ডেড বডি

ডেড বডি ! Part- 09  (অন্তিম পর্ব)

.
লাইটটা জ্বালিয়ে লোকটিকে দেখে আমি বলি,
-ওহ মাই গড। তুমিমিমিমিমি?
-হাহাহা হ্যা স্যার আমি।
-কি করছো এগুলো?
-এই সাহেব আমাকে অপমান করেছে তাই তাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিচ্ছি। মাটিতে পরে থাকা মানুষটির দিকে তাকিয়ে দেখি বাইক চালকটি। আসলে ভেবেছিলাম বাইক চালকটি খুনি কিন্তু এখানে তো দেখছি উল্টো।
-আসল খুনি হচ্ছে সেদিন যে রিক্সা চালক টাকে ঝামেলা থেকে মুক্ত করেছি।
-সে এতদিন এই খুনগুলা করেছে, রিক্সা চালকটিকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাস করি,
-তোমার নাম কিহ?
-পার্থ রায়।
-লোকটিকে কেন মারলে?
-তিনি বাইক চালানোর সময় আমার রিক্সায় ধাক্কা দিয়ে আবার আমাকেই গালি দিয়েছে। আমাকে গালি দিলে আমার সহ্য হয় না।
-সেদিন তো দেখেছেন যে আমাকে মেরেছিলো তাকেও শেষ করে দিয়েছি।
-তুমি কি জানো এখন তোমার কেমন ভয়ংকর শাস্তি হতে পারে?
-হ্যা,মৃত্যুদন্ড।
-দিপ্তীকে মেরেছো কেনো?
-দিপ্তী কে? ওহ আচ্ছা প্রথম যাকে খুন করেছি?
-হ্যা।
– সেদিন ওনারা দুই জন ছিলো,বাস ষ্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য আমার রিক্সায় উঠেছিলো,রাস্তায় রিক্সা চালাতে চালাতে হঠাৎ সামনে একটা গর্ত পরায় কড়াভাবে ব্রেক ধরি, এতে একটি মেয়ে পরে যায়, আর উঠেই আমাকে চর মেরে বলে রিক্সা চালাতে না পারলে রিক্সা চালাস কেনো?
দোষ না থাকা সত্যেও দোষী হওয়াটা কেমন লাগে আপনি বলেন!
তাই তাদের সেখান থেকে অজ্ঞান করে নিয়ে যাই আমার আস্তানায় এবং সেখানেই তাদের মেরে ফেলি।
-আচ্ছা রিয়াকে মারলে কেন?
-আমাকে রিক্সা চালকের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিলো, কত বড় সাহস আমাকে গালি দেয়। সালিকে বিদায় করে দিয়েছি,আর তাকে মেরে ফেলতে একটি পুরুষ দেখেছিলো তাকেও মেরেছি,হাহাহা বেচারা দোষ না করেও মারা গেল।
-মানুষ মেরে তুমি কি মজা পাও?
-আমার আত্নসম্মানবোধে যে হাত দিবে তাকেই মেরে ফেলবো।
-আচ্ছা এই NND টা কি?
– এইটা একটি কোড যেটা আমার দাদার বাবার দেওয়া।
– ১৯৭২ সালে এই কোডটি আবিষ্কার হয়েছে
এইটা শোনার পর মনে পড়ে সেই ৫ টি খুনের কথা। তারমানে সেই খুনের বংশধর এই পার্থ!
তাকে বলি,
-কিন্তু এইটার ফুল মিনিং কিহ?
-আসলে NND এর কোন পূর্নরুপ খুজে পাওয়া যায় নি।,তবে আমাদের পরিবারে আদি থেকেই আসছে। আমরা একটি মুরগী জবাই করলেও NND লিখে রাখি,তাই আমিও রেখেছি।
– তোমার অপরাধের কোন মাফ নেই।
-আমি জানি,তবুও নিজের জীবন দিয়ে নিজের সম্মানকে বাঁচিয়েছি।
-রিক্সাওয়ালার আবার সম্মান।
-এই CID মেজাজ গরম হলে তোকেও মারবো। -আমাকে শাস্তি দে,কিন্তু সম্মান নিয়ে টানাটানি করবি না বলে দিলাম।
-মি.পার্থ তোমার শাস্তিটা ভয়ানক হবে,যেন কেউ আর এমন অপরাধ করার চিন্তা না করে।
আর অপরাধী আইনের হাত থেকে কখনোই রক্ষা পেতে পারে নাহ।
তোমার শাস্তি হলো, একটি রুমে আটকে থাকবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এবং কোন প্রকার পানি ও খাবার দেওয়া হবে না তোমায়।
যদিও CID শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা, তবে তোমার জন্য এমন শাস্তিই মঞ্জুর করব।
এই কথা শেষ হতেই পাশের জেল কারাগার থেকে ডাক্তার অজয় বলে উঠল,
বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই। এইটা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
.
(শেষটা আরো ভয়ংকর করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু পর্ব বেড়ে যাবে জন্য বাড়ালাম না। এখানেই শেষ দিলাম। জানি না কেমন লাগলো বা লাগবে। তবে আমি ভালো লিখতে পারি না আগেই কইলাম। আর পাশে থাকবেন। ভবিষ্যতে এমব পঁচা গল্প আরো লিখতে চাই। আপনাদের ভালো লাগাই যে আমার চাওয়া।
. আর হ্যা রাতসাশান বলা পাবলিক গুলার প্রতি সমবেদনা।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
গল্পটা উৎসর্গ করলাম,
Arifa sultana আপুকে
রোজলীন সোমা ভাবিকে
খোদা হাফেজ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *