বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 25

তিথির এমন মেজাজ খারাপ হচ্ছে যে তার ইচ্ছে করছে আবিরের গলা চেপে ধরতে আর আবির তো মামানির সাথে যা গল্প তা দেখে তিথি তেলে বেগুন ভাজা হয়ে যাচ্ছে,,,,
আবিরঃমামানি কিছু খেতে দিবে না খুব ক্ষেধা পাইছে
তিথিঃ আমাদের বাসায় খাবার নাই মিস্টার প্রতিবেশী,,,,
আবির উঠে এসে তিথির নাক টা একটু টেনে দিয়ে বলে
আবিরঃ ছি ছি তিথি তুমি এতো কিপটা যে নিজের প্রতিবেশী কে কিছু খেতে ও বলছো না এক গ্লাস পানি ও তো দিতে পারতে
তিথিঃ আমাদের বাসায় পানিও নাই এখন যেতে পারেন দরজা ওই দিকে
আবিরঃ কিপ্টামির সীমা থালে ছি এক গ্লাস পানি ও দিতে কিপটামি
তিথিঃ আমার বাসা থেকে বের হবেন নাকি আমি এখন চিল্লাই সব মানুষ কে বলবো যে আমার বাসায় চোর ডুকেছে৷
আবিরঃ কিইই আমি চোর,,,এক কাফ চিনি নিতে আসছি আর তুমি আমায় চোর বললে
তিথিঃ আপনার ভাগ্য এতো ভালো যে শুধু চোর বলছি আর কিছু না
আবির তো লেগেই আছে এই দিকে বেচারি মামানির আর না পেরে দেয় দুইজন কে ধমক
মামানিঃ চুপ একদম দুইটা,,বাচ্চাদের মত ঝগড়া করতে লজ্জা করে না
তিথিঃ মামানি ঠিক বলছো এই বজ্জাতের লজ্জা নাই তাই তো এখানে চিনি চাইতে আসছে হু
মামানিঃ চুপ একদম চুপ বেয়াদব মেয়ে
তিথিঃ হু আমি তো ভালা না ভালা লইয়া থাকো আমি যাই (আবিরের দিকে তাকিয়ে)
মামানিঃ কথাত রানি এই মেয়ে কিছু পারুক আর না পারুক কথা পারে,,অবশ্যই বেয়াদব
তিথি রেগে মেগে শেষ আর না পেরে জিদ দেখিয়ে রুমে ডুকে যায়,,তার রাগ যে কি পরিমাণ বেরে যায়,,,বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে বলে
তিথিঃ শয়তান এর বাপ একটা,,,অফিসে ও শান্তি দেয় না এখন বাসায় ও,,,ইচ্ছে তো তো করছে কাচা মরিচ দিয়ে চাটনি বানিয়ে খাই হু,,,
আবির তিথি রাগ করা দেখে মামানির থেকে এক কাফ কফি নিয়ে আসে,,দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব শুনে প্রচুর হাসি পায় তার,,,আবির কফি টা রেখে তিথির পিছনে যায়,,,পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে আর তিথি তো তিথি
তিথিঃ এই বিপজ্জনক রাক্ষস টাকে ইচ্ছে করে কুপিয়ে হত্যা করি উফফ
তিথি এই বলে পিছনে ফিরে ধাক্কা খায়,,পড়তে গিয়ে ও পড়ে নাই আবির তিথিকে ধরে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,বাতাসে তিথির চুল গুলো সব মুখে এসে যায়,,আবিরের মুখে ও পড়ছে,,,তিথি চোখ আস্তে করে খুলে দেখে আবির,,,আবির তিথির সে মায়াবী চেহারায় যেন বারবার হারিয়ে যাচ্ছে,,,,, কত বছর পর আজ সে তার মায়াবতী কে দেখছে,,,,,তিথির চোখ বেয়ে পানি পড়ে,, আবির তিথিকে তুলে চোখের পানি টা মুছে জড়িয়ে ধরে,,, তিথির আজ কেন জানি খুব ইচ্ছে করছে আবিরকে জড়িয়ে ধরতে,, সব কিছু ভুলে আবিরের বুকে আজ তিথি জড়িয়ে আছে,,,কিছু ক্ষন পর আকাশের গর্জন শুনে তিথি কিছু টা ভয়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আবিরকে,,,আবিরের পিঠে খামচি দিয়ে ধরে যদিও আবির কিছু টা ব্যাথা অনুভব করে কিন্তু এই ব্যাথা যেন কিছু না,,,,
আজ যেন সব কিছু মেতে উঠে তাদের ভালোবাসায়,,,তিথির সে সুন্দর চুল যা আজ বার বার আবিরের মুখে ছুঁয়ে যায়,,,,আবির যেন হারিয়ে যাচ্ছে আজ তিথির চুলের মাঝে,,,হুট করে মনে পড়ে যায়
তিন বছর আগে,,,
রিতু একটা ফাইল হাতে দেয় তিথির
রিতুঃ যাকে ভালোবাসিস দেখ তার কর্ম কান্ড,,সে তোকে কখনো ভালোবাসে না বাসে না তোকে ভালো তিথি,,,সে শুধু তোকে সব মেয়েদের মত ব্যবহার করতে চায় আর কিছু না,,,আবির তোকে কখনো ভালোবাসে নাই আর না বাসবে,,,,,আবির একটা বড় লোকের বখাটে ছেলে ব্যস এই টুকু যার কাছে মেয়েদের খেলনা মনে হয়,,,,,
বর্তমানে,,,,,,

কথা গুলো কেন জানি আজ কানে বাজছে চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে,,,যাকে সব চেয়ে বেশি ভালোবেসেছে সে তাকে ধোকা দিয়েছে,,
তিথি চোখ মেলে দেখে সে আবিরের বুকে,,,,আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ চলে যান এখান থেকে
আবিরঃ তিথি এই তিথি কি হয়েছে আমার দিকে তাকাও(তিথির গালে দুই হাত রেখে)
তিথি আবিরের হাত দুটি ঝাটকা মেরে চিৎকার করে বলে
তিথিঃ একবার বললে আপনি শুনেন না,,,যান এখান থেকে আর কখনো আসবেন না এই খানে,,আপনার সাথে আমার শুধু বস আর পিএ এর সম্পর্ক ব্যস আর কিছু না,,,নেক্সট টাইম আমার বাসায় যেন আপনাকে না দেখি জাস্ট লিভ (চিল্লাই)
আবির যেন পুরো থমকে যায়,,তিথির এতো পরিবর্তন দেখে,,,তিথির কথায় কেমন যেন মান অভিমান সব যোগ আজ,,,রাগ ঘৃনা যেন পুরো মিশিয়ে আছে আজ,,,তিথির এমন ধমকে যেন আজ আবিরের প্রচুর রাগ উঠে,, রাগে সে রুম থেকে বের হয়ে এক্সায় আর নিজের রুমে চলে যায়,,,
এই দিকে তিথি ধপ করে বসে পড়ে,,আর কেঁদে দেয়,,,।।
তিথিঃ কেন এসেছে সে এখানে কেন,,,কেন আমাকে দুর্বল করছে,,এই তিন বছর ওকে ছাড়া থাকা আমার পক্ষে কত কষ্ট হয়েছে তা শুধু আমি জানি কেন এসেছে আবার আমার পুরনো ক্ষত তাজা করতে কেন,,,,সব কিছু কেঁড়ে নিয়েছে সে আমার,,,,
বাহিরে আজ প্রচুর ঝড় আর ভিতরে ও,,,কান্নায় চোখ ভাসাচ্ছে তিথি,,আর আবির কম না,, নিজের রুমে গিয়ে জোরে আয়নায় বারি দেয়,,থরথর করে জড়তে থাকে রক্ত,,,হাতের রক্ত যেন মেঝেতে ভেসে যাচ্ছে,,,
আবিরঃ কেন সে আমার থেকে দূরে থাকে কেন,,,কি করেছি আমি?কি দোষ আমার?কেন আমাকে একা রেখে এসেছে,, কখনো ভুলবো না অই দিন আমি কখনো না,,,
তিন বছর আগে,,
আবির আজ অনেক খুশি,,যখন থেকে সে জানে তাকে তিথিও ভালোবাসে আর যেন সহ্য হচ্ছে না নিজের ফিলিংস টা কবে বলবে সে সুযোগে,,মুচকি হেসে দেয় আবির,,
মাঃ আজ এতো খুশি আমার ছেলে হুম কারণ কি হুম
আবিরঃকিছু না না আম্মু
মাঃ তোকে আমি জানি এখন ঢং না করে বল আমার ছেলে আজ এতো খুশি কেন হুম,,,
আবিরঃ আম্মু আমি একজন কে খুব ভালোবাসি,,জানি না কি ভাবে শুধু জানি তাকে ছাড়া আমি শূন্য,,ভালোবেসে ফেলছি আমি তাকে আম্মু
মাঃ আর সে মেয়েটা বুজি আমাদের তিথি???
আবিরঃ তুমি কি ভাবে জানলে যে সে তিথি….
মাঃ আমার ছেলে কে যাকে তাকে আর ভালোবাসবে একজন স্পেশাল হবে তার বউ যেমন তিথি,,,সত্যি বলতে আমার ও না তিথিলে খুব ভালো লাগে,,কি মিষ্টি দেখতে আর কি মিষ্টি সুর,,
আবিরঃ হুম যখন তার আজগুবি কথা শুনবে না তখন বুজবে পুরো এলিয়েন,,আর তার খাবার এর রেসিপি ও বাজি এমন ফালতু যে মুহূর্তে বমি আসবে,,মজার বেপার কি জানো আম্মু ডাকাত পর্যন্ত বিরক্তি হয়ে গেছে আর তো আর ডাকাত এর খাবার ও এই মেয়ে চুরি করে এনেছে এই বার ভাবো কেমন দজ্জাল মেয়ে,,
মাঃ এক মিনিট ডাকাত মানে অই কি হয়ছে বল আমায়
আবির সব ঘটনা তার মাকে খুলে বলে,,ডাকাত থেকে শুরু করে পাহাড়ে থাকা তিথি নেশা করে কি কি বলা সব কিছু,, মা তো হাসতে হাসতে শেষ এমন কথা শুনে,,,কিছু ক্ষন পর মা হাসি থামিয়ে বলে
মাঃ আমার বউমাকে তাড়াতাড়ি এনে দে আমার কাছে,,,কখনো তো কিছু চাই নাই তোর কাছে আজ মনে কর এইটা আমার আবদার এখন যদি না মানিস না কান মলে দিবো হুম,,
আবিরঃ কিন্তু মা এখন কি ভাবে
মাঃ দেখ আবির এখন তো এইটা ও জানিস যে তিথিও তোকে ভালোবাসে তাহলে আর কিসের দেরি,,আজ সন্ধ্যায় ওকে প্রোপজ করে দেয়,,,,,সুন্দর করে আওয়াজ কর আর হ্যাঁ শুন
আবিরঃ কি
আবিরের মা তার হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে যায়,,,একটা নীল জামদানী শাড়ি সাথে এক জোড়া দামি চুড়ি,,,আবিরের হাতে দিয়ে বলে
মাঃ এই গুলো তিথির লাছে পাঠিয়ে দে আর বলবি এই গুলো যাতে পড়ে আসে,,,আমার বউমা বলে কথা হুম
আবির তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ ইউ আর বেস্ট মা
এক ঘন্টা পর তিথির বাসার দরজায় টুকা পড়ে দরজা খুলে দেখে আশেপাশে কেউ নাই একটা বক্স পড়ে আছে তারপর কিছু গোলাপ আর একটা ছোট চিরকুট যেখানে লেখা ছিলো
চিরকুট,,,,,

মিস বকবক মাথায় কোনো প্রশ্ন না এনে বিকাল ৫ টায় সমুদ্রের পাড়ে অপেক্ষা করবো,,, এই শাড়ি আর চুড়ি গুলো পড়ে আসবে,,মোটা করে কাজল তোমার কাজল কালো চোখ দুটো আমার বেশ ভালো লাগে,,,তাড়াতাড়ি আসবে কিন্তু অপেক্ষায় থাকবো তোমার,,,
আবির
চিরকুট টা পড়ে তিথি মুচকি হাসে,,রুমে গিয়ে বক্স খুলে দেখে একটা সুন্দর শাড়ি তার পছন্দের কালার ও,,আর চুড়ি গুলো বেশ সুন্দর,,,, আবিরের এমন সারপ্রাইজ গিফট পেয়ে আর চিরকুটে দেখার কথা পেয়ে খুশিতে নাচতে থাকে তিথি,,,,তার খুশি শেয়ার করে রিতুর সাথে
তিথিঃ জানিস রিতু আজ আমি পুরো শিউর যে আবির আমালে তার ফিলিংস বলবে,,আজ আমি অনেক অনেক খুশি রিতু অনেক বেশি,,,ফাইনালি আজ অই বজ্জাত এনাকন্ডা আমার হবে,,ইয়েস ইয়েস রিতু আজ আমি অনেক খুশি
তিথির পাগলামি যেন আজ শেষ এই নাই,,খুশিতে বিছানায় উঠে নাচতে থাকে,,,,তার খুশি আজ কে দেখে,,
বিকাল ৫ টা বেজে যাবে কিছু ক্ষন পর আবিরের বুক ধপধপ করতে থাকে কি ভাবে বলবে কি ভাবে শুরু করবে এই ভেবে ভেবে,,,,তিথিকে কি ভাবে বলবে সে তাকে কত ভালোবাসে,,,
আবির যেন আজ নিজের মধ্যে নাই,,,বার বার সব কিছু চেক করছে ঠিক আছে কি না,,,
চারপাশে সাদা পর্দা দিয়ে একটা ছোট টেবিল সাজানো,,গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে বড় করে আই লাভ ইউ তিথি লেখা,,,অনেক গুলো লাল বেলুন টেবিলের পুরো পাশে যেখানে লাভ ইউ লেখা,,টেবিলে তিথির পছন্দের সব খাবার আর ছোট একটা চকলেট কেক যেখানে ও লেখা আছে আই লাভ ইউ মিস তিতা,,তিথিকে একটু রাগানোর জন্য এই নাম দেয়,,তিথি গাল ফুলাবে এই দেখে আর আবির তার রাগ ভাঙ্গাবে তার গান শুনিয়ে এই জন্য একটা চেয়ারের পাশে গিটার ও রেখেছে সব কিছু পারফেক্ট,, অহ হ্যাঁ ভিন্ন ফুল দিয়ে রাস্তা বানানো শুধু তিথির জন্য,,
একটা নীল কালারের পাঞ্জাবি পড়ে শুধু তিথির সাথে মিলার জন্য,, হাতে কালো বেল্টের ঘড়ি,,চুল গুলো কপালে পরানো কারণ তিথির বেশ ভালো লাগে তাই,,,
সব কিছু আজ পারফেক্ট শুধু আসার বাকি তিথি,,,
আবির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৫ঃ৩০ কিন্তু তিথি আসে না,,,জেমে পড়ছে এই ভেবে অপেক্ষা করতে থাকে,,ফোন করবে না এই ভেবে নেয় যে আজ একটু না হয় অপেক্ষা করে নিবে,,,
আবিরঃ হয়তো জেমে আটকে আছে,এসে যাবে যত অপেক্ষা করবো তোত বেশি ফিলিংস টা বলতে পারবো প্রথমে তো একটু রাগ দেখাবো তারপর ম্যাডাম কে বলবো কত ভালোবাসি থাকে,,,
আবির তিথির আশায় বসে আছে আছে,,,দেখতে দেখতে রাতের ১ টা বেজে যায় কিন্তু তিথি এখনও আসে না,,,আবির তারপর ও বলে তিথি হয়তো কাজে আছে এসে যাবে এই বলে বলে সকাল হয়ে যায় তিথি আসে নাই,,ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৭ টা,,আবিরের চোখ বেয়ে কেন জানি হুট করে পানি গড়িয়ে পড়ে এই ভেবে যে কেন তিথি আসে নাই,,,চোখের পানি টুকু মুছে তিথির বাসায় চলে যায় অই খানে ও তিথি নাই,,,তিথি কই গেছে কেউ জানে না আর না জানে সবাই কোথায়,,,,
আবির প্রায় তিথির বাসায় আসতো তিথি কই গেলো এই ভেবে যেন আবির পাগল হয়ে যায়,,,কল দিলে ফোন অফ পায়,,আবিরের এমন অবস্থা দেখে মা ও কেঁদে দেয়,,,
আবির প্রতি দিন যেতো তিথির বাসার সামনে এই ভেবে যে তিথি ফিরে আসবে,,বারান্দায় তাকিয়ে থাকতো আর ভাবতো তার তোতাপাখি ওই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আর তার দিকে রাগী চেহারায় তাকিয়ে আছে,,,
এই ভাবে কেটে যায় তিনটি বছর,,,
বর্তমানে,,,
পুরো রাত কাটে পুরনো সৃতি গুলো মনে করে,,,,আর চোখের ঘুম হারাম করে,,,হাতের রক্ত তো মেঝেতে ভেসে আছে,,হাতটাও ফুলে গেছে অনেক টা,,,
আবির রেডি হয়ে অফিসে চলে যায়,,,গিয়ে দেখে তিথি আগে থেকে অফিসে আছে,,তিথিকে কেবিনে ডেকে বলে কফি নিয়ে আসতে,,
তিথি কফি নিয়ে এসে দেখে আবির কাজ করছে হাতে হঠাৎ খেয়াল করে কাটানো
তিথিঃ আপনার হাত কি ভাবে কাটছে?
আবিরঃ এতে তোমার কি?তুমি তোমার কাজ করো
তিথিঃ আমি আমার কাজ করবো তা ঠিক আছে কিন্তু ব্যান্ডিস কেন কররেন নাই,,এতে ক্ষতি হবে আরো
আবিরঃ আমার হাত আমি যা ইচ্ছে করবো এতে তোমার সমস্যা কই??কফি রেখে যেতে পারো আর নিজের কাজ করো যাও
তিথি কফি টেবিলে রেখে বের হয়ে যায় রাগে হনহন করে
তিথিঃ আমার কি তাই তো যা ইচ্ছে হোক আমার কি হু,,,

কেন জানি আজ তিথির একটু ও ভালো লাগছে না,,আবিরের হাত কাটা টা বারবার ভেসে আসে তার চোখে,, আর না পেরে আবিরের কেবিনে যায়,,আবির কিছু বলতে যাবে তিথি বলে উঠে
তিথিঃ চুপ একদম চুপ,,একটা কথা মুখ দিয়ে বের জরলে আরেক হাত আমি কেটে দিবো,,,
আবিরের হাতটা টেনে নিয়ে ওষুধ লাগাতে থাকে আর বকতে থাকে,,
তিথিঃ হাতের এই অবস্থা কি ভাবে হলো হুম?চোখ কই ছিলো নিজের খেয়াল টুকু ও কি রাখা যায় না,,,এতো টা কেয়ার লেস কেউ কি ভাবে হয়
আবিরঃ যে খেয়াল রাখবে ভাবছিলাম সে তিন বছর আগে ছেড়ে গেছে,,যা ইচ্ছে হোক এতে কারো কিছু যায় আসে না
কথাটা যেন আজ বুকে গেঁথে যায়,,,কষ্ট টা আজ কেন জানি বেরে যায়,,,আবিরের এমন কথায়,,,তারপর ও চুপচাপ আবিরের হাতে ওষুধ লাগাতে থাকে আর আবির তিথির সে চিন্তা তার প্রতি তার প্রতি কেয়ার সব কিছু দেখে যেন আজ তার ভালোই লাগছে,,,
চলবে,,,,,,