বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 26
কথাটা যেন আজ বুকে গেঁথে যায়,,,কষ্ট টা আজ কেন জানি বেরে যায়,,,আবিরের এমন কথায়,,,তারপর ও চুপচাপ আবিরের হাতে ওষুধ লাগাতে থাকে আর আবির তিথির সে চিন্তা তার প্রতি তার প্রতি কেয়ার সব কিছু দেখে যেন আজ তার ভালোই লাগছে,,,
তিথিঃ চুপচাপ বসে থাকেন এখানে আমি আপনার জন্য কিছু খাবার আর ওষুধ নিয়ে আসছি
আবিরঃ লাগবে না কিছু,,,নিজের কাজ করো যাও
তিথিঃ চুপ একদম চুপ,,,আমি আমার কাজেই করছি ওকে আপনাকে বলতে হবে না,,,
আবির কে আর কিছু বলতে না দিয়ে তিথি চলে যায়,,,কিছু খাবার আর ওষুধ নিয়ে আসে,,,,আবির না চাইতে ও খায়,,,জোর করে তিথি আবিরকে খাইয়ে দেয়,,,খাওয়া শেষে আজ নিজের ওড়না দিয়ে মুখ মুছে দিয়ে ওষুধ বলে
তিথিঃ হা করুন
আবির মুখ অন্য দিকে করে রাখছে,,,,তিথি আবিরের গাল টা চেপে ধরে মুখে ওষুধ দেয় আর পানি গালের মধ্যে জোর করে ঢেলে দেয়,,বেচারা কিছু বুজতে পারলো না,,,,মনে হচ্ছে তিথিফ আর আবির সাধারণ একজন কর্মচারী,,,আবির রাগী লুকে তিথির দিকে তাকায়,,,
তিথিঃ আয়ায়া আমি কি করছি এই ভাবে কেন তাকিয়ে আছেন হুম
আবির তিথির সামনে এসে বলে
আবিরঃ অনেক সাহস তাই না
তিথি কিছু টা ঘাবড়ে যায় আবিরের আগানো দেখে,,,আবির তিথির অনেক কাছে এসে যায়,,,তিথির গালের কাছে নিজের গাল নিয়ে কানের কাছে গিয়ে বলে
আবিরঃ এই শাস্তি তো পেতে হবে ম্যাডাম
তিথিঃ কি,,,কিসের শাস্তি হুম
আবির তিথির হাতে হাত রেখে আলতো করে তিথির গালে চুমু একেঁ দেয়,,,আবিরের এমন কান্ডতে তিথি পুরো থমকে যায়,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে হেসে দেয় ফেস টা এমন করেছে যে আবিরের কাছে খুব কিউট লাগছে,,,তিথির নাকটা হালকা টেনে বলে
আবিরঃকিউটের ডিব্বা
তিথিঃ কিইই
আবিরঃ কিছু না,,,একটু পরে আমার সাথে বের হবে একটা মিটিং আছে
তিথিঃ তো আমি কেন হুম
আবিরঃ পিএ কে আমি নাকি তুমি
তিথিঃ আমি হু
আবিরঃ চুপচাপ সব ফাইল নাও আর চলো
তিথি নাক মুখ ফুলিয়ে ব্যাগ নিয়ে আবিরের সাথে বের হয়,,,আবির গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে অই সময় তিথি এসে বলে
তিথিঃ আমি আসছি চলেন
আবিরঃ হুম
তিথিঃ এক মিনিট
আবিরঃ কি
তিথিঃ আপনি ড্রাইভ করবেন?
আবিরঃ কেন আমি ড্রাইভ করলে কি সমস্যা?এক মিনিট তুমি কি মনে করছো আমি ড্রাইভ জানি না?কত বার তো তোমাকে নিয়ে ড্রাইভ করছি
তিথিঃ আমি তা বলছি না
আবিরঃ তাহলে কি বলতে চাও
তিথিঃ আপনার হাতে প্রচুর কেটে গেছে এই হাতে ড্রাইভ করবেন?
আবিরঃ কেন ভয় পাও বুজি যদি এক্সিডেন্ট করে ফেলি এই সেই
তিথিঃ সব সময় আমার কথার উল্টো মিন না করলে কি ভালো লাগে না আপনার যতসব
আবিরঃ বাবারে এই মিস বকবক তো দেখি পুরো এংরি বার্ড হয়ে গেছি
তিথিঃ কি বললেন?
আবিরঃ কিছু না চুপচাপ গাড়িতে উঠো
তিথিঃ হু আসছে
আবিরঃ কি আসছে তোমার মাথা
তিথিঃ জ্বি আমার মাথা আর আপনার কল্লা হেপ্পি
আবিরঃ যাই হোক লেট হচ্ছে চলো
তিথি গাড়িতে উঠে বসে আর আবির তিথির মুখ বানানো দেখে আবির হেসে গাড়িতে উঠে,,,,আবির ড্রাইভ করছে আর তিথির দিকে তাকাচ্ছে আবিরের কাছে আজ অনেক টা শান্তি লাগছে কারণ তার তোতাপাখি তার পাশে রয়েছে,,,
তিথিঃ সামনে তাকিয়ে ড্রাইভ করুন প্লিজ
আবিরঃ কেন ভয় পাও বুজি,,,,,
তিথিঃ না ভয় পাই না আমি,,,,
আবিরঃ কেন আমাকে ছেড়ে গেলে?
আবিরের এমন প্রশ্নে তিথি চমকে যায়,,,কিছু টা স্বাভাবিক ভাবে বলে
তিথিঃ কি বলছেন স্যার কিছু বুজছি না,,,স্যার লেট হচ্ছে
আবির গাড়ি থামিয়ে নেয়,,,তিথির দিকে ঝুকে বলে
আবিরঃ অই দিন কেন এলে না??সারারাত অপেক্ষা করেছিলাম কেন তুমি এলে না?কেন অই দিন এর পর আমার সামনে এলে না কেন তিথি?কেন?
তিথি নিজেকে অনেক টা শক্ত করে বলে
তিথিঃ আমি বাধ্য নয় আমার ব্যাক্তিগত কথা কারো সাথে শেয়ার করা,,,আপনি আমার স্যার এর চেয়ে বেশি কিছু না সো প্লিজ নিজের জায়গা ভুলে যাবেন না
আবিরঃ অহ আচ্ছা তাই,,ওকে ফাইন এর পর যা হবে তুমি কল্পনা ও করতে পারবে না তিথি
তিথিঃ মানে?
আবিরঃ কিছু না,,,চলো
আবির আর তিথি একটা মিটিং এ যায় তারা দুইজনে মিটিং এ অনেক ব্যস হয়ে পড়ে,,,অনেক টা সময় হয়ে যা মিটিং শেষ হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়,,,
তিথিঃ স্যার আমি তাহলে চলি
আবিরঃ কোথায়?
তিথিঃ কোথায় মানে আমার বাসায়
আবিরঃ ওয়েট ৫ মিনিট এক সাথে যাবো
তিথিঃ না আমি একা যেতে পারবো
আবিরঃ আমরা এক জায়গায় যাবো ওকে সো ওয়েট
তিথিঃ আমি বললাম তো আমি যেতে পারবো
আবিরঃ এক বার বললে কি কানে যায় না কথা,,, কষে কি চড় দিতে হবে
তিথিঃ মানে??
আবিরঃ আর একটা শব্দ যদি করো তাহলে এমন চড় দিবো যে আজ নিজের নাম টা ও ভুলে যাবে
আবিরের ধমক শুনে তিথি পুরো ঘাবড়ে যায় ভয়ে শেষ,,,আবির এই ভাবে ধমক দিলো যে তিথির চোখের পানি ঢলঢল করছে এখন মনে হচ্ছে কেঁদেই দিবে
আবির তার জন্য কিছু খাবার প্যাক করে নেয়,,তারপর তিথি আর সে বাসায় এসে যায় দুইজনে রাস্তায় কথা বলে নাই,,,
রাত অনেক টা হয়ে যায় আবিরের একদম ঘুম আসছে না,,,,,, তিথিকে সে ধমক দিয়েছে এই ভেবে অনেক আফসোস করছে
আবিরঃ এই ভাবে ওকে ধমক দেওয়া উচিত হয় নাই আমার,,,,ওকে ধমক না দিয়ে সুন্দর করে তো বুজাতে পারতাম,,,এক মিনিট যে মেয়ে সুন্দর কথা বুজে,,,যাই হোক ওকে তো এক বার সরি বলা উচিত কিন্তু এতো রাত হয়ে গেছে বাসায় ও তো যেতে পারবো না,,,, ওয়েট কল তো দিতেই পারি ওকে,,,
আবির সে কখন থেকে কল দিয়েই যাচ্ছে এই দিকে তিথির খবর পর্যন্ত নাই,,,আবিরের প্রচুর রাগ উঠে
আবিরঃ এই মেয়ে আজীবন কি এমন থাকবে পুরো কেয়ারলেস ফোন টা পর্যন্ত রিসিভ করছে না ইচ্ছে তো করছে গিয়ে চড় লাগাই,,
অনেক টা বিরক্তি ভাব নিয়ে বারান্দায় যায়,,,তার মোটে ও ভালো লাগছে না খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে একবার দেখতে হঠাৎ তার মনে হলো তার বারান্দার নিচে তো তিথির বারান্দা,,,আর চার পাঁচ না ভেবে সে একটা রসি নেয়,,নিজের বারান্দায় শক্ত করে বাঁধে,,তারপর আস্তে আস্তে তিথির বারান্দায় যায়,,,অনেক টা সাহস করে এই কাজ করে শুধু তিথিকে দেখতে
তিথির বারান্দার দরজা খুলা
আবিরঃ বাহা ম্যাডাম দরজা খুলে ঘুমাচ্ছে ভালোই হলো আমার জন্য
আবির ভিতরে গিয়ে দেখে তিথি আরামে ঘুমাচ্ছে,,,, স্র মায়াভরা চেহারা যা বারবার আবিরকে আকর্ষণ করে তিথির প্রতি,,আবির যতই রেগে থাকুক না কেন সে তিথির চেহারা দেখলে কেন জানি সব ভুলে যায়,,,,,,তিথি পাশে বসে তিথির চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে দিয়ে তিথির কপালে চুমু দেয়,,,,,
আবিরঃ অনেক ভালোবাসি আমি তোমায় অনেক,৷ আমি পারছি না তোমায় ছাড়া থাকতে প্লিজ তিথি কেন এমন করছো একবার আমায় বলো সব ঠিক করর দিবো সব,,,,আমার ভুল থাকলে আমি শুধরে নিবো দরকার হলে তুমি যেমন টা চাইবে সব করবো প্লিজ তিথি সব ভুলে আমার লাইফে এসে যাও প্লিজ তিথি প্লিজ
তিথির হাত ধরে আবির তার সব ফিলিংস এর কথা বলে,,আর এই দিকে তিথি ঘুম আরামে,,,আবিরের চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে,,,,তিথির এমন রুপ যেন সে মেনে নিতে পারছে না আর না তিথুর এমন ব্যবহার,,,,,
আবির তিথির হাতটি ধরে কথা বলতে বলতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে টের ও পায় নাই,,,,
সকালে মামানির ডাক শুনে তিথির ঘুম ভাঙ্গে চোখ মেলে দেখে তার সামনে আবির,৷ আবিরকে দেখে অনেক টা ভয় পেয়ে চিৎকার দেয়,,,
তিথিঃ আয়ায়ায়ায়া
তিথির চিৎকার শুনে আবির লাফ দিয়ে উঠে বলে
আবিরঃ কি কি হয়েছে চিল্লাছো কেন
তিথিঃ আ,,,,আপনি??
আবিরঃ হ্যাঁ আমি তো? এমন ভাবে চিৎকার দিলে মনে হচ্ছে ভুঁত দেখেছো?
তিথিঃ আপনি আমার রুমে কি?
আবির চারপাশে তাকিয়ে দেখে সত্যি তো সে তিথির রুমে,,হঠাৎ মনে পড়ে কাল রাত যে এসেছে এখানে সে ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,,
আবিরঃ আসলে আমি কাল রাতে তোমায় দেখতে এসে যে কখন ঘুমিয়ে গেছি টের পাই নাই সরি
তিথিঃ কিইইইইইই??
তিথি এতো জোরে কি বলে যে আবির তিথির মুখ চেপে ধরে
আবিরঃ ইসসস এতো জোরে কেন কথা বলো,,,কেউ শুনলে লি ভাববে,,,
এই দিকে তিথির চিৎকার শুনে মামানি দরজার সামনে এসে টুকা দিয়ে বলে
মামানিঃ তিথি কি হয়েছে??এই ভাবে চিৎকার কেন দিলি
আবির আর তিথি তাদের চোখ দুটি বড় বড় করে ফেলে,,,আবির তিথির মুখ আরো শক্ত করে চেপে ধরে বলে
আবিরঃ মামানিকে যে কোনো একটা বাহানা করে বলো যে এমনি
তিথি ইশারা দিয়ে জানায় যে তার মুখে তো আবির হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে কি ভাবে বলবে
আবিরঃ অহ সরি
আবির মুখ থেকে হাত সরিয়ে আবার তিথির মুখ চেপে ধরে বলে
আবিরঃ যদি মামানিকে বলো যে আমাকে দেখে চিৎকার দিয়েছো তাহলে কি হবে জানো উনি ভাববে সারারাত তুমি আর আমি এক রুমে মানে অই আর কি,,,
আবির এই সব ইচ্ছে করে বলে যাতে তিথি তার নাম না নেয় মামানির তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ ছি আপনি এমন কেন
আবিরঃ আমি এমন না ম্যাডাম উনি ভাববে এমন তা বলছি
মামানি দরজা বারি দিয়েই যাচ্ছে
মামানিঃ মেয়েটা এমন করে কেন চিৎকার দিলো কিছু হয় নাই তো,, তিতজি অহ তিতজি দরজা খুল কি হয়েছে
আবিরঃ যাও বলো কি হয়েছে
তিথিঃ কিছু না মামানি একটা তেলাপোকা গায়ে উড়ে এসেছে তাই(আবিরের দিকে তাকিয়ে)
মামানিঃ তুই আর তেলাপোকা কে ভয় পাস??দেখি দরজা খুল
তিথিঃ আরে মামানি আমি চেঞ্চ করছি তো তাই পরে খুলছি তুমি যাও
মামানিঃ ঘুম থেকে মাত্র উঠলি আর চেঞ্চ করছিস,,মিথ্যা না বলে তাড়াতাড়ি দরজা খুল,,,
তিথিঃ এখন কি করি
আবিরঃ তুমি দরজা খুলো
তিথিঃ মাথা ঠিক আছে আপনার,, মামানি দেখলে খবর আছে
আবিরঃ আমি ওয়াশরুমে লুকিয়ে থাকবো তুমি দরজা খুলো
তিথিঃ মামানি আমার ওয়াশরুমে প্রতি দিন যায় গরম পানি দিতে
আবিরঃ ওকে ওয়েট আমি বারান্দায় যাচ্ছি তুমি দরজা খুলো ওকে
তিথি দরজার সামনে যায় আবির বারান্দায় গিয়ে লুকিয়ে পড়ে,,,তিথি দরজা খুলে বলে
তিথিঃ আরে মামানি তেলাপোকা উড়ে এসেছে তো তাই আর কি (একটু মিথ্যা হাসি দিয়ে)
মামানিঃ অহ আচ্ছা তাড়াতাড়ি আয় নাস্তা রেডি করে রেখেছি
মামানি যেতে লাগে তখন বারান্দায় নজর যায় মামানি বারান্দার দিকে যায়
তিথিঃ অই দিকে কেন যাচ্ছো?না মানে নাস্তা তাড়াতাড়ি দাও ক্ষেধে লাগছে তো
মামানিঃ সারারাত টিয়া পাখিটা বাহিরে রেখেছিস কেমন আক্কেল তোর দাঁড়া আমি নিয়ে আসি
তিথি ভয়ে শেষ কারণ বারান্দায় তো আবির আছে,,যদি আবিরকে দেখে তাহলে কি না কি ভাববে,,ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,একটু পর চোখ মেলে দেখে মামানি টিয়া পাখিটা রুমে রেখে বলে
মামানিঃ তাড়াতাড়ি আয়
তিথি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,আবির কই গেলো এই ভেবে,, তাড়াতাড়ি বারান্দায় এসে সব দিকে তাকিয়ে দেখে আবির নাই,,,,আবির গেলো কই তা ভাবতে থাকে,,,,,তিথির মাথায় ও ডুকছে না আবির গেলো টা কই,,
মামানিঃ তিথি তাড়াতাড়ি আয়
তিথিঃ আসতেছি মামানি
তিথি রেডি হয়ে নাস্তা করতে বসে,,নাস্তা করতে বসে ও ভাবে আবির গায়েব হলো কি ভাবে,,,
মামানিঃ কিরে নাস্তা না করে কি ভাবছিস এতো হুম
তিথিঃ কই কিছু না তো
মামানিঃ তাহলে খেয়ে নে তাড়াতাড়ি লেট হচ্ছে না তোর
তিথিঃ হুম খাচ্ছি
তাড়াতাড়ি নাস্তা করে তিথি অফিসে চলে যায়,,,,নিজের টেবিলে ব্যাগটা রেখে আবিরের কেবিনে গিয়ে দেখে আবির লেপ্টপে কি যেন কাজ করছে,,আবিরকে দেখে তিথি কিছু টা চমকে যায়,,,
তিথিঃ আপনি কি ভাবে গায়েব হলেন
হঠাৎ তিথির আওয়াজ পেয়ে আবির উপরে তাকিয়ে দেখে তিথি অনেক টা ঘাবড়ে আছে আর ভয়াবহ ও,,,
আবিরঃ টেবিলে পানি আছে আগে খেয়ে নাও
তিথিঃ রাখেন আপনার পানি এখন বলেন আপনি কি ভাবে ওই খান থেকে বের হলেন
লেপ্টপ টা অফ করে মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ যে ভাবে এসেছি সে ভাবে গেছি ব্যস
তিথিঃ সে টা তো জানতে চাইছি কি ভাবে
আবির উঠে তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ মিস বকবক তুমি ভুলে গেলে তোমার বারান্দার উপর আমার বারান্দা ব্যস আর কি রসি দিয়ে নামছি আবার রসি দিয়ে উঠছি
তিথি চেয়ারে ধপ করে নসে পড়ে কপালে হাত
দিয়ে বলে
তিথিঃ ইয়া আল্লাহ এই লোক কি আসলে
আবিরঃ তোমার জন্য সব করতে পারি আমি (মুচকি হেসে)
তিথি উঠে আবিরকে ধমক দিয়ে বলে
তিথিঃ পাগল নাকি আপনি হুম৷
আবির তিথির রাগ আর ধমক শুনে হাসে,,তিথি আবিরের হাসি দেখে আরো রেগে যায়
তিথিঃ হাসি বন্ধ করুন আপনি
আবিরঃ ওকে
তিথিঃ যদি পড়ে যেতেন তখন? এতো ঝুঁকি নিয়ে আসার কি দরকার ছিলো হুম
আবিরঃ তোমাকে দেখার জন্য
তিথিঃ অহ আচ্ছা এই টা তো নাটক ঈহ না না একটা ফিল্ম যেখানে এই সব অনেক টা সহজ তাই না
আবিরঃ তোমার জন্য এই টা কিছু না,,সব করতে পারবো আমি তিথি সব
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে বকবক করে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়,,তার কিছু বলা মানে বেকার এই টা সে জানে,,আবির মুচকি হাসে তিথির এমন রাগ দেখে,,কারণ এই রাগের পিছনে যে ভালোবাসা লুকিয়ে আছে তা বুজতে আর বাকি রইলো না,,,
আবির আর তিথির দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া তো লেগে থাকে সব সময় তা কি আর বলা লাগে,,,দেখতে দেখতে দুই মাস কেটে যায়,,তিথির মনে আলাদা করে আবার আবিরের জন্য কিছু টা ফিলিংস জমা হয়,,আর আবির সে তো তিথিকে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলে,,,,তিথিকে প্রতি রাত দেখতে আসা তিথিকে বিরক্তি করা সব কিছু তো আছেই,,,
আবির দুই দিনের জন্য ঢাকা যায় তার মা অসুস্থ শুনে,,যদিও যেতে চায় নাই তারপর ও গেছে কারণ তার মা অসুস্থ,,
তিথি অফিস ছুটির পরে বাসায় গিয়ে দেখে বাসায় নিরব ও তার বাবা-মা বসে আছে তিথি কিছু বুজে উঠতে পারে নাই,,,মামানি তাড়াতাড়ি তিথিকে নিরবের পাশে বসায়,,,নিরবের মা তিথির হাতে এক জোড়া চুড়ি পড়িয়ে দিয়ে বলে
নিরবের মাঃ আমার নিরবের পছন্দ বেশ তো,,,অনেক সুন্দর লাগছে,,অনেক
সবার কথা আর ভাব দেখে তিথি বুজতে পারে যে নিরব ও তার বিয়ের কথা বলছে,,তিথি উঠে ও যেতে পারছে না,,,কিন্তু মামানির মুখে এতো হাসি দেখে তার ভালোই লাগছে তারপর ও সে কিচেনে যায়
মামানিঃ নিরব অনেক ভালো ছেলে প্লিজ মানা করিস না,,ওর ফ্যামেলি তোকে অনেক পছন্দ করে আর জানিস নিরব তোর মামার জন্য অনেক ভালো একটা ডাক্তার এনেছে উনি বলেছে তোর মামা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে,,, আর নিরব এইও বলেছে যে তোর মামার সব দায়িত্ব সে নিবে তার ফ্যামিলি ও বলেছে,,,
মামানির মুখে এতো হাসি দেখে তিথি মানা ও করতে পারছে না,,তার মধ্যে আবার মামাকে ও সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছে,,,,নিরব অনেক ভালো ছেলে তা তিথি জানে,,কিন্তু সে তো আবিরকে ভালোবাসে,,আবার ভাবে কিসের ভালোবাসা সব তো শেষ এই,,,
মামানিঃ তুই রাজি তো তিথি?
তিথিঃ তুমি আর মামা হেপ্পি?(মুচকি হেসে)
মামানিঃ হ্যাঁ এমন ছেলে কি আর পাবো তুই বল,,দেখ তিথি তুই যফি রাজি থাকিস তাহলে কথা আগে বারাবো না হলে না,,কারণ তোর জীবন তাই
তিথিঃ তুমি আর মামা হেপ্পি থাকলে আমিও হেপ্পি,,আর আমার জীবনে তোমাদের চেয়ে আর কিছু ইম্পর্টেন্ট না,,ওদের বলে দিয়ো যে এই বিয়েতে আমি রাজি,,,,,
চলবে,,,,,,