বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 48
তিথি জানালার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে এইভাবে যে আবিরের সাথে মুহূর্ত গুলো অসাধারণ ছিলো আজ,,,আর পার্টির মজা টা তো আলাদা কিন্তু তিথি আজ ভাবতে ব্যস্ত আবিরের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো যা তিথির মনে গেঁথে গেছে,,,,
ভালোবাসায় আজ রঙিন রয়েছে দুইজন অজান্তেই,,,
বাড়িতে আসার পর সবাই বাড়ির ভিতরে যায় গিয়ে দেখে দাদিমা সোফায় বসে বসে কফি খাচ্ছে,,,সবাই তো দাদিমাকে দেখে অনেক টা ঘাবড়ে যায়,,
দাদিমাঃ কি ব্যাপার সবাই এক সাথে কত থেকে আসলা???
আবিরের মাঃ আসলে আম্মা আমরা অই আর কি
দাদিমাঃ কি আর? কি সব বলছো বউমা?
আবিরের মাঃ না মানে ইয়ে,,,
দাদিমাঃ সবাই এক সাথে বাড়ি থেকে চলে গেলে,,,আর এতো দেরি করে আসলা আবার ইয়ে মানে করছ সরাসরি বলো সবাই মিলে কই গেলা??
আবিরের মা আর বাকিরা ও কিছু টা ভয় পায় তিথিহুট করে মাঝ খান থেকে বলে উঠে
তিথিঃ আসলে দাদিমা হইছে কি জানো?
দাদিমাঃ কি?
তিথিঃ কাল তো তিশা আর আরুর বিয়ে তারা বাহানা করছে একটু সাগর পাড়ে ঘুরতে যাবে,,আরু তো যা কান্না জানো
সবাই তো হতবাক তিথির এমন অভিনয় আর কথা শুনে,,,আরু বেচারি তিথির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে এই ভেবে যে তাকে শেষ মেষ ফাঁসালো,,,
তিথিঃ প্রথমে ভেবেছি আমরা যাই কিন্তু না সে একা যাবে না সবাই কে নিয়ে যাবে,,,জানো আমি তো বলেছি দাদিকে নিয়ে যেতে কিন্তু তোমার এই হিটলার নাতনি(আবির)সে বলে দাদিমার বয়স হইছে সে কি সাগর পাড়ে হাঁটতে পারবে?ঘুমানো উচিত তাকে ঘুমাতে দিয়ে আমরা যাই ব্যস আর কি আমরা চুপচাপ উনার কথা শুনে গেলাম তোমাকে ফেলেই না হলে কিন্তু আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো তোমাকে নিয়ে যাওয়ার,,,,
সবাই তো তিথির এমন মিথ্যা শুনে অবাক,,,
আবিরের দিকে তিথি একটু তাকিয়ে দেখে যে
আবির তিথির দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায় যে এতো বড় মিথ্যা তার নামে,,
আর বাড়ির কেউ কিছু বলছে না কারণ সত্যি বললে আজ যে ক্লাস নিবে,,,দাদিমা কিছু টা অভিমান করে আবিরকে বলে
দাদিমাঃ আজ যদি আমার উনি থাকতো তাহলে আমাকে নিয়ে যেতো হু,,,তুই আমাকে এইভাবে পর করে দিলি আবির
আবিরঃ আমি কি করলাম আবার?
