অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি ! র্পব-০৪
এসেই শুয়ে পড়লাম আর ভাবতে লাগলাম . . .
কি হচ্ছে আমার সাথে, যার সাথেই একটু ঝামেলা
হচ্ছে তাকেই এ বাড়িতে আসতে হচ্ছে ?আর তার
সাথেই আবার দেখা হচ্ছে? যাই হোক মেয়েটা
কিন্তু অল্পতে অনেক রেগে যায়।আর আমার
তো রাগি মেয়েদের ভালো লাগে।তাদের
রাগিয়ে অনেক মজা পাওয়া যায়।
আমি – যাহ্ আমি আবার এটা কি ভাবছি? যে কিনা
মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভয় পায় সে কি নাকি
রাগিয়ে মজা নেবে? (ভাবতেই এক মুহূর্তেই
রাগানোর ইচ্ছাটা মাটি হয়ে গেল।কত আশা
করেছিলাম)
হাফিজ – কিরে শুয়ে শুয়ে কি ভাবছিস?
আমি – সেই মেয়েটা।
হাফিজ – কোন মেয়ে?
আমি – সকালের সেই রাগি মেয়েটা আমাদের ছাঁদে
দাঁড়িয়ে আছে।
হাফিজ – কি বলিস তোর মাথা ঠিক আছে? নাকি ওই
মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিস?
আমি – চল তোকে দেখাচ্ছি।
হাফিজ -চল
** ছাঁদে গেলাম **
আমি – ওই দেখ।
হাফিজ – এটা কি করে সম্ভব? (একটি উচ্চ স্বরে
বলল।তখনি মেয়েটি আমাদের দিকে তাকালো ।আর
তাকানো মাত্রই সেখান থেকে ভ্যানিস হয়ে রুমে
আসলাম)
হাফিজ – আমার মাথা ঘুরছে।মেয়েটা ভুত নয়তো।ভুত
হলে এতো সুন্দর হবে কেন?
আমি – কি বকছিস এসব।
হাফিজ – কিছুনা।মেয়েটা অনেক সুন্দর তাই না?
আমি – কেনো ওকে তোর ভাল লাগছে?
হাফিজ – কি যে বলিস? কিন্তু একটা কথা, তোর সাথে
ওর দারুন মানাবে।
আমি – আচ্ছা তোর কি এখন মার খেতে ইচ্ছা
হচ্ছে, যে এসব বলসিস?
(এমন সময় দরজায় খট খট আওয়াজ)
আমি – দেখতো কে এসেছে? আমি একটু
বাথরুমে যাচ্ছি।
হাফিজ – দেখছি।ওয়াও তুমি? ভিতরে আসো, বসো।
দিঘা – কেমন আছেন আপনি?
হাফিজ – ভালো, তুমি?
দিঘা – ভালো, মা এ খাবার গুলা পাঠিয়েছে।
হাফিজ – এসবের কি দরকার ছিলো?
দিঘা – কই এতো কিছু? তাছাড়া আর একজন কই? তাকে
তো দেখছি না।
হাফিজ – ও বাথরুমে
দিঘা – তাহলে আমি এখন যাই (মন খারাত করে বলে)
হাফিজ – ও একখুনি বের হবে তুমি আর একটু বসো
(আমি বাথরুম থেকে বের হলাম) কিরে তোর
এতো সময় লাগে? ও কতক্ষন ধরে তোর জন্য
অপেক্ষা করছে।
আমি – (দিঘার দিকে তাকালাম, দেখলাম নিচের দিকে
তাকিয়ে আছে।মনে হয় হাফিজের কথায় লজ্জা
পাইছে।) কেমন আছেন?
দিঘা – (মুচকি হেসে) ভালো, আপনি?
আমি – ভালো।
দিঘা – আপনি আমাকে আপনি করে বলেন কেন?
এবার থেকে তুমি করে বলবেন।
আমি – আচ্ছা
(দিঘা আমার দিকে তাকিয়ে একটা রহস্য পূর্ণ হাসি দিয়ে
চলে গেল।যেন কিছু বলে গেল ওই হাসিতে)
হাফিজ – দোস্ত তোর হয়ে গেছে।
আমি – কি হয়ে গেছে?
হাফিজ – সামথিং সামথিং হিহিহিহি
আমি – এবার তুই নিশ্চিত আমার হাতে মার খাবি
হাফিজ – ওকে।আর বলব না।
আমি – মনে থাকে যেন।(হাফিজের কথা কি সত্যি?
নাকি না? আবার সত্যি না হলে এমন হাসি বা দেবে
কেন? দূর আমি একি ভাবছি?যে কিনা আমাকে
ছেলের মতো বিশ্বাস করে, আর আমি কি না তার
মেয়েকে নিয়ে এসব ভাবসি ছি ছি ছি ছি ।এসব চিন্তা
বাদ।সব দোষ এই হাফিজের হালাই এসব কুচিন্তা আমার
মাথায় ঢুকায় দিছে)
**পরদিন সকালে**
র্ভারসিটি যাব বলে বের হয়েছি , দেখি সেই
মেয়েটা গেটে দাঁড়ায়ে আছে।তাই আমরা খুব
দ্রুত সেখান থেকে পাশ কাটিয়ে উঠতেই
মেয়েটি বলে উঠল . . .
মেয়ে – এই যে শুনছেন?
আমরা – (না শুনার ভান করে র্ভারসাটি চলে আসলাম।)
*সেদিন সন্ধ্যায় আর ছাঁদে যাই নি, রুমে বসে
অ্যাসাইটমেন্ট করছিলাম*
কিছুক্ষন পর দিঘার আগমন।এসেই বলল. . , .
দিঘা – আজ ছাঁদে যাননি কেন? আপনার জন্য অপেক্ষা
কত করছিলাম।
আমি – এমনি যাই নি ।কেন কিছু বলবে?
দিঘা – (কিছু না বলে, আমার দিকে একবার রাগি লুকে
তাকিয়ে চলে গেল ।)
(দেখলাম হাফিজ কি যেন একটা বলতে চেয়েও
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আর বলল না, আমি জানি
যে ও কি বলতে চাইছিল , তাই আর জানতে চায় নি।
* পরদিন খুব সকালে *
হাফিজ – এই জয় ওঠ। উঠে দেখ একটা জিনিস।
আমি – (চোখ আধো খোলা অবস্থায় দেখলাম ওর
হাতে একটা বাক্স।) কি হয়েছে?
হাফিজ – এই বাক্সটা দিঘা তোকে দিয়ে গেছে।আর
বলেছে আজ সন্ধ্যায় তোকে ছাঁদে যেতে।
আমি – আচ্ছা।(কিছু সময় পর ঘুম পুরাপুরি ভেঙে
গেল।তখন বাক্সের কথা মনে হতেই হাতে নিলাম।
রঙিন কাগজ দিয়ে বাক্সটা খুব সুন্দর করে
মোড়ানো ছিলো।খুব একটা ভারি বা বড় ও না।কি
থাকতে পারে এই বাক্সে? অনেক আগ্রহ নিয়ে
বাক্সটা খুললাম।আর খুলে তো আমি একই সাথে
আবাক,তাজ্জব ও শিহরিত হলাম।একি দেখলাম ?
চলবে,,
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!