বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 07

তিথি সুইমিং পুলে অলরেডি অনেক টা ভিজেছে যার কারনে সে অর্ধেক ভিজা,,,সাবানের পানিতে পা রাখতে না রাখতে পা পিছলে যায় আর আবিরের গায়ে পড়ে,,আবির ব্যালেন্স করতে একটু পিছনে যায় কিন্তু সাবানের পানির কারনে আবিরের ও পা পিছলে যায় আর আবির তিথি দুইজনে সুইমিং পুলে ধপাস করে পড়ে,,
আবিরের শার্টের কলার আকড়ে ধরে রাখে তিথি,,,আবিরের অনেক টা কাছে তিথি,,,নিশ্বাস যেন বারি হচ্ছে তিথির,,আবির শুধু তাকিয়ে আছে তিথির মুখে,,চোখ বন্ধ করে আছে কপাল কুচকে রেখেছে,,ভয়াবহ চেহারা করে রেখেছে,,আবিরের কাছে একটু মায়া লাগে তিথির এমন চেহারা করায়,,তবুও রাগ উঠে এই অবস্থাটা মনে করেই,,,
আবিরঃ তোমার আসলে সমস্যা কই হ্যাঁ?
তিথি আবিরের কথা শুনে চোখ খুলে,,,
তিথিঃ আমার কিসের সমস্যা হু
আবিরঃ এইটা সুইমিং পুল এখানে নেক্সট টাইম এইসব ফালতু কাজ কারবার করতে আসবে না ওকে,,,
তিথিঃ হু বুজছি,,

আবিরঃ আমার কলার ছাড়ো আর যাও
তিথি আবিরের কলার ছেড়ে দেয় আর কিছু টা পিছনে যায়,,,,আবির ও উঠে যায় কিন্তু তিথি এখনও সুইমিং পুলে
আবিরঃ কি ব্যাপার এখানে থাকার কি প্লেন আছে নাকি,,,
তিথিঃ আমি উঠতে পারছি না কিভাবে উঠে?
আবিরঃ পারবে কত থেকে মাথায় যে গোবর,,,,হাত দাও
আবিত তিথির দিকে হাত বারিয়ে দেয়,,তিথি হাত টা ধরে উপরে উঠতে লাগে সাবানের পানিতে পা আবার পিছলে আবিরের বুকে পরে,,আর আবির নিচে পড়ে যায়,,নিচে পড়ায় আবিরের কোমড়ে প্রচুর ব্যাথা পায়,,,আর তিথি পুরো আবিরের বুকে,,ভিজা চুল গুলো সব আবিরের মুখে,,,,
তিথি হালকা উঠে কিন্তু নিজেকে আবিরের বুকে পেয়ে কিছুটা লজ্জা পায়,,,,আবিরের কাছে এই মুহূর্তটা খুবই বিরক্তিকর আবিরের কাছে এতো টা বিরক্তি লাগছে যে তিথিকে ধাক্কা দিয়ে পাশে পেলে দেয়
আবিরঃ উফফফ কি বারি তুমি,,এতো মোটা আল্লাহ রে
তিথি কিছু টা ভয় আবার রাগী কণ্ঠে বলে
তিথিঃ কি সমস্যা আপনার এইভাবে পেলে দিলেন কেন?
আবিরঃ কি চালের ভাত খাও হ্যাঁ?
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ এতো মোটা আমার কোমড় পর্যন্ত ভেঙ্গে দিলা,,আস্তা একটা চালের ড্রাম উফফ
তিথিঃ কি আপনার লজ্জা করে না একটা মেয়েকে এইভাবে অপমান করতে ছি ছি
আবিরঃ চুপ একদম আর একটা কথা বলবে তো মাথার উপর থেকে আছাড় দিবো ফাজি মেয়ে
তিথিঃ লাল খরগোশ কত থেকে,,,
আবিরঃ আমার রুম থেকে এখন বের হবে তুমি
তিথিঃ কিন্তু আপনি???
আবিরঃ আমি বের হতে বলছি যাও
তিথি ভেঙ্গচি কেটে চলে যায় নিজের রুমে,,,,,এইদিকে আবির অনেক কষ্টে উঠে কোমড়ে প্রচুর ব্যাথা করছে,,ড্রেস চেঞ্চ করে বিছানায় হালকা হেলান দিয়ে শুয়ে পড়ে প্রচুর ব্যাথা করছে আবির তার ফোন টা নেয় কষ্ট করে
আবিরঃ হ্যালো ডাক্তার রেয়াজ আমি আবির বলছি,,
ডাক্তার রেয়াজঃ হ্যাঁ আবির বলো,,
আবিরঃ আমার বাসায় এখন আসুন তো
ডাক্তার রেয়াজঃ এনি প্রবলেম??সবাই ঠিক আছে তো?
আবিরঃ আমার বেক পেইন হচ্ছে প্রচুর আর দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না এতো পেইন প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি আসবেন,,
ডাক্তার রেয়াজঃ ওকে আবির এখনই আসছি,,,
আবির ফোন টা রেখে দেয়,,,প্রচুর ব্যাথা করায় উঠতে পর্যন্ত পারছে না,,,
কিছু ক্ষনে ডাক্তার রেয়াজ আসে ডাক্তার কে দেখে মা কিছু টা হতবাক হয়ে যায়,,,
ডাক্তার রেয়াজঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন,,,
মাঃ ওয়ালাকুম আসসালাম,,,জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো,, তুমি হঠাৎ
ডাক্তার রেয়াজঃ আবির ডেকেছে,,ওর নাকি বেক পেইন প্রচুর হচ্ছে দাঁড়ানো পর্যন্ত কষ্টকর তাই
মাঃ কি আমি তো জানি না,,চলো

আবিরের রুমে যায় ডাক্তার আর মা মিলে,,ডাক্তার আবিরকে দেখে কিছু মেডিসিন দেয়,,
ডাক্তারঃ আবির একবার চেকাপ করালে ভালো হতো
আবিরঃ না না এমন না আসলে হঠাৎ করে ব্যাথা উঠে
ডাক্তারঃ আচ্ছা হঠাৎ করে কিভাবে এমন ব্যাথা পেলে,,
এই দিকে তিথিও আসে,,,আবিরকে অসুস্থ দেখে কিছুটা গভীর ভাব নিয়ে ভাবে তার জন্য না তো,,,তিথিকে দেখে আবির কিছু টা বিরক্তি ভাব নেয়,,,
মাঃ আবির কিভাবে পাইলি কোমড়ে ব্যাথা?
আবিরঃ একটা সাদা কাকের দাদিকে দেখতে গিয়ে পিছলে পড়ে গেছি(তিথির দিকে তাকিয়ে)
ডাক্তারঃ হোয়াট?
আবিরঃ নাথিং,,,
মাঃ পড়ে গিয়ে কি মাথায় ও ব্যাথা পেয়েছিস কিসব বকছিস,,,
তিথি মুখ ভেঙ্গছি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,
আবিরঃ না মা ঠিক আছি,,,
ডাক্তারঃ কয়েক দিন বেড রেস্ট নাও তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ
আবিরঃ থ্যাংকস ডাক্তার
ডাক্তার চলে যায়,,,এই দিকে মা তো খুব চিন্তিত আবিরকে নিয়ে,,
দুইদিন কেটে যায় আবির বেড রেস্ট নিচ্ছে,,,এখন আগে থেকে অনেক টা ভালো আছে,,আবিরের সব খাবার রুমে পাঠানো হয় তিথির সাথে ও তেমন দেখা হয় না,,,
বিকালে,,,,
আজ আবিরের কিছুটা ভালো লাগছে,,,,লেপটপে অফিসের কাজ গুলো সেরে ড্রইংরুমে যায়,,,
আবিরঃ আরু আজ কলেজ থেকে কখন আসলি?
আরিশাঃ এই তো ভাইয়া একটু আগে,,,
আবিরঃ ওহ
আরিশাঃ কেমন লাগছে এখন,,,
আবিরঃ আলহামদুলিল্লাহ আগে থেকে বেটার,,,
আরিশাঃ কিছু খাবে?
আবিরঃ না কিছু না একটা কফি বানিয়ে আন তোর হাতে,,,আর শুন অই মিস বকবক কই,,,
আরিশাঃ মেবি নিজের রুমে,,,আর কি নাম দাও ভাই
আবিরঃ অই মেয়ে আস্তা একটা এলিয়েন ওর থেকে দূরে থাকবি,,,
আরিশাঃ হাহা তুমি ও না ভাই,,,আর যাই বলো তোমাকে ইচ্ছে মত বোকা বানায়,,এমন ভাব নিচ্ছে মনে হইছে যে তোমার বউ আর জানো সে তো বলে তোমার আর তার প্রেম নাকি ৪ বছর
আবিরঃ পাবনার রোগী যে পালিয়ে এসেছে তা খবর দেওয়া উচিত ছিলো পাবনায়,,,,
আরিশাঃ হাহা
আবিরঃ যা কফি নিয়ে আয়,,,
আরিশা কফি বানিয়ে আবিরকে দেয়,,,কফিটা নিয়ে আবির ছাদে উঠে,,,বিকাল টাইম টা সে ছাদে কফি খেয়ে কাটায়,,,এই কয়েকদিন যাওয়া হয় নাই,,,
এই দিকে তিথি ছাদে বসে আছে দোলনায়,,,ছাদটা বেশ সুন্দর চারপাশে অনেক গুলো ফুল গাছ,,,
তিথিঃ আজ এই সুন্দর প্রাকৃতিক দেখে তো আমার গান মনে পড়ছে,,,তিথি রে তিথি তুই এতো জ্ঞানী এতো বুদ্ধিমতি যে বড় বড় জ্ঞানীরা ও জ্ঞান দার চাইবে
নিজের তারিফ নিজে করতে থাকে,,,
আবির ছাদে উঠে দেখে তিথি ছাদে বসে আছে,,পা ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে নিজের তারিফ করছে,,,বিরক্তি ভাব নিয়ে নিচে নামতে যায় তিথির গান শুনে থমকে যায়
তিথিঃ🎵🎶 গোলাপি আকাশ দেখেছি বহুত আজ যে লাগছে সাদা সাদা🎵🎶আমাকে নিয়ে যাবি লাল কাকের বাড়ি সে আজ বর সেজেছে🎶🎙
আবিরঃ হোয়াট রাবিশ??গানের ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দেয় এই মেয়ে,,,এতো বাজে গান আল্লাহ রে রহমত করো
আবির তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ এইটা গান?
আবির কে হুট করে সামনে দেখে তিথি উঠে দাঁড়ায়,,,মুখে এক রাশ হাসি নিয়ে বলে
তিথিঃ আপনার অনেক ভালো লেগেছে তাই না?আচ্ছা দাঁড়ান শুনাই জানেন আমার না অনেক ভালো ভালো গান পারি,,আর আমার গান শুনে তো আমাদের প্রতিবেশিরা রুমে ডুকে যেতো হিহি
আবিরের কাছে এই মুহূর্তে প্রচুর বিরক্তি লাগে,,,,
আবিরঃ চুপ একদম (অনেক জোরে ধমক দিয়ে)
আবিরের ধমক শুনে তিথি ঘাবড়ে যায়,,,প্রচুর ভয় পেয়ে যায়,,,আবির কফির মোগটা ছোট একটা টেবিলে রেখে তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ পাগল তুমি হ্যাঁ? যতসব ফালতু গান গাও,,,আর কি সব গান হ্যাঁ মনে তো হচ্ছে একটা ষাঁড় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে,,,,,আর গলা তো নয় যেন একটা বাঁশ,,,মাইক এর দরকার হয় না এতো বড় গলা আর আওয়াজ তো অই যে কি বলো সাদা কাক তার মত,,,
আবির ইচ্ছে মত কথা শুনিয়ে যাচ্ছে তিথিকে,,তিথির সাথে এতো জোরে কেউ কখনো কথা বলে নাই হুট করে এমন বলায় তিথি কান্না করে দেয়,,,
আবিরঃ আর সমস্যা কি তোমার হ্যাঁ যখন তখন এখানে সেখানে কি জন্য ঘুরে বেড়াও?তোমার বাড়ি এইটা? আশ্রয় কি দিয়েছি মাথায় উঠে যাচ্ছো,,,,তোমার নিজের বাড়ি নাই???

তিথিঃ আপনি আমার অপমান করছেন,,,(কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
আবিরঃ মান অপমান বোদ আপনার আছে ম্যাডাম? আমি তো ভেবেছি সব খেয়ে বসে আছেন,,,
তিথি অশ্রু ভরা নজর নিয়ে আবিরের দিকে তাকায়,,,,
আবিরঃ তোমার জন্য আজ আমার এমন অবস্থা,,,যখন থেকে এই বাসায় এসেছো তখন থেকে কিছু না কিছু করেই যাচ্ছো,,তোমাকে দেখলে পর্যন্ত আমার মাথায় রক্ত উঠে আস্তা একটা ফাজি মেয়ে
তিথি প্রচুর কেঁদে দেয়,,আবির অপমান করে যাচ্ছে তিথির,,,
আবিরঃ কান্না অফ করো,,,এইসব মায়া কান্না দিয়ে আমার ফ্যামিলি কে বোকা বানাতে পারো এই আবির রহমান কে নয়,,,তোমার মত ড্রামাবাজ মেয়ের চোখের পানি ও যে একটা ড্রামা আমার জানা আছে,,,,ফ্রিতে থাকতেছো খাচ্ছো চিন্তা নাই,,,লজ্জা শরম তো একটুও নাই তা জানা হয়ে গেছে যদি একটুও থাকে না তোমার চেহারা টা নেক্সট টাইম আমাকে দেখাবে না,,,,
আবির তিথিকে এইসব বলে নিচে চলে যায়,,,
এই দিকে তিথি হাঁটু ভাজ করে বসে পড়ে,,,আবির তাকে অনেক অপমান করে,,,আবিরের প্রত্যেক কথার জবাব তিথি দিতে পারতো কিন্তু দেয় নাই কারণ তার বাড়িতে সে আছে,,,,কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে
তিথি অনেক ক্ষন ছাদে বসে থাকে,,
রাতের খাবার এর সময় হয়ে যায় সবাই আসে তিথি ছাড়া
মাঃ আজ তিথি কই?
আরিশাঃ জানি না মা বিকাল থেকে দেখি নাই,,
মাঃ সাহেলা তিথি আপ্পামনিকে ডেকে আন,,
সাহেলাঃ জ্বি খালাম্মা ডাকতেছি,,,
সাহেলা তিথির রুমে যায় গিয়ে দেখে তিথি চুপচাপ বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবছে,,,
সাহেলাঃ তিথি আপ্পা মনি আপনারে ডাকে খালাম্মা খাইতে
তিথিঃ যাও আসতেছি
সাহেলা এসে যায়,,,
তিথি সাভাবিক হয়ে নিচে নামে,,,
মাঃ মেয়েটা এখনও আসছে না কেন কে জানে,,
আবিরঃ মা সব সময় তিথি তিথি করিও না তো,,,একটা বাহিরের মেয়ে তার কিছু জানো না মাথায় তুলে রাখছো সবাই,,,আর অই মেয়ের লজ্জা শরম বলতে তো কিছু নাই অন্যের বাড়িতে এতো দিন পরে আছে,,আর রাবিশ টাইপের কথা বার্তা তার,,,
তিথি কথা গুলো শুনে থমকে যায়,,,প্রচুর কান্না আসছে আবিরের এমন কথা শুনে,,আবার উপরে উঠে যায়,,
মাঃ আবির কি সব বলছিস হ্যাঁ তুই এমন কথা বলবি কখনো ভাবি নাই,,,
আবিরঃ মা প্লিজ অই মেয়েকে নিয়ে বেশি করিও না,,,,,আমার বিরক্তি লাগে অই মেয়েকে,,,
মাঃ আবির চুপ থাক,,,তিথি এই সব শুনলে কষ্ট পাবে,,,
আবিরঃ ডোন্ড কেয়ার
মাঃ আবির হয়েছে কি তোর?একটা মানুষকে এইভাবে কথা কবে থেকে বলা শুরু করলি,,,আর তিথি অনেক ভালো মেয়ে
আবিরঃ হুম বুজছি,,,
মাঃ দয়া করে চুপ থাক,,,সাহেলা কি রে ডাকিস নাই
সাহেলাঃ খালাম্মা ডেকেছিলাম আপ্পা মনি তো বলছে আসবে,,,
মাঃ সবাই খেয়ে নাও আমি ওকে ডেকে আনি,,,
মা তিথির রুমে যায় গিয়ে দেখে তিথি শুয়ে আছে,,
মাঃ কি হলো শরীর খারাপ নাকি,,,
তিথিঃ না
মাঃ খেতে আসো নাই যে
তিথিঃ আসলে ক্ষেধা নাই আপনারা খেয়ে নেন,,ক্ষেধা পাইলে আমি গিয়ে খেয়ে নিবো,,,
মাঃ ঠিক আছো তো?
তিথি মুখে হাসি নিয়ে বলে
তিথিঃ হ্যাঁ আমি ঠিক আছি আপনি যান খেয়ে নেন,,,
মা চলে যায়,,,এইদিকে তিথি কান্নায় ভেঙে পড়ে আবির তাকে আজ অনেক অপমান করে,,,তিথি আর কিছু খায় নাই
পরের দিন আবির অফিসে চলে যায়,,,সবাই ব্যস্ত
৪ দিন কেটে যায় এই ৪ দিনে আবিরের সামনে তিথি একবার ও আসে নাই,,একটি বার এর জন্য ও আবির তিথিকে দেখে নাই যদিও খুশি ছিলো কিন্তু একটি বারের জন্য ও না দেখায় আবিরের কাছে একটু আজব লাগে না খাবার টেবিলে আসতো আর না তার আওয়াজ যদিও রুম পাশেই ছিলো তার রুমের কিন্তু কখনো যেতো না,,,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছে হুট করে একটা কাক গাছে বসায় তিথির গানের কথা মনে পড়ে যায়,,অজান্তেই হেসে দেয় গান টা মনে করে
আবিরঃ পাগল মেয়ে টে আসলে,,,হয়তো অইদিন বেশি বকে ফেলছি তাই সামনে আসে না,,,
আরিশা আবিরের রুমে আসে
আরিশাঃ ভাইয়া

আবিরঃ হ্যাঁ বল
আরিশাঃ কাল খালামনিরা আসবে,,, কাল বাসায় থাকতে বলছে আম্মু,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা ওকে
আরিশা চলে যেতে লাগে আবির ডাক দেয়
আবিরঃ আরু শুন,,,
আরিশাঃ হ্যাঁ বলো
আবিরঃ অই মেয়েটা কই দেখি না যে?
আরিশাঃ কোন মেয়ে?
আবিরঃ অই আর কি তিথি মেবি নাম,,,
আরিশাঃ ওহ তিথি আপু?
আবিরঃ হুম সে কই দেখি না যে?
আরিশাঃ কেন তুমি জানো না আপু তো ৪ দিন আগে চলে গেছে,,,,উনার বাসায়
আবিরঃ চলে গেছে মানে?
আরিশাঃ হ্যাঁ আপু আম্মুকে অনেক বুজিয়ে গেছে আম্মু তো নারাজ বলেছে না যেতে কিন্তু আপু চলে যায়,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা,,,ওকে যা তুই
আরিশা চলে যায়,,,
আবির ভাবতে থাকে তিথি চলে গেছে শুনে,,,আবিরের কিছু টা গিলটি ফিল হচ্ছে হয়তো অই দিন সে একটু বেশি বলে ফেলেছে যার কারনে তিথি চলে যায়,,,কেন জানি খারাপ লাগাটা কাজ করছে,,,
চলবে,,,,,,,,,