The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 79

★★★★
সপ্তাহ খানিক পার হয়ে গেলো আরাভ ইয়ারাবীর ফোনে প্রেম করার।বেশ ভালো ভাবেই কেঁটে গেছে ওদের সাতটা দিন।দুজন দুজনকে স্ট্রেন্জার হিসেবে কথা বললেও মনের মাঝে গভীর প্রেমটা কমেই নি বরং অধিক পরিমানে বেড়ে যাচ্ছিলো।
রাতে ঘুম ভাঙ্গে আরাভের তবে আয়রানার কান্নার শব্দে নয় ফোন বেজে উঠায়।আরাভ চোখ ডলে ফোন হাতে নিয়ে খেয়াল করলো ইয়ারাবী ওদের স্ট্রেন্জ নম্বর থেকে কল করেছে।আরাভ ঘড়ি দেখলো রাত দুটো বাজছে।পাশে ইয়ারাবী নেই।আরাভ শোয়া থেকে উঠে বসলো।আরাভ চারপাশে খুঁজতে শুরু করে ইয়ারাবীকে।বাবু ঘুমোচ্ছে।আরাভ কল রিসিভ করলো,
.
.
-হ্যালো মিঃ স্ট্রেঞ্জার।
-জি।তো এতো রাতে আমার কথা মনে পড়লো আপনার?
-মনে পড়বেনা আবার?মনটাকে যে নিজের করে নিয়েছেন।
-তাই?
-ঠোঁট টিপে হাসে ইয়ারাবী।ডিস্টার্ব করলাম বুঝি?
-একদম না।রাত বিরাতে ঘুম ভেঙ্গে যদি এমন মায়া ভরা কন্ঠ শুনতে পাই তাহলে কখনোই বিরক্ত বোধ করবোনা।
-ইয়ারাবী শব্দ করে হাসলো।জানেন আপনার সাথে কথা বলতে বলতে সময় গুলো যে কিভাবে কেঁটে যায় বুঝতে পারিনা।
-আমার যে সময় গুলো থেমে যায় আপনার সাথে কথা বলার সময়।
-হুম।
-আপনি কই ম্যাম?
-আমি আমার ঘরের ছাদে।
-ওহ।
.
.
হঠাৎ ফোন কেঁটে যেতেই ইয়ারাবী ফোন সামনে আনে।কি হলো হঠাৎ এভাবে কেঁটে দিলো যে?তখনই পিছন থেকে ইয়ারাবীকে কোলে উঠিয়ে নিলো আরাভ।ইয়ারাবী আরাভকে দেখে চমকে উঠে।আরাভ ইয়ারাবীর কপালে চুমু দিয়ে রুমে নিয়ে এলো।
.
.
-ছাড়েন!!!!
-চুপ একদম চুপ!!!
.
.
ইয়ারাবী কে বিছানায় শুইয়ে দিলো আরাভ।তারপর ওর ওপর একটু ভর দিয়ে শুয়ে পড়ে।ইয়ারাবী আরাভের চোখের দিকে তাকায়।
.
.
-চোখজোড়া দিয়ে মেরে ফেলবে বুঝি?
-ইয়ারাবী আরাভের ঠোঁটে হাত ছোঁয়ায়।প্লিজ এভাবে বলবেননা।
-আই লাভ ইউ ইয়ারাবী।
-আই লাভ ইউ টু।
.
.
ইয়ারাবীর ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট দিয়ে আলতো করে ছোঁয়াতে শুরু করে আরাভ।তারপর যেই গভীর ভাবে চুমু দিতে যাবে তখনই বাবু কেঁদে উঠে।আরাভ তারপর ও জোর করে চুমু খেতে চাইলে ইয়ারাবী ধাক্কা দিয়ে সরায় আরাভকে।
.
.
-পাগল আপনি?ও কাঁদছে দেখছেননা?
.
.
ইয়ারাবী আদর কে কোলে নিয়ে চুপ করাতে থাকে।দুদিন কেঁটে যায়।ইয়ারাবীকে সেদিন আরাভ কল করে জানায় দেখা করবে ওর সাথে তবে ছাদে।ইয়ারাবী ও রাজি হয়ে যায়।বাবুকে রুহীর কাছে রেখে আসে ইয়ারাবী। তারপর রেডি হতে শুরু করে।কালো রং এর নেটের শাড়ী পরে নিলো ইয়ারাবী।তারপর হালকা সাজ নিয়ে নিলো।রাত এগারোটা বাজছে।ইয়ারাবী ছাদে চলে এলো।তবে বেশ অবাক ও।তাঁবু টানিয়েছে ওর প্রেমিক লোকটা।আরাভ এসে ইয়ারাবীর হাত ধরে।
.
.
-গর্জিয়াস লাগছে আপনাকে।
-থ্যাংকস।তা তাঁবু কেন?
-ডিনারের জন্য।চলুন।
-একজন স্ট্রেন্জারের সাথে তাঁবু তে কেন ডিনার করতে যাবো আমি?
-ইয়ারাবীকে টেনে নিজের বুকে নিলো আরাভ।স্ট্রেন্জার না আমার মায়াময়ী আপনি।
.
.
ইয়ারাবী মাথা নিচু করে একটু হাসলো । আরাভ ইয়ারাবীকে ধরে তাঁবুর ভিতরে আনে।সেখানে লাইটিং বেলুন লাগানো আর কিছু ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।
সামনে নিচু একটি টেবিল রাখা।আর দুপাশে ছোট্ট দুটি কোলবালিশ রাখা।
.
.
-খুব সুন্দর সাজিয়েছেন মিঃ স্ট্রেন্জার।
-থ্যাংকস ফর ইউর কমপ্লিমেন্ট।
-ওয়েলকাম।
.
.
ইয়ারাবী কে বসালো আরাভ তারপর ওর সামনে বসে পড়লো ও।ডিনারের মাঝেই আরাভ ইয়ারাবীর হাতের ওপর আলতো করে হাত ছোঁয়াতে থাকে।ইয়ারাবী হাত সরিয়ে নিতেই আরাভ শক্ত করে ওর হাত টেনে নিলো।ডিনার শেষে আরাভ ইয়ারাবীর দুটো হাত কে নিজের দুহাতের মুঠে নিয়ে ঠোঁটের সামনে নিলো।তারপর সেখানে নিজের ঠোঁটজোড়ার উষ্ণ পরশ বুলাতে শুরু করে।ইয়ারাবীর শরীর কাঁপছে ভীষন ভাবে।আরাভ এবার উঠে এসে ইয়ারাবীর পাশে এসে বসে।
.
.
-মিঃ স্ট্রেন্জার!!!
-আই লাভ ইউ ইয়ারাবী।
.
.
ইয়ারাবী কিছু বলতে পারেনা।আরাভ ওর গালে কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতে থাকলো।ইয়ারাবীর গরম নিশ্বাস গুলো আরাভের বুকের মাঝে বাড়ি খাচ্ছে।আরাভ নিজেকে সামলাতে পারছেনা।হুট করেই ইয়ারাবীর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসলো।
একদিন বিকেলে আরাভ ইয়ারাবী কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।ইয়ারাবী আরাভের মাথায় বিলি কাঁটছে।
.
.
-একটা গান গাও তো।
-গান শুনবেন?
-বলো।
-ফুলোকা তারোকা সাবকা ক্যাহনা হ্যা,,,,,এক হাজারো মে মেরা ভাইয়া হ্যা।সারি উমার হামে সাঙ্গ রেহেনা হ্যা,,,,,
.
.
আরাভ আরামে চোখ বুজেছিলো।হঠাৎ এমন গানে কিছুটা বিরক্ত হলোও।
.
.
-এই কি হলো কি গান গাইলে এটা?ভাইয়া মানে?
-ভাইতো ছিলেন তাইনা।এখন তো আর ভাই নেই আমার।তাই আপনি মাইন্ড না করলে আপনাকে মাঝে মধ্যে ভাইয়া ডাকতে পারি আমি।
-আরাভ রেগে উঠে বসলো।হোয়াট!”!নেভার।
.
.
ইয়ারাবী স্বশব্দে হেসে দিলো।আরাভের রাগ চলে গিয়ে মুখে হাসি ফুঁটে উঠে।
.
.
.
.
