ডেড বডি

ডেড বডি ! Part- 08

হাহাহাহা না। তবে যত গুলা লাশ তুমি দিয়েছো সব গুলার সাথেই আমি সেক্স করেছি। হাহাহা
-হুম। সেটা জানি। তাহলে আপনি আমার পুরুঙ্গ কাটবেন। এর আগের যে পুরুষের লাশ পাওয়া গেছে সেটারও কিন্তু পুরুঙ্গ কাটা ছিলো। তাহলে কি আপনি কেটেছেন।
-আসলে আমি খুন করি নি। তবে খুনি কেন জানি আমার ব্রেনে যেমন ভাবে খুন করার প্লান আছে সেভাবে খুন করছে। আমার সাথে অনেক মিল আছে। তবে আমি খুন করি নি এখন পযন্ত। তবে তোমাকেই প্রথম খুন করবো।আর হ্যা তোমার লাশেও তাহলে NND লিখে রাখবো।যেন সবাই ভাবে ওই খুনিটা তোমাকেও মেরেছে। হাহা
হাসতে হাসতে যখনি আমার কাছে আসে ডাক্তার অজয়। ঠিক তখন ব্লেডটা তার ঘাড়ে ঢুকিয়ে দেই।
আসলে যখন ডাক্তার আমাকে আঘাত করে তখন টেবিলের উপর একটা ছোট অপারেশন ব্লেড ছিলো সেটা হাতে নিয়েই অজ্ঞান হয়েছিলাম। ডাক্তারখানা অজয় দেখতে পারে নি। এতক্ষন কথা বলছিলাম আর পিছনে হাতের দড়িগুলো কাটছিলাম ডাক্তার বুঝতে পারে নি। যাই হোক তারাতারি করে দড়ি গুলো খুলে ডাক্তার অজয়কে অজ্ঞান অবস্থার হাত পা বেঁধে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চলে যাই।রাস্তায় অনেক জ্যাম আটকে আছি।গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ একটি বাইক এর দিকে চোখ পরে যায়। বাইকের পিছনের নাম্বারের পাশেই লেখা NND।আমি দেখে অবাক হয়ে যাই। এই কোডটা এখানে কেন। যেটা প্রতিটা লাশের গায়ে পাওয়া গেছে।আমি গাড়িটার পিছনে পিছনে যাই।গাড়িটা থানার উপর দিয়ে গাইবান্ধা এস.কে.এস ইনন এর দিকে যায়। আমিও আর থানায় না থেমে গাড়িটার পিছনে পিছনে চলে যাই। গাড়িতে একজন ভদ্র মানুষ ছিলো দেখে মনে হচ্ছে ভদ্র ঘড়ের সন্তান। কিন্তু এই কোডটা কেন তার গাড়িতে। আমি তাকে আটকিয়ে জিজ্ঞাস করবো কি? না থাক। দেখি কি করে উনি। উনি তার গাড়িটি বাহিরে রেখে ইনন এর ভিতরে ঢুকে যায়। আমিও গাড়িটি থামিয়ে ভিতরে যাই। গিয়ে দেখি লোকটি আরো কয়েক জনের সাথে দেখা করে। এবং তিনি রাত্রী যাপনের জন্য সেখানে একটি সিট নেয়।আমি সিট নাম্বারটা দেখে আবার বাহিরে চলে আসি। কারন খুনগুলো সব সময় রাতেই হয়েছে। এই লোকটি যদি আদৌ খুনের সাথে জড়িত থাকে তাহলে সে রাতেই কিছু একটা করবে। আমি আজকে সারা রাত এখানেই থাকবো। যাই হোক আগে ডাক্তার অজয়কে থানায় নিয়ে রাখি। গাড়িতে এসে দেখি ডাক্তার অজয় এখনো অজ্ঞান। তাই তাকে থানায় না নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার তাকে কিছু ইঞ্জেকশন দিয়ে স্যালাইন লাগায় দেয়। কিছুক্ষন পর ডাক্তার অজয় এর জ্ঞান ফেরে। এই রকম অবস্থায় তাকে থানায় নিয়ে আসি। আর তাকে জেলের ভিতরে রেখে বলি,
-ডাক্তার এতদিন অনেক খারাপ কাজ করেছেন। এখন আপনাকে আইনের হাত থেকে কে রক্ষা করবে।
-আমি কোন খারাপ কাজ করি নি?
-আচ্ছা ডাক্তার নিজের মেয়েকে মারলেন কিভাবে?
-ওহ রিমু। ওকে আমি মারি নি।
-তাহলে তার শরীরে যে রাসায়নিক দ্রব পাওয়া গেছে সেটা কে দিয়েছে?
-রিমু তো এক্সিডেন্ট করেছে। আর সে অনেক কষ্ট পাচ্ছিলো জন্য আমি তাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে।
-আপনার মেয়েকে এত তারাতারি মুক্তি দিলেন কেন?
-রিমুটা বেশি পাকনা হয়েছিলো। পাখা গজিয়েছিলো তাই সে মারা গেছে?
-কেন মারলেন রিমুকে?
-ওহ আমার লাশ ঘড়ে অনুমতি ছাড়ায় ঢুকেছে। আর আমাকে একটি লাশের সাথে সেক্স করতে দেখেছে। ছোট মেয়ে সবাইকে বলার রিক্স ছিলো। তাই তাকে। মুক্তি করে দিয়েছি তারাতারি।
-সিহ। ডাক্তার নিজের মেয়েকে এইভাবে মারতে কষ্ট হলো না। আবার আপনি নিজের মেয়ের সাথেও সেক্স করেছে। সিহ এতটা নিকৃষ্ট আপনি?
-হাহাহাহাহাহ।
তার হাসিটা বিরক্ত লাগছিল। তাই আর সহ্য না হয়ে লাঠি দিয়ে সজোরে কয়েকটা আঘাত করি। আবার অজ্ঞান হয়ে যায় তিনি। তাকে জেলে ওভাবেই রেখে অফিসে এসে বসি। আর ভাবতে থাকি সেই বাইক চালকের কথা। আজকে রাতে আমাকে ওখানেই থাকতে হবে। কারন কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে এস.কে.এস ইননে কিছু একটা হতে যাচ্ছে। পুলিশকে বলে ডাক্তার অজয় এর নামে একটি কেস লিখতে বলি নেক্সফেলিয়ার।অফিসের কাজ তারাতারি শেষ করে বাড়িতে যেয়ে পুরাপুরি ভাবে রেডি হয়ে নেই। যে কোন সময় যে কোন বিপদ হতে পারে। তাই শর্টগান , গার্ড ইত্যাদি নিয়ে রেডি হয়ে যাই।সন্ধ্যার অন্ধকারটা নামার সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে রউনা দেই। সেখানে গিয়ে পৌছে পাশে একটি বাঁশ ঝাড় ছিলো সেখানে গাড়টা লুকিয়ে বসে থাকি। প্রায় কয়েক ঘন্টা থাকার পরেও যখন ভিতর থেকে কেউ আসলো না। তখন একটু বিরক্ত হয়ে গেল। তারমানে আজকে কিছুই হবে নাহ। ভুল ভাবছি। গভির রাতের ঝিজিপোকা গুলো ডাকছে আবার ভয় ও লাগছে। মনে মনে ভাবলাম আজকে হয়তো কিছু হবে না চলে যাই। রাত তখন প্রায় ১ টা । যখনি গাড়িটা চালু করার জন্য চাবিটা ঢোকাবো ঠিক তখনি দেয়াল এর উপর দিয়ে কি যেন একটা দড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে নামাচ্ছে। আমিও আর গাড়িটা চালু না করে সেদিকে লক্ষ করে আছি । কি যে একটা ফেলে দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে একটি লোক নামে। তারপর জিনিসটিকে ঘাড়ে নেয়। অন্ধকারে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। শুধু বোঝা যাচ্ছে একটি মানুষকে ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছে। আমিও গাড়ি থেকে নেমে আস্তে আস্তে লোকটির পিছনে পিছনে যাই। গিয়ে দেখি লোকটিও একটি গাড়ি লুকিয়ে রেখেছে পাশের জজ্ঞলে। লোকটি গাড়িতে উঠে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। আমি তারাতারি করে গাড়িটির পিছনে পিছনে যাই আমার গাড়ির লাইট অফ করেই চালাচ্ছি গাড়িটা।আর ভাবছি এইটা হয়তো সেই বাইক চালকটি। কিন্তু কাকে মেরেছে সে।ইনি এভাবে মানুষ মেরে হয়তো সে NND কোডটি লিখে দিয়ে যায় । আজকে তাকে ধরবোই।গাড়িটার গাইবান্ধা মাস্টারপাড়ায় একটি চিপায় রেখে লোকটি মানুষের অবয়ব কি যেন একটা ঘাড়ে করে একটি বাড়িতে ঢুকে যায়। আমিও চুপ চাপ পিছনে পছনে গিয়ে জানালায় দাড়ায়। দাড়িয়ে দাড়িয়ে সব দেখতেছি। অন্ধকার জন্য লোকটির মুখ দেখা যাচ্ছে না। তবে বোঝা যাচ্ছে সে যে মানুষটিকে ঘাড়ে করে নিয়ে আসছে তার কাপড় খুলে দিচ্ছে। এরপর একটি ধারালো ছুরি বের করে তাতেই দরজা খোলা ছিলো জন্য আমি দৌড়ে গিয়ে পিছন থেকে তাকে টেনে ধরে মাথায় সজরে আঘাত করি। তার হাতটা হ্যান্ডক্যাপ দিয়ে বেধে লাইটা জ্বালিয়ে লোকটিকে দেখে বলি,
-ওহ মাই গিড। তুমিমিমিমিমি….
.
চলবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *