1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃThe villain loverলেখাঃ নিলাশা ইরা

The villain lover!! লেখাঃ নিলাশা ইরা

The villain lover

– ঠাসসসসসসসসসসস,

– এতো বড় সাহস কি করে হলো তোর। আমাকে ছেড়ে যেতে চাস?

কেনো,কেনো ছোয়া কেনো??

– প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন,আমি আপনার সাথে থাকতে চাইনা।

– কেনো? আমি তোমাকে কেনো ছাড়বো বলো? তুমি আমার বউ তুমি শুধু আমার কাছে থাকবে।

– কিসের বউ আমি মানিনা এই বিয়ে,এই বিয়ের জন্য প্রান দিতে হয়েছে আমার বাবাকে এই অভিশপ্ত বিয়ে আমি মানিনা।

– তোমাকে মানতে হবে ছোয়া,তোমাকে মানতেই হবে। কারন আমি কিছু করিনি আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে নিজের বুকে আগলে রাখতে চাই আজীবন।

– আপনি খুনি আমার বাবাকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছেন,

(বিঃ দ্রঃ “ The villain lover!! লেখাঃ নিলাশা ইরা ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

ছোয়াকে রুদ্র ধরতে যাবে তখনি ছোয়া চিৎকার করে বলে উঠলো,,

– আপনি ছোঁবেন না আমাকে,আপনি আমাকে ছুলে আমি অপবিত্র হয়ে যাবো।

– না আমি ছুলে তুমি অপবিত্র হবে না,কারন আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের বিয়ে হয়েছিলো।

– আমি মানিনা এই বিয়ে বেড়িয়ে যান আপনি।

-ভেবেছিলাম তোমাকে ভালোবেসে আপন করবো, কিন্তু তা আর তুমি হতে দিলা না। বলেই রুদ্র ঝাপিয়ে পড়লো ছোয়ার ওপরে, ছোয়া ছোটার জন্য ছোটফোট করছে কিন্তু রুদ্রের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই,সে আদায় করছে তার ৭ বছর আগে পাওয়া অধিকার।

ছোয়া সইতে পারছে না,অঝোরে কাঁদছে, আর একটা সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

,,,,,,,,,,,,,,৭ বছর আগে।

রুদ্র আর ছোয়ার বিয়ে হয়েছিলো ৬ বছর আগে। আসলে একরকম পরিস্থিতির চাপে পড়ে হয়েছিলো বিয়েটা।

ছোয়ার বড় বোন স্নেহার বিয়ের দিন স্নেহা আর ভালোবাসা মানুষের সাথে পালিয়ে যায়।

বিয়ের আসর থেকে মেয়ে পালিয়ে গেছে ব্যাপার টা কোনো বাবা মেনে নিতে পাড়েনা।

রুদ্র আর ছোয়ার বাবা হলো অনেক ভালো বন্ধু, নিজের বন্ধুর এমন পরিস্থিতি দেখে রুদ্রের বাবা ঠিক করলো,

একি বিয়ের অনুষ্ঠানে সে রুদ্র আর ছোয়ার বিয়ে হবে,

এ কথা শুনে ছোয়ার বাবা যেন বিশাল এ হাফ ছেড়ে বাচলো।

,,,,,,,

-বাবা আমার বয়স কতো, যে তুমি আমাকে বিয়ে করার কথা বলছো,জীবনে আমার এখনো কতো কিছু করার বাকি আছে। আর তুমি আমাকে এখনি বিয়ে করে সংসার জীবনে বন্ধি হতে বলছো?

