The villain lover ।। পার্ট : ২২
– ছোয়া প্লিজ আমার কথাটা একটু শোনো এসব করার পেছনে অনেক কারন ছিলো,
– কথা বলবেন না আপনি আপনি একটা একটা খারাপ লোক,একটা জানোয়ার কতো জীবন নষ্ট করেছেন এখন আমার আর আমার সন্তানের জীবন নষ্ট করতে চাচ্ছেন।
ভিডিওতে ছোয়া দেখেছে রুদ্র একটা লোককে অনেক মাড়ছে একটা সময় লোকটাকে মাড়তে, মাড়তে গুলি করে মেরে ফেলেছে, কিন্তু ছোয়া এসব দেখার পর ও রুদ্রকে ভুল বুঝতে চায়নি কিন্তু রুদ্র যখন নিজের মুখে স্বীকার করলো রুদ্র সত্যি এমনটা করেছে তখন ছোয়া আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।
– আমি পারবোনা আমার সন্তানকে একটা খুনির পরিচয়ে বড় করতে, আমি ওকে নিতে অনেক দূরে চলে যাবো ( কাঁদতে, কাঁদতে কথাগুলো বললো ছোয়া)
– ছোয়া এসবের পেছনে একটা বড় কারন আছে,বিশ্বাস করো আমাকে,
– না,আর না। আমি।বিশ্বাস করিনা তোর মতো জানোয়ার কে।আমার আর আমার সন্তানের কাছে আসবিনা তুই, খুনি তুই। দরকার হলে আমার আমার বাচ্চাকে মেরে নিজেও মরবো কিন্তু তোর
– ঠাসসসসসস
ছোয়া কথা শেষ করার আগেই রুদ্র ছোয়ার গালে থাপ্পড় বসিতে দিলো।
– কি বললি তুই??? আমার সন্তানকে মেরে নিজেও মরবি?
এই কথা বলার সাহস কিভাবে হলো তোর( অনেক রেগে বললো রুদ্র)
– মেরে ফেলুন আমাকে, মাড়তে মাড়তে মেরে ফেলুন। এই জীবন চাইনা আমি( কাঁদতে, কাঁদতে বললো ছোয়া)
– আর একবার মড়ার কথা শুনলে আমি কি করবো কল্পনাও করতে পারবি না, বলেই রুদ্র বেড়িয়ে গেলো,
আর ছোয়া বসে, বসে কাঁদতে লাগলো,,,
– হ্যালো ভাইয়া,
– হ্যা বল?
– তোর সাথে কি ভাবির কিছু হয়েছে?
– এই কথা জিজ্ঞেস করছিস কেনো?
– ভাবি দূপুরে খায়নি, দরজা বন্ধ করে আছে । মা বলছিলো এই অবস্থায় যদি না খেয়ে থাকে তবে শরীর আরো খারাপ হবে।
– আচ্ছা তুই ফোন রাখ আমি আসছি।
তারপর রুদ্র বাসায় আসলো,
রুদ্র দোহার রুমে গিয়ে দোহাকে কোলে করে ছোয়াকে ডাকতে গেলো,
– আপুনি? আপুনি? দরজা খোলো!
-ছোয়া অনেকক্ষন বসে রইলো দোহার এভাবে ডাক শুনে নিজেকে আটকাতে পারলো না, তাই উঠে দরজা খুললো,
– আপুনি তোমার কি হয়েছে? আমার সাথে রাগ করেছো?
– না আপুনি,রাগ করবো কেনো।
– তাইলে দরজা বন্ধ করে কেনো ছিলে,
– আপুনি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম,
-লাল গোলাপ যাও রোদেলা আপুকে বলো খাবার নিয়ে আসতে, ( রুদ্র দোহাকে বললো।
দোহা রোদেলার কাছে গেলো,
ছোয়া রুমে এসে আবার বিছানায় বসলো,
– আমার অপরাধের শাস্তি বাচ্চাটাকে কেনো দিচ্ছো? আমাকে দাও। যতো ইচ্ছা কিন্তু আমার নিষ্পাপ বাচ্চাটার তো কোনো দোষ নেই ছোয়া,,,
-ছোয়া মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,
– ভাইয়া খাবার( রোদেলা)
– হ্যা দিয়ে যা (রুদ্র)
রোদেলা খাবার রেখে চলে গেলো,
রুদ্র ছোয়ার সামনে খাবারগুলো নিয়ে,
– নাও খেয়ে নাও,
– চুপ( ছোয়া)
– কি হলো খেয়ে নাও, মেডিসিন নিতে হবে।
– আমাকে আর আমার সন্তানকে মুক্তি দিন রুদ্র,
(মাথা উঠিয়ে রুদ্রকে এই কথাটা বললো ছোয়া,)
– ছোয়া এমন কোনো কথা বলোনা যাতে আমার রাগ ওঠে প্লিজ।
– কেনো আপনার রাগ কেনো উঠবে বলুন? যখন আমার সন্তানকে একটা সুন্দর জীবন দিতেই পারবেন না তবে কেনো ওকে একটা অসুস্থ জীবন দিতে চান আপনি?
আমি আমার সন্তানের সুস্থ জীবন চাই রুদ্র যে করেই হোক তাতে যদি আমাকে পালিয়ে যেতে হয় তাই যাবো।
– আর একটা উলটা পালটা কথা বললে খুব খারাপ হয়ে যাবে ছোয়া, ঠিক ঠাক ভাবে খেয়ে নাও বলছি।
বলেই রুদ্র ছোয়ার মুখে খাবার তুলে দিতে লাগলো,
বাদ্ধ্য হয়ে ছোয়াকে খাবারগুলো খেয়ে নিতে হলো কারন সে জানে রুদ্রকে বলেও কোনো লাভ নেই।
ছোয়াকে খাইয়ে রুদ্র নিজেও।ফ্রেস হয়ে আসলো,,,,
রাত ১২ টা ছোয়ার অস্থিরতা বেরে যাচ্ছে শরীরটা তেমন ভালো লাগছে না, রুদ্রকে ডাকতেও ইচ্ছা করছেনা। কিন্তু খারাপ লাগাটা এতো তিব্র বেগে বাড়ছে যে রুদ্রকে ডাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই ছোয়ার,
– এই শুনছেন?
ছোয়ার ডাকে ধড়ফড়িয়ে ওঠে রুদ্র,
– কি হয়েছে???
– আমার কেমন জানি খারাপ লাগছে,
– মানে?
– জানিনা, মাথা ঘুরাচ্ছে অস্থির লাগছে
রুদ্র আর দেরি না করে ডাঃ কে ফোন দিলো,
ডাঃ এসে ছোয়ার চেকাপ করলো আর রুদ্রকে বললো ছোয়ার বেশি খেয়াল রাখতে মানুষিক চাপের জন্য এমন হচ্ছে।
ডাঃ চলে যাবার পর,
– ছোয়া আমার থেকে দূরে থাকলেই তো তুমি ভালো থাকবে তাইনা? তবে তাই হবে। কাল।সকালেই আমি তোমাকে তোমার মায়ের কাছে দিয়ে আসবো।
ছোয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না, রুদ্রের কথায় সে খুশি হতে পারছেনা। কারন যাই হোক সে যে রুদ্রকে ভালোবাসে আর রুদ্রের সন্তান তার শরীরে।
ছোয়া আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়লো,
আর রুদ্র ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে,
জান আজ তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তা আমি জানি, তবে এসব করছি একটা কারনে যেদিন তুমি তা জানতে পারবে তখন হয়তো অভিমান করবে একটু তবে তোমার সব ভুল বোঝাবোঝির অবসান হবে খুব তাড়াতাড়ি, যা করছি তোমার জন্য করছি। আমার সন্তানের জন্য করছি। আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে রুদ্র,,
চলবে,
( রমজান মাস তাই গল্প ছোট করে দিচ্ছি, তবে আর বেশি ঘোলাটে করবোনা। সত্যিটা খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ হবে)