অজানা সম্পর্ক !! Part- 05
আকাশঃনেই।।নেই ওর মা।।
পৃথাঃনেই মানে?ডায়না কোথায়?? (অবাক হয়ে)
আকাশ সব খুলে বলল।।ডায়নার চলে যাওয়া আয়ানের মা বিহীন ছোটবেলা।। শুধু বলেনি পৃথাকে কেন মা বলে আর কিভাবে ওকে চেনে।।
পৃথার আয়ানের জন্য খুব খারাপ লাগে।।কত কষ্ট পেয়েছে বাচ্চাটা।। কত কষ্ট ছিল ওই ছোট্ট বুকটায়।৷ পৃথার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে।
কাঁপা কাপা গলায় জিজ্ঞেস করে তাহলে আমাকে কেন মা ডাকে ও????(উৎসুক চোখে)
আকাশ পৃথার দিকে ফিরে ম্লান হাসি দিয়ে বলে..
আকাশঃআমার কারণে….
পৃথাঃকি????
আকাশঃহ্যা…আমি ছোটো থেকে আয়ানকে তোমার ছবি দেখিয়ে এসেছি।। ওর মা বলতে তোমাকে বুঝিয়েছি।।জানো আয়ান তোমাকে কত ভালোবাসে।।তোমার ছবি দেখে তাতে অসংখ্য চুমু খেয়েছে।।তোমার পুরোনো ওড়না ওকে দিতাম যেন মায়ের গায়ের গন্ধ পায়।।বাচ্চাটা তোমার ছবি বুকে নিয়েই এতগুলো দিনপার করেছে।।আজও তোমার ছবি বুকে না নিয়ে ঘুমায় না।।তুমি কি আমার ছোট্ট আয়ানটাকে একটু ভালোবাসা দিবা?????আদর করে একটু বুকে টেনে নিবা???আমার ছেলেটা যে কখনো মায়ের ভালোবাসা পাইনি।।।কত আশা বেধে আছে ওর ছোট্ট বুকটায়।।।(পৃথার হাত ধরে কান্না করে)
পৃথা এসব শুনে যেন মাথা শূন্য হয়ে গেল।।এতদিন কেউ ওকে নিজের মা ভেবে এত অপেক্ষায় ছিল।।ওর আশায় বুকে কত স্বপন বেধেছে।।কত অনুনয় করেছে বাচ্চাটা।।নিজের কষ্টে বাচ্চাটার দিকে তাকায় নি।।বাচ্চাটাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।। আকাশ আর ওর ঝগড়ায় বাচ্চাটা কেন কষ্ট পাবে??বাচ্চাটা তো নির্দোষ।। কত মাসুম ওর মন।।নাহ ওকে আর কোনো কষ্ট দিবনা।।ওর ছোট্ট বুকটার আশার আলো নিভতে দিবনা।।ওকে ফিরিয়ে দিব না আর।।বুকে টেনে নিব বাচ্চাটাকে।। ওর কাছে তো আমি ওর মা।।আকাশের সাথে কোনো সম্পর্ক না থাকলেও বাচ্চাটার সাথে থাকবে।।
পৃথা আয়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু খায় আর বলে…
পৃথাঃহ্যা আমিই ওর মা।আয়ানের মাম্মাম।।অজানা সম্পর্ক না মনের সম্পর্ক হবে।।।।
।।
।।
২ ঘন্টা পর আয়ানের সেন্স আছে।। ততক্ষণ পৃথাই ওর পাশে বসে থাকে।। আকাশ রিপোর্ট কালেক্ট করতে ল্যাবে যায়।।আয়ান চোখ মেলে পৃথাকে ওর পাশে পায়।।পৃথাকে দেখেই ঝাপিয়ে পড়তে চায় ওর বুকে কিন্তু হাতে ক্যানুলা লাগানো থাকার কারনে ব্যথা পায় আর মুখ থেকে “আহ” বের হয়।।
পৃথা হন্তদন্ত হয়ে যায়।। বলে…
পৃথাঃকি হয়েছে বাবাই??ব্যথা পেয়েছ??কিছু লাগবে?? আমাকে বল…..
আয়ানকে পৃথার আদর মাখা কথায় আর পায় কে..খুশিতে যেন হাতের ব্যথার কথা ভুলেই গেছে।।
আয়ানঃমাম্মাম?? আমাল পাতে এতে আমাকে জড়িয়ে ধল না।।আমি তুমাল কোলে তুব।।
পৃথাও হেসে আয়ানের বেডে ওর পাশে শুয়ে আয়ানকে বুকে জড়িয়ে ধরে।। আয়ানও পৃথাকে দুই হাত দিয়ে বুকের ভিতর মুখ দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকে।। হঠাৎ আয়ান পৃথাকে বলে উঠে..
আয়ানঃমাম্নাম??তুমি কি আমাকে ভালুবাত না?? আমি না তুমাল বাবু?? তাইলে আমাকে আদল না কলে ওই তেলে টাকে আদল কললা কেন??তুমি জানো আমি অনেক কত্ত পাইতি??আমাল সাতে তুলি জোলে কতা বলত আমি খুব ভয় পাইতি।।জানো পাপ্পা ও আমাকে আজ লাগ কলছে।।মালাও ধলছিল।।কেউ আমাকে কি ভালুবাতে না??আমাকে কেউ আদল কলে না।।আমি মলে যাব তো।।
আয়ানের এসব কষ্টকর কথাগুলো পৃথার বুকে গিয়ে লাগল।। এক সন্তানকে হারিয়েছে আয়ানকে সে হারাতে পারবে না।।আয়ানকে বুকের সাথে আরও জরিয়ে ধরে বলে…
পৃথাঃএসব কথা বলতে নেই বাবা।।কে বলেছে আয়ানকে কেউ ভালোবাসে না??আয়ানকে সবাই ভালোবাসে।।পাপ্পা আয়ানকে খুব ভালোবাসে।।তুমি অসুস্থ তাই পাপ্পা তোমাকে নিয়ে টেনশনে ছিল।।
আয়ানঃতুমি বাত?ভালোবাত আমাকে??(কৌতূহলী চোখে পৃথার দিকে তাকিয়ে কান্না মাখা চোখে )
পৃথা আয়ানের চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে সারা মুখে অসংখ্য চুমু খায়।। আবার বুকে জড়িয়ে বলে…
পৃথাঃহ্যা।।বাবাই অনেক ভালোবাসি।।আয়ানের মাম্মাম আয়ানকে অনেক ভালোবাসে।। আয়ান তো আয়ানের মাম্মামের বাবু তাি সে আয়ানকে ভালোবাসবে না তো কাকে ভালোবাসবে।।
আয়ান পৃথার এসব কথা শুনে পৃথার দুগালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে..
আয়ানঃসত্তি মাম্মাম?
পৃথাঃহ্যা বাবাই সত্যি ।। (আায়নের কপালে চুমু দিয়ে)
আয়ান খুশিতে পৃথার সারা মুখে চুমু খায় আর বলে…
আয়ানঃআলাবু মাম্মাম।।
পৃথা হেসে আবার বুকে জড়িয়ে ধরে…
আয়ানও পৃথাকে জড়িয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকে।। পৃথা পারলে তো ওকে বুকের ভিতর ঢুকিয়ে নেয়।।কত শান্তি আজ ওর এই বুকে।।কত খা খা করত ওর শূন্য বুকটা।। আজ যেন আয়ানকে পেয়ে তা পরিপূর্ণ।।
আয়ান পৃথাকে জড়িয়ে আাবার ঘুমিয়ে পড়ে আার আয়ানকে বুকে জড়িয়ে পৃথাও ঘুমিয়ে পড়ে।। আকাশ আয়ান আার পৃথার জন্য খাবার আর কিছু মেডিসিন আনে।।এসে দুজনকে এভাবে দেখে ওর চোখ জুড়িয়ে যায়।।আয়ানের বেডের পাশে যায়।।ছেলেকে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দেখে বুকে শান্তি পায়।।পৃথাও কেমন জড়িয়ে আছে যেন আয়ান ওরই ছেলে।।আকাশের চোখও ভরে এলো।। কতদিনের স্বপ্ন ছিল ওর আর পৃথার এমন একটা সংসার হবে।।আকাশ আর ওদের ডাকল না।। থাক না এভাবে কতক্ষন।। না জানি ওরা উঠলে সম্পর্কগুলো নতুন রূপ নেয়।।।।।
।।
।।
।।
দুপুরের দিকে পৃথার ঘুম ভেঙে যায়।। উঠে দেখে আকাশ সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।। একদিন তো এই মুখটা দেখেই দিন পার করত।। কত মায়া জরিয়ে থাকত।।আয়ান ঠিক আকাশের মতোই হয়েছে।। কত মিল বাবা ছেলের।। আচ্ছা এমনকি হতে পারতো না যে আয়ান পৃথা আর আকাশের ছেলে??তাহলে আজ ওদের তিনজনের জীবন অন্যরকম হতো।।কি সুখেরই নাহ হতো?আকাশের এক ধোকায় সব শেষ।। নাহ আয়ানকে মেনে নিলেও আকাশের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।।আকাশকে কখনো মাফ করতে পারব না।।বেড থেকে ব্যাগ নিয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য আগায়।।আয়ানের কপালে চুমু দেয়।।যাওয়ার সময় আকাশকে বলল..
পৃথাঃআমি চললাম।।
আকাশে কাজে এতোটাই মগ্ন যে পৃথা কি বললো তা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড লাগল.. পৃথার কথা বুঝতে পেরে বলল…
আকাশঃমানে?চলে যাবা কেন?(ল্যাপটপ বন্ধ করে)
পৃথাঃতোহ থাকব নাকি এখানে?? আমারও পরিবার আছে।।
আকাশঃনাহ মানে আয়ান উঠলে তোমাকে খুজবে তখন কি বলব ওকে?
পৃথাঃসেটা আপনার ব্যপার আপনার যা ইচ্ছা বলবেন।।আয়ানকে মেনে নিয়েছি এর মানে এই না যে সারাজীবন আপনাদের কাছে থেকে যাব।।এখানে আপনার সাথে থাকার না আমার ইচ্ছে না কোনো অধিকার আছে।। আয়ানের সাথে আমার এক মনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।। বাচ্চাটার মনে কষ্ট দিতে চাই না তাই এতক্ষণ ছিলাম।। ওর কাছে তো আমি ওর মা তাই অসুস্থতার সময় ওর পাশেই ছিলাম।। ভবিষ্যতে লাগলে অবশ্যই আসব।।আর আয়ান আমার সাথে দেখা করতে চাইলে আমার বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।।আমার বাসার দরজা ওর জন্য সবসময় খোলা।।ওকে চললাম।।
আকাশ পৃথার কথায় অনেক কষ্ট পায়।।একবারও কি ওকে ক্ষমা করা যায়না??
আকাশঃতোমাকে ছেড়ে দিয়ে আসি বাসায়??এই দুপুরে রিকশা পাবে না।।আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি।।চল ছেড়ে দিয়ে আসি।।
পৃথাঃছেড়ে তো সেই আগেই দিয়েছেন আর কোনো ফেভার চাই না।। (এক মুহূর্ত ও ওয়েট না করে চলে যায়)
আকাশ যেন পাথর হয়ে গেছে।। অনুভূতি শূন্য।। কথাটা যেন বুকে গিয়ে বাঁধল।।
।।
।।
পৃথা হসপিটাল থেকে বের হয়ে রাজের সাথে দেখা।।
রাজঃআরে পৃথা?বাসায় এখন যাচ্ছিস?
পৃথাঃহ্যা।।একটু লেট হলো।। কিছু অফিসিয়াল কাজ ছিল।।তুই কই যাস?
রাজঃবাসায়ই।হ্যারে লান্স করেছিস??
পৃথাঃনাহ।।পারলাম কই?কাজ ছিল বললাম না।।
রাজঃগ্রেট।।চল একসাথে করি।।দুজনে একসাথে কোথাও যাই না কতদিন হল।।
পৃথাঃনাহ রে।।বাসায় যাই।। ক্লান্ত লাগছে।।
রাজঃনো ওয়ে।।চল যাবি আমার সাথে।।
রাজ পৃথাকে টেনে গাড়িতে বসালো।। দুজন এক রেস্টুরেন্টে গেল লান্স করতে।।রাজ সব পৃথার পছন্দের খাবার ওর্ডার করল।।
পৃথা হঠাৎ রাজকে প্রশ্ন করল.
পৃথাঃরাজ বিয়ে করিস না কেন এখনও??
রাজ এতক্ষণ হাসিখুশি ছিল।।পৃথার এই প্রশ্নে হাসি মুখ ম্লান হয়ে যায়।। চুপ করে পৃথার দিকে তাকিয়ে থাকে।। পৃথাও ওর চোখের ভাষা বুঝতে পারে।। তাই আবার বলে…
পৃথাঃআর কতদিন এভাবে থাকবি??এখন তো তোর সেটেল্ড হওয়া উচিত।।
রাজঃকরবি আমায় বিয়ে?(শান্ত কন্ঠে নিচের দিকে তাকিয়ে)
পৃথা কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে..
পৃথাঃনাহ।।আমার দ্বারা আর সংসার করা সম্ভব না।।
রাজ ম্লান হাসি দিয়ে মাথা তুলে বলে..
রাজঃতাহলে আমর দ্বারাও সম্ভব না।।
পৃথা ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বলে..
পৃথাঃদেখ রাজ…
রাজঃনো মোর আরগুমেন্ট।। খাবার এসে গেছে।। খেতে দে।।আ’ম সো হাংরি।।
রাজ খেতে থাকে।।পৃথা তাকিয়ে দেখে রাজের দিকে।।ওর কষ্টের সময়টাতে রাজই ওর পাশে ছিল।।নিঃস্বার্থ ভাবে ওকে হেল্প করেছে।।খারাপ লাগে ওর জন্য।।কিছু তো করতে পারল না বন্ধুর জন্য।।।
ওরা লান্স করে বাসায় আসে।।রাজ পৃথাকে নামিয়ে চলে যায়।।
পৃথা বাসায় এসে লম্বা শাওয়ার নেয়।।যোহরের নামাজ আদায় করে।।যেহেতু হসপিটালে আয়ানের পাশে ঘুমিয়েছে তাই দুপুরে আর ঘুমাবে না।।বারান্দায় কিছু গাছ লাগিয়েছিল তার পরিচর্যা করেই সময় পার করে।।আছর পড়ে দুকাপ চা করে মাকে তার রুমে চা দিয়ে বারান্দায় মেঝেতে বসে।।আজ হালকা বাতাস বইছে।।চায়ের সাথে গল্পের বই পড়লে মন্দ হয় না।।তাই একটা বই আর ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ দারুণ একটা সময় পার করা যাবে।।হঠাৎ কলিংবেল বেজে ওঠে।। মায়ের পায়ে ব্যথা তাই তাকে উঠতে মানা করেছে।। পৃথাই দরজা খুলে।।দরজা খুলতেই আয়ান ঝাপিয়ে পড়ে ওর কোলে।।প্রস্তুত ছিল না এসবের জন্যে।। নিজেকে সামলে…
পৃথাঃআয়ান??
আায়ানঃমাম্মাম তুমি আমাকে লেখেই চলে আততো।।আমি তুমাকে ঘুম থেকে উঠে না পেয়ে অনেক কাননা করতি।।আমাকে নিয়ে আতলে না কেন??(কান্না করতে করতে)
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি অসহায় মুখে দাড়িয়ে আছে।।
আকাশঃআসলে ওকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু অনেক কান্না কাটি করতেছিল তোমার কাছে আসার জন্য।। খাবার খেতে চাইনি।।ওষুধ নেয়াও তো জরুরি ছিল তাই না পেরে নিয়ে আসছি।।একটু রাখবে তোমার কাছে??
আয়ানঃএকতু লাখবে না মাম্মাম আমাকে তুমাল কাতে??(অসহায় দৃষ্টিতে)
পৃথা কি বলবে বুঝতে পারছে না।।মাও তো আছে বাসায়।। মাকে কি বলবে??যেহেতু আজ মায়ের পায়ে ব্যথা আজ হয়তো রুম থেকে বের হবে না৷। তাই বললাম
পৃথাঃওকে।।। আজকে রাতের জন্য ওকে এখানে রেখে যেতে পারেন..
আয়ানঃইয়ে….. আজকে আমি মাম্মামেল সাতে তাকব।।(খুশি হয়ে গলা জড়িয়ে ধরে)
আকাশ একটা ব্যাগ পৃথার হাতে দেয় যাতে আয়ানের যাবতীয় জিনিস আর ওষুধ ছিল।।
যাওয়ার আগে আয়ানকে কোলে নিয়ে আদর করে..
আকাশঃবাবাই..দুষ্টুমি করবে না।।মাম্মামকে জ্বালাবে না।।সব কথা শুনবে।। ঠিক আছে?
আয়ানঃআততা।।
আয়ানকে আমার কোলে দিয়ে বলে
আকাশঃপৃথা প্লিজ ওর একটু খেয়াল রেখ।।বাচ্চাটা আমার অসহায়।
পৃথাঃএতটা নির্দয় না আমি।।যতক্ষণ আমার কাছে আসে নিজের সন্তানের মতো রাখব।।
আকাশ চলে আসে পৃথাদের বাসা থেকে।।
পৃথা দরজা আটকিয়ে আয়ানকে নিয়ে ভিতরে আসে।।আয়ান চারদিকে তাকিয়ে আগ্রহ সহকারে দেখতে থাকে।।
আয়ানঃমাম্মাম।। এতা তুমাল বাতা?
পৃথাঃহ্যা বাবা।।
আয়ানঃতুমি একা তাক?
পৃথাঃনাহ।।আমার সাথে আমার মা থাকে।।
আয়ানঃতুমাল মাম্মাম? তুমালো মাম্মাম আতে??তুমিও বাবু??(মুখে হাত দিয়ে খিলখিল করে হেসে দেয়)
পৃথাঃসবারই তো মাম্মাম থাকে বাবাই।।বড়দেরও মাম্মাম থাকে।।
আয়ানঃআমাল পাপ্পাল তো নেই।।আমালো তো তিল না৷।(মলিন মুখে)। কিনতু এখন তো আতে।।তাই না মাম্মাম??আয়ানেলও মাম্মাম আতে।।।ইয়ে।।।
পৃথাঃহ্যা।।আয়ানেরও মাম্মাম আছে(কপালে চুমু দিয়ে)
আয়ানও পৃথার কপালে চুমু দিয়ে বলে..
আয়ানঃআলাবু মাম্মাম।।
পৃথা হেসে দিয়ে বলে..আলাবু টু।।
পৃথা আয়ানকে নিয়ে উপরে চলে আসে।।
।।
।।
।।
চলবে।।