তিথিঃ দেখলা দাদিমা এক তো দোষ করছে উপরে আবার গলা উঁচু করে কথা বলছে,,,
দাদিমা গিয়ে আবিরের কান টেনে বলে
দাদিমাঃ কাল তোর বোনের শুধু বিয়ে হোক পরশু ক্লাস নিমু তোর হুম,,,
আবিরঃ(তিথি তোমাকে আমি ছাড়বো না,,,একবার হাতের কাছে পাই শুধু,,,)সরি দাদিমা আর হবে না সত্যি,,,
দাদিমাঃ হুম হইছে যাও সবাই এখন যার যার রুমে,,,
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে অনেক কিছু বলে,,,তিথি ঠিক বুজতে পারে তার খবর আছে আজ,,,
দাদিমাঃ সবাই যাও রেস্ট নাও কাল সকালে উঠতে হবে,,, কাল বিয়ে ভুলে যাইও না ওকে,,
সবাই যার যার রুমে চলে যায়,,,
শুধু তিথি যায় না রুমের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবে রুমে গেলেই তার খবর আছে আজ,,,কিছু ক্ষন ভেবে সোজা আরিশার রুমে চলে যায়,,,
আরিশা ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তিথি,,,
আরিশাঃ কি ব্যাপার ভাবি তুমি এখানে?
তিথিঃ আসলে হইছে কি আমি না তোমাকে অনেক মিস করছি,,,কাল তো তোমার বিয়ে তারপর তো বরের সাথে থাকবা এই বেচারি মাসুম ভাবিটাকে ভুলেই যাবা,,,
আরিশা ঠিক বুজতে পারে তিথি কেন এসেছে,,,মুচকি হেসে বলে
আরিশাঃ আমার সাথে ঘুমাবে কি আজ?
তিথিঃ তুমি যখন এতো বলছো তাহলে আজ না হয় তোমার সাথেই ঘুমাই,,হিহি
আরিশাঃ ভাবি আমি তো ঘুমাতে বলি নাই জিজ্ঞেস করেছি,,,
তিথিঃ অই যাই হোক একই কথা,,,
আরিশাঃ হুম বুজছি ভাইয়ার ভয়ে রুমে যাচ্ছো না তাই না,,,
তিথিঃ হ্যাঁ গো ননদি,তোমার যে হিটলার ভাই না আজ আমাকে কাঁচা গিলে খাবে,,এক তো পার্টি গন্ডগোল করছি তার উপরে আবার দাদিমায়ের কাছে বকা খাওয়ালাম,,,
আরিশাঃ হাহা আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে আসো অনেক রাত হইছে,,,,
তিথি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এসে আরিশার পাশেই শুয়ে পড়ে আর শুতে না শুতেই সে ঘুমের রাজ্যে চলে যায়,,,
এইদিকে,,,
আবির তো সে কখন থেকে অপেক্ষা করছে তিথির,,,ভাবে আজ তিথিকে একটা উচিত শিক্ষা দিবে,,,কিন্তু তিথি আসছে না কেন এখনও তা ভাবতে থাকে,,,
আবিরঃ এই এলিয়েন টা আবার কই গেলো?? নিশ্চয়ই আমার থেকে বাঁচার জন্য কারো রুমে চলে গেছে আজ,,,
আবির রুম থেকে বের হয়ে তিথিকে খুজে কোথাও না পেয়ে আরিশার রুমে গিয়ে দেখে আরিশাকে জড়িয়ে ধরে তিথি ঘুম,,,এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে যে মনে হচ্ছে আরিশা কোলবালিশ,,,এইভাবে তো তাকে কোলে করে আনা ও যাবে না,,,
আবিরঃ এই মেয়েকে আমি হাতের কাছে পাই একবার সত্যি খবর আছে ফাজিল মেয়ে একটা,,,
আবির প্রচুর রেগে নিজের রুমে এসে যায়,,,সে কখন থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করে কিন্তু কিছু তেই ঘুম আসে না কারণ তার যে অভ্যাস তিথিকে বুকে নিয়ে ঘুমানোর,,,,
আবিরঃ এই ফাজিল মেয়েটা ভালো করে জানে যে তাকে বুকে মা নিয়ে আমি ঘুমাতে পারি না,,,তারপর ও সে কিনা আরুর রুমে ঘুমাচ্ছে আমার ঘুম হারাম করে,,,কাল সত্যি এর শাস্তি পাবে মিসেস তিতা,,,
রাত অনেক হয় কখন যে আবির ঘুমিয়ে পড়ে খবর নাই,,,,,
সকালে,,,
আজ বিয়ে তাই আয়োজন গুলো আরো ধামাকা হচ্ছে,,,সবাই আজ ব্যস্ত কাজে,,আবির ও আজ ব্যস্ত কারণ আজ শুধু তার বোনের বিয়ে নয় বেস্ট ফ্রেন্ডের ও,,,এক সাথে ২ টা বিয়ে মানে প্রচুর চাপ,,
আবির সে সকাল সকাল কাজে লেগে যায়,,খাওয়ার আয়োজন গুলো দেখছে সব ঠিক হচ্ছে কিনা,,আকাশ মেঘ নেহাল আর আবিরের সব বন্ধুরা ও সাহায্য করছে আবিরকে,,,
আমান আর আহাদ আজ ব্যস্ত নিজের বিয়েতে ফুল নিয়ে,,,
আর তিথি সে আরো ব্যস্ত বাড়ির বড়দের সাথে,,,
আরিশা আর তিশা হালকা গোলাপি কালারের শাড়ি পড়ে,,,তারা আজও ফুলের গহনা পড়ে বেশ সুন্দর এই লাগছে তাদের,,,তাদের দুইজন কে এক সাথে বসানো হয়,,,
তিথি প্রথমে তিশার মাথার উপরের পানি ঢেলে দেয়,,,তিথির মাথায় পানি ঢালার পর আরিশার মাথায়,,,
অইখানে শুধু ঘিরে ছিলো মেয়েরা,,,,তাদের দুইজনকে গোসল করানোর পর দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে নেয় তাড়াতাড়ি,,,
পার্লারের মেয়েরা ও চলে আসে ততক্ষনে,,দুইটা বউ আজ তাদের তো সুন্দর করে সাজাতেই হবে,,
সন্ধ্যা হয়ে আসে,,পুরো বাড়ি আলোতে ভরপুর,,,চারপাশে আজ বিয়ের শেনাই বাজছে,, ফুল দিয়ে যেন পুরো বাড়ি টাকে নতুন বউয়ের মত সাজালো,,
এই দিকে
আবির আমানের রুমে সেখানে আহাদ ও আছে, আকাশ মেঘ নেহাল ওরা তিন জন যে কখন থেকে রেডি করাছে তাদের
আবিরঃ উফফফ তাড়াতাড়ি কর তো তোরা আমরা ও রেডি হবো তো,,
আমানঃ বর আমরা ওকে তো টাইম লাগবে,,,
আকাশঃ হ্যাঁ বাসর করতে তো আর লাগবে না,,,
আবিরঃ একটা লাথি মারবো এইসব এখানে বললে,,,
আকাশঃ আরে কেন?
আবির আকাশকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে ঘাড় চেপে ধরে বলে
আবিরঃ আহাদ সম্পর্কে আমার বোনের জামাই তো কথা যা বলবি সাবধানে ওকে,,,
আকাশঃ আচ্ছা তা না হয় বললাম,,এখন বল তোর বাসর কেমন গেছে?
আবিরঃ লাথি খাবি বলছিলাম এখন ভাবতেছি কয়েকটা তোর বেক সাইটে দিয়েই দেই,,,
মেঘঃ এই আবির আকাশ তোরা কি ওদের রেডি করতে এসেছি নাকি নিজেরা গল্প করতে হ্যাঁ??
আবির গিয়েই আমানকে রেডি করে বলে
আবিরঃ আজ আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে ভাবতেই পারছি না এই দিনটি এতো তাড়াতাড়ি আসবে,,,
নেহালঃ হ্যাঁ তোর টাতে তো আর ফান করতে পারি নাই,,,তাই সব কিছু আমানের বিয়েতে করলাম,,,
আকাশ হুট করে নেহালের ঘাড়ে হাত রেখে বলে
আকাশঃ কিরে নেহাল তোর বেহুলার কি খবর?
মেঘঃ বেহুলা কে আবার?