– দেখ ছোয়াকে নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি তোকে সংসার বাধতে হবেনা,তুই শুধু ওকে বিয়ে করে আমার বন্ধুর সম্মানটা বাচা।

– নানা বাবা আমি পাড়বো না।

– তাহলে শুনে রাখ তুই যদি ছোয়াকে বিয়ে না করিস তবে তোকে আমি বাড়ি থেকে বেড় করে দিবো।

বাবার জেদে রুদ্র এক প্রকার বাদ্ধ্য হয়েই বিয়ে করলো ছোয়াকে।

 

রুদ্রের বয়স ১৯ আর ছোয়ার বয়স মাত্র ১২ আইনত তাদের বিয়ে হওয়া সম্ভব না,তাই ধর্মীয়ভাবেই তাদের বিয়েটা হয়ে গেলো।

ছোয়া ছোট বেলা থেকেই তার নানু বাড়িতে বড় হয়েছে তাই রুদ্রে সাথে তার দেখা বা কথা কোনটাই তেমন করে হয়নি।

বাসর ঘরে বসে আছে ছোয়া,

সে বুঝেই উঠতে পারছে না, কি হলো তার সাথে।

সবার জোরাজোরিতে বাদ্ধ্য হয়েই বাসর ঘরে ডুকলো রুদ্র।

ছোয়া বিছানায় বসে আছে,,,,

– এই মেয়ে কি ভেবেছিস তুই? আমি তোকে ইচ্ছা করে বিয়ে করেছি,মোটেও না তোকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

– ভাইয়া? এসব কি বলছেন? আমিতো বিছানায় চেপে বসে আছি, আপনার ঘারে তো কিছু নেই।

ছোয়ার এমন কথা শুনে রুদ্র হাসবে নাকি কাঁদবে কিছুই বুঝতে পাড়ছে না।

রুদ্রের মাথায় শুধু একটা কথা, সে সত্যি একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছে যার জীবনে এতো বড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো আর এই মেয়ের কোনো চিন্তাই নেই।

– দাড়িয়ে,দাড়িয়ে কি ভাবছেন আমার ঘুম পাচ্ছে ভাইয়া। আমি ঘুমাবো।বলেই ছোয়া বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়লো।

আর রুদ্র রাগে গজ,গজ করতে করতে বেড়িয়ে গেলো।

সারারাত আর রুমে ফেরেনি রুদ্র,

আর ছোয়ার বাবাকেও রাত থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছোয়ার বাবাকে পাওয়া গেলো ছোয়াদে ফার্ম হাউসে।

কিন্তু এমন অবস্থায় যা কেও কখনো কল্পনাও করেনি।

ছোয়ার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে ফ্লোরে, আর পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পরে আছে রুদ্র।

-বাবা বিশ্বাস করো আমি এমন কিছু করিনি।

– চুপ কর তুই,নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে তোর মতো একটা ছেলে জন্ম দিয়েছি, ছি। জোর করে বিয়ে করিয়েছি বলে তুই আমার বন্ধুকে খুন করবি?

– বাবা আমি কিছু করিনি।

– আমি তোকে পুলিশে দেবো।

রুদ্রের মা কান্না করতে, করতে রুদ্রকে টেনে রুমে নিয়ে গেলো,,

– বাবা আমি জানি তুই কিছু করিসনি,বাবা তুই পালিয়ে যা, তোর বাবা নয়তো তোকে সত্যি পুলিশে ধরিয়ে দিবে।

– কিন্তু মা,আমিতো কিছু করিনি।

– কেও বিশ্বাস করবে না বাবা তোকে, তুই পালিয়ে যা আমার কসম তুই পালিয়ে যা,

সবার ভুল বোঝাবোঝি তে আর মায়ের কথায় সেদিন রুদ্র চলে এসেছিলো ঢাকায়, সেই বয়সে একা একটা ছেলে কি করবে বুঝতে পারছিলো না, একটা সময় ধিরে,ধিরে রুদ্র সত্যি হয়ে ওঠে # ভিলেন#

কিন্তু এই সব কিছু হয়েছে ভুল বোঝাবোঝির কারনে,,,,

আজ এই পথ বাদ্ধ্য হয়েই বেচে থাকার জন্য এই পথটা বেছে নিয়েছিলো।( তারপরে কি হয়েছিলো আর কিভাবেই বা আবার ছোয়ার সাথে দেখা হলো। আর আজ এভাবে কেনোই বা ছোয়াকে রুদ্র নিজের করলো। সব জানতে পারবেন। পুড়ো গল্পটা পড়ার পর)

 

বর্তমান,,,

– ভোরের দিকে ছোয়ার জ্ঞান ফিরে আসলো, নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেই ঢুকরে কেঁদে উঠলো ছোয়া। আজ নিজের প্রতি নিজের বড় মায়া হচ্ছে ছোয়ার। ব্যাথায় শরীর নাড়াতে পারছে না,পাশে অঘোরে ঘুমাচ্ছে রুদ্র। লোকটাকে দেখে ছোয়ার যেন আরো বেশি রাগ হচ্ছে।

ছোঁয়া কষ্ট করে কোনো রকমভাবে চাদরটা পেঁচিয়ে রুমের এক কোনে মাথা নিচু করে বসে পড়লো, আর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরতে লাগলো ছোয়ার।

রুদ্র আজ অঘোরে ঘুমাচ্ছে,আজ কতো দিন পর এতো শান্তিতে যে ঘুমাচ্ছে তা রুদ্র নিজেও জানে না।

সকাল হতেই ঘুম ভাঙলো রুদ্রের।

চোখ মেলে মেঘলাকে পাশে না পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠলো রুদ্র,

সারারুম একবার চোখ বুলিয়ে দেখলো,রুমের এক কোনে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে ছোয়া।

রুদ্রের দেহে যেন প্রান ফিরে এলো,

রুদ্র বিছানা থেকে উঠে ছোয়ার কাছে গেলো,ফ্লোরে বসে পড়লো রুদ্র।

– ছোয়া, কাল রাতের জন্য আমাকে মাফ করে দাও। আসলে তোমার ভালোবাসায় পাগল হয়ে গিয়েছি। তুমি আমার থেকে বার,বার পালাতে চাও বিষয়টা মেনে নিতে যে খুব কষ্ট হয় আমার,তাই কাল রাগ ক্ষোভ সব মিলিয়েই,আমাকে মাফ করে দাও।

আসলে কি জানো তোমাকে যখন চিনতাম না জানতাম না,তখন তোমাকে বিয়ে না করার জন্য কতো কি করেছি। আর এখন তোমাকে নিজের কাছে রাখার জন্য কতো কি করছি,তুমি যে বেচে থাকার অক্সিজেন হয়ে গিয়েছো। ছোয়া আমি তোমাকে,,,,,,

রুদ্র আর কিছু বলার আগেই,,,,

– আমার আম্মু আর দোহা কি বেচে আছে??

ছোয়ার এমন কথায় রুদ্র অবাক হয়ে গেলো,,,,

– এতোটা খারাপ ভাবো আমাকে?

– ছোয়া আমি যা করি তোমাকে ভালোবেসে করেছি,তোমাকে নিজের কাছে পাওয়ার জন্য করেছি। আর তোমার আম্মু আর দোহার কোনো ক্ষতি করবো তুমি কিভাবে ভাবলে।

– আপনি খুব খারাপ,খুব

বলেই ছোয়া বাথরুমে চলে গেলো,

আর রুদ্র ছোয়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো,

– মেয়েটা কি বুঝবে না আমার ভালোবাসা,নাকি ভুল বুঝে আমার থেকে দূরে সরে যাবে।

ভাবতে,ভাবতেই রুদ্রের ফোন এলো,

পার্ট : ২

 

– হুম হ্যালো বল?