আরো চারটা মাস কেঁটে যায়।ইয়ারাবী আরাভের বিবাহ বার্ষিকীর দিনটা চলে এলো।সেই সাথে ঠিক করা হলো বাবুর জন্য পার্টি দেয়া হবে।কাল সন্ধ্যায় পার্টি।ইয়ারাবী সাদা নেটের শাড়ী চুজ করে সেটার সাথে কিছু অর্নামেন্টস ঠিক করে গুছিয়ে রাখে।বাবুর জন্য ছোট্ট সাদা ফ্রক চুজ করে ওর গায়ের সাথে লাগিয়ে দেখলো।বাবু হাত পা ছুড়তে শুরু করেছে।
.
.
-এই মেয়ে একদম শান্ত থাকো।একটু রেগে বলল ইয়ারাবী।
-বাবু ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগে।ইয়ারাবী কি হচ্ছে ধমকাচ্ছো কেন আমার মা টাকে?
.
.
কথা গুলো বলে আরাভ মেয়ের কাছে এসে ওকে বুকে নিয়ে নিলো।
.
.
-জামাটা ওর দিকে ধরে দেখছিলাম।আপনার মেয়ের সামনে জামা আনলেই কান্না শুরু করে।
-এমন খসখসা জামা পরাবা কেন?
-পার্টিতে এমন জামা পরতে হয় আপনি বুঝবেননা।
-আমার মাটা আজ দাদীর সাথে ঘুমাবে?মেয়ের গালে চুমু খায় আরাভ।
-ওকে খাওয়াতে হবে আরাভ কি বলেন এসব?
-বেশি করে খাইয়ে দাও।তাহলে রাত বিরাতে খিদা লাগবেনা।তাইনা আম্মু?
-একদম না।বাবার ঘুম ভাঙ্গলে ওনার শরীর খারাপ হয়ে যায়।মাও ঘুমুতে পারবেনা।ও এখানে ঘুমুবে ওর তুলার খাটে।
-ওকে ঠিক আছে।
.
.
ইয়ারাবী আয়রানা কে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলে আরাভ ওর হাত ধরে আটকায়।তারপর একটা প্যাকেট দিয়ে বলল,
.
.
-এটা পরে এসো প্লিজ।
-ওকে।মিষ্টি হেসে প্যাকেট টা নিয়ে ঢুকে পড়ে ইয়ারাবী।
.
.
ফ্রেশ হয়ে ইয়ারাবী প্যাকেট থেকে লাল একটা নাইটি বের করে নিলো।ভিতরের ড্রেসটা সফ্ট সিল্কের তবে পিঠে একটু নেটের কাজ।আর নিচে ও নেটের কাজ।আর ওপরের ড্রেস টা পুরোই নেটের।ইয়ারাবী নাইটি টা পরে আয়নার সামনে আসে।তারপর লজ্জা পেয়ে মুখ ঢেকে নিলো দুহাতে।কিছুসময় পর বেরিয়ে আসে ইয়ারাবী।আরাভ সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে আছে।তবে ওর সুন্দর বুকখানা দৃশ্যমান।ওর শার্টের বোতাম গুলো খুলা।ইয়ারাবী বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।ওর বুক কাঁপছে।আরাভ ইয়ারাবীর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে তারপর হেঁটে এসে ইয়ারাবীর কোমড় চেঁপে ধরে ওর চুলে মুখ ডুবিয়ে কাঁধে চুমু খেতে লাগে।
ইয়ারাবী চোখ খিচে বন্ধ করে আরাভের শার্ট খামচে ধরে।আরাভ এবার ওকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো।তারপর ওর কপালে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-Happy Anniversary বৌ।
-Happy Anniversary Arav.
-আজ আবার তোমার ঘ্রানে মিশে যেতে চাই।মিশতে দেবে।আপন করে নিতে দিবে?
.
.
ইয়ারাবী জড়িয়ে ধরে আরাভের গালে চুমু খেলো।আরাভ এবার ইয়ারাবীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে ওর নাইটির ওপরের পার্টটা খুলে নিলো।আরাভের শার্ট খুলে নিলো ইয়ারাবী।আরাভ সরে এসে ইয়ারাবীর গলায় ঠোঁট চেঁপে ধরে।ওর মসৃন ঠান্ডা পেটে হাত বুলাতে শুরু করে।
আজ দুজনের নিশ্বাস একে অপরের মাঝে একাকার হয়ে যাচ্ছে।
চলবে