আকাশঃ আমাদের নেহালের ক্রাশ,,
আমানঃ হ্যাঁ কাল থেকে তো দেখি নাই,,
আবিরঃ কার কথা বলছিস তোরা,,,
আকাশঃ আরে মায়রার কথা,,,
আবিরঃ মায়রা আর বেহুলা?কিসব বলিস?
আকাশঃ আরে আবির আমাদের নেহাল অই মায়রাকে পছন্দ করে,,,
আবির কথাটা শুনে কিছু টা শকড তারপর নেহালের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ তুই আসলেই আমার রিয়েল ফ্রেন্ড,,,
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে যে আবির এইভাবে নেহালকে বলছে,,,আমান কিছু টা অভিমানী সুরে বলে
আমানঃ আমরা কি নদীর জলে ভেসে আসলাম নাকি?
আবিরঃ তোরা তো নিজের সেটেল করতে ব্যস্ত হেল্প আর কই করলি এতো বছর,,,যা নেহাল করছে তা তো আর কেউ করিস নাই,,,
নেহালঃ আমি কিভাবে করলাম,,,
আবিরঃ মায়রাকে পছন্দ করে,,, দেখ যত হেল্প লাগে আমি হেল্প করবো দরকার হলে তোদের বিয়ের যত খরচ সব আমার যা,,তবুও প্লিজ ওকে বিয়ে করে আমাদের উদার কর,,
আমান আর আহাদ এই কথা শুনেই থ যে আবির মায়রার থেকে ছুটতে চাইছে,,,সবাই তো রীতিমত শকড খাওয়ার মত আবিরের এমন রুপ থেকে আর নেহাল সে তো আজ মহা খুশি এই ভেবে যে আবির তাকে হেল্প করবে,,
আমানঃ শুধু আবির নয় আমরা সবাই তোর হেল্প করবো মায়রাকে তোর বউ বানাতে,,,
নেহালঃ তোরা আমাকে এতো ভালোবাসি আগে জানতাম না(কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
আমানঃ হারামি তোর জন্য করছি না,,যাতে অই ডাইনি আবিরের ঘাড় থেকে নামে তাই করছি,,,
সবাই হেসে দেয় বেচারা নেহালের মন ভেঙ্গে যায় এই শুনেই,,তবুই বলে উঠে
নেহালঃ যাই হোক না কেন লাভ তো আমার,,,
আকাশঃ হ্যাঁ শাঁতচুন্নি তোর ঘাড় ভাঙ্গবে,,,আহা বাসর রাতে তোর রক্ত গুলো খাচ্ছে তোকে পিছ পিছ করে নদীতে ভাসাচ্ছে দৃশ্য টা অসাধারণ হবে,,,
আবিরঃ একটা থাপ্পড় লাগাবো এইসব ফালতু চিন্তা ভাবনা ওর মাথায় ডুকালে,,,দেখ নেহাল তোকে বেশির ভাগ সবাই বেহাল বলে আর তোর বেহুলা ও এসে গেছে,,এতো বছর পর রিয়েল লাভ পাইলি এতো সহজে হাত ছাড়া না করে মাঠে নাম ভাই,,আমরা সাহায্য করবো,,,
আবির আর বাকিরা সবাই প্লেন করছে কিভাবে মায়রার ঘাড়ে নেহাললে তুলবে,,,
হুট করে রুমে আবিরের বাবা আমানের আর আহাদের বাবা এসে হাজির,,,
আমানের বাবাঃ তোরা কি রেডি??
আবিরঃ না আংকেল বর রা রেডি আমরা না,,,
আবিরের বাবাঃ এখানে আড্ডা না দিয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসেন সবাই
সবাই মুহূর্তে গায়েব,,,সবাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয়,,
আজ আমান আর আহাদ মেহেরুন কালারের সেরোয়ানি পড়ে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে আজ দুইজনকে,,বর হয়ে পুরো রেডি,,,
অইদিকে,,,
আরিশা আর তিশাকে অনেক সুন্দর করে বউ সাজানো হয়,,,দুইজনে আজ সেম লেহেঙ্গা,,,,মেহেরুন কালারের লেহেঙ্গা পড়ে দুইজন গা বিরতি গহনা মাথায় টায়রা,,,ওড়না দেওয়া মাথায় হাত ভরতি চুড়ি,,দুইজনকে আজ অসাধারণ লাগছে বউ সাজে,,,
আবিরের মা রুমে আসে এসে তার মেয়েকে এমন রুপে দেখে যে চোখ ভিজে যায়,,আজ আমার শাশুড়ি আম্মা থুক্কু তিথির শাশুড়ি আম্মাকে যা জোস লাগছে খয়রি শাড়িতে আর সাজে,,,,
আবিরের মা এসে আরিশার দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরের মাঃ আজ আমার ছোট পরীটাকে বউ সাজে যে অনেক সুন্দর লাগছে,,,
আরিশা উঠে তার মাকে জড়িয়ে ধরে,,,
আবিরের মাঃ একদম কাঁদিস না পরে মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবে বুজলি,,,
আরিশাঃ তোমার ও,,,
এই দিকে তিশার মন খারাপ হয়ে যায় এই ভেবে যে আজ যদি তার মা বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো এইভাবে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে বলতো,,,মনটা ছোট করে দাঁড়ায় আর দেখে আহাদের মা এসে তিশাকে জড়িয়ে ধরে বলে
আহাদের মাঃ হয়তো তোর মা না চাচ্চি লাগি কিন্তু আমি যে তোকে নিজের মেয়ের মত ভাবি তিশা,,,
তিশাঃ চাচ্চি,,,,
আহাদের মাঃ অনেক সুখী হও মা,,অনেক কষ্ট পেয়েছিস জীবনে এইবার সুখ পাবি ইনশাআল্লাহ,, আমাদের আমান তোকে অনেক সুখী রাখবে,,,
আবিরের মাঃ হুম আমাদের আমান অনেক ভালো ছেলে,,,
আহাদের মাঃ আর আমি আমাদের আরিশাকে সব সময় নিজের মেয়ের মত রাখবো,,,এক মেয়ে চলে যাচ্ছে আর এক মেয়ে আসছে,,,
এরা তো এদের কথা চালিয়ে যাচ্ছে হুট করে রুমে প্রবেশ করে আমাদের তিথি,,
কালো লেহেঙ্গা হাত ভরতি চুড়ি গা ভরতি গহনা মাথায় টিকলি নাকে নথ,,,সব মিলিয়ে তিথিকে জাস্ট ওয়াও লাগছে আজ,,আবিরের মা তো আজ চোখ এই সরাতে পারছে না,,,
কাছে গিয়ে তিথিকে বলে
আবিরের মাঃ কারো নজর না লাগুক আমার আদরের বউমার উপর,, আজ যে পরীরা ও হার মানবে আমার বউমার কাছে,,,
শাশুড়ির এমন তারিফে অনেক টা লজ্জা পায় তিথি,,
আহাদের মাঃ হ্যাঁ তিথি আজ অনেক সুন্দর লাগছে তোমাকে,,,
আরিশাঃ দেখতে হবে না কার ভাবি,,,
সবাই হেসে উঠে,,,
কিছু সময় পর তিথি আরিশা আর তিশাকে নিয়ে আসে আর স্টেজে বসায়,,ক্যামেরা ম্যান ছবি তুলতে ব্যস্ত আরিশা তিশার,,,
আজ বর পক্ষ আসবে অন্য ভাবে,,,বরদের সাথে তাদের মা বাবা রা ও চলে যায়,,,আর আবির বন্ধু ও কিছু টা যোগ দেয় আবার পরে কনে পক্ষ হবে,,,।