– ভাই কালকে যে বাচ্চা মেয়েটাকে তুলে এনেছিলাম মেয়েটা অনেক কান্নাকাটি করছে,,,

– আচ্ছা ওকে একটু সামলে রাখ আমি আসছি।

– আচ্ছা ভাই।

ছোয়া বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখছে গলায়,ঘারে, পেটে কামড়ের দাগ, নিজেকে দেখে অনেক কষ্ট হচ্ছে ছোয়ার।

একটা মানুষের আচরন কতোটা পাশবিক হতে পারে,রুদ্রকে না দেখলে হয়তো তা বুঝতেই পারতো না ছোয়া,,,

আয়নার সামনে দাড়িয়ে কাঁদছে ছোয়া,আজ যেন তার কান্না বাদ মাতেই চাইছে না, সেই ছোট্ট বেলা থেকে তার সাথেই কেনো বার,বার এমন হচ্ছে! উত্তরটা নিজেও জানেনা ছোয়া।

বার,বার একি মানুষের থেকে ধোকা পেয়ে আজ বড় ক্লান্ত ছোয়া।

ফ্রেস হয়ে বের হলো ছোয়া, চোখদুটো রক্তবর্ব ধারন করেছে অনেকক্ষন কাদার কারনে,,,

– ছোয়া আমি রেডি হয়ে নাও আমরা বেড় হবো, ছোয়া রুদ্রের কথা শুনল কিন্তু কোনো উত্তর দিলো না,

আর রুদ্র ফ্রেস হতে বাথরুমে ঢুকলো।

ছোয়া রেডি হচ্ছে, সাদা একটা সালওয়ার কামিজ পরে কোনো রকম ভাবে চুলগুলো বেধে রেখেছে।

 

রুদ্র ফ্রেস হয়ে বের হলো, খালি গায়ে গোসল করেছে তাই শরীরে হালকা,পানি আছে। রুদ্রের।

ফ্রেস হয়ে বেড় হয়ে ছোয়াকে দেখে যেন রুদ্র রাগে গজগজ করতে লাগলো,,,

রুদ্র ছোয়ার কাছে যেয়ে ছোয়া হাত শক্ত করে চেপে ছোয়াকে তার দিকে ফেরালো,

হঠাৎ রুদ্রের এমন কান্ডে ছোয়া বেশ ভয় পেয়ে গেলো।

– কি প্রমান করতে চাইছো তুমি? নিজেকে এমন করে রেখে কি প্রমান করতে চাইছো???

– ক,কি করেছি আমি( ভয়ে,ভয়ে বললো ছোয়া)

– নিজেকে বিধবাদের মতো সাজিয়ে রেখেছো,

ছোয়ার হাত আরো শক্ত করে ধরে,

– হাতের চুরি কোথায়??আর এটা কি পড়েছো? শাড়ি কেনো পড়নি।

আর চুল এতো এলোমেলো করে কেনো বেধেছো,কি প্রমান করতে চাও তুমি( অনেক রেগে কথা গুলো বলছে রুদ্র)

– ছোয়া এবার কান্না করেই দিলো,,, আ-আমার হা- হাতে লাগছে।

ছোয়ার চোখে পানি দেখে হুস ফিরলো রুদ্রের, স্বাভাবিক হয়ে,,,,,,

– ছোয়া যাও শাড়ি পরে নাও! এভাবে তোমাকে ভালো লাগছে না। যাও আগে শাড়ি পড়ো বাকিটা আমি দেখছি।

– আমি পাড়বোনা শাড়ি পড়তে, আমি যেভাবে আছি সেভাবেই থাকবো,,( কেঁদে, কেঁদে)

– ছোয়া আমার আর রাগ উঠিও না প্লিজ। তুমি এখানে আমার ইচ্ছায় এসেছো তাই আমার ইচ্ছায় তোমাকে শাড়ি পড়তে হবে,তুমি আমার বিয়ে করা বউ বার,বার যেন তোমাকে মনে না করিয়ে দিতে হয়।

তারপর রুদ্র একটা শাড়ি এনে ছোয়ার হাতে দিলো,,,

– যাও এটা পড়ে আসো,আর যদি না পড়ো তবে জোর করে পড়িয়ে দিতে বাদ্ধ্য হবো।

ছোয়া রুদ্রের জেদ খুব ভালো করে জানে,আর কাল রাতের পর সেটা বুঝেও গিয়েছে।

তাই ছোয়া আর কথা না বাড়িয়ে শাড়ি পড়তে চলে গেলো,( মুখ ফুলিয়ে)

ছোয়ার এমন অবস্থা দেখে খুব হাসি পাচ্ছে রুদ্রের,,যাক ডোস টা কাজে দিয়ে( মনে,মনে)

 

কিছুক্ষন পর শাড়ির কুচি ঠিক করতে,করতে ছোয়া বেড় হলো,,,

রুদ্র ছোয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,

ছোয়া হালকা মিষ্টি কালার শাড়ি পড়েছে মেচিং ব্লাউজ।

রুদ্র যেন চোখ ফেরাতেই পাড়ছে না, রুদ্র যেয়ে ছোয়ার শাড়ির কুচি ঠিক করা শুরু করলো,

কুচি ঠিক করার সময় রুদ্রর চোখ ছোয়ার পেটের দিকে গেলো,আর রুদ্র আলতো করে ঠোট ছুইয়ে দিলো পেটে,,

– কি করছেন আপনি?

– কেনো বউকে আদর করছি।

– কতোবার বলবো ভালোলাগে না এসব আমার,আপনার ছোয়ায় গা ঘিন,ঘিন করে আমার।

– রুদ্রর উঠে ছোয়ার গাল চেপে বললো,

আমি তোমার স্বামী, আমার ছোয়ার মাঝে ভালোবাসা খোঁজো। তুমি ভেবো না তোমার কথায় দেবদাস হয়ে আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো, আমি কিন্তু অতো ভালোনা। আমাকে তোমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে বাদ্ধ্য করবে না,খুব খারাপ হবে।

-কি করবেন আপনি???

– কিছুই করবো না,যতো পালাতে চাইবা,যতো অবহেলা করবা ততো এই বুকে আরো বেশি করে আকরে ধরবো তোমাকে, বলেই রুদ্র ছোয়াকে জড়িয়ে ধরলো।

– ছোয়া শুদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে, সে বেশ ভালোই বুঝতে তার মুক্তির হয়তো কোনো পথ নেই।

– দেখেছো কতো দেড়ি হয়ে গেলো, চলো তোমাকে সাজাতে হবে,

বলেই রুদ্র ছোয়াকে টেনে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিলো।

রুদ্র ছোয়ার হাতে চুরি পড়িয়ে দিলো, কানে হালকা দুল, গলায় একটা চেইন। যাতে R লেখা ছিলো ছোট্ট করে।

তারপর ঠোটে হালকা, পিংক কালারের লিপস্টিক লাগিয়ে দিলো।

আর চুলগুলো খুলে দিলো।

– এইবার লাগছে আমার বউয়ের মতো,

রুদ্র ছোয়ার অনেক কাছে গিয়ে,

– আমাকে আর কতো পাগল করবে বলোতো,এতো সুন্দর লাগছে তোমাকে। মনে হচ্ছে তোমার চোখের দিকে তাকিয়েই মরে যাবো।

– তো মরে যা, আমিও বেচে

– আর তুই ও ডেভিল একটা(মনে,মনে বললো ছোয়া)

– কি ভাবছো আমি মরে গেলেই ভালো তাইনা? মরবো না। তোমাকে নিয়ে অনেক দিন বাচবো।

– ছোয়ার চোখ বড়, বড় হয়ে গেলো,আল্লাহ লোকটা বুঝলো কিভাবে আমি কি বলেছি,এর সামনে দেখি মনে,মনেও কথা বলা যাবেনা।villain একটা ( মনে,মনে)

– এইযে আমাকে আর গালাগালি দিয়েন না, ম্যাডাম।আপনাকে রেডি করাতে গিয়ে আমিই রেডি হয়নি।

এখন আমাকে রেডি করিয়ে কে দেবে শুনি?

-( মুখ বাকিয়ে) আমি কি জানি,আর আমি আপনাকে মোটেও গালাগালি দেয়নি।

– হ্যা জানি,আপনি মনে মনে আমাকে ভালোবাসার কথা বলেছে( চোখ মেড়ে ডেবিল টাইপ হাসি দিয়ে বললো রুদ্র।

– উফ আপনার সাথে কথা বলাই ভুল,

– ওকে ওকে আর কথা না,আমি রেডি হতে গেলাম।

রুদ্র ব্লু কালার একটা শার্ট পড়লো, আর ব্লেক কালারের একটা পেন্ট।শার্টের হাতা ফোল্ড করতে, করতে।

– ছোয়া চলো বের হই?

– কোথায় যাচ্ছি আমরা?

– গেলেই বুঝতে পাড়বে,

কথা বলতে বলতে ছোয়া রুদ্রকে খেয়াল করলো,

ব্লু শার্ট ছোয়ার খুব পছন্দ একদিন ছোয়া রুদ্রকে বলেছিলো,ব্লু শার্ট পড়লে ছেলেদের আলাদা রকম সুন্দর লাগে।

– কি দেখছো? ওহ এটাই দেখছো যে আজ ব্লু শার্ট পড়েছি আজ আমাকে আলাদা সুন্দর লাগছে তাইনা??

রুদ্রের কথায় ঘোর কাটলো ছোয়ার,

– হুম ঠিক বলেছেন, কিন্তু সুন্দরতা তখনি ফুটে ওঠে যখন মানুষটার মনটাও সুন্দর হয়। যে সুন্দর মন আপনার নেই।

– (মুচকি হেসে) এখন এই কথা বলছো একদিন অন্য কথা বলবে।আর সেই দিনটা বেশি দূরে না।

– কখনোই না,

– ওকে দেখা যাবে।

রুদ্র আর ছোয়া বেড়িয়ে পড়লো,,,

ছোয়া বাহিরে তাকিয়ে ভাবছে আগের দিনেগুলোর কথা।

 

৭ বছর পর রুদ্রের সাথে প্রথম দেখা আর তার জীবনের সবচেয়ে ভুল সময়ের কথা।

রুদ্রের বোন রোদেলা আর ছোয়া একি কলেজ এ। ছোয়া অর্নাস প্রথম বর্ষে। সেদিন ছিলো রোদেলার নবীন বরন।

রুদ্র অনেক বছর পর রোদেলার সাথে যোগাযোগ করে,

রোদেলা বিশ্বাস করে তার ভাই এমন কাজ কখনো করতে পারেনা। তাই রুদ্রের সাথে যোগাযোগ রাখে বেশ ভালোই হচ্ছিলো যোগাযোগ।

একদিন রোদেলা রুদ্রকে বলে

– ভাইয়া আমাদের নবীন বরন তোমাকে আসতেই হবে,কতোদিন দেখিনা তোমাকে,

অনেক দিন বোনের সাথে দেখা হয়না,আর রোদেলাও খুব জোর করে রুদ্রকে আসার জন্য।

তারা ঠিক করে রোদেলার কলেজের নবীন বরনের দিনই তারা দেখা করবে।

– রুদ্র পৌছে যায়, কলেজে। কতো মেয়েরা আজ শাড়ি পড়েছে, কিন্তু রুদ্রের সেসব কিছুই আসে যায় না,

কারন তার জন্য অনেক মেয়ে পাগল হলেও সে কারো দিকেই সেভাবে তাকায় না।

হঠাৎ রুদ্রের চোখ গেলো একজোড়া চোখে দিকে,মুখটা ওরনা দিয়ে ঢাকা,তাই ঠিকমতো মুখটা দেখতে পাড়ছে না।

– এই ছোয়া এইবার তোর নাম ডাকবে কিন্তু,

– ওকে ডিয়ার আমি রেডি,

– অল দ্যা বেষ্ট ভালো করে নাচিস।

– ওকে দোস্ত।

রুদ্র একপলকে তাকিয়ে আছে ছোয়ার দিকে,

কি অপরুপ চোখ দুটো যেন বার,বার হারিয়ে যাচ্ছে রুদ্র। এর আগে এমন অনুভব করেনি কারো জন্য কিন্তু আজ রুদ্রের কি হয়ে গেলো,

তবেকি????

চলবে,,

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ নিলাশা ইরা ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *