The villain lover

The villain lover ।। পার্ট : ১১

– হুম, যদি তোমাকে পুরো নাম বলতাম তুমি চিনে ফেলতে তাই শুধু রুদ্র বলেছি, এই নামটায় আমাকে বেশিরভাগ মানুষ চিনেনা। সবাই ফারহান নামেই চিনে।
– হুম, আমার কোমর টা ছাড়ুন।
– কি???
– মানে আপনি আমার কোমরে হাত দিয়ে আছেন,হাতটা সরান।
– রুদ্র ছোয়াকে ছেড়ে দিলো,
ছোয়া মুখ ফুলিয়ে বসে আছে সিটে,
– ইচ্ছা করছে নিজের সবগুলা চুল ছিঁড়ে ফেলতে,আর মিমটাই বা কেমন এখান থেকে উঠতে গেলো কেনো একবার পাই ওকে,দেখাবো মজা।( মনে,মনে এসব ভাবছে আর রাগে ফুসছে ছোয়া।
রুদ্র কখনো চায়নি ছোয়া এভাবে সব জানুক, কিন্তু ছোয়া কিছু না বুঝেই বার,বার ভুল বুঝছে তাকে।বিষয়টা রুদ্রকে কষ্ট দিচ্ছে আবার ভয় পাওয়াচ্ছে,ছোয়া তার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে না তোহ।
ছোয়ার চুল গুলো বার,বার রুদ্রের মুখে এসে পড়ছে,
আর রুদ্র মাতাল হয়ে যাচ্ছে, যেমনটা সবসময় হয়।
ছোয়া ব্যাগ থেকে হেয়ার বেন্ড বের করে চুল টা বাধতে যাবে তখনি।
-এই চুল বাধবে না,
– কেনো?
– কারন চুল খোলাতেই তোমাকে সুন্দর লাগে,আর এইযে বার,বার তোমার চুল আমার মুখে এসে পড়ছে এতে এক আলাদা নেশা লাগে আমার।
– আপনার কোনো নেশার কারন আমি হতে চাইনা বলেই ছোয়া চুল বেধে নিলো।
– আমার কথা শুনবেনা তাইনা, এই বলেই রুদ্র ছোয়ার চুল আবার খুলে দিলো,
এমন একটা লোকের সাথে কোনো রকম ঝামেলায় জরানোটা ছোয়া কাছে বেশ অসহনীয় তাই ছোয়া আর কিছু না বলেই সেইভাবেই বসে থাকে।
প্রায় অনেক রাতে গাড়ি ঢাকাতে পৌছায়,,
ছোয়ার আর মিমদের বাড়ি মেইন রাস্তা থেকে একটু ভেতরে তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ছোয়া আর মিমকে তার বাড়ি অবদি রুদ্র দিয়ে আসবে,আর রুদ্র আগেই তার স্টাফ কে ফোন দিয়ে গাড়ি নিয়ে থাকতে বলে।
ছোয়া অনেকবার বলে সে একা যেতে পারবে কিন্তু স্যার তাকে একা ছাড়বে না, তাই বাদ্ধ্য হয়ে রুদ্রের সাথে একি গাড়িতে উঠতে হয় ছোয়ার।
ছোয়া আর মিম পেছনে যেয়ে বসবে তখনি,
– এইযে আমাকে কি ড্রাইভার মনে হয়?
– কেনো ভাইয়া( মিম)
– আপনারা দুজন পেছনে আমি ড্রাইভিং সিটে তো তাই।
– ওহ, এই ছোয়া যা সামনে না।( মিম)
-আমি পাড়বো না তুই বস সামনে,
রুদ্র চোখ গরম করে বলে,
– ছোয়া,সামনে এসো।
রুদ্রের কথা শুনে ছোয়া চুপচাপ সামনে বসে কথা না বাড়িয়ে, কারন ছোয়া জানে কথা বাড়িয়েও কোনো কাজ হবেনা।
মিমের বাড়ি, ছোয়ার বাড়ির একটু আগে,
– মিমকে আগে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি রওনা দিলো ছোয়ার বাড়ির দিকে,
– ছোয়া?
– হুম বলুন??
– বাসায় যেয়ে ফ্রেস হয়ে আমাকে ফোন দিবা।
– পারবোনা,
– তুমি দিবা, আর তা না হলে।
– কি করবেন?
রুদ্র গাড়ি থামেয়েই নেশা ভরা চোখ দিয়ে ছোয়ার দিকে তাকালো,
ছোয়া তো ঢোক গিলে যাচ্ছে রুদ্রের তাকানো দেখে,
রুদ্র আর কিছু না বলে ছোয়াকে টেনে, ছোয়ার ঠোঁটে ঠোট বসিয়ে পাগলের মতো কিস করতে লাগলো,
ছোয়া নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে আর রুদ্রকে ধাক্কা আর ঘুষি দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু রুদ্রের সেদিকে কোনো হুস নেই। ছোয়া আর উপায় না পেয়ে রুদ্রের ঠোটে কামড় বসিয়ে দিলো।
– আহ, এটা কি করলে জান?
– ছোয়া অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুদ্রের দিকে, তাহলে এসবের জন্যই এতো বছর পর আমাকে লাগবে?
– কি বলছো জান? আমার তো তোমার সব কিছু চাই,এসব তো নষ্টপল্লিতেও পাওয়া যায়,
রুদ্রের কথা শুনে ছোয়া আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলোনা, গাড়ি খুলে নেমে যেতে চাইলো।
কিন্তু তার আগেই রুদ্র ধরে ফেললো ছোয়াকে,
রুদ আবার গাড়ি স্টার্ট করলো,আর একেবারে ছোয়াদের বাসায় যেয়ে থামলো।
বাসায় আসতেই ছোয়া গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে বাসায় চলে গেলো। আর রুদ্র তাকিয়ে আছে ছোয়ার যাওয়ার দিকে।
– কলিংবেল বাজতেই দরজা খুললো ছোয়ার আম্মু, ছোয়া তার মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
– কি হয়েছে মা? কাঁদছিস কেনো,
– আম্মু ও আবার এসেছে( কাঁদতে, কাঁদতে)
– কি হলো কে এসেছে বল ছোয়া?
– আম্মু ফারহান
– কি? কোথায় এসেছে? তুই কিভাবে জানলি?
– আম্মু,,,,,,, ( তারপর ছোয়া তার মা কে সব খুলে বললো,আর ছোয়ার আম্মু ঠিক করলো,সকালেই তারা এই বাসা ছেড়ে চলে যাবে।

ঘুম আসছে না ছোয়ার জীবনে খুব বড় কোনো ঝড়ের আভাস পাচ্ছে সে, বাবা তো নেই এখন নিজের মা বোনকে হারিয়ে বাচতে পারবে না ছোয়া,নানা চিন্তা যেন বিষের মতো লাগছে ছোয়ার,
বিছানার সাথে হেলান দিয়ে মাত্র ঘন্টাখানেক চোখ বুজে ছিলো ছোয়া,মায়ের ডাকে চোখ মেললো ছোয়া,
– এই ছোয়া চল!
– হ্যা আম্মু চলো, ছোয়াকে রেডি হতে বলে ছোয়ার মা যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে ঠিক তখনি ছোয়া তার মায়ের হাত ধরলো,
– আম্মু আমরা কি স্বাভাবিক জীবনের আশা করতে পারিনা কখনো?
মেয়ের এই প্রশ্নের উত্তর কি দিবে বুঝতে পারছেনা ছোয়ার মা,

কোনো রকম ভাবে হালকা আধারেই বেড়িয়ে পরার জন্য মনোস্থির করলো, ছোয়া ও তার মা।
হঠাৎ দরজায় বেল বাজতেই ছোয়ার আম্মু ভাবলো, রাশিদ মানে ছোয়ার ছোট মামা হয়তো এসেছে কারন রাতেই তাকে ফোন দিয়ে আসতে বলেছে ছোয়ার আম্মু।
ছোয়ার আম্মু দরজা খুলতেই কিছু লোক ছোয়াদের রুমে ঢুকলো,
সবার শেষে যে ঢুকলো তাকে দেখে ছোয়ার অন্তর কেপে উঠলো।
রুদ্র সরাসরি ছোয়ার কাছে এসেই ছোয়াকে বলতে শুরু করলো,
– এতো বড় সাহস তোমার? পালাতে চাইছিলে! আমি তোমাকে।বলেছিলাম তুমি আমার থেকে পালাতে পারবে না,তবুও এই সাহসটা কেনো দেখাতে গেলে ছোয়া?
রুদ্রের চোখে আজ আগুন দেখছে ছোয়া, ছোয়া তার কথা বলার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
– ছোয়ার বুঝতে বাকি রইলো না,ছোয়া কাল যে কারনে পালাতে চেয়েছিলো, সে কারনেরই মুখোমুখি আজ ছোয়া।
– বাবা আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দাও।
– আন্টি,আপনার মেয়ে আমার বউ কিভাবে ওকে ছেড়ে দেই বলুন?
এ কথায় পিঠে ছোয়ার মা কি বলবে বুঝতে পাড়ছে না।
রুদ্র আর কাওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ছোয়াকে টানতে,টানতে নিয়ে যাচ্ছে, ছোয়া অনেক কান্নাকাটি করে যাচ্ছে কিন্তু রুদ্র সে দিকে কোনো খেয়াল করছেনা।
– আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ আমি যাবোনা,আপনার সাথে!
– তুমিই তো যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছিলে এখন নিয়ে যাচ্ছি চুপ করে বসে থাকো। আর সামনে ড্রাইভার তুমিকি চাও ওর সামনে কাল রাতের মতো কিছু করি?
ছোয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে রুদ্রের দিকে এই মানুষটা এতো চিপ মাইন্ডের কথা বলতে পারে আগে ভাবতে পারেনি ছোয়া।
হঠাৎ গাড়ি থামলো একটা বড় বাড়ির সামনে,,,
রুদ্র নেমে ছোয়াকে নামতে বলেছে,আর সেই সুযোগে ছোয়া রুদ্রকে অনেক জোরে ধাক্কা দিয়ে দৌড় লাগায়,
রুদ্র ধাক্কা সামলাতে না পেরে মাটিতে পরে যায়,
ছোয়া দোড় দেখে সে কোনোরকম উঠে ছুট লাগায় ছোয়ার পেছনে।
ছোয়া প্লিজ স্টোপ,অনেক খারাপ হয়ে যাবে,
ছোয়া কোনো কথা না শুনে দৌড়াতে থাকে,
একটা সময় ছোয়া রাস্তায় পরে যায়, উঠতে,উঠতেই রুদ্র তাকে ধরে ফেলে।
-রুদ্র ছোয়ার কাছে এসে হাপাচ্ছে, কেনো ছুটছো ছোয়া? কোনো লাভ নেই ছুটে, আমার থেকে পালাতে পারবে না তুমি।
– ছোয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না, ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে রুদ্র আর ছোয়ার সামনে হাজির, রুদ্র ছোয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে বাসায় নিয়ে গেলো, আর ছোয়া ছোটার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাসায় যেয়ে রুদ্র ছোয়াকে অনেক বোঝাতে চেষ্টা করেছে সব কিছু কিনতি ছোয়া রুদ্রের কোনো কথা শোনেনি,বার বার রুদ্রকে ধাক্কা দিয়ে গেছে আর একটা কথাই বলেছে
আমি থাকবোমা আপনার কাছে,একটা সময় রুদ্র আর সইতে না পেরে জোরে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো ছোয়ার গালে,,,
( তারপর কি হয়েছে তা পার্ট ১ এ তো জানতেই পাড়লেন)

বর্তমান,,,
– ছোয়া চলে যাবে ঠিক তখনি রুদ্র ছোয়ার হাত টেনে ধরলো,
ছোয়া তুমি যদি আমার ভালোবাসাটাকে নেশা ভাবো তবে তা এ প্রখর নেশা,যে নেশা কেবল তোমাকে দিয়েই নিবারন করা সম্ভব।
ছোয়া আজ তুমি আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরিতে দিতে চাচ্ছ তবে মনে রেখো একদিন তোমার ভুল ভাঙবে আর সেদিন তুমি খুব বেশি অনুতপ্ত হবে।
– সেদিনটা যদি আমার জীবনে কখনো আসে সেদিন আপনি আমাকে যা করতে বলবেন আমি তাই করবো।
– আহ,ছোয়া আমার উফ।
– কি হয়েছে রুদ্র? আপনি ঠিক আছেন? রুদ্র ছোয়া আর কিছু বলার আগে রুদ্র ছোয়া ওপরে ঢোলে পড়লো,
প্রায় অনেকক্ষন ধরেই রুদ্রের পাশে বসে আছে ছোয়া। মাথায় হাজারো প্রশ্ন।
রুদ্রের জ্ঞান ফিরলো,,
ছোয়া বসে আছে রুদ্রের পাশে,
– কি হয়েছে আপনার?
– না তেমন কিছু না কেমন যেন মাথা যন্ত্রণা করে, মাথাটা ঘুরে গেলো।
– এখন কেমন লাগছে।
– হ্যা ভালো,
– আপনি বসুন আমি খাবার নিয়ে আসছি,
ছোয়া রুদ্রের জন্য খাবার নিয়ে আসলো,
– ছোয়া? এতো কেয়ার কেনো?
– মানে? আমি আপনার মতো অমানুষ না বুঝলেন? তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন।
– ছোয়া আমাকে বের হতে হবে!
– কেনো কোথায় যাবেন?
– কাজ আছে,
– এই শরীর নিয়ে কোথাও যেতে হবেনা।
– রুদ্র মুচকি হাসলো, ছোয়া তোমার এই অধিকারবোধটাকে সারাজীবন আকরে ধরে রাখতে হলে আজ আমাকে বের হতে হবে,আর নয়তো যে আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলবো।
– কি সব পেচানো কথা বলছেন? বুঝতে পারছিনা, আচ্ছা আপনার যা ইচ্ছে করুন আমার কিছু আসে যায় না। বলেই ছোয়া উঠতে যাবে ঠিক তখনি রুদ্র ছোয়ার হাত ধরে ফেলে।
– প্রশ্নসূচক ভাবে ছোয়া রুদ্রের দিকে তাকায়!!
-খেয়েছো তুমি?
-না খাইনি, খাবোনা। না খেয়ে খেয়ে মরে যেতে চাই আপনার থেকে মুক্তি চাই।
– নিজের বাবার খুনিকে শাস্তি না দিয়েই মড়ে যেতে চাও?
রুদ্রের কথাগুলোর মাঝে অনেক রহস্য টের পাচ্ছে ছোয়া, কিন্তু রুদ্র কি বোঝাতে চাচ্ছে নিজেও বুঝতে পারছেনা ছোয়া।
রুদ্র আর কিছু না বলে রেডি হয়ে বেড়িয়ে গেলো।