তিথির চোখ আজ কপালে মায়রাকে দেখে,,,
সেকি আজ মায়রা শাড়ি পড়েছে লাল ওমা কি কান্ড কি কান্ড শাড়ি তো পড়েছে কিন্তু স্লেভিলেস ব্লাউজ এর সাথে,,,,হাই হিল ভারি মেকাপ গহনা ও লাগাইছে দেখি,,,
তিথিঃ এমায়া আজ দেখি মিস ডাইরিয়া পুরো ডাইনি থুক্কু পেত্নী রুপে সাজছে,,,এই কি এর সাথে কি পড়ছে,,,আল্লাহ গো তুইলা নাও কি দেখালা এই,,,
মায়রা এমন ভাব নিয়ে হাঁটছে যে মনে হচ্ছে তাকে আজ অনেক বেশি সুন্দর লাগছে কারণ সবাই যে তার দিকে তাকাচ্ছে,,,,
অইদিকে,,,
সব মেয়েরা গেটের কাছে যায় গুল দিয়ে গেট আকড়ে ধরে,,,,
আমান আহাদ ওরা দুইজন গাড়িতে কিন্তু কাহিনী টা উল্টো হলো,,,,,
তিথি আর বাকিরা ও অপেক্ষা করছে বর পক্ষ আসবে গেট ছাড়বে তারা কিন্তু টাকা দেওয়ার পর কিন্তু এখনও কেন আসছে না,,,তাদের সাথে কিন্তু আজ মায়রা রানিও আছে গেট ধরে,,,
হুট করে বাইকের আওয়াজ পায়,,,অনেক গুলা বাইক প্রায় ত্রিশ টার উপরে বাইকের হর্ন বাজিয়ে আসছে,,,,আবির আকাশ মেঘ নেহাল আর আবির আমানের আহাদের অনেক ফ্রেন্ড ও বাইকে,,,তারা হর্ন বাজিয়ে প্রবেশ করে,,সব ঢোলের আওয়াজ অফ শুধু হর্নের আওয়াজ হচ্ছে,,,কিছু বাইক এর মাঝখানে একটা কার যেখানে আমান আর আহাদ বসা,,,
সামনে আবির আকাশ নেহাল আর মেঘ বাইক নিয়ে আছে,তারা হর্ন বাজাচ্ছে আর কয়েকজন এসে বোমা তারাবাতি এইসব জ্বালাচ্ছে,,,
তিথি তো জাস্ট ক্রাশ খায় আবিরের উপর আবির সাদা শার্ট এর উপর কালো কোর্ট পড়ে বেশ লাগছে তাকে,,সব ছেলেরা আজ সেম ড্রেস পড়ে,,,
বরদের এন্ট্রি আর আবিরের এমন বাইকে হর্ন বাজানো যে এতো সুন্দর লাগছে বলার বাহিরে,,,মেয়েরা ফুল ছিটিয়ে দিচ্ছে ছেলেদের উপর,,,
আবিরের মুখে যে হাসি তা জাস্ট ওয়াও,,,আজ কেমন যেন হাসি আবিরের মুখে যা তিথির থেকে এড়িয়ে যায় নাই,,,
হর্ন বাজানো অফ করে,,আবির বাইক থেকে নেমে তার অন্য ফ্রেন্ড কে দেয়,,তারপর সবাই মিলে উড়াধুড়া যা নাচ সাথে বাবারা ও নাচছে,,,নাচ অফ হওয়ার পর আবির গিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে গাড়ি থেকে আহাদকে নামায় বোনের জামাই বলে কথা,,,আবিরের বাবা তিথির বাবা ওরা এসেই আজ আমান আহাদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়,,,
আবিরঃ অই আমান মুখে রুমাল ধর নতুন জামাই তুই,,
আমানঃ ফাজলামি করছিস?
আবির হেসে উঠে ফাজলামি করে এমন বলে,,,
আবির আর বাকিরা গেটের সামনে গিয়ে আটকে যায়,,,কারণ মেয়েরা অইখানে হাজির কেউ ফুল নিয়ে কেউ ফিতা ধরে আবার কেউ কাঁচি নিয়ে,,,
ছেলেরা ফাজলামি করে ভিতরে যাওয়ার অনেক চেস্টা করে কিন্তু পারে না,,, গেট আটকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তিথি আর বাকি মেয়েরা যেভাবে যাবে কি ভাবে আর,,,,,
আবির আজ পুরো গেছে তিথিকে এমন রুপে দেখে,,তবুও নিজেকে আজ সামলিয়ে নেয় অনেক,,,,,
তিথিঃ ভিতরে আসতে হলে টাকা দিতে হবে,,,
আমানঃ এই তিথি কিসের টাকা?
তিথিঃ বা রে গেট ধরার টাকা,,আজ আমি ডাবল পাবো,,এক দেবর আর এক ননদের জামাই,,,
আকাশঃ ভাবি দেবর থেকে তো টাকা আদায় করা যায় না উল্টো দিতে হয় কারণ ভানি যে দেবর এর পক্ষে,,,
তিথিঃ জ্বি না,আজ উল্টো হবে হু,,
মেঘঃ হ্যাঁ তিথি ভাবি থাকলে আর কি,,,
তিথিঃ হু তাড়াতাড়ি ৫০০০০ হাজার টাকা বের করেন,,,
এতো টাকা শুনেই সবাই শকড,,,
আকাশঃ এই যা ভাবি দেঝি ডাকাত থেকে ও বড় ডাকাত,,,
তিথিঃ আমি জানি না ব্যস টাকা দিবেন,,,
আবির মজা করে তিথিকে বলে
আবিরঃ ওকে দিবো কিন্তু গেট ছাড়বে তারপর ওকে,,,
তিথিঃ অই আপনি অই দলে কেন হ্যাঁ? আপনি তো আমাদের দলে থাকার কথা,,,
আমানঃ ভাবি আমার বেস্টু বলে কথা তো এখন আমাদের দলে,,,
আবির সুন্দর করে তিথির সাইটে গিয়ে বলে
আবিরঃ আজ আমার বোনের বিয়ে মানে আমি কনে পক্ষ তাড়াতাড়ি টাকা বের কর,,,
আমানঃ মানে?
আবিরঃ তোদের পক্ষে এখন থাকলে লস আমার বুজলি,,,আর কনে পক্ষে থাকলে আজ লাভ হবে মানে কিছু টা হলে ও ভাগ পাবো,,,
আমানঃ হারামি সুযোগে এইটা করলি,,,
সবাই হেসে উঠে এইটা শুনেই,,,
আকাশ ফাজলামি করে তিথিকে বলে
আকাশঃ ভাবি হাত দেন দিচ্ছি
তিথি হাত বারিয়ে দেয় কি তিথির হাতে ৫ টাকার একটা পয়সা ধরাই দেয়,,এই দেখে তো তিথি ক্ষেপে যায়,,
তিথিঃ সত্যি আজ যেতে দিবো না,,,
আমানের বাবাঃ এই আমান দিয়ে দে ওদের অধিকার এইটা,,,আজকের দিন টা তো ওরাই মজা করবে
আহাদের বাবাঃ হ্যাঁ এইটাই তো আলাদা মজা,,,
আকাশঃ কিন্তু আংকেল এতো টাকা পুরো ডাকাতি করছে ওরা,,,
আমানের বাবা নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে তিথিকে দিয়ে বলে
আমানের বাবাঃ এইটাই তো আসল মজা,,,
মেয়েরা তো যা চিল্লানি টাকা পেয়েই,,,তিথি তো সে খুশি,,
আমান আর আহাদ গেটের ফিতা কেটেই আসে,,তাদের স্টেজে আনা হয়,,তিশার পাশে গিয়ে আমান দাঁড়ায় আর আরিশার পাশে আহাদ,,চারজনকে সেম কালারের ড্রেসে দেখে যা লাগছে,,,
আবির তিথির পাশেই দাঁড়ায় তিথির দিকে একটু ঝুকে বলে
আবিরঃ বাহা আজ আমার বউকে দেখি পুরো পরী লাগছে,,এতো সুন্দর লাগছে যে আমার বউকে যে আমি আজ পুরো ক্রাশিত আমার বউয়ের উপর,,
চলবে,,,,,
Comments