অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি ! র্পব-০২ এবং ০৩
সেখানে গিয়ে দেখলাম ছাঁদের
এক কোনে কে যেন
গুনগুন করে গান গাইছে।
প্রথমে দেখাতেই তো
আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম
ইয়া বড় বড় চুল,
আবার একটা বড়
মাপের চশমাও পরা
আছে।দেখতে যেন রাক্ষসী,
যদিও মুখটা দেখতে পাইনি।
এটা হতে পারেনা
এই বিল্ডিং এ তো মেয়ে
থাকার কথা না,
এলো কোথেকে?
সব ঠিক চলছিলো
এমন সময় মেয়েটা
আমার দিকে তাকালো,
তাকিয়ে এমন চিৎকার দিল
চোর চোর চোর
আমিতো ভয় পেয়ে দিলাম ছুট,
এক ছুটে আমার রুমে।
রুমে আসতেই রনি বলল
কোথায় ছিলি?আর হাফাসিস কেন?
আমি -ছাঁদে, এমনি?
রনি -ভূত দেখলি নাকি হিহিহি?
আমি -আরে না কিছু না
*কিছু সময় পর*
বাড়িওয়ালা কাকা তার ফ্লাটে
আমাদের দ্রুত ডেকেছে,
কি যেন বলবে!
আমার বুঝতে আর বাকি
রইলনা যে আমার নামে
নালিশ গেছে
দেরি করে আর লাভ নাই
তাই তখনি গেলাম।
পৌছে একটা টেনে লম্বা
আদাব দিলাম।দেখলাম
কাকা,কাকি একটু
হাসলো।মনে হয় রেগে নাই,
যাক বাবা বাঁচা গেল।
কাকা -কেমন আছো তোমরা?দাঁড়িয়ে কেন
বসো বসো।
আমিওরনি -(বসতে বসতে) ভালো,আপনারা কেমন
আছেন?
কাকা -এই তো ভাল (দিঘা একটু এখানে আসতো) কাকা
ডাক দিল।
দিঘা -আসি বাবা (দিঘার আগমন)
কাকা -এদের মধ্যে কেউ ছিল তখন?
দিঘা –
(৩য় পর্ব)
,
,
আমি – . . . . . . (এ কি ! এ মেয়েটা এখানে কেন ?)
দিঘা – (প্রথমে হাফিজ তারপর আমার দিকে তাকালো।
আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল।)
আমি – (কি ব্যাপার আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে
আছে কেন ? আমি কি এমন করলাম ?)
দিঘা – (এখনও সেই একই ভাবে তাকিয়ে আছে।
যেন চোর দেখছে।)
আমি – (প্রথমে ওকে দেখতে রাক্ষসীর মতো
মনে হলেও এখন কেন জানি ওকে অনেক কিউট
লাগছে।লম্বা লম্বা চুল আর বড় মাপের চশমার নিচে
ছোট ছোট চোখ এখন যেন ওর চেহেরাতে
মাধুর্য্যতা এনে দিয়েছে।সব মিলিয়ে যেন একটা
কিউটের ডিব্বা।দেখে চোখ ফেরানো মুশকিল।
তবুও চোখ ফিরিয়ে নিলাম।)
কাকি – কি হল ? বলো এদের মধ্যে কেউ ছিল
তখন ছাঁদে?
দিঘা – আমাকে দেখিয়ে বলল এই বান্দর মার্কা
ছেলেটা ছিল।
আমি – (খুব রাগ হচ্ছিলো তবুও কিছু বললাম না । চুপ
করে রইলাম।)
কাকি – চুপ কর (ধমক দিয়ে)।ওর নাম জয়। আর ও
হাফিজুর । দুজনই খুব ভালো।ওরা দুজনেই কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।ওরা আমাদের ২য় তালায়
উঠেছে।এখন থেকে ওরা এখানেই থাকবে।আর
ওদের সম্মান করবে।
কাকা – কিছু মনে করোনা তোমরা।
আমি – না না।কিছু মনে করিনি।
কাকা – দিঘা আমার একমাত্র মেয়ে ।ও এবার ইন্টার ২য়
বর্ষ পড়ছে।
কাকি – ও ওরকমই।তোমরা ওর কথায় কিছু মনে
করোনা।
আমি – ঠিক আছে।
কাকা – দিঘা ওদের চা দাও।
হাফিজ – না আঙ্কেল আজ না।অন্য আর একদিন।আজ
আসি।
কাকা – আচ্ছা
আমি – আবার লম্বা একটা আদাব দিয়ে বিদায় নিলাম।
** রুমে এসে **
হাফিজ – এত কিছু ঘটল আর আমাকে বললি না।
আমি – সরি দোস
হাফিজ – ওকে
** পরের দিন **
র্ভাসিটি যাওয়ার জন্য বের হয়েছি।গেটে দেখলামম
দিঘা দাঁড়ায়ে আছে।আমাদের দেখে এগিয়ে এসে
বলল . . . .
দিঘা – কেমন আছেন আপনারা?
আমি ও হাফিজ – ভালো।আপনি?
দিঘা – ভালো, সত্যি কালকের ঘটনার জন্য খুব সরি।
আমি – (একটা হাসি দিয়ে) ঠিক আছে।
দিঘা – (মুচকি হাসি দিয়ে) ধন্যবাদ।
আমি – আচ্ছা পরে কথা বলব।এখন বাই।(বিদায় নিয়ে
র্ভারসিটি গেলাম।)
** র্ভারসিটি থেকে ফেরার পথে **
র্ভারসিটি থেকে বাসা ৫ মিনিটের হওয়ায় হেঁটে
আসসিলাম।
হঠাৎ পিছন থেকে একটা প্রাইভেট হর্ন দিতে শুরু
করল। তাই আমরা ও রাস্তার সাইডে হাটতে লাগলাম।
আবার হর্ন পি পি পি পি পি
তাই আরো রাস্তার সাইডে চলে এলাম।কিন্তু আবার
সেই বিরক্তিকর হর্ন পি পি পি পি পি
বাধ্য হয়ে ড্রাইভারের কাছে গিয়ে বললাম . . .
আমি – (রাগিত স্বরে) সমস্যা কি আপনার? সাইড দিয়েছি
তারপরেও হর্ন দিচ্ছেন কেন?
তখন ভিতর থেকে একটা মেয়ে বলল
আসলে আমরা একটা ঠিকানা খুজে পাছছি না। তাই হর্ন
দিয়ে আপনাদের ডাকার চেষ্টা করছিলাম।
হাফিজ – কেন গাড়ি থেকে নেমে শুনতে পারেন
না।নাকি গাড়ি কিনেছেন বলে মাথা কিনে নিয়েছেন?
আমি – (দেখলাম রেগে যাচ্ছে তাই বললাম) বাদ
দে। চল কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।(বলেই চলে
আসলাম)
** সন্ধ্যায় **
পড়ন্ত বিকালে আমার ছাঁদে থাকতে খুব ভালো
লাগে তাই ছাঁদে গিয়ে এক কোনে দাড়িয়ে
হেডফোন কানে দিয়ে গান শুনছিলাম ছাঁদের অপর
পান্তে তাকিয়ে আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম
এবং তখনই ছাঁদ থেকে চলে আসলাম। পিছন
থেকে শুনতে পেলাম — “এ ছেলে এখানে
কেন? ঐ ছেলে দাঁড়াও দাঁড়াও”
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!