পূর্ব রোদ !! Part- 04
রোদ মেইন সুইচ অফ করতেই বাড়ির ভিতর হালকা হইচই শুরু হলো।চুপিচুপি পূর্বের জানলার সামনে মই বেয়ে উঠে বক্সে করে আনা “তেলেপোকা” ছেড়ে দিলো।মুহুর্তেই পূর্বের রুম থেকে চেচামেচি শুনা গেলো।রোদ শয়তানি হাসি দিলো।রোদের হাসি বেশিক্ষন স্থায়ী হলো না কারণ এর মধ্যে রাফিয়া’র চিৎকার শুনা গেলো।
“এই রাফিয়া কী সত্যি সত্যি ভূত দেখলো?”বিড়বিড় করতে করতে রোদ রাফিয়ার কাছে গেলো।রাফিয়া’র পুরা শরীর ভয়ে কাঁপছে।রোদ সামনে তাকিয়ে দেখলো কেউএকজন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে।চাঁদের আলোতে ভালো খেয়াল করে রোদ পেছন থেকে বুঝলো ওটা পূর্বের বন্ধু তিহান।তিহান পেছনে ঘুরছে মনে হতেই রোদ রাফিয়ার হাত ধরে গাছের পেছনে নিয়ে গেলো।
।
।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়া তিহান বাইরে আসছিলো।তখনি একটি মেয়ের চিৎকার তার কানে ভেসে আসলো।তিহান পেছনে ফিরতে দেখলো কেউ নেই।তিহানের মনে ভয় হলো।একে তো রাত তার উপর হুট করে বিদুৎ চলে যাওয়া,তিহান বাইরে আসতেই একটি মেয়ের চিৎকার!তার মনে হচ্ছে আশেপাশে কেউ আছে।সবমিলিয়ে তিহানের যখন মনে হলো কোনো আত্মা আছে ভয়ের ছুটে দৌড়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে গেলো।
” পেত্নী চিৎকার করছিলি কেন?ঐটা হরিচন্দনের বন্ধু “ইন্না-লিল্লাহ!”
“রোওওদ!ছেলেটা পুরা নায়ক!”
রোদ রাফিয়া’র দিকে তাকিয়ে দেখলো সে একটা ঘোরের মধ্যে আছে।রোদের ইচ্ছে করছে রাফিয়া’কে এখানেই মেরে পুঁতে দিতে।নিজেরা একটা মিশনে এসে আর রাফিয়া কি’না রাত বারোটাইও ক্রাশ খাচ্ছে?বিরক্তি নিয়ে রোদ পূর্বের জানালার পাশে গেলো।রাফিয়া পেছন পেছন গেলো।
।
।
“আআআ রাহান পোকা উড়ছে!” (পূর্ব)
“পোকা নই কুত্তা!তেলেপোকা!”(রাহান)
“কী?আআআআ।আমাকে বাচা তোরা।আআআ”
রোদ জানালা দিয়ে হালকা আলোতে দেখলো পূর্ব রাহানের পেছনে লুকিয়েছে।পূর্বের অবস্থা দেখে রোদ হাসি আটকাতে না পেরে খিলখিলয়ে হেসে দিলো।হাসির শব্দ শুনে পূর্বসহ তার বন্ধুরা জানালার দিকে তাকালো।ততক্ষণে রোদ মই বেয়ে নেমে গেছে।তখনি ওদের কানে আবারো ভেসে আসলো তিহানে আওয়াজ।
“ভূওওওত।পূর্ব তোদের বাড়ির বাইরে পে..পেত্নী আছে।”
“কী?তারমানে একটু আগে পে..পেত্নী হাসছিলো?”
পূর্বের বন্ধু রুমানের কথা শুনে সবাই ভাবতে থাকলো।পূর্বের কানে একটু আগের হাসির শব্দ ঝনঝনিয়ে বাজছে।তার নাজেহাল অবস্থা দেখে প্রতিদিন যে হাসে তারই তো হাসি এইটা।পূর্বের বুঝতে বাকি রইলো না এইসব কাজ কার?
।
।
রোদের নিজেকে হালকা মনে হচ্ছে।পুরা একটা দিন অপেক্ষা করার পর প্রতিশোধ নিতে পারলো।যদিও মনের মধ্যে ভয় হচ্ছে পূর্ব তাকে চিনে ফেলেছে বলে।কিন্তু তাও আনন্দটা বেশি হচ্ছে।নিজের মধ্যে খুশি সীমাবদ্ধ রাখতে না পেরে রোদ কানে ইয়ারফোন গুঁজে “বেবি ডল” গানে ডান্স করতে লাগলো।হঠাৎ তার মনে হলো রাফিয়া’কে সাথে নিয়ে ডান্স করা উচিত।কিন্তু রাফিয়া নিজের বাড়ি চলে গেছে।সকালে একসাথে ডান্স করবে ভেবে নিয়ে নাচ থামিয়ে চুপিচুপি আলোর পাশে ঘুমাতে গেলো।বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করতেই আলোর কন্ঠ শুনা গেলো,
“রাত বারোটাই বরের সাথে দেখা করতে যাবি ভাবতে পারিনি।গুড নাইট!”
চমকে গিয়ে রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে দেখলো কথাগুলো চোখ বন্ধ করেই বলছে।পূর্বের থেকে প্রতিশোধ নিতে গেলো আর আলো বলছে কি’না দেখা করতে গেলো?ধ্যাত!অল্প বয়সের মেয়েগুলো দু লাইন বেশি বুঝে।
।
।
সকালের সূর্য উঁকি দিতেই পূর্ব বাড়ির বাইরে গেলো।বাইর থেকে তার জানালার পাশে গিয়ে দেখলো মই লাগানো।পূর্ব এবার নিশ্চিত হলো কাল রাতে এই জায়গায় কোনো ভূত-প্রেত ছিলো না।এসব কাজ কে করতে পারে?প্রশ্ন মাথায় আসতেই রোদের খিলখিলিয়ে হাসা চেহেরা সামনে ভাসছে।কিন্তু পরশু রোদের পরিক্ষা।সে কীভাবে এখানে আসবে?
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে খালি পায়ে হাঁট ছিলো।তখনি পায়ে কিছু একটা আটকে গেলো।হাত দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে একটা লেডিস গলার চেইন।পূর্ব ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলো এইটা সেই চেইন যেটা রোদ কোনোদিন গলা থেকে খুলে না।পূর্বের জানা মতে এইটা রোদের বাবা’র দেওয়া শেষ উপহার।যার জন্য রোদ খুব যত্ন সহকারে রাখে।এই চেইন এখানে মানে পূর্ব সিওর রোদ আসছিলো।রেগে গিয়ে পূর্ব চেইনটা হাতের মুঠোয় চেপে ধরলো।বিনিময়ে চেইনে থাকা সুইচের মতো জায়গা হাতে ঢুকে গেলো।
“রোদ তোর গলার চেইনটা কোথায়?কালকে তো দেখলাম।”
“চেইন?”
তার মায়ের কথা শুনে রোদ গলায় হাত দিয়ে দেখলো চেইনটা নেই।রোদের বুক’টা ধক করে উঠলো।রোদের কাছে এই চেইনটা অনেক বেশিই গুরুত্বপূর্ণ!তাড়াতাড়ি দৌড়ে রুমে গিয়ে চেইনটা খুঁজতে লাগলো।অনেক খুঁজাখুজির পরও যখন চেইনটা পেলো না তখন রোদের কান্না পেলো।হঠাৎ কাল রাতের কথা পড়তেই রোদ উঠে দাঁড়ালো।তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো।রোদ’কে বেরুতে দেখে তার মা জিজ্ঞেস করলো,
“এতো সকালে কোথাই বেরুচ্ছিস?”
“মামুনি কাজ আছে একটু।রাফিয়া আয়..”
“আরে শুন তো..” (মামুনি)
সকালবেলা রোদের বাসায় রাফিয়া আসছিলো রোদের সাথে দেখা করতে।এখন রোদ রাফিয়া’র হাত ধরে বেরিয়ে গেলো।তার মাথায় এখন শুধু ঘুরছে ‘যেভাবেই হোক চেইন পেতে হবে’।
“মোহাম্মদ মঞ্জীল” এর সামনে রাফিয়া বাইক থামালো।রোদ দৌড়ে পূর্বের জানালার সামনে গেলো।গিয়ে দেখলো মইটা সরানো।তারমানে কেউ একজন এই জায়গায় এসেছিলো।পাগলের মতো রোদ চেইনটা খুঁজতে লাগলো।চেইটা খুঁজে না-পেয়ে রোদ কাঁদতে লাগলো।কোনোদিন রোদের মাথায় আসেনি পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে মূল্যবান জিনিস হারাতে হবে।মাটিতে বসেই রোদ কাঁদতে লাগলো।হঠাৎ তার কানে পূর্বের কন্ঠ বাজলো,
“আরে আরে জাদুমন্ত্রী কাঁদতেও জানে?আমি তো ভাবছিলাম শুধু কাঁদাতে জানে।”
পূর্বের কথা শুনে রোদ মাথা উঠালো।কাঁদতে কাঁদত রোদের দুধে আলতা সাদা বর্ণের ত্বক গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছে।পূর্বের ঠোঁট কোনে হাসি দেখে রোদের বুঝতে বাকি রইলো না যে পূর্ব সব জানে।
“কিছু খুঁজছো?রকেট টাইপ কিছু?”
পূর্বের পরের কথা শুনে চেইনটা যে পূর্বের কাছে তা রোদ বুঝে গেলো।রেগে গিয়ে পূর্বের দিকে তেড়ে গেলো রোদ।হাফ-হাতা টি-শার্ট ধরে পূর্বকে ধমক দিয়ে বললো,
“তুই নিয়েছিস না আমার চেইন?বল?তোর লজ্জা করে না আমার জিনিস তোর কাছে রাখতে?”
“তোর জিনিস জেনে শুনে আমার কাছে আসলো কেন?আমি তো আর নিতে যায় নি।”
“চুপ!আমার চেইন দিয়ে দেয়।”
রোদের চেচামেচি শুনে পূর্বের বন্ধুরা বেরিয়ে গেলো।তিহান দৌড়ে ওদের থামাতে গেলে রাফিয়া তিহান’কে থামিয়ে বললো,
“বিষয়টা ওদের দুজন’কে মিটিয়ে নিতে দাও!”
“কাল রাতে তুই তো এসেছিলি না আমার জানালার পাশে।তুই এতোটা নির্ধয়?”
“কী করেছ আমি?তুই যাস্ট আমার চেইন’টা দেয়।”
“কী করেছিস তুই?কাল রাতে মেইন সুইচ অফ করে দিয়ে তুই তেলেপোকা ছেড়ে ছিস।ছোট বেলা থেকে আমার তেলেপোকা ভয় করে আর তুই সেটার সু্যোগ…”
“বেশ করেছি!চুলকানি পাতা দিয়ে তুই আমাকে কী করেছিস?”
“তুই আগে দিছিস তিহানের জুতা’তে।”
“পাউডার আমি ” ইন্না-লিল্লাহ’র জন্য দিয়ে ছিলাম।তুই কেন পড়ছিলি?দোষটা তোর।”
দুজনে চেচামেচি’ পূর্বের বন্ধু আর রাফিয়া কান চেপে ধরলো।ওরা দু’জন এতোটা রেগে আছে যে কেউ ওদের সামনে যেতেই ভয় পাচ্ছে।হঠাৎ রোদের বলা শেষের কথাটি কানে আসতেই তিহান চোখ বড় বড় করে বললো,”ইন্না-লিল্লাহ!আমি কী করলাম?”তিহানের কথা শুনে সবাই ওর দিকে তাকালো।ওর বাকি বন্ধু বিরক্ত হলেও রাফিয়া তিহানকে শান্তনা দিয়ে বললো,”আপাতত তুমি চুপ থাকো!রোদ রোদ ঝগড়া কন্টিউ কর।”ওরা চারজন যেনো বিষয়টা খুব মনোযোগ ূিয়ে উপভোগ করছে।
।
।
“পূর্ব আমার চেইন দে।নয়তো আম্মি বাবাই’কে ডাকবো।”
“ডাক ডাক!আমিও বলে দিবো তুই রাতে এসে তেলেপোকা ছড়িয়ে দিছিস।বেয়াদব মেয়ে!ভয়ে আমি হার্ট এ্যাটাক করলে কী হতো?”
“বেশ হতো!তুই মরলে আমার শান্তি।এখন চেইন দিবি কি’না?”
“দিবো না।কী করবি তুই?”
“হরিচন্দঅঅঅন!”
রেগে গিয়ে আবার কিছু বলার আগে রোদ নিজেকে কন্ট্রোল করে বললো,
“তুই খুব ভালো করে জানিস চেইনটা আমার কাছে কতোটা ইম্পর্ট্যান্ট।”
“আই ডোন্ট কেয়ার!”
রোদ বুঝে গেলো পূর্ব কিছুতেই এখন চেইন দিবেনা।হাতের আঙ্গুল দিয়ে চোখের নিচের জল মুচে বললো,
“কী চাস তুই?চেইনটা কী করলে দিবি?”
“উমমম!বেশি কিছু না।আমার পায়ের জুতোটা কেমন যেন ময়লা হয়ে গেছে।পরিষ্কার করে দিবি নিজের ওড়না দিয়ে।”
শেষের বাক্যটি পূর্ব রোদের ওড়না ধরে টেনে বললো।রেগে গিয়ে রোদ বললো,
“অসম্ভব!”
“তাহলে আঙ্কেলের দেওয়া শেষ স্মৃতিটাও ভূলে যা।”
“পূর্বঅঅ!”
রোদ জানে পূর্বকে ধমকিয়ে লাভ নেই।যা বলেছে তা না করলে কিছুতেই চেইন পাবে না।তার কাছে এখন চেইন বেশি ইম্পর্ট্যান্ট।পরে না হয় এর বদলা নিবে।নিচু হয়ে রোদ পূর্বের জুতা পরিষ্কার করছে।পূর্বসহ বাকিরা সবাই অবাক হয়ে গেলো।ওরা সবাই মনে করেছিলো রোদ চেইনের জন্য অতো নিচু হবে না।কিন্তু সবাই’কে অবাক করে দিয়ে রোদ বিপরীতটা করলো।পূর্বের নিজের মধ্যে কেমন যেন অপরাধ হলো।কিন্তু রাতে কথা মনে পড়তেই সব ধোঁয়াশা হয়ে গেলো।জুতা পরিষ্কার করা শেষ হলে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে রোদ বললো,
“দেখো পূর্ব আমি তোমার জুতো পরিষ্কার করে দিয়েছি।এবার প্লিজ চেইন’টা দিয়ে দাও!”
রোদের কান্নাকাটি,অনুরোধ দেখে পূর্বের খারাপ লাগতে শুরু করলো।তার শুধু মনে হচ্ছে রোদের দূর্বলতা’র সুযোগ নেওয়া ঠিক হয়নি।পেন্টের পকেট থেকে পূর্ব চেইন বের করে রোদের হাতে দিয়ে বললো,
“নেয়!তোর জাদুমন্ত্রী’র জিনিস আমার কাছে রাখার ইচ্ছে নেই।না জানি এর ধারা কখন আমাকেই বশ করে রাখিস।”
পূর্বের কথাগুলো রোদের কানে সুইচের মতো সুক্ষ্মভাবে ঢুকে গেলো।তবুও চুপচাপ রাফিয়ার হাত ধরে বেরিয়ে এতো।তিহান বিড়বিড় করে বললো,
“কথায় আছে,” বাঘ শিকার করার আগে শান্ত থাকে!ইন্না-লিল্লাহ” না জানি রোদ ভাবির পরের স্টেপ কী হয়?”
রোদ গেইট থেকে বের হতেই পূর্বের মা বাইরে বেরিয়ে এলো।পূর্বের মা তাদের সবার উদ্দেশ্য বললো,”কী হয়েছে এখানে?চেচামেচি’র আওয়াজ শুনলাম।”
পূর্বের মায়ের কথা শুনে রাহান ফিসফিস করে তিহান’কে বললো,”পুরা মুভি শেষ হতেই উনার এন্ট্রি নিতে হলো!”
“ইন্না-লিল্লাহ!চুপ কর।”
“পূর্ব কী হয়েছিলো?রো..”
“রাফিয়া।রা..রাফিয়া এসেছিলো জাদুমন্ত্রীর খুঁজ নিতে।আমি বলে দিয়েছি ও নিজের বাড়ি।”
চাঁদনি মোহাম্মদের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে পূর্ব নিজের অজান্তেই মিথ্যা কথা বললো।
“রাফিয়া?কিন্তু ওর বাড়ি তো রোদের পাশেই!”
“হ্যা!আশেপাশে নাকি ওর ফুফির বাসায় আসছিলো,ও ভাবছে জাদুমন্ত্রী এখনো এখানে আছে তাই ওর খুঁজ নিচ্ছিলো।”
“ওহ।কিন্তু চেচামেচি?”
এবার পূর্ব চরমভাবে ফেসে গেলো।রাফিয়া’র সাথে তো পূর্বের কোনোদিন ঝগড়া হয় না।তাহলে মাকে কী বলবে?তখনি তিহান ওর পাশে এসে বললো,
“আমার সাথে বাড়াবাড়ি করছিলো আন্টি।ইন্না-লিল্লাহ!মেয়েটা খুব বাচাল।”
“এই!বাচাল বলবি না।”
এতোক্ষণ ধরে তিহানের মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরছিলো।না পারতে তিহান পূর্বের মাকে জিজ্ঞেস করলো,
“বাই দ্যা ওয়ে আন্টি! আপনি এতোক্ষণ কোথায় ছিলেন?”
“আমি একটু ওয়াশরুমে ছিলাম।”
“ওয়াশরুম?পূর্ব আন্টি ওয়াশরুমে ছিলো।ওয়াশরুম!রাহান আন্টি ওয়াশরুমে ছিলো।ভালো আন্টি।”
“ধূর পাগল।নাস্তা করতে আয়।”
পূর্বের মা বাড়িয় ভিতর ঢুকে গেলো।তিহান বিড়বিড় করে “ইন্না-লিল্লাহ!” বললো।পূর্ব সেদিকে মাথা না ঘামিয়ে রোদ’কে নিয়ে ভাবতে লাগলো।আজকের কাজের জন্য পূর্বের নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।বরাবরই ছোট বেলা থেকে রোদ কান্না করলে পূর্বের নিজেকে অপরাধী মনে হয়।কিন্তু তবুও ঝগড়া করা থামায় না।
(চলবে..)