বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 15
আবির কিছু না বলেই তিথিকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে,,,আবিরের এমন অবস্থা দেখে যেন তিথির একদম ভালো লাগছে না,,,
আবির তিথিকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,তিথি আবিরকে শান্তনা দেয়
তিথিঃ স্যার সব ঠিক হবে প্লিজ নিজেকে সামলান প্লিজ স্যার
আবির নিজেকে কিছুটা সাভাবিক করে,,তিথি আবিরের চোখের পানি মুছে দেয়,,তিথির কাছে আবিরের চোখের পানি যেন অনেক টা কষ্টের,,,
আবিরের ফোনে কল আসে
মাঃ আবির আরুর জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু সে পাগলামি করছে তাড়াতাড়ি আয়,,
আবির কল কেটেই উঠে দাঁড়ায় আর চলে যেতে লাগে আবার তিথির দিকে তাকায়
তিথিঃ সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ,,,আপনার উপর পুরো বিশ্বাস আছে যে আপনি সব ঠিক করে দিবেন,,
আবিরঃ হুম সব কিছু আমাকে ঠিক করতে হবে,,তুমি ঘরে চলে যাও আর তিথি
তিথিঃ জ্বি বলুন
আবিরঃ আমি জানি না আমার কি হয়েছে আমি হঠাৎ করে তোমায় জড়িয়ে ধরেছি সরি আসলে আমি নিজের মাঝে ছিলাম না
তিথিঃ ইটস ওকে স্যার আমি জানি আপনি যান হয়তো আপনার খুব প্রয়োজন
আবির চলে যায় তিথি নিজের রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে কি করবে আসলে আবির এমন করবে সে ভাবতে ও পারে নাই,,,আবিরের চোখে পানি তিথির কাছে যেন স্বপ্ন এর মত,,,আবির আর কান্না এই টা কিভাবে সম্ভব তা ভেবে পাচ্ছে না তিথি,,,বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে
তিথিঃ কেন উনার চোখের পানি আজ আমাকে কষ্ট দিয়েছে?উনার সাথে এমন কি হলো যে এইভাবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে,,,আচ্ছা উনি ঠিক আছে তো একটা কল কি দিবো???
তিথি অনেক ভাবতে থাকে কি করবে ফোন টা নিয়ে আবিরের নাম্বারে কল দেয় কিন্তু রিং পড়ছে তুলছে না কল,,,খুব টেনশন হচ্ছে তিথির আবিরের জন্য আবির ঠিক আছে কি না এই ভাবছে,,,
পরের দিন সকালে
আরিশা আগে থেকে সুস্থ আছে আমানের ফ্যামিলি ও আসে কেউ কিছু জানে না,,আবির আমানের সাথে কথা বলে সব ক্লিয়ার করবে তাই আমানের সাথে দেখা করতে যায়,,,
এই দিকে তিথি অফিসে এসে অনেক খুজে আবিরকে কিন্তু কোথাও আবিরকে পায় না,,কেন জানি নিজের মধ্যে আজ শূন্যতা ভাব হচ্ছে,,,আবিরকে এক নজর দেখার জন্য কেন জানি আজ তিথির মন টা খুব চটপট করছে,,,দুইদিন ধরে আবির অফিসে আসে নাই আর না আমান তিথির মনে অনেক টা ভয় ঢুকে যায় কত কল দিয়েছে আবিরকে কিন্তু আবির ধরে নাই,,,এই দুইদিনে তিথির মনে কেন জানি একটা আহাকার জন্ম নিয়েছে,,আবিরের প্রতি সে আসলে কিছু টা না অনেক টা দূর্বল এইটা বুজতে পেরেছে,,,কেন জানি আবিরকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে তার,,,
অফিসে এসেই মেনেজার এর কাছে যায়,,আর যে পারছে না চুপচাপ থাকতে আবিরের একটা না একটা খুজ যে জানার খুব ইচ্ছে করছে তার,,
তিথিঃ মেনেজার স্যার একটা কথা ছিলো
মেনেজারঃ কি?
তিথিঃ আবির স্যার এর কোনো খবর জানেন?
মেনেজারঃ স্যার এর আবার কি হলো?
তিথিঃ না মানে উনি এখনও অফিসে আসে নাই তাই,,,
মেনেজারঃ উনার ইচ্ছে যখন ইচ্ছে আসবে আপনি আপনার কাজ করুন তো সব সময় বাইকা প্যাচাল করবে
তিথি চুপচাপ নিজের টেবিলের কাছে চলে যায়,,,
তিথি আজ মেনেজার এর কোনো কথার উত্তর দিচ্ছে না তার মনে কেন জানি ভয় করছে আজ আবিরের জন্য বারবার ভাবছে আবির ঠিক আছে তো আবির কি অবস্থায় আছে কেমন আছে,,
এই দিকে আমান অফিসে এসে দেখে তিথি চিন্তিত
আমানঃ কি ব্যাপার তুমি এতো কি ভাবছো?
তিথিঃ অহ কিছু না,,,
আমানঃ কিছু তো হইছে?
তিথিঃ আচ্ছা আবির স্যার কোথায়?
আমানঃ আমার কেবিনে আসো সব বলবো কি হইছে
তিথি আমানের সাথে আমানের কেবিনে যায়,,,আমান তিথির সামনে বসে
আমানঃ আমি জানি না তিথি আমি কি করবো? সব কিছু এলো মেলো হয়ে গেলো সব,,,আমি বুজতেছি না কি করবো আমি,,,
তিথিঃ আমান কি হয়েছে বলবে তো???
আমানঃ আরিশা আত্নহত্যা করার চেস্টা করেছে,,,
কথাটা শুনে তিথি দাঁড়িয়ে যায়,,,তার মনে পড়ে যায় অই রাতে এই জন্য আবির এতো কান্না করেছে,,এই সময় আবিরকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে তার,,আবির কেমন আছে কে জানে
আমানঃ তিথি সব আমার জন্য হয়েছে সব আমার জন্য
তিথিঃ কেন? কি করেছিলে আমান তুমি
আমানঃ আরিশা নাকি আমাকে ছোট থেকে পছন্দ করে সত্যি আমি জানতাম না এমন টা হবে,,,আমি কখনো ওকে অই নজরে দেখি নাই সব সময় নিজের বোন ভেবেছি,,
তিথিঃ কিন্তু তুমি তো তিশাকে,,,
আমানঃ হ্যাঁ আমার ফ্যামিলি ও চায় আমি আরিশাকে বিয়ে করি,,আর তিশার কোনো খবর নাই দুইদিন ধরে আমি ওকে খুজতেছিলাম জানি না তিশা কোথায়,,,আর আরিশার এমন অবস্থা না পারছি ওর সামনে যেতে না পারছি সহ্য করতে আমি কি করবো বলবে তিথি আমি যে আজ অসহায় অনেক অসহায় তিথি
আমান তিথিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,কান্নায় যেন ভেঙ্গে পড়ে তিথি আমান কে শান্তনা দিচ্ছে যে সব ঠিক হয়ে যাবে তিশাকে ও খুজে পাবে,,,
তিথিঃ প্লিজ আমান চিন্তা করি ও না সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,আরিশা সুস্থ হয়ে যাবে আর তিশাকে ও খুজে পাবে,,
আবির অফিসে এসে তিথির খুজ নেয় মেনেজার এর থেকে জানতে পারে তিথি আমানের কেবিনে তাও অনেক আগ থেকে,,,আমানের কেবিনের কাছে গিয়েই যেন থমকে যায় আমান তিথিকে এক সাথে দেখে,,আমান তিথিকে জড়িয়ে ধরে আছে আর তিথি আমানকে কি যেন বুজাচ্ছে,,,
এই সব দেখে আবিরের অনেক রাগ উঠে রাগে অইখান থেকে চলে যায়,,অনেক জোরে ড্রাইভ করছে তার হুশ পর্যন্ত নাই যে সে রাস্তায় কত টা জোরে ড্রাইভ করছে মাথায় শুধু ঘুরছে আমান তিথিকে এক সাথে দেখাটা,,,
সাগর পাড়ে এসে গাড়ি থামায়,,,একা একা বসে আছে আর ভাবছে এমন টা কেন হলো আমান আর তিথি এক সাথে,,,মাথায় শুধু ঘুরচ্ছে আরিশার কথা আরিশা যদি আমানকে না পায় তাহলে সে যদি আবার আত্নহত্যা করার চেস্টা করে,,,ফোনের স্কিনে ভেসে উঠে তিথির নাম্বার,,তিথি আবার কল দিচ্ছে রাগ যেন বেড়েই যাচ্ছে কল টা দেখেই ফোন টা এতো জোড়ে ছুড়ে ফেলে দেয় সাগরের পানিতে,,,
রাত হয়ে আসে আবির এখনও সাগর পাড়ে,,,
এইদিকে তিথির খুব চিন্তা হচ্ছে আবির কল ধরছে না কিন্তু এখন তো ফোন ও অফ,,,
তিথিঃ আপনি ঠিক আছেন তো?? কোথায় আছেন আপনি প্লিজ একটা কল দেন আপনার আওয়াজ টা একটু শুনতে ইচ্ছে করছে জানি না আপনি কেমন আছেন শুধু দোয়া করি যেখানেই থাকেন না কেন ভালো থাকেন,,,
রাতের ১১ টা বেজে যায় আবির এখনো সাগর পাড়ে,,,
আবিরঃ আমার বোনের খুশি আমি কাউকে কেড়ে নিতে দিবো না,,,,তিথি তুমি অনেক বড় ভুল করলে আমার বোনের খুশির মাঝে এসে,,,আমার ফ্যামিলি আমার জান,,,আমার ফ্যামিলি মেম্বার এর মধ্যে কেউ সামান্য কষ্ট পাক তা আমি সহ্য করতে পারি না আর তুমি আর আমান মিলে আমার কলিজার টুকরা বোনকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করলে,,,এইসব কিছু করলে যাতে তোমরা এক হও কখনো না এখন তুমি আবির রহমান এর আসল রুপ দেখবে,,সব কিছু আমি শেষ করে দিবো,,,
আবির অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকে,,
এইদিকে তিথি চুপচাপ বারান্দায় বসে আছে ঘুম যেন আজ তার চোখে নাই অনেক বার চেস্টা করে আবিরের সাথে যোগাযোগ করার কিন্তু কিছুতে পারছে না,,,
হঠাৎ মায়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে যায় মায়ের রুমে
তিথিঃ মামনি কি হয়েছে?
মাঃ তোর বাবা কেমন জানি করছে,,, কিছু কর তিথি
তিথির বাবার শরীর যেন ঠান্ডা হয়ে আসতেছে,,তিথি আর তার মা অনেক কষ্ট করে মেডিকেল নিয়ে যায় তার বাবাকে,,,বাবাকে আই সি ইউতে ভর্তি করা হয়,,তিথি ডাক্তার এর কাছে গিয়ে হাত জোর করে বলতে থাকে
তিথিঃ প্লিজ ডাক্তার আমার বাবাকে ঠিক করে দেন,,,
ডাক্তার কেবিনে চলে যায়,,এইদিকে তিথি আর তার মা ভাই বসে আছে,,কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিথির মা,,,,
তিথিঃ মামনি সব ঠিক হবে দেখিও বাবা ঠিক হয়ে যাবে,,,
তিথি নিজেকে শক্ত করে রাখে,,,কি করবে সে নিজে ও জানে না,,বাবার এমন অবস্থা দেখে যে সে পারছে না নিজেকে শান্ত রাখতে,,, কিছু ক্ষন পর ডাক্তার আসে তিথি ও তার মা এগিয়ে যায় ডাক্তার এর সামনে,,
ডাক্তারঃ দেখুন উনার দুইটা কিডনি এক সাথে নষ্ট হয়ে যায়,,এই সমস্যা তো মনে হচ্ছে না আজকের উনার চিকিৎসা যদি আগে করাতেন তাহলে হয়তো এইভাবে এক সাথে দুইটা কিডনি নষ্ট হতো না,,
কথাটা শুনে তিথি থমকে যায়,,,মা বসে পড়ে আর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আরো,,
তিথিঃ ডাক্তার প্লিজ কিছু তো করেন,,,
ডাক্তারঃ অপেরশন করতে হবে,,কিন্তু অনেক টাকার ব্যাপার
তিথিঃ আপনি প্লিজ অপেরশন করুন আমি টাকার ব্যবস্থা করবো কিন্তু ডাক্তার কত টাকা লাগবে,,
ডাক্তারঃ দেখুন ১৫-২০ লাক্ষ এর উপরে লাগবে যেহেতু উনার দুইটা কিডনি এক সাথে ডেমেজ হইছে,,,আর উনার যে অবস্থা এতে তো তাড়াতাড়ি করতে হবে আর বড় ডাক্তার আনতে হবে,,,
এতো টাকার কথা শুনে তিথি অনেকটা ঘাবড়ে যায়,,এতো টাকা তাদের কাছে পর্যন্ত নাই,,যদিও তিথির বিয়ের জন্য তার বাবা লাক্ষ খানিক জমা রাখে কিন্তু তাও হবে না এইছাড়া এই শহরে তাদের এমন কেউ নাই যে সাহায্য করবে,,,কি করবে কিছু বুজে উঠতে পারছে না,,,
রাতের ২ টা বেযে যায়,,,চোখে যেন ঘুম নাই তিথির আর তার মায়ের,,,মায়ের কোলে ঘুমিয়ে আছে সামির,,
বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে,,,বাতাসের পরিমাণ টা ও অনেক বেশি,,,এই সময় কে তাদের সাহায্য করবে এই ভেবে যেন টেনশনে পড়ে আছে তিথি,,,,
তিথি এই পাশ থেকে অই পাশ হাঁটতেছে,,,মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে মা কান্না করছে আর সামিরের মাথায় হাত বুলাছে,,
একটু পর পিছন থেকে ডাক আসে
আবিরঃ তিথি,,,
আবিরের ডাক শুনেই তিথি পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির দৌড়ে যায় আবিরের কাছে,,ঝাপিয়ে পড়ে আবিরের বুকে,
তিথিঃ আমার বাবা,,,আমার বাবাকে কিভাবে বাঁচাবো,,,
তিথি আবিরের বুকে মুখ রেখেই কাঁদতে থাকে,,আবির কিছু বলছে না চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,,,
তিথিঃ আপনাকে অনেক কল দিয়েছি অনেক
আবির তিথিকে একটু সরিয়ে বলে
আবিরঃ বাহিরে আসো আমার সাথে
আবির তিথির হাত ধরে মেডিকেল এর বাহিরে নিয়ে যায়,,প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে আর তারা দুইজন ভিজে চুপচুপ,,আবির তিথিকে এই বৃষ্টির মধ্যে দাঁড় করিয়ে বলে
আবিরঃ তোমার বাবার চিকিৎসার জন্য যত টাকা লাগবে সব আমি দিবো,,,তোমার মা ভাই বাবা সবার দায়িত্ব আমি নিবো,,,তোমার বাবার জীবন বেঁচে যাবে আমি টাকা দিলে৷
তিথি আবিরের কথা শুনে থমকে যায়,,,আবির হঠাৎ এতো কিছু করবে,,মনে মনে ভাবে হয়তো তিথির কষ্ট গুলো আবির সহ্য করতে পারছে না তাই,,
আবিরঃ কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে,,,
তিথিঃ শর্ত?
আবিরঃ হুম শর্ত,,, যদি তুমি এই শর্তে রাজি হও তাহলে তোমার বাবার চিকিৎসা হবে,,,,
তিথিঃ কি শর্ত???
আবিরঃ আমাকে বিয়ে করতে হবে,,,,যদি তুমি আমাকে বিয়ে করো তাহলে তোমার বাবার জীবন বেঁচে যাবে,,টাকার অভাবে তোমার বাবাকে মরতে হবে না,,ধরতে গেলে তোমাদের জীবন উন্নতি হয়ে যাবে,,,
তিথিঃ আপনি এই সময়ে বিয়ের চিন্তা করছেন??
আবিরঃ এক মিনিট কথাটা পুরো শুনে নাও তারপর বলিও সব,,,বিয়ে ঠিক হবে আমার আর তোমার কিন্তু কখনো স্ত্রীর মর্যাদা তুমি আমার কাছে পাবে না,,দুনিয়ার কাছে তুমি মিসেস আবির রহমান হবে কিন্তু কখনো আমার কাছে না,,,ধরতে গেলে তোমার জীবন এর বিনিময়ে তোমার বাবার জীবন বাঁচবে,,,তুমি নিজের ইচ্ছে মত কিছু করতে পারবে না যা কিছু করবে আমার ইচ্ছে তে,,
আবিরের কথা গুলো শুনে তিথি পুরো অবাক হয়ে যায়,,এক মুহূর্তে ভাবে আবির হয়তো তাকে চায় তাই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু আবির এইভাবে বলাতে তিথির মন যেন ভেঙ্গে যায় মুহূর্তে
তিথিঃ মানে???
আবিরঃ মানে টানে এই সব ভাবার কি আসলে সময় আছে???দেখো তোমার বাবা আই সি ইউ তে টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছেনা,,যদি তোমার বাপ টাকার অভাবে মারা যায় কিহবে তোমার মার ভাইয়ের ভেবে দেখেছো,,,
তিথিঃ চুপ করুন আপনি কিছু হবে না আমার বাবার ওকে,,,
আবিরঃ সেটায় কিছু হবে না যদি তুমি আমার প্রস্তাবে রাজি হও,,,
তিথিঃ আপনার লাভ কিসে???আমাকে কেন বিয়ে করতে চান আপনি???
আবিরঃ ভেবে নাও তোমার সুখের দিন গুলো আমার সহ্য হচ্ছে না,,ভেবে নাও তোমার কষ্ট গুলো দেখার জন্য আমি এমন করছি,,,এখন ভেবে উত্তর দিও কি করবে তুমি
অন্ধকার এক রাতে প্রচুর বৃষ্টিতে আবির তিথির হঠাৎ দেখা হয়,,,শুরু হয়ে যায় অইদিন থেকে তাদের মধ্যে আলাদা একটা সম্পর্ক,,,আজ ও সে অন্ধকার রাত প্রচুর বৃষ্টি তিথির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আবির ডাল হয়ে নাকি অন্য কিছু তিথি জানে না,,,কিন্তু এই সময় তিথির কাছে তার নিজের জীবন এর চেয়ে বাবার জীবন টা অনেক ইম্পর্টেন্ট লাগছে,,
তিথিঃ আমি রাজি,,,,
আবিরঃ আমি জানতাম তুমি রাজি হবে,,(তোমার মত মেয়ে টাকার জন্য সব করতে পারে তা জানি আমি,,,)টাকা টা দেওয়া হয়ে যাবে কিন্তু সকালে তোমার বাবার এই দিকে অপেরশন হবে অইদিন তোমার আমার বিয়ে,,,
তিথিঃ কিন্তু কাল সকালে???
আবিরঃ হুম,,,যদি উলটে যাও আবার বিশ্বাস নাই,,
তিথিঃ আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন বেইমানী করবো না,৷
আবিরঃ তোমার মত মেয়ে সব পারে যদি টাকা নিয়ে পরে বেইমানী করো তাহলে,,, তাই আমি চান্স নিতে চাই না যা বলেছি তা হবে,,ক্লিয়ার
তিথি আবিরের কথায় রাজি হয়ে যায়,,,ভিতরে গিয়ে দেখে তার মা বসে আছে,,,মা তাকে দেখে বলে
মাঃ এই সময় কেন এইভাবে ভিজলি??তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে চেঞ্চ করে আয়,,,
তিথিঃ বাবার কিছু হবে না মামনি,,,
মাঃ হুম কিছু হবে না,,আল্লাহ আমাদের পাশে আছেন,,দেখবি কাউকে না কাউকে ফেরেশতা হিসেবে আমাদের জন্য পাঠাবেন উনি,,
তিথি তার মাকে জড়িয়ে ধরে,,,
মাঃ তিথি চেঞ্চ করে আয় যা,,আর সকাল ও হয়ে আসছে
তিথি বাসায় চলে যায়,,,চেঞ্চ করে নেয় বাহিরে হালকা আলো দেখা দেয় ফরজ এর আজান ও দেয়,,,আজানের মিষ্টি সুর শুনেই তিথি অযু করে এসে জায়নামাজে দাঁড়ায়,,আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে,,কি হচ্ছে কি করবে সে কিছু বুজে উঠতে পারছে না,,
নামাজের বিছানায় কান্না করতে করতে শুয়ে পড়ে,,অনেকটা সময় হয়ে যায়
হঠাৎ তিথির ফোনে একটা নাম্বার থেকে কল আসে ঘুম ভেঙ্গে যায় কলের আওয়াজে,,তাড়াতাড়ি উঠে বসে ভাবে মা কল দিয়েছে তাড়াতাড়ি কল টা ধরে
তিথিঃ মামনি বাবা ঠিক আছে তো???
আবিরঃ তোমার বাবা ঠিক থাকবে ততক্ষনে যতক্ষমে তুমি রাখবে,,,
তিথিঃ আপনি??
আবিরঃতোমার বিছানার উপর একটা প্যাকেট রাখা আছে,,অই শাড়ি পড়ে রেডি হয়ে নিচে আসো ১৫ মিনিটে আমি নিচে আছি,,
তিথি ফোন টা রেখে দেয় খুব রাগ লাগছে আবিরের উপর হুট করে আবিরের কি হয়েছে তিথি বুজিতেছে না,,এইদিকে তার বাবার অবস্থা এতো খারাপ আর সে বিয়ে করবে এইটা ভেবেই অনেক কান্না আসছে তার,,,চোখের পানি মুছে প্যাকেট খুলে দেখে লাল বেনারসি শাড়ি,,,শাড়ি টা নিয়ে অনেক বিরক্তি ভাব নেয় তিথি কিন্তু বাবার জীবন বাঁচাতে তাকে যে এই টা করতে হবে,,,
কিছু ক্ষন পর তিথি নিচে নেমে এসে দেখে আবির দাঁড়িয়ে আছে,আবির তিথিকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয়,,
তিথি লাল বেনারসি শাড়ি পড়ে চুল গুলো খোপা করা,,মুখে একদম সাজ নাই শুধু হালকা লিপস্টিক,,,
চলবে,,,,,,,,,