চয়ই আমাকে হেল্প করবেন।
ওখানেই যাই
।
আরে ঐতো আন্টি
।
কিরে তুই এইখানে?
।
আন্টিকে বললাম আমার সমস্যার কথা ওনি আমাকে নিজে গাড়িতে ওঠিয়ে
ভাড়া মিটিয়ে দিলেন আর কিছু টাকা হাতে দিলেন।
।
জড়িয়ে ধরলাম আন্টিকে
খুব Miss করবো আন্টি তোমাকে। আর তোমার ঋণ আমি
কোনোদিক ও সোধ করতে পারবো না।
।
মাঝেমধ্যে আসিস আর এই কার্ডটা রাখ প্রয়োজন হলে কল দিস আর
পৌঁছে অবশ্যই জানাবি কিন্তু
।
আন্টি ড্রাইভারকে কি যেনো বলে চলে গেলেন।
।
স্যার সর্বনাশ হয়ে গেছে নিশিকে সারা বাড়ি খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
।
কি বলছো তুমি এইসব?
তারাতাড়ি সবাই খুজতে লাগলো কিন্তু কোথাও পেলোনা।
।
স্যার নিশির বেডের ওপর থেকে এই চিরকুট টা পেলাম।
।
দাওতো দেখি
।
continue…….বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!