বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 09
মায়রাঃআই মিস ইউ সো মাচ সুইটহার্ট,,,,,,,রেলি রেলি মিস ইউ
আবির মায়রাকে একটু সরিয়ে বলে
আবিরঃ রাস্তা এইটা,,,
মায়রাঃঅহ হ্যাঁ সরি,
আবিরঃ কেমন আছো?
মায়রাঃ তুমি ছাড়া তোমার মায়রা কি ভালো থাকতে পারে বলো?
আবিরঃ মায়রা প্লিজ একটা মিথ্যা আশা নিয়ে থাকিও না,,, এইসব বললে আমার গিলটি ফিল হয়,,,
মায়রাঃ মানে?
আবিরঃ তুমি ভালো করে জানোই আমি তোমাকে বন্ধু ভাবি শুধু,,,এর চেয়ে বেশি না কিছু না,,অযথা একটা মিথ্যা সম্পর্ক নিজের মধ্যে গড়ে নিয়ে আছো যা আমি একদম পছন্দ করি না,,,
মায়রাঃ সো হোয়াট???
আবিরঃবুজার চেস্টা করো মায়রা,,,
মায়রাঃআবির তুমি ঠিক একদিন আমাকে ভালোবাসবে দেখিও আর অই দিন বেশি নাই,,,যখন আমি তোমার বউ হয়ে যাবো তখন ঠিক বাসবে ওকে,,,
আবিরঃ মিথ্যা আশা দিয়ে কত দিন নিজেকে বুজাবে?আমার কাছে এই সব প্রেম ভালোবাসা সব কিছু ফালতু লাগে,,,আবেগ দিয়ে চলা যায় না মায়রা এইসব জাস্ট কিছু সময় পাড় করার জন্য,,,,আর বিয়ে তাকে করা উচিত যে তোমাকে ভালোবাসবে আর আমি তোমাকে অই নজরে কখনো দেখি নাই,,,
মায়রাঃ আমি তো তোমাকে ভালোবাসি আর কত টা তুমি ভালো করে জানোই,,,এখন ভালোবাসো না কিন্তু পরে বাসবে,,,,আর আমি বিয়ে করলে তোমাকে করবো শুধু ওকে,,,,
আবিরঃ পাগলামি সব সময় নেওয়া যায় না,,,এইসব জাস্ট আবেগ আর কিছু না,,সময় নাও ভাবো
মায়রাঃ ৫ বছর ধরে তোমার বউ হওয়ার স্বপ্ন দেখে এসেছি এখন বলছো সময় নিতে??সরি আবির আমি ভেবে ফেলেছি আর যা ভাবি তাই শেষ
আবিরঃ পরে কষ্ট পাবে বুজো না কেন?
মায়রাঃ উফফ চুপ থাকো আমার খুব ক্ষিধে পেয়েছে চলো কিছু খেয়ে নেই,,,
মায়রা কথা ঘুরানোর জন্য খাওয়ার কথা বলে,,,
আবিরঃ ওকে,,,
আবির আর মায়রা একটা রেস্টুরেন্টে যায়,,কিছু ক্ষন বসে খাবার অর্ডার করে মায়রা আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির অন্য দিকে তাকিয়ে আছে হুট করে আবিরের হাত ধরে বলে
মায়রাঃ আমার মধ্যে কি নাই আবির যার জন্য তুমি আমাকে ভালোবাসো না?রুপ আছে টাকা আছে সব আছে আমার,,,কি নেই বলো
আবিরঃ মায়রা রুপ টাকা গুন এই সব দিয়ে কি ভালোবাসা হয়??শুনো আবেগ দিয়ে এই আবির রহমান চলে না,,,আর এই সব ফিলিংস এর জন্য আমার মনে জায়গা ও নাই,,,যদিও আমাকে বিয়ে করো তাহলে কখনো খুশি থাকতে পারবে না,,,ভালোর জন্য বলছি বুজো প্লিজ
মায়রাঃ তা পরে দেখা যাবে,,কিন্তু বিয়ে করলে শুধু তোমাকে,,,আমার মনে শুধু একজন যা আবির রহমান আর তোমার মনে শুধু আমি অন্য কেউ কখনো আসবে না,,,
আবিরঃ মায়রা কথা শুনো আমার আগে
আবিরকে বলতে না দিয়ে বলে
মায়রাঃ বাদ দাও যা হবে পরে এখন বলো আরু, দাদিমা আন্টি আংকেল ওরা কেমন আছে?
আবিরঃ হুম ভালো আছে সবাই,,,,,
মায়রাঃ আর আমান?
আবিরঃ হুম ভালো আছে,,,,আচ্ছা শুনো আমার কিছু মিটিং আছে তো দেখা করতে পারবো না কয়েক দিন কিন্তু হ্যাঁ এক সপ্তাহ পর আমি কিছু টা ফ্রি অই সময় তোমার বাড়িতে যাওয়ার চেস্টা করবো ওকে,,,
মায়রাঃওহ আবির আমি জানি তুমি আমাকে কত মিস করো,,,
মায়রা আবির এমনি কথা বলতে থাকে,,অই সময় খাবার ও এসে যায় মায়রা খাচ্ছে আর বলছে
মায়রাঃ আমার এক্সম আছে কয়েক মাস পর যা শেষ হলেই আমি বাংলাদেশ যাবো তোমার কাছে তখন পাপ্পা বলেছে আমার আর তোমার বিয়ের কথা বলবে,,,
আবিরঃ আমি এখন বিয়ের জন্য রেডি না,,,আরু আমার জন্য অনেক ইম্পর্টেন্ট তা জানোই আমার বোনকে বিয়ে দিয়ে তারপর আমি ভাববো,,,আর আমার ব্যবসায় এখন মনোযোগ দেওয়া উচিত এইসব বিয়ে টিয়ে ভাবার সময় নাই,,,
মায়রাঃ আরুর বিয়ে কবে?
আবিরঃ ওর এক্সম শেষ হলেই,,আর আমি এখন বিয়ে এইসব নিয়ে ভাবতে চাই না সো প্লিজ বাদ দাও এখন
মায়রাঃ ওকে বেবী যেমন তুমি চাও,,,
আবির আর মায়রা গল্প করতে থাকে,,,আবিরের কাছে মায়রার এইসব পাগলামি বিয়ের জন্য বিরক্তি লাগছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না,,চুপচাপ খাচ্ছে আর মায়রা কথা বলেই যাচ্ছে,,,,
এই দিকে,,
বাংলাদেশে,,,,
তিথি কলম মুখে দিয়ে গালে হাত দিয়ে ভাবছে,,,ম্যানেজার এর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবছে,৷
তিথিঃ এই ম্যানেজার খায় কি??এতো মোটা পেট দেখে তো মনে হয় ২-৩ টা বাচ্চা তার পেটেই,,,আস্তা কালা হাতি সব সময় পেপার ক্ত গুলো এনে দিয়ে বলে এইটা কপি করে আনো এইটা চেক দাও এই সেই হু,,,
আমান তার কেবিন থেকে বের হয়ে দেখে তিথি তার টেবিলে কাজ না করে কলম মুখে দিয়ে গালে হাত দিয়ে কি ভাবছে,,,তিথির টেবিলের পাশে গিয়ে তিথিকে জিজ্ঞেস করে
আমানঃ কি ভাবছেন???
তিথিঃ ভাবছি এই ম্যানেজার খায় কি যে এতো পেটু(আনমনে)মনে হয় সারাদেশের খাবার সে একা খায় যা পেট আর মুখ তো একটা আছে সারাক্ষণ ঘ্যানঘ্যান করার জন্য,,,,
আমানঃ অহ আচ্ছা,,,
তিথিঃ আমার না একটা গান মনে আসছে,,,ইচ্ছে করছে চিৎকার করে গেয়ে গেয়ে নাচি কিন্তু অফিস তো তাই এমন করবো না আমি আবার অনেক ভদ্র হু,,,
আমানঃ ওহ তাই,,কি গান শুনি,,,
তিথি গলাটা একটু ঠিক করে বলে
তিথিঃ🎵🎼তুমি এতো মোটা এতো মোটা কি চালের ভাত তুমি খাও তুমি মোটা🎼🎵
আমান তিথির গান শুনেই হেসে দেয়,,,হুট করে হাসির আওয়াজ পেয়ে তিথির হুশ আসে যে সে কি করছে,,ঘাড় টা একটু ফিরিয়ে দেখে আমান,,,তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়
তিথিঃ স,,,সরি স্যার
আমানঃ কই থেকে শিখলেন এই গান?
তিথিঃ আ,,,মি স্যার আ,,সলে অই,,আর কি
আমানঃ ইটস ওকে মিস তিথি,,,ভয় পাওয়ার কিছু নাই,,,
তিথিঃ ওহ তাই আপনি অনেক ভালো (হাই ফাইভ দেওয়ার জন্য হাত তুলে)
তিথির কান্ড দেখে আমান ভ্রু কুচকে তিথির দিকে তাকায়,,তিথি ফেক হাসি দিয়ে বলে
তিথিঃহিহি সরি
আমানঃ ফাইল গুলো দেখা শেষ,,,
তিথিঃ জ্বি
তিথি কলম টা মুখে ধরে পেপার গুলো ফাইলে রাখে,,,আমান তিথির কান্ড দেখছে একটা একটা পেপার গুলো ফাইলে রাখছে আমান তিথির এমন কান্ড দেখে হাসছে,,
তিথিঃ আপনি হাসছেন কেন স্যার?
আমানঃ কিছু না এমনি,,,আচ্ছা আমার কেবিনে নিয়ে আসুন,,,আপনার ব্যস্ততা অনেক আর হ্যাঁ তাড়াহুড়ো কাজ কিন্তু শয়তানের মনে রাখিয়েন,,,,,
তিথিঃ হেএএএ,,,,,
আমান চলে যায় তিথি হা করে তাকিয়ে আছে,,,, আবার ফাইল গুলো ঠিক করতে ব্যস্ত,,,,
তিথি আমানের সাথে অনেক টা ফ্রি হয়,,আমান ও তিথিকে বন্ধুর মত ট্রিট করে,,সব সময় তিথিকে সাহায্য করবে কিছু না বুজলে, আর তিথি তো তার বকা গুলো ইচ্ছে মত শুনায় আমানকে অন্যের উপর ঝেড়ে যা আমান প্রচুর ইনজয় করে,,,,
তিথি তার পাগলামি গুলো তো করেই যা আমানের কাছে ভালো লাগতে শুরু করে আসতে আসতে৷,,,,
এইভাবে কেটে যায় পুরো ২৫ দিন,,,,
এই ২৫ দিনে আমান তিথি অনেক ভালো বন্ধু হয়ে যায়,,,
আবির রাতে লন্ডন থেকে বেক করে এসেই যে ঘুম দিয়েছে যে কারো সাথে দেখা করে নাই,,,
সকাল ৮ টা বাজে এর্লাম এর শব্দ শুনে উঠে বসে,,,,ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখে সবাই নাস্তা করতে বসেছে,,
আবিরঃ গুড মির্নিং
বাবাঃ গুড মর্নিং,,,,রাতে ফিরলে নাকি?
আবিরঃ হুম লেট হয়ে গেছে তাই আর কারো সাথে দেখা করি নাই,,,
বাবাঃ ভালো করেছিস,,,তো মিটিং গুলো কেমন হইছে,,
আবিরঃ হুম গুড,
মাঃ এই কয়দিনে কেমন শুকিয়ে গেছিস,,,(আবিরকে নাস্তা দিয়ে)
আবিরঃ আচ্ছা আমাকে একটা কফি দাও আমি অফিসে যাবো,,,
মাঃ মাত্র তো আসলি কাল আজ আবার অফিস?
আবিরঃ মা অফিসের কি অবস্থা কে জানে?আমান একা অফিস দেখছে আমাকে যেতে হবে আর আজ এমনি একটা মিটিং আছে যা আমাকে জয়েন করতেই হবে,,,,
আরিশাঃ ভাই আমান কে বাসায় আসতে কেন বলোনা??
মাঃ আমানের নাম ধরে কেন বলিস তোর ভাইয়ের সমান ভাই ডাক,,,
আরিশাঃ(জামাই কে ভাই কেমনে ডাকবো মা) না মানে ভুলে সরি,,,
আবিরঃ হুম দেখি। আচ্ছা আমার রুমে কফিটা পাঠাই দাও আমি রেডি হয়ে নেই,,,
এই দিকে আরিশা নিজের রুমে চলে যায় নাস্তা করেই,,দরজা লাগিয়ে এলবাম বের করে যেখানে সব আমানের ছবি,,,ছোট থেকে আমানকে পছন্দ করে আরিশা শুধু পছন্দ নয় ধরতে গেলে ভালোবাসে,,,কিন্তু সাহস করে শুধু বলা হয় নাই,,,
এই দিকে আবির রেডি হয়ে নেয় অফিস এর জন্য,,,,
আর তিথি,,,,,
তিথি একটা কালো থ্রি পিছ পড়ে সাথে হিজাব,,,তাকে হিজাবে বেশ মানায়,,,হালকা গোলাপি লিপস্টিক দেয় সামনে একটা বাঁকা দাঁত থাকায় তিথিকে হাসলে বেশ সুন্দর লাগে আরো,,,,
সামিরঃ আপু আজ আবার সাজ?
তিথিঃ হুম তোর জন্য বউ আনতে যাচ্ছি,,,
সামিরঃ আগে নিজের জন্য জামাই খুজ,,,বুড়ি হয়ে গেছিস একটা দোলাভাই দিতে পারিস না আমাকে
তিথিঃ এমন চড় দিমু না যে দোলাভাই তো দূরে থাক নিজের বউকে ও ভুলে যাবি,,,,
সামিরঃ দেখতে তো মহিষ হয়েছিস আস্তা তোর কপালে আবার বর জুটবে,,
তিথিঃকিইইইই আমি মহিষ দুই ফুট এক ইঞ্চি এমন চড় দিমু না পুরো গাছের সাথে মিশে যাবি,,,
মা এসে দেখে ভাই বোন ঝগড়া করছে,,,
মাঃ তোরা আবার শুরু,,,উফফফ আল্লাহ দুইটা হইছে এক একটা বজ্জাত এর হাড্ডি জ্বালিয়ে খায় আমাকে
সামিরঃ কেন তুমি কি বার্গার নাকি? জ্বালিয়ে খাবো?
তিথিঃ মা আমরা জ্বালিয়ে খাই???এমন কইতে পারলে আমাদের মত মাসুম দুইটা বাচ্চা পেয়ে খুশি হবা তা না উল্টো হু(সামিরের মুখটা ধরে)
মাঃ হুম হইছে এখন যা অফিসে,,,,দেরি হচ্ছে না তোর,,,
তিথিঃ তোমরা মা ছেলে মিলে আমার দেরি করাও সব সময় দূর যাই বাই বাই,,,
তিথি তাড়াতাড়ি বের হয়,,,একটা সিএনজি পাচ্ছে না খুব রাগ লাগছে তার,,,,
আবির ড্রাইভ করছে আর ফোন টা নিয়ে কল দিতে যাবে হুট করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা মেয়ের উপর ,,,গাড়ি থামিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে পরিচিত লাগছে আবার ভাবে কই দেখেছে,,,,
তিথি তার ঘড়িটা পড়ছে আর নিজে নিজে বকবক করছে,,
তিথিঃ জীবনে মানুষ হবি না তিথি বাসা থেকে ঘড়ি টা ও পড়ে আসতে পারলি না,,,আর এই সিএনজি ড্রাইভার গুলো কি মরে গেছে নাকি,,,,নাকি বউয়ের সাথে হানিমুনে গেছে দূর,,,
আবির চলে যেতে লাগে তখন মনে পড়ে এই তো তিথি,,তিথির সাথে খুব বাজে ব্যবহার করায় নিজের কাছেই লজ্জিত
আবিরঃ ওই দিন এমন ব্যবহার করা উচিত হয় নাই,,,একবার কি গিয়ে সরি বলে আসবো কিন্তু যে মেয়ে যদি কিছু বলে
আবির ভাবতে থাকে কি করবে শেষ মেষ না ভেবে গাড়ি থেকে নেমে তিথির সামনে যায়,,,
তিথি আবিরকে দেখে চমকে যায়,,,,আবির তিথির সামনে গিয়ে বলে
আবিরঃ কেমন আছো?
আবির হুট করে এইভাবে সামনে আসায় তিথি কিছু টা চমকে যায় তবুও সাভাবিক হয়ে বলে,,,,
তিথিঃ ওহ মিস্টার সাদা ইঁদুর যে,,,কেমন আছেন জিজ্ঞেস করতে এসেছেন নাকি অপমান করা কম হয়ে গেছে তা আবার করতে এসেছেন,,,নাকি আপনার বাসায় কত দিন খেয়েছি তার হিসাব নিতে?
আবিরঃ হোয়াট??আমি ভালো কথা বলছি আর তুমি কিনা,৷
তিথিঃ ওহ ভুতের মুখে রাম রাম,,
আবিরঃ মানে?
তিথিঃ কেন মানে বুজেন না?মানে হলো আপনি আর ভালো কথা,,,আপনি তো পারেন মানুষকে অপমান করতে,আপনার মনটা ছোট তা তো জানতাম কিন্তু প্রমাণ ও করে দিলেন অই দিন,,,
আবিরঃ লিমিট রেখে কথা বলো তিথি,,,আমি কি বলতে এসেছি তা শুনো আগে,,,,
তিথিঃ ওহ হ্যাঁ তোকে লিমিট দেখিয়ে কথা বলার গুষ্টি কিল্লাই আমি,,, তোর মত হলুদ ইঁদুরকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে এই তিথি কখনো না ওকে,,,সুন্দর করে ভালো মানুষের সাথে বলে তোর মত পঁচা বাসি ইঁদুর এর সাথে না
তিথি আবিরকে অনেক শুনায় আবিরের রাগ লাগছে,,,,
তিথিঃ দেখতে তো ভদ্র ভেবেছিলাম কিন্তু এতো টা নিচ মনের ভাবি নাই,,,
কথাটা বলার বাকি আবিরের রাগ দেখানোর বাকি নাই,,,আবির রাগে তিথির হাতটা চেপে ধরে গাড়ির সাথে জোরে চেপে ধরে,,,
তিথিঃ কি করছেন কি?হাত ছাড়ুন রাস্তার মধ্যে এইভাবে হাত ধরার কিসব অভদ্রতা?
আবিরঃ ভদ্রতা তো নাকি আমার নাই তো এমন অভদ্রতা ছাড়া আর কি হবে,,,কি বলেছিলে আমি নিচু মনের মানুষ ওহ রেলি???
তিথি হাত টা ছাড়ার খুব চেস্টা করে আবির খুব শক্ত করে ধরে রেখেছে,,রাস্তায় তেমন একটা কেউ নাই একটা দুইটা গাড়ি ছাড়া,,,,
আবিরঃ সাহস হয় কি করে আমার সাথে এইভাবে গলা উঁচু করে কথা বলার,,,আমাকে যা তা বলার সাহস পাও কই তুমি
তিথির খুব রেগে যায়,,,জোরে আবিরকে ধাক্কা দেয়,,,,আবির আবার তিথির দিকে আসাতে তিথি আবিরকে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দেয় গালে,,রাস্তায় কয়েকজন মানুষ ছিলো অই সময় তারা থমকে যায় সবাই এগিয়ে আসে কি হয়েছে ব্যাপারটা বুজতে,৷
এইভাবে সবার সামনে চড় মারায় আবির খুব রেগে যায়,,চোখ দুটো লাল হয়ে যায়,,,তিথিকে কিছু বলতে যাবে পাবলিক এক হয়
এক লোকঃ কি হয়েছে সমস্যা নাকি আপু?
তিথি রাগে অই খান থেকে চলে যায়,,,লোক কয়েকটা আবিরকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যায় আবির তিথির রাগ অই লোক গুলোর উপর উড়ায়,,,,ধমক দিয়ে অইখান থেকে এসে যায়,,,
পুরো রাস্তায় আবিরের কানে থাপ্পড় এর আওয়াজ আসে,,,রাগে যেন শেষ তিথিকে পারছে না কাঁচা গিলে খেতে,,গাড়ি সাইট করে এক জায়গায় দাঁড়ায় আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে থাকে,,
আবিরঃ একবার সামনে পাই থাপ্পড় এর বদলে যদি থাপ্পড় না দেই আমিও আবির রহমান না,,
এই দিকে তিথি খুব রাগে হনহন করে অফিসে এসে নিজের টেবিলে বসে,,,আমান খেয়াল করে তিথি কিছু টা রেগে আছে তাই তিথির পাশে এসে দাঁড়ায়
আমানঃ আজ মহারানি এতো রেগে আছে ব্যাপার কি?
তিথিঃ কিছু না বাদ দেন স্যার
আমানঃ আবার স্যার? তিথি কি বলছিলাম?
তিথিঃ অহ সরি আমান,,,আচ্ছা পরে কথা বলি একটা হলুদ ইঁদুর এর জন্য মাথা খুব গরম হয়ে আছে,,,
আমানঃ আচ্ছা তাই?একটু রেস্ট নাও আর ১০ মিনিট পর আমার কেবিনে আসিও
আমান চলে যায়,, তিথি নিজের রাগ কন্ট্রোল করে নেয়,,,মুখে হাসি নিয়ে আমানের কেবিনে যায় অনেক পরে,,,
তিথিঃ আসবো?
আমানঃ হুম আসো
তিথিঃ ডেকেছিলে যে?
আমানঃ এই ফাইলটা দেখে তাড়াতাড়ি দিও আজ মিটিং আছে আর আজ তোমাদের আসল বস আসবে,,,
তিথিঃ আসল বস মানে?
আমানঃ হাহা তুমি জানো না?
তিথিঃ কি?
আমানঃ এই অফিসের আসল বস আমি না,,,
আমান কিছু বলতে যাবে আমানের ফোন কল আসে তাই আমান কল টা ধরার আগে তিথিকে বলে
আমানঃএকটু পরে আসবে তখন দেখে নিও,,যাও ফাইলটা চেক করে নাও,,,
আমান ফোনে কথা বলতে লাগে আবার কল টা কেটে তিথিকে ডাক দেয়,,
আমানঃ তিথি,,,
তিথিঃ হ্যাঁ
আমানঃ আজ খুব সুন্দর লাগছে এই ড্রেসে,
তিথিঃ শুকরিয়া
তিথি এই বলে চলে যায়,,আমান মুচকি হাসতে থাকে,,,
প্রায় ২ ঘন্টা পর অফিসে আবির আসে,,,সবাই আবিরকে দেখে দাঁড়িয়ে যায় আর সালাম দেয়,,,তিথি সবাই কে দাঁড়াতে দেখে নিজে ও দাঁড়ায় কিন্তু বসের চেহারা দেখছে না কে,,,,
তিথিঃ নিলয় অফিসের নতুন বস নাকি?
নিলয়ঃ হুম উনি তো অফিসের বস কিন্তু নতুন না এই কোম্পানি তো উনার একার,,আমান স্যার তো এখানে দেখা শুনা করে এমনি,,,আর স্যার যা রাগী একটু উনিশ বিশ হলে উড়াই নেয় কিন্তু শান্ত শুধু আমান স্যার করতে পারে,,,
তিথিঃ এমন লাকসাহেব আবার কে?
আবিরকে অফিসের কয়েকজন ফুল দেয় তা না নিয়ে হাঁটা শুরু করে,,সবার দিকে রাগী লুকে তাকানোর সাথে সাথে সবাই মাথা নিচু করে ফেলে,,,আবির নিজের কেবিনের দিকে যেতে লাগে নজর পড়ে তিথির দিকে,,
তিথি আবিরকে দেখে ৪৪০ এর শকড খায়,,,ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়,,আবির তিথিকে দেখে থাপ্পড় এর কথা মনে পড়ে রাগ যেন হাজার গুণ এইবার বেড়ে যায়,,,,
চলবে,,,,,,,,,