The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 86

অর্পনকে সরিয়ে ফেন্সি মুখে হাত চেঁপে দৌড়ে উপরে চলে গেলো।অর্পন ফেন্সির যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।তারপর কিছুনা ভেবেই ফেন্সির পিছু পিছু ওর রুমে চলে গেলো অর্পন।ফেন্সি পিছু ফিরে কাঁদছে।অর্পন ফেন্সির পিছে এসে দাঁড়ায়।
.
.
-সরি ফেন্সি এমনটা করা ঠিক হয়নি আমার।এতোক্ষন তোমাকে ছাড়া কি করে ছিলাম বলে বুঝাতে পারবোনা।আজ বুঝতে পারছি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা আমি। একমুহূর্ত ও থাকতে পারবোনা।
-তাহলে কেন চলে গিয়েছিলে অর্পন?কিভাবে পারলে আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যেতে?
-আর কখনো যাবোনা ফেন্সি।ফেন্সিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ওর মাথার পিছে চুমু খায় অর্পন।
-খুব ভালোবাসি তোমাকে অর্পন খুব ভালোবাসি।
-আমি ও খুব ভালবাসি ফেন্সি।
.
.
ফেন্সি সামনে ফিরে দাঁড়ায়।অর্পন ফেন্সির কোমড় টেনে নিজের কাছে লাগিয়ে ওর কপালে চুমু খেয়ে একটু সরে আসে।ফেন্সি অর্পনের কানের পিছনে চুমু খেয়ে সরে আসতেই অর্পন ফেন্সির ঠোঁটজোড়ায় ঠোঁট চেঁপে ধরে।
ফেন্সির ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সময় অর্পনকে মনে হচ্ছিলো যেন হারানো খুব কোন জিনিস ফিরে পেয়েছে।ফেন্সি ও সমান তালে অর্পনকে চুমু খাচ্ছে।অর্পন ফেন্সিকে বিছানায় শুইয়ে ওর পাশে শুয়ে ওর গলায় ঠোঁট ছুইয়ে সরে আসে।ফেন্সি চোখ বুজে ঘন ঘন নিশ্বাস ছাড়ছে।
.
.
-এটা স্বপ্ন না তো অর্পন।
-এটা বাস্তব ফেন্সি। চোখ খুলে দেখো আমাদের মাঝে সব ঠিক হয়ে গেছে।
-স্বপ্ন এতো সুমধুর হয় অর্পন জানতাম না।
-চাইলে নতুন স্বপ্ন বুনে দিবো।
.
.
কথাটা বলে ফেন্সির নাকের আগায় আলতো করে চুমু দেয় অর্পন।ফেন্সি দুহাতে মুখ লুকিয়ে অর্পনের বুকের গভীরে ঢুকে গেলো।অর্পন সুখের হাসি হেসে ফেন্সিকে বুকে চেঁপে ধরে।
এদিকে আরাভ ইয়ারাবীর সাথে কথাই বলছেনা।আগে যাও বলতো এখন আর বলছেনা।দুটো দিন কেঁটে যায় এভাবে।ইয়ারাবী কথা বলতে গিয়ে ও পারেনা।নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে ওর।দোষী মনে হচ্ছে ওর।মেয়েকে বুকে জড়িয়ে খুব কাঁদে ইয়ারাবী।আরাভ দেখে ও না দেখার ভান করে।
রাতে আরাভের রুমে এসে ঘুমন্ত আরাভ কে দেখে বেশ মায়া হয় ইয়ারাবীর।আয়রানা কে ঘুমপাড়িয়ে স্বামীর কাছে চলে এসেছে ইয়ারাবী।লোকটা বেঘোরে ঘুমুচ্ছে।
ইয়ারাবীর ডুকরে কান্না চলে আসে।আরাভের বুকে পড়ে কাঁদতে লাগে।আরাভ ঘুমোয়নি ইয়ারাবীকে দেখে ঘুমের ভান ধরেছিলো।
ইয়ারাবী কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো,
.
.
-আপনি কিভাবে বললেন শুধু মেয়েকে নিয়ে যাবেন?আমি কি নেই?আপনি কি আমাকে এতোটা ঘৃনা করতে শুরু করেছেন যে আমাকে না নিয়ে চলে যাবেন?আমাদের ভালোবাসাটা কি আর আগের মতো নেই আরাভ?আমি হয়ত একটু রাগই করলাম কারন ছোট মানুষ আমি।আপনি তো জোর করে নিয়ে যেতে পারতেন।বিয়ের আগের থেকেই তো জোর খাঁটিয়ে কত কিছুই করেছেন।এখন কেন জোর খাঁটাচ্ছেননা?কেন ভালবাসছেননা আগের মতো?আপনার কি মনে হয় আপনাকে ভালবাসিনা আমি?ভালোবাসি আরাভ খুব ভালোবাসি।
.
.
কথাগুলো বলার সময় খুব কাঁদছিলো ইয়ারাবী।ওর চোখের পানিতে আরাভের গেঞ্জী ভিজে যাচ্ছে।আরাভ একনজরে স্ত্রীকে দেখে যাচ্ছে।
.
.
-যাবে আমার সাথে ছোট মানুষ?
-হঠাৎ আরাভের কথায় মাথা তুলে ইয়ারাবী।আপনি জেগে ছিলেন?
-জি ছোট মানুষ?ইয়ারাবীকে নিচে শুইয়ে ওর ওপর নিজের ভর ছেড়ে দিলো আরাভ।
-সব কথা শুনে ফেলেছেন তাহলে?
-জি ছোট মানুষ।
-ছোট মানুষ ছোট মানুষ করছেন কেন বারবার?
-তুমিই তো বললে তুমি ছোট মানুষ।আমিই তো বুঝতে পারছিনা যে মেয়েটা এক মেয়ের মা ইন্টার পড়ছে আবার জব ও করেছে সে ছোট মানুষ হয় কি করে?
-ঐটা তো কথার কথা আরাভ।
-যাবে আমার সাথে?
-যাবো কি করে?কেস করেছেন আমার এগেইন্স্টে।
-আগে বলো যাবে কিনা।
-আপনি সত্যি করে বলুন কেস করেছেন কিনা আমার এগেইনস্টে?
-আগে তুমি বলো যাবে কিনা?
-হুম।এখন বলুন কেস করেছেন কিনা?
-নাহ।
.
.
কথাটা শেষ করেই ইয়ারাবীর ঠোঁটে গভীরভাবে একটা চুমু খেলো আরাভ।এই চুমুতে ইয়ারাবীর নিশ্বাস আটকে যাবার জোগাড়।আরাাভ সরে আসতেই ইয়ারাবী চোখ বুজে জোরে নিশ্বাস টেনে নিতে নিতে একটু চোখ খুলে স্বামীকে দেখে নিলো একবার।আরাভ এবার মুখ বাড়িয়ে ইয়ারাবীর কপালে চুমু খেলো।ইয়ারাবী আরাভের গেঞ্জী খাঁমচে ধরে।আরাভ ইয়ারাবীর গলার খাঁজে শক্ত করে একবার চুমু খেয়ে ঘন ঘন চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকলো।ততক্ষনে ইয়ারাবীর জামার হাতা জোড়া বেশখানিক নিচে নামিয়ে দিয়েছে আরাভ।
আরাভ এবার সরে এসে বৌয়ের দিকে তাকায়।ইয়ারাবী ঘনঘন নিশ্বাস ফেলছে।হঠাৎ আরাভের ভালোবাসায় মাখা ছোঁয়া গুলো বন্ধ হওয়ায় চোখ খুলে ইয়ারাবী।আরাভ পলকহীন ভাবে ইয়ারাবীকে দেখছে।
.
.
-থেমে গেলেন কেন?ভালবাসুন না আরাভ প্লিজ।
.
.
আরাভ আর দেরী না করে ইয়ারাবীর রসালো ঠোঁটজোড়ার স্বাদ নিতে শুরু করে।শুষে নিতে থাকে ইয়ারাবীর ঠোঁটজোড়ায়।আরাভ একবার উঠে নিজের গেঞ্জী ছুড়ে ফেলল।আবার ও একেঅপরের মাঝে মেতে উঠলো ওরা।
শেষরাতের দিকে ইয়ারাবীর আরাভের বুকে মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে আরাভের ঘুম ভেঙ্গে যায়।পাশে ইয়ারাবীকে না পেয়ে উঠে বসে আরাভ।পাশেই ইয়ারাবীকে দেখতে পেলো আরাভ।আয়রানাকে কোলে নিয়ে বসে আছে সে।
.
.
-গুড মর্নিং মাই কুইন এন্ড মাই প্রিন্সেস।
-গুড মর্নিং। যান ফ্রেশ হয়ে নিন।
.
.
আরাভ উঠে দাঁড়িয়ে ইয়ারাবীর পাশে এসে ওর থুতনি ধরে মাথা উঁচু করিয়ে আরাভ মাথা নিচু করে ইয়ারাবীর কপালে চুমু খায়।আরাভ ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।রুপন্তী আজ ভুনা খিচুরি রেঁধেছে সাথে ইলিশ মাছ ভাজা, গরু মাংসের কালা ভুনা,শুটকির ভর্তা আরো অনেক কিছু।সবাই টেবিলে এসে বসলো।রুপন্তী আরাভকে বেড়ে দিচ্ছে।সবাই খেয়ে উঠে দাঁড়ালো।আরাভ অফিসের জন্য রেডি হতে শুরু করে।ইয়ারাবী মেয়ের সাথে বসে খেলছে।
আরাভ ড্রেসিংটেবিলের আয়না থেকে বৌকে দেখছে একচোখের ভ্রু উঁচু করে।
মেয়ের সাথে খেলতে খেলতে আরাভ কে দেখতে পায় ইয়ারাবী।
.
.
-এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
-আমার টাই!!!!!গলার টাই দেখিয়ে বলল আরাভ।
,
,
,
,
,
,
,
,
আয়রানাকে ঠিক মতো বসিয়ে ইয়ারাবী আরাভের পাশে এসে দাঁড়ায়।তারপর ওর টাই বেঁধে দিতে শুরু করে।আরাভ দুহাতে ইয়ারাবীর কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
আরাভ যাওয়ার সময় ইয়ারাবীকে বলেছিলো রেডি হয়ে থাকতে।সন্ধ্যায় আরাভ ফিরে এসে ইয়ারাবীকে নিয়ে যাবে।ইয়ারাবী হেসে সায় দিলো।আরাভ ইয়ারাবীর কপালে চুমু খেয়ে বেরিয়ে গেলো।সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসে আরাভ।ইয়ারাবী আর আয়রানা রেডি হয়ে গেছে।ওরা রুপন্তী রেহান থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।ঘরে পৌছুতেই খেয়াল করলো দরজার সামনে রোয়েন রুহী বার্বিডলের পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সেখানে বড় করে লেখা Welcome Home Ador.
বাসার দরজার কাছে আসতেই আয়রানা দাদাকে দেখে কান্না করতে শুরু করে।কোলে উঠার জন্য ছটফট শুরু করে।রোয়েন নাতনীকে কোলে নিয়ে ওর গালে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-দাদু মনিটা ফিরে এসেছে?
-বাবা ভালো আছেন?জিজ্ঞেস করে ইয়ারাবী।
-জি আম্মু ভালো।তুই কেমন আছিস?
-এইতো বাবা ভালো।
-রুহীকে জড়িয়ে ধরে ইয়ারাবী। মা কেমন আছো?
-এখন খুব ভালো লাগছে আম্মু তোকে দেখে।রুহী আয়রানা কে কোলে নিলো। আয়রানা দাদির বুকে মাথা রেখে আছে।
.
.
ওরা ঘরে প্রবেশ করলো।রাতে খাবার দাবার সেড়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লো।পরদিন শুক্রবার তাই অফিসের জন্য তাড়া নেই।বিকেলে রোয়েনের বাসায় অর্পনের উদয় হলো।অর্পন দৌড়ে আরাভের কাছে এসে বসলো।
.
.
-অর্পন ঠিক আছিস তুই?
-জি ভাইয়া।ভাই আমি বিয়ে করবো।
-হুম???অবাক হয় আরাভ।
-আরে কি আবোলতাবোল বলছি ভাই আমার আর ফেন্সির মাঝে সব ঠিক হয়ে গেছে।তুমি বাবা মার সাথে কথা বলো প্লিজ।
-ওকে বলবোনে।
-চাচ্চু!!!আয়রানার দিকে তাকিয়ে বলল অর্পন।
.
.
আয়রানাকে কোলে তুলে নিলো অর্পন।আয়রানা এখন প্রায় সবার কোলেই আসে।এবং হাসি মুখেই সবাইকে মেনে নেয়।
.
.
-দাদ দাদ দাদা!!!আধো মুখে বলে উঠে আয়রানা।
-ভাই দেখো ও কি বলছে।
.
.
আরাভ মেয়েকে কোলে নিলো।তারপর ওর গালে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-আম্মু বলো দাদা!!!
.
.
আয়রানা আর কিছু বলছেনা।অবাক চোখে বাবার দিকে চেয়ে আছে।
.
.
-ভুল শুনেছিস।
-সত্যি ভাই দাদা বলছিলো ও।
.
.
সেদিন আয়রানা সারারাত দাদ দা দাদ দা করে ইয়ারাবী আরাভকে জাগিয়ে রেখেছিলো।আরাভ মেয়েকে বারবার বলছিলো পাপা বলতে মেয়ে দাদা বলেই যাচ্ছে শুধু।
চলবে