( আচ্ছা তাহলে কি রুদ্র ছোয়ার বাবার খুনিকে খুজে পেলো? কে সেই খুনি??)

সারাদিন আর কোনো খোজ নেই রুদ্রর ছোয়া একা, একা রুদ্রের বলা কথাগুলোর মানে খুঁজতে ব্যাস্ত।
বিকেলে হালকা বাতাসে বসে আছে ছোয়া,
দোলনায় বসে পা নাড়াচ্ছে, বেস ভালোই লাগছে ছোয়ার। সব কষ্ট যেন বাতাসের সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে।
ছোয়ার মনে পড়তে থাকে রুদ্রের সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা,হয়তো রুদ্রের আসল পরিচয় না জানলে বা রুদ্র অন্যকেও হলে রুদ্রের মতোই কারো প্রেমে পড়তে চাইতো ছোয়া।
কিন্তু আজ সে পারছেনা রুদ্রকে আপন করে নিতে রুদ্রের দিকে তাকালেই ছোয়ার মনে হয় তার বাবার রক্ত এখনো লেগে আছে রুদ্রের শরীরে।
দোলনায় বসে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে ছোয়ার নিজের ও খেয়াল নেই।
সন্ধ্যার দিকে ঘুম ভাঙতেই ছোয়া নিজেকে খুব শক্ত কিছুর ওপরে আবিষ্কার করে,
মাথা তুলেই ছোয়া দেখে রুদ্র,আর সে রুদ্রের বুকে ওপরেই শুয়ে আছে,
লাফ দিয়ে উঠে পরে ছোয়া,
– আপনি?? আমিতো দোলনায় ছিলাম?
– হুম,এসে দেখলাম তুমি সেখানে শুয়ে আছো তাই কোলে করে নিয়ে আসলাম।
– আমাকে জাগালে কি হতো?
– ইস এমন একটা ভান করছো কখনো আমার কোলে ওঠনি?
– সেটা ঘটনাচক্রে ছিলো!
– হুম তা ছিলো, কিন্তু এখন থেকে আমি কোনো কারন ছাড়াই আমার বউকে কোলে নিবো। আর এখন ও আমার বউ যেভাবে আমার সামনে বসে আছে,তাতে মনে হয়।
রুদ্রের কথা শুনে ছোয়া নিজের দিকে তাকালো, নিজের দিকে তাকাতেই হা হয়ে আছে ছোয়া, একি শাড়ির আচল বুকে নেই,নিজেকে সামলে নিলো ছোয়া( লজ্জায় শেষ হয়ে যেতে ইচ্ছা করছে ছোয়ার)
– স্বামীর সামনে এতো লজ্জা পেতে হয়না,
আপনি সবসময় এতো লুচু টাইপের কথা বলেন কেনো?
– হাহা, সব বউয়ের কাছেই তার স্বামী হলো চরম আকারে লুচু, কিন্তু সেই লুচুর সাথেই ভালোবেসে সংসার করে বেশিরভাগ মেয়ে, যেমনটা তুমিও করবে জান।
চলবে,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *