বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 08
আবির ভাবতে থাকে তিথি চলে গেছে শুনে,,,আবিরের কিছু টা গিলটি ফিল হচ্ছে হয়তো অই দিন সে একটু বেশি বলে ফেলেছে যার কারনে তিথি চলে যায়,,,কেন জানি খারাপ লাগাটা কাজ করছে,,,
এই দিকে আবিরের মা আবিরের উপর কিছু টা না অনেক টা রাগ,,,আবিরের সাথে ঠিক করে কথা বলে না,,,আবির বুজতে পারে কেন তবুও সে তার মাকে কিছু বলে না,,,কিছু ক্ষন একা দাঁড়িয়ে নিচে যায়,,,
আবির ড্রইংরুমে গিয়ে দেখে সবাই কথা বলছে আবির যাওয়াতে মা উঠে যেতে লাগে
আবির মায়ের হাতটি ধরে বলে
আবিরঃ কি ব্যাপার মা তুমি আমার সাথে কথা বলছো না যে?
মাঃ তোর সাথে কথা বলার ইচ্ছে হলে বলবো কিছু লাগলে বলিস,,,
আবির তার মাকে ধরে বসায়,,হাঁটু ভাজ করে মায়ের সামনে বসে হাত দুটো ধরে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কি হয়েছে বলবে?
মাঃ তুই তিথির সাথে যা করেছিস আবার বলছিস কি হইছে?
আবিরঃ উফফ মা অই মেয়ে এখানে আর নাই,,(বিরক্তি ভাব নিয়ে)
মাঃ হ্যাঁ তোর জন্য চলে গেছে,,তুই ওকে হয়তো খাবার টেবিলে যা যা বলেছিস সব শুনেছে সে,,এমন কেন তুই মেয়েটা কত কষ্ট পাইছে,,,
আবিরঃ খারাপ কি বলেছি আমি? মা প্লিজ অই মেয়েকে নিয়ে আর কথা বলিও না তো,,,আস্তা একটা বিরক্তিকর ছিলো
মাঃ চুপ থাক,,,,দোষ তোর ছিলো আর তিথির দোষ দেস তুই আস্তা একটা গরু,,,একটা ছাগল কিভাবে কথা বলতে হয় মেয়েদের সাথে তা জানিস না হু
আবির মায়ের কথা শুনে হতবাক ভাষা গুলো তিথির মত লাগছে তাই,,,।
আবিরঃ গিয়ে শান্তি কই দিচ্ছে তার ভাষা তো শিখিয়ে গেছে,,,,
আবিরের কথা শুনে মা রাগে গাল ফুলিয়ে আছে,,আবির তার মায়ের গাল হাত রেখে বলে
আবিরঃ এমন করলে আমি যাবো কিভাবে লন্ডনে?? কয়েক ঘন্টা পর আমার ফ্লাইট,,,
মাঃ মানে?
আবিরঃ লন্ডন যাচ্ছি আমি,,,আমার কিছু ইম্পর্টেন্ট মিটিং আছে যা শেষ হতে ১০-১৫ দিন লেগে যাবে,,আর একজন এর সাথে দেখা করতে হবে খুব ইম্পর্টেন্ট
মাঃ কে?
আবিরঃ এক ফ্রেন্ড, আর সারপ্রাইজ ও,
মাঃ হুম বুজছি,,হুট করে যাওয়ার প্লেন যে?
আবিরঃ মা মিটিং আছে তাই আর কাজ টা ইম্পর্টেন্ট তো অনেক,,,
মাঃ হুম বুজছি,,,
আবিরঃ আচ্ছা সরি তো মা,,,প্লিজ এইভাবে থাকিও না আমার যাওয়ার সময় প্লিজ মা প্লিজ আমার যাওয়ার সময় এমন ভাবে থাকলে কিভাবে যাবো হ্যাঁ আর কাজ গুলো ও ঠিক ভাবে হবে না,,,
মা আবিরের মাথায় হাত রেখে বলে
মাঃ মায়েরা কখনো তাদের সন্তানদের উপর রেগে থাকে না,,সব সময় দোয়া করে যাতে সুস্থ থাকে ভালো থাকে সুখে থাকে বুজলি,,,
আবিরঃ হুম বুজছি,,কিছু খেতে দিবা আর তুমি খাইয়ে দিবা ওকে,,
মা আবিরের জন্য খাবার আনে আর নিন হাতে খাইয়ে দেয়,,
আবির তার মায়ের সাথে কথা বলছে,,
কয়েক ঘন্টা পর আবির ফ্লাইট হওয়ায় আবির বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে সবাই কে বিদায় জানিয়ে এয়ারপোর্টে আসে,,আমান ও আসে বিদায় জানাতে,,
আবিরঃ ৩-৪ দিনের মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে লোক নিস,,মিটিং শেষ হলে আর অই কাজ হলে এসে যাবো
আমানঃ ওকে যা,,নিজের খেয়াল রাখিস ওকে,,,
আবিরঃ তুইও
আমান চলে যায়,,,,,
আবির লন্ডনে চলে যায়,,
এই দিকে,,
তিথি মন খারাপ করে নিজের রুমে বসে আছে,,,তিথির খাবার নিয়ে আসে মা,,তিথি এমন মন খারাপ দেখে খাবার গুলো টেবিলে রেখে তিথির পাশে বসে,,,,মাথায় হাত রেখে বলে
তিথির মাঃ কি হইছে তিথি কিছু খাস নাই যে,,কত ডেকেছি আসিস নাই পর্যন্ত,,, যখন থেকে এসেছিস চুপচাপ
তিথিঃ মামনি ক্ষেধা নাই তাই,,
তিথির মাঃ তাই বলে কিছু খাবি না?কি হইছে বল,,,
তিথিঃ মামনি এতো কিছু হয়ে গেছে আর কেউ আমাকে কিছু কেন বলো নাই?বাবার এমন অবস্থা বাড়ি ওয়ালা এমন ভাবে এসে জ্বালাছে আর অই গুন্ডা গুলো এসে হুমকি দিচ্ছে কত,
তিথির মাঃ কিভাবে বলতাম তোকে বল?আর তোর বাবা তো তার আদরের মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সব কিছু করতে রাজি,,,ঘর ভাড়া ও দেওয়া হয় নাই তাই ভাড়িওয়ালা বারবার আসে,,, আর তোর বাবার চাকরি পর্যন্ত নাই তাও কেড়ে নিচ্ছে অমানুষ গুলো,,,প্রতি দিন এসে বিরক্তি করে চুপচাপ সহ্য করি,,,টাকা পর্যন্ত নাই হাতে তেমন,,,যা আছে তোর বিয়ের জন্য ব্যাংকে তাও লাক্ষ খানিক,,সংসার কিভাবে চালাচ্ছি তা আমি জানি শুধু
মায়ের কথা গুলো শুনে বুকটা ধুপ করে উঠেছে,,,খুব খারাপ লাগছে তিথির সব কিছু তার জন্য হইছে এই ভেবে,,,
তিথি মাথা নিচু করে আছে,,,
তিথির মাঃ এই সব নিয়ে টেনশন করতে করতে তোর বাবা কেমন হয়েছে দেখেছিস,,,আর সামিরের ও স্কুলের বেতন কোন দিকে যাবো আমি একা মানুষ,,,
তিথিঃ মামনি সব ঠিক হবে দেখিও,,,আমি কিছু একটা করবো দেখিও
তিথির মাঃ আল্লাহ ভরসা,, আল্লাহর উপর সব ছেড়ে দিচ্ছি,,,আচ্ছা আয় খেয়ে নে,,,যা হবে দেখা যাবে দেখি কপালে কি আছে,,,
মা এই সব বলতে বলতে চলে যায়,,,,
মা চলে যাওয়ার পর তিথি ভাবতে থাকে কি করবে,,,কিভাবে সংসারটা আগলে রাখবে,,,বাবা ও অসুস্থ সামিরের স্কুল এর বেতন,,,,মাথা যেন তার পুরো হেং ফোন টা নিয়ে কয়েক জায়গায় কল দেয় জব এর জন্য,সবাই বলে দেখা যাক নিরাশ হয়ে যায় তিথি,,হুট করে মনে পড়ায় তিথির এক ভার্সিটি ফ্রেন্ডকে শেষ মেষ কল দেয়
নিলয়ঃ হ্যাঁ তিথি বল হঠাৎ আমাকে কল কিভাবে
তিথিঃ কেমন আছিস?
নিলয়ঃ ভালোই আছি,,,,তো হঠাৎ খবর নেওয়ার সময় হইছে
তিথিঃ সরি রে,ফ্রি আছিস কথা বলা যাবে?
নিলয়ঃ হ্যাঁ বল আছি,,,
তিথিঃ আসলে কিছু দরকার ছিলো হেল্প করতে পারবি?
নিলয়ঃ কি বল চেস্টা করবো
তিথিঃ আমার একটা জবের খুব দরকার যদি ব্যবস্থা করে দিতে পারতি খুব উপকার হতো
নিলয়ঃ আচ্ছা আমি দেখি কি করা যায়,,,এখন তো অফিসে লোক নিচ্ছে না যদি নেয় আমি জানাবো কেমন,,,
তিথিঃ হুম দেখ
কল টা কেটে দিয়ে বড় শ্বাস ফেলে,,,,বিছানায় ফোন টা রেখে বারান্দায় গিয়ে বসে আর ভাবে কি করবে৷ ভাবতে থাকে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি করা যায়,,
তিথিঃ বাবাকে কিভাবে সাহায্য করবো আচ্ছা কয়েকটা টিউশনি করবো কি?কিন্তু এতে তো আর হবে না বাড়ি ভাড়া পুরো সংসার চলানো,,,আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি৷
টেনশনে যেন ঘুম হচ্ছে না,,সারারাত ভাবতে থাকে আর ঘুম হয় নাই,,,
পরের দিক সকালে ঘুমাচ্ছে তিথি আর মা ও ডাকে নাই জানে সারারাত ঘুমায় নাই টেনশন করে,,,
মা সংসার চালাচ্ছে কোনো ভাবে আর ভাড়িওয়ালা প্রতি দিন এসে নানা রকম কথা বলে যায়,,,মা চুপচাপ শুনে কিন্তু তিথি তো শুনে না উল্টো বলে মারতে যায়,,,
এইভাবে কাটতে থাকে অশান্তিতে দিন তিথি আর তার ফ্যামিলি এর,,,
দুইদিন কেটে যায়,,,
দুপুরে খেয়ে একটু শুয়েছে,,,
নিলয় তিথিকে বিকাল করে কল দেয়,,কল পেয়ে লাফ দিয়ে উঠে ঘুম থেকে,,,ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে
নিলয় বিরক্তি ভাব নিলে ও নরমাল ভাবে কথা বলে যাতে জব টা হয়,,,
তিথিঃ হ্যাঁ বন্ধু বল,,
নিলয়ঃ তিথি আমি অফিসের বসের সাথে কথা বলছি তুই কাল সকালে ৯ টায় আসিস ইন্টারভিউ আছে কাল,,আর হ্যাঁ সব গুলো সারর্টিফিকেট ঠিক করে আনবি,,,আর হ্যাঁ এসে লাফালাফি শুরু করবি না,,
তিথিঃ হু বুজছি,,,
নিলয়ঃ টাইম মত আসিস প্লিজ,,না হলে যাবে জব অনেকে আসবে ওকে,,
তিথিঃ ওহ থ্যাংকস রে,,,আমি তাড়াতাড়ি চলে যাবো দাড়োয়ান যাওয়ার আগে দেখবি আমি হাজির,,
নিলয়ঃ আমার মা এতো ফাস্ট হইস না যা বলি তা কর,,,
তিথিঃ হু বুজছি,,আচ্ছা বাই কাল দেখা হবে,,
তিথি কল কেটে দিয়ে নাচা শুরু করে মনে আনন্দ লাগে যে জব হবে,,,আলমারি গুলো কাপড় বের করতে থাকে,,,
তিথি আজ অনেক খুশি,,ইন্টারভিউ দিবে তার জন্য ড্রেস বের করছে,,,হালকা গোলাপি থ্রি পিছ সাথে মিলিয়ে কানের দুল চুড়ি,,,
মা রুমে এসে এই সব দেখে অবাক
মাঃ কিরে দোকান খুলে বসে আছিস কেন?কই যাবি?
তিথিঃ কাল ইন্টারভিউ আছে মামনি,,,এখন কল আসচগে নিলয় এর,,দোয়া করিও যাতে আমি জব অয়াই
মাঃ অহ আচ্ছা তাই বলে এই ড্রেস পড়ে যাবি মনে হচ্ছে বিয়েতে যাবি,,,
তিথিঃ মামনি সুন্দর করে না গেলে জব কি হবে হুম,,,
মাঃ মাথা ঠিক আছে কিসব বকিস,,
তিথিঃ হু
মা চলে যায় তিথি তার কাজ গুলো করতে ব্যস্ত,,,,তিথি তার ফাইল সব কিছু রেডি করে নেয়,,,
সকালে,,,
তিথি পুরো ফিটফাট ভাবে রেডি,,,মা হা করে তাকিয়ে আছে
মাঃ তুই কি বেড়াতে যাচ্ছিস নাকি ইন্টারভিউ দিতে?
তিথিঃ মামনি সুন্দর করে না গেলে যদি জব না দেয়,,
মাঃ তাই বলে এইভাবে লিপস্টিক টা মুছ পেত্নী লাগে পুরো
তিথিঃ হু,,,
তিথি লিপস্টিক মুছে নাস্তা করে নেয়,,,
বাবাকে সালাম করে মাকে সালাম করে বিদায় নেয়,,,
কিছু ক্ষন পর
অফিসে আসার পর দেখে এক লম্বা সিরিয়াল,,,অনেক মানুষ ইন্টারভিউ দিতে আসছে,,,তিথি তো পুরো হা করে আছে এই ভেবে যে তার জব হবে কি,৷
নিলয়ঃ অই তিথি এসেছিস?
তিথিঃ ভাই রে ভাই কি এইটা?
নিলয়ঃ কি আবার?
তিথিঃ এতো লোক ইন্টারভিউ দিতে আসছে?
নিলয়ঃ হ্যাঁ আসবে না তো,,, নাম করা কোম্পানি
তিথিঃ অহ আচ্ছা আমার জন্য একটা কফি আন,,
নিলয়ঃ ওহ ম্যাডাম আমার কাজ আছে ওকে,,ইন্টারভিউ দিতে এসেছিস বিয়েতে না যে এতো সাজগোজ করেছিস আর চা আনবো কফি আনবো বুজলি,,,
তিথিঃ জীবনে বিয়ে হবে না তোর,,,
নিলয়ঃ সমস্যা নাই তোকে করে নিবো ওকে,,,
তিথিঃ লাথি খাবি যা ফুট,,,
তিথি গিয়ে বসে একটা সিটে,,,ভাবতে থাকে কি করা যায় কিভাবে সব গুলো কে তাড়ানো যায়,,,,কিছু ভেবে বুদ্ধি বের করে
তিথি তার ফোন টা নিয়ে কানে ধরে জোরে জোরে বলে
তিথিঃ হ্যাঁ হ্যাঁ আংকেল আমি এসে গেছি,,,জব তো আগে থেকেই আমাকে দেওয়া হয়েছে তবুও লোক দেখানোর জন্য কয়েকটা ইন্টারভিউ নিয়ে বের করে দিচ্ছে,,,আমি জানি আপনি যেখানে বলেছেন সেখানে আমার কি জব না হতে পারে,,,একের পর এক বের হচ্ছে হাহা
পাশের লোক গুলো তিথির দিকে তাকিয়ে আছে তিথি তাদের দিকে তাকিয়ে উফস সরি বলে কল টা কেটে দেয়,,,ফেক হাসি দিয়ে বলে
তিথিঃ আংকেল মানে এই কম্পানির মালিক আমার আংকেল হয়,,,উনার কোলে কত খেলেছি আমি হিসাব নাই,,,আংকেল ফোন করে বলে দিয়েছে আমি আসবো তাই জব তো রেডি তবুও লোক দেখানোর জন্য একটা দুইটা ইন্টারভিউ নিচ্ছে
তিথি খিলখিল করে হেসে দেয়,,,,আর বাকিরা তো আস্তে আস্তে বলে ওরা আগে থেকে লোক ঠিক করে রেখেছে আবার দেখানোর জন্য ইন্টারভিউ আরো কত কি,,,তিথি শুনে ও না শুনার ভান করে আছে,,,সবাই তো বলে উঠে এখানে থেকে নিজের সময় নষ্ট করার মানে নাই ইন্টারভিউ হলেও লাভ কি জব তো আর হবে না তো চলুন চলে যাই
সবাই চলে যেতে লাগে তিথি পায়ের উপর পা দিয়ে বলে
তিথিঃ টা টা,,,,(সে মজা নিলাম আজ)
তিথি নিজে নিজে হাসে অই সময় একজন লোক এসে বলে
লোকটিঃ সে কি অনেক তো এসেছে সবাই চলে গেছে তাহলে কি ইন্টারভিউ হবে না?
তিথিঃ চোখ কি কানা নাকি বড় পাথর চোখে ফিট করা আমাকে চোখে দেখিস না,,,,
লোকটি রাগী লুকে তাকায় তিথির দিকে
তিথিঃ আরে মামা জাস্ট চিল মারেন মজা করছি একটু হিহি,,,
লোকটিঃ যান স্যার ডাকে
তিথি খুশিতে কেবিনের ভিতরে যায় গিয়ে দেখে একজন লোক বসে আছে অনেক স্মার্ট হ্যান্ডসাম তিথি হা করে তাকিয়ে আছে
আমানঃ এই যে মিস বসুন
তিথিঃ ওহ হ্যাঁ কেমন আছেন?
আমানঃ বেড়াতে এসেছেন???
তিথিঃ মানে?
আমানঃ আপনাকে দেখে তো তাই বুজা যায় যেমন সাজগোজ আবার জিজ্ঞেস করছেন কেমন আছি?
তিথিঃ সাজগোজ মেয়েদের গর্ব,,আর ভদ্রতার খাতিরে কেমন আছেন জিজ্ঞেস করছি
আমানঃ হুম বুজছি ফাইল টা দেন,,,
তিথিঃকিসের ফাইল?
আমানঃ আপনার হাতে যা আছে তা,,
তিথিঃ ওহ হ্যাঁ সরি সরি,,,
তিথি ফাইল টা দিয়ে দেয়,,,আমান ফাইলটা চেক করে কয়েকটা প্রশ্ন করে তিথিকে তিথি সঠিক উত্তর দেয়,,,
আমানঃ কাল থেকে জয়েন করিয়েন,,,
তিথিঃ আরে স্যার আমি তো আজ রেডি হয়ে এসেছি জয়েন করতে
আমানঃ আপনি এতো সিউর যে আপনার জব হবে??
তিথিঃ(যা করেছি না দেখলে বুজতেন কত টা সিউর আমি) না মানে বিশ্বাস ছিলো নিজের উপর আর কি,,,
আমানঃ হুম বুজলাম
তিথিঃ কি?
আমানঃ কিছু না যান
ম্যানেজার যে কল করে আমান ডাকে
আমানঃ উনার টেবিল দেখিয়ে দেন,,,
তিথি ম্যানেজার এর সাথে যায়,,অনেক কাজ করছে টেবিলে কিছু কাগজ আর লেপটপ রাখা,,,তিথি চারপাশ তাকিয়ে ম্যানেজার কে বলে
তিথিঃ আমার কেবিন কই?
ম্যানেজারঃ আপনার কিসের কেবিন?
তিথিঃ আমার জব হয়েছে এই অফিসে আমি জব করবো কত সৌভাগ্যের ব্যাপার এইটা আর আমার কেবিন নাই,,,কত অবিচার এইটা
ম্যানেজারঃ সোজা অফিস থেকে বের করে দিবো আর একটা কথা বললে
তিথিঃ হু সুন্দর করে বুজালে কি হু,,.
ম্যানেজার চলে যায়,,টেবিলে ব্যাগটা জোরে রেখে বসে গালে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ রাতে মনে হয় ম্যানেজার এর বউ তার পাছায় ইচ্ছে মত লাথি দিচ্ছে তাই তো এতো ঘ্যানঘ্যান করে হু,,,আমার মত মোস্ট জিনিয়াস মেয়েকে এই অফিসে জব দিয়ে কত উপকার করেছে তারা নিজেও জানে না হু,,,তিথি কাজে লেগে যা এতো এতে কাজ কর বুদ্ধি দিয়ে যে পুরো অফিসের মানুষ তোর বাহা বাহা করবে,,,
তিথি নিজেকে নিজেই বলে যাচ্ছে,,, এক জন লোক তো বলে উঠে
লোকটিঃ এতো কথা বলেন কেন কাজে ডিস্টার্ব হচ্ছে চুপচাপ কাজ করুন,,,
তিথিঃ হু,,,
তিথির সামনে কিছু পেপার আনা হয় অই গুলো চেক করতে বলে ম্যানেজার,,গাল মুখ ফুলিয়ে পেপার গুলো নেয় তিথি,,আর কাজে লেগে যায়,,,
লন্ডনে,,,
আবির কালো একটা জ্যাকেট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা ব্রিজের নিচে,,,একটা গাড়ি থেকে একটা মেয়ে নেমে আসে আবিরের সামনে এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে বলে
মায়রাঃআই মিস ইউ সো মাচ সুইটহার্ট,,,,,,,রেলি রেলি মিস ইউ
চলবে,,,,,,,,,
(সরি রমজান মাস ব্যস্ততা তো আছেই,,, গল্প ১ দিন পর পর দিবো ঈদের পর রেগুলার ইনশাআল্লাহ)