The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 60

-এসব কি বলিস ইয়ারাবী।তুই এতো বড় হয়ে যাসনি যে সব নিজে নিজে করবি?আমরা তোর বাপ মা আমাদের তোর সব কিছু জানার রাইট আছে।রেগে গেলো রেহান।
-তোমরা তো আমার সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছো।আমাকে ওনার আমানত হিসেবে রেখে ছিলে বাসায় মনে আছে?অভিমানী স্বরে বলল ইয়ারাবী।
-দেখ তখন যা বলেছি রাগ করে বলেছি।তুই সেটা কে সত্যি ভেবে নিয়েছিস?রাগী গলায় বলল রুপন্তী।
-মাফ চেয়েছিলাম।স্বীকার ও করেছিলাম ভুল হয়েছে আমাদের।কই জেঠু ও তো রাগ করেছিল।ওনি তো ঠিকই মেনে নিয়েছে।তোমরা কেন মানতে পারোনি?রাগ একদিন থাকে দুদিন থাকে তিনদিন থাকে।তোমাদের রাগ একমাসের বেশি স্থায়ী করছে কেন?আমরা তোমাদের ছেলে মেয়ে।ভুল হয়েছে সেজন্য কি মাফ ও করতে পারবেনা?
-আরাভ চলুন।আমার এ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে।
-আরাভ বলল খালামনি চাচ্চু বাহির থেকে একজন ডাক্তার আসে এখানে মাসে একবার।ওনার কাছে ইয়ারাবীর এ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে।আপনারা অপেক্ষা করুন।আমরা আসছি।চলো ইয়ারাবী।আরাভ ইয়ারাবীর হাত ধরে বেরিয়ে পড়ে।
রেহান রুপন্তী কিছুই বলতে পারেনা।রুপন্তী চোখজোড়া ভরে এসেছে।রেহান ধপ করে খাটে বসে পড়লো।রোয়েন ভাইয়ের পাশে বসলো আর রুহী বোনের পাশে।
আরাভ ড্রাইভ করছে আর ইয়ারাবী ওর পাশে থম ধরে বসে আছে।বৌকে আড়চোখে দেখছে আরাভ।ও জানে ইয়ারাবীর মনটা ভালো নেই।বাবা মাকে যতো যাই বলুক সন্তানের জন্য তার বাবা মা অনেক ইম্পরট্যান্ট। আরাভ একটু গলা পরিষ্কার করে বলল,
-কথা গুলো এভাবে না বললে ও পারতে।তারা বাবা মা।ভালো চিন্তা করে তোমