অদ্ভুত ভালোবাসা

অদ্ভুত ভালোবাসা ! পর্ব- ০২

গল্প বিলাসী
নীল : এতো কিছুর পরও কিছু বের করতে পারলাম না। আচ্ছা আমার কি
আসলে কোথাও ভূল হচ্ছে?

নাহ ভূল হবে কেনো? আমিতো ঠিকই দেখেছি ওই সিট থেকে একটা
মেয়ে আমাকে ফলো করেছিলো।

ঐদিন রহিম চাচাকে (বাসার কাজের লোক) দেখতে যাচ্ছিলাম। ট্রেনের
মধ্যেই দেখলাম কেউ একজন আমাকে Follow করছে।

আর তাই ওকে ধরে নিয়ে আসলাম। আমার কেনো ভূল হবে আমিতো
ঠিকই দেখেছি নীল চৌধুরীর ভূল হতে পারেনা।

নাহ ওদের ওপর আর ভরসা করা যাচ্ছে না ওরা কিছু বের করতে পারবেনা যা
করার আমাকেই করতে হবে

নিশি : দেখতে দেখতে ৭টা দিন চলে গেলো কি পরিমাণ কষ্টভোগ
করছি আল্লাহ ই ভালো জানে।

জেন্স : নিন খেয়ে নিন।

নিশি : আমাকে যেতে দিন না plz আমি খাবোনা।

জেন্স : sir! এই মেয়ের থেকে কিছু বের করা possible হবে বলে
মনে হয়না।
তাছাড়া ও এই সাতদিনে পানি ছাড়া আর কিছুই খায়নি।

ওকে তুমি যাও আমি দেখছি।

স্যার plz আমাকে যেতে দিন আমার বাসার কি অবস্থা চলছে আপনি একবার
ভাবুন।
স্যার আমি তো আপনার কোনো ক্ষতি করিনি স্যার কেনো আমার
সাথে এমন করছেন?
কেঁদে কেঁদে কথা গুলো বলতে লাগলো নিশি।

খাবার টা খেয়ে নাও।

আমি খাবোনা। কি হবে না খেলে? মরে যাবো তাইতো এর বেশি
তো আর কিছুই হবেনা। পরিবার পরিজন দের ছেড়ে এখানে আছি তার
চেয়ে মরন আমার জন্য ভালো।

শেষ তোর Drama? কি ভেবেছিলি এইসব কথাতে আমার মন উদার হয়ে
ওঠবে আর আমি তোকে যেতে দিবো?

কিছুতেই না। যতদিন না তুই নিজের মুখে স্বীকার করবি সব ততোদিন
এইভাবেই থাকবি

নীল চৌধুরী মন এতোটাও ঊদার কোনোদিন হতে পারেনা
বলেই চলে যেতে নিলাম ধপাস করে কিসের শব্দ হলো ঘুরে
তাকালাম দেখি মেয়েটা পরে গেছে।

যত নাটক ই করোনা তুমি কোনো লাভ হবেনা বলেই চলে গেলো।

আর এইদিকে নিশির বাড়িতে কান্নার রোল পরে আছে।

কেউ কেউ বলছে ছেলের হাত ধরে পালিয়েছে।
বাজে বাজে কত কথা শুনাচ্ছে।

বাবা হয়ে আমি কি করে বিশ্বাস করি এই কথা?
আমি যে আমার মেয়েকে খুব ভালোভাবে চিনি।
আমিতো এমন মেয়ে জন্ম দেইনি
ও নিশি মা কোথায় তুই আর যে পারছিনা বলে নিশির বাবা কাঁদতে লাগলো।

আর নিশির মা!
দেহের প্রানই যদি না থাকে তাহলে আর কেমন থাকনে আপনারাই ভাবুন।

নিশিকে হারানোর শোকে সবাই কাতর হয়ে আছে।

রনি : স্যার! এতো সময় হয়ে গেলো মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে আছে।

নীল : তা নিয়ে তুমি ভেবোনা ঠিক হয়ে যাবে।

বলেই চলে আসলাম।
হাটতে হাটতে storeroom এর দিকে গেলাম।

মেয়েটা তখন যেভাবে পরেছিলো এখনো সেইভাবেই আছে
নীল ডাক্তার কে কল করলো।

নিন্স ! নিন্স!

নিন্স : জ্বি স্যার।

ওকে গেস্ট রুম এ নিয়ে যাও।
ডাক্তার আংকেল কে কল করলাম।

ডাক্তার : Oh My God !
নীল তুমি এতোটা Careless হলে কিভাবে?
একে যত দ্রুত সম্ভব hospital নিয়ে যাও।

বাচার সম্ভাবনা এখনো কিছুটা আছে।
Hurry Up

Hospital নেয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে ওকে ICU তে নিয়ে গেলো।

ডাক্তার কে দেখে এগিয়ে গেলাম

ডাক্তার : দেখো নীল। এখন কিছুটা ভালো আর মেয়েটাকে একা
কখনো রেখোনা।
মেয়েটা অনেক ভয় পেয়েছে।
এইসব patient কে চোখে চোখে রাখতে হবে কখন কি হয় বলা
যায়না।

আর ওকে জোর করে হলেও খাওয়াতে হবে।

আংকেল আমি কি ওকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবো।

না আজকে পারবে না। Takecare

ওকে বাসায় নিয়ে আসার পর
ওর অবস্থা এখন ভালো।

কিছুক্ষন পর ওর রুমে গেলাম।

দেখো তুমি আমাকে বলেদাও তোমাকে কে পাঠিয়েছে? তাহলে
আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো আর নয়তো এইখানেই শেষ করে
দিবো

নিশি : স্যার বিশ্বাস করুন আমাকে কেউ পাঠায় নি আমি চাচ্চুর

Shut Up
।আমি তোমাকে History বলতে বলিনি। শুধু বলেছি কে পাঠিয়েছে

শুধু নামটা বলো।

নিশি : আমি কার নাম বলবো আমাকে তো কেউ পাঠায়নি।
আমি তো আপনাকে ফলো করিনি।
কেনো আমাকে এনেছেন?

তারপর ও একি কথা বলছে আমি নাকি ভূল করছি ।
রেগে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।

Yah Nirob
কি বলছো তুমি?
ওকে Next ফ্লাইটে যাওয়ার ব্যবস্থা করো।

Yah sir।

৭দিন পর

Doctor petient এর এখন কি অবস্থা?

আল্লাহকে ডাকুন আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি।
আর যেভাবে bleeding হয়েছে তাতে
যখন চোখ খুললাম তাকিয়ে দেখলাম আমি হাসপাতালে।
কিন্তু কিভাবে?

পাশে তাকাতে দেখি একজন মহিলা ডাক্তার পাশে বসে আছেন।

ডাক্তার : কিরে মা কেনো এইভাবে নিজের ক্ষতি করছিস?
এইভাবে কেউ হাত কাটে?
ভাগ্য ভালো ছিলো তাই বেচে গিয়েছিস

মরতেইতো চেয়েছিলাম।
বেচে থেকেই বা কি করবো? মা বাবা ভাই কে ছেড়ে আছি কোথায়
আছি কেনো আছি কতো কষ্ট সহ্য করছি কেনো করছি কিছুই জানিনা
তারচেয়ে মরে যাওয়াটা ভালো নয়কি?

কেনো কি হয়েছে তোর আমাকে বল! আমি তোর মায়ের মতো
আমি তোকে সাহায্য করবো।
জানিস আমার না একটা মেয়েছিলো তোর সমান।
কিন্তু আমাকে একা করে দিয়ে চলে গেছে আর তোকে যখন
দেখলাম মনে হলো আমি আমার মেয়েকে দেখছি।

জানিস এই তিনদিন ধরে তোর খেয়াল রাখছি তোর পাশে আছি কিন্তু
তোর জ্ঞান ফিরার
কোনো নাম নেই।

আমাকে বল আমি এই ঢাকাতেই থাকি। হাসপাতালের পাশেই আমার বাসা।
আমাকে আপন ভেবে বল আমি তোকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য
করবো।

তারপর নিশি বলতে লাগলো

নিশি : মা plz কাল exm আমি আজ যাবোনা আমার পড়তে হবে।

মা : লক্ষি মা আমার দেখ তোর চাচ্চু চাচ্চী কতো আদর করে
তোকে একবার গিয়ে বলে আয় না মা বেশিক্ষণ লাগবেনা।

নিশি : বাবা তুমি মাকে বলোনা plz আমি যাবোনা।

বাবা : না মা তুই যা। নে টাকাটা দর। আর তারাতাড়ি বেরিয়ে পর।

নিশি : বাবা তুমিও যে কি না বুঝিনা। ওকে আমি Ready হয়ে আসি।

মা : আরে রেডি হতে তোর তিনদিন লাগবে। আমার মেয়েটা এমনিতেই
অনেক সুন্দর

তারপর বেরিয়ে গেলাম চাচ্চুর বাসার উদ্দ্যেশে।

চাচ্চুর বাসায় গিয়ে সবার সাথে দেখা করে তাদের সাথে Launch করে
বাসায় যাবার উদ্দ্যেশে বের হই।

স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন আছে। আমার ট্রেন জার্নি অনেক
ভালো লাগে আর এখন ট্রেনে যেতে পারবো।
তাই ট্রেনেই রওনা দেই।

যখন আমাদের গ্রামের স্টেশন আসবে তার আগের স্টেশনে
কিছুলোক আমায় ধরে নিয়ে যায়।

আমি নাকি কাকে Follow করছি। আমি এতো করে তাদেরকে বলছি যে
আপনাদের কোথাও ভূল হচ্ছে কিন্তু আমার কথা শুনেনি।

আমার দুই বছর কষ্ট করে লেখাপড়া করে কোনো লাভ হলোনা আমি
পরিক্ষা দিতে পারিনি।

আমাকে কোথায় ধরে নিয়ে গেছে আমি নিজেও জানিনা। তারপর ওরা
আমাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে আমাকে কে পাঠিয়েছে কোন
লোক পাঠিয়েছে।

আমি যখন বলছি আমাকে কেউ পাঠায়নি তখন আমাকে মেরেছে
পর্যন্ত। আমার জ্ঞান হওয়ার পর আমি কখনো মার খেয়েছি কিনা আমার
মনে নেই। সে আমি এতো মার খেলাম।

যেই আমি রাতে একা এক রুম থেকে অন্য রুমে যেতে ভয় পেতাম
সেখানে একা একা রাত অন্ধকারে কাটাচ্ছি আমি আর পারছিলাম না আন্টি
বলেই কাঁদতে লাগলাম।

কতদিন এইভাবে বেচে থাকা যায় বলেন? আমি আর পারছিলাম না।

সেদিন বিকালে দুইটা মেয়ে আমাকে দেখতে আসলো তখন ওরা ছুরি
দিয়ে কিছু একটা কেটে খাচ্ছিলো।

তারপর ওরা নিজেদের মধ্যে কি নিয়ে কথা বলতে বলতে ছুরিটা ফেলে
যায়।

আর আমিও ভাবলাম এইভাবে বেচে থাকার চাইতে মরে গেলেও ভালো
হবে।
আর তাই সুযোগ টা হাত ছাড়া করলাম না

কেটে ফেল্লাম হাতটা। যখন হাতটা কাটছিলাম আমার বাবা ভাইয়া মা সবার কথা খুব
মনে পরেছিলো কিন্তু আমি কি করবো আমিও যে আর সহ্য করতে
পারছিলাম না তাই এই Dicition টা নিলাম।ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে দেখলাম
চোখে পানি

নীল : এতোক্ষন কেভিনের পাশে দাড়িয়ে নিশির সবগুলো কথা
শুনেছি। এই কি করলাম আমি?
নিজ হাতে একটা নির্দোষী মেয়েকে এইভাবে শাস্তি দিলাম?

মেয়েটা আমাকে কতোবার বলেছিলো আমার ভূল হচ্ছে আমি যদি
একটা বার ওর কথাটা শুনতাম তাহলেতো এমন হতোনা।

মেয়েটার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। নিজের অজান্তেই চোখ থেকে
পানি পরছে চোখের পানি মুছে পাশে তাকাতেই কেউ দৌড়ে পালাতে
লাগলো।

ডাক্তার : আচ্ছা তোর বাসায় যাওয়ার রাস্তা এইখান থেকে কতোদিক দিয়ে
যাওয়া যায় বলতো?

কয়েকটাইতো আছে কেনো?

মনেকর একটা রাস্তায় কোনো Accident হয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ।
তখন তুই কি করবি?

Simple অন্য কোনো রাস্তায় যাবো।

আমি এইটাই তোকে বুঝাতে চাচ্ছি।

মানে?

মানে দেখ তুই যখন দেখলি এতো করে বলে ওদের থেকে কিছু
জানতে পারলিনা কেনো তোকে এনেছে কেনো মারছে তার
জন্য অন্যভাবে কি জানা যায় না?

তা ঠিক। কিন্তু আন্টি আমি লক করা আমি যে বের হয়ে কারো সাথে কথা
বলবো তার কোনো সুযোগ আমি পাইনি।

ওকে আজ থেকে পাবি আমি তোকে সেই সুযোগ করে দিবো
এখন আগে এইটা খা তো

আমি খাবোনা। plz আন্টি

না খেলেতো আর ওদের থেকে জানতেও পারবিনা কিছু। আর
এইভাবে নিজেকে কারা শেষ করে জানিস?

——–

বোকারা। যারা ভিতু ওরা এইভাবে কোনোকিছু না করে মরে যায়।

ঠিক আমার মায়ের মতো আমাকে আদর করছে আমাকে বুঝাচ্ছে।
চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

আর কাঁদিস না এবার নিজেকে তৈরি করে নে। বলে খাইয়ে দিতে
লাগলো।

এখন শুয়ে থাক আমি একটু বাকিদের দেখে আসি।

একা একা শুয়ে আছি কেমন যেনো লাগছে
নিজের কাছে আজ নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে। কারো
পায়ের শব্দ শুনে দরজায় তাকালাম
দেখি নীল চৌধুরী।

মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে শুয়ে রইলাম।এর মধ্যেই ঘুমিয়ে গেলাম

কিছুক্ষন মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম এই একটা মেয়েকে আমি কি
পরিমাণ কষ্ট দিয়েছি।
প্রথম দিনের সাথে আজকের চেহারা এতোটাই পরিবর্তন হয়েছে
যে কেউ হয়তো চিনতেও পারবেনা।

শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে চোখের নিচে কালি পরে গেছে কি
চেহারা আজ কি হয়েছে তার জন্য দায়ি আমি।

অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম মনের অজান্তে মেয়েটার কপালে একটা
চুমু একে দিয়ে আসলাম।

ওকে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে তাই আমি বাসায় চলে আসলাম।
দুইজন গার্ড দিয়ে এসেছি।

Hospital থেকে আসার পরই ওকে ওর বাসায় পাঠিয়ে দিবো।
কিন্তু ওর যা অবস্থা এখন পাঠালে তো আরো Problem হয়ে যাবে।

আগে বাসায় এনে আগের মতো সুস্থ করে তুলতে হবে। তারপর
বাসায় ফিরিয়ে দিবো

বাসায় এসে কিছুতেই ঘুমাতে পারছিলাম না।
বার বার মেয়েটার মুখ আমার সামনে ভেসে ওঠছে তার কথা গুলো বার
বার আমার কানে বাজছে।

ওহ আমার আবার কি হলো আমার কেনো এমন লাগছে রুমের মধ্যে
পায়চারি করে চলছি ঘুম আসছেনা শুয়ে পরলাম কখন ঘুমিয়েছি জানা নেই।

Doctor আমি কি ওকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবো?

নেয়াটা কি খুব প্রয়োজন? দেখুন একবার Medicine Miss হলে কিন্তু খুব
বিপদ হবে আর খাওয়া যেনো কোনভাবে Miss না হয়
যদি এইসব ঠিক রাখতে পারেন তাহলে নিয়ে যেতে পারেন

ওকে Doctor আমি সব Care করবো।

ওকে

তিনদিন পর আজ বাসায় নিয়ে আসলাম মেয়েটাকে।

নিশি : এবার বুঝবেন নিশি কি জিনিস Just Wait & Watch

plz খেতে হবে আর নাহলে problem হবে খেয়ে নাওনা plz?

আমি খাবোনা খাবোনা।
বলেই শুয়ে গেলাম।

কি হয়েছে নিন্স?

স্যার দেখুন না কখন থেকে নিশিকে বলছি খাওয়ার জন্য কিন্তু খাচ্ছেনা

কি হয়েছে খাওনা কেনো?
খেয়ে নাও

খাবোনা আমি।

খেয়ে নাও।

বলছিতো খাবোনা

খেতে হবে তোমাকে শুননি ডাক্তার কি বলেছে?

খাবোনা বলছিতো কানে শুনেন না?

ওকে তোমাকে কিভাবে খাওয়াতে হয় আমার জানা আছে ( মনেমনে)

নিন্স তুমি যাও আমি পরে তোমাকে ডেকে নিবো

কি হলো আপনি আমার দিকে এইভাবে এগিয়ে আসছেন কেনো?
দেখুন ভালো হবেনা কিন্তু

তাহলে খেয়ে নাও। না হলে আরো কি কি হবে ভাবতে পারবেনা

আপনি খাইয়ে দিন।

ওকে আমি নিন্স কে পাঠিয়ে দিচ্ছি

না আমি আপনার হাতে খাবো বলেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম (
আল্লাহ ঘূর্ণিঝড় যেনো না আসে)

কি বললে?

এমা আপনিতো দেখছি সত্যি কানে শুনেন না

কি করে অফিস সামলান বলেন তো খুব কষ্ট হয় তাইনা ( মাএ তো শুরু)


এই মেয়েতো দেখছি হেব্বি চালাক এতোদিন কোথায় ছিলো তা

কিন্তু খাওয়াতে তো হবে নাহলে যে আরো problem হবে

হা করো


continue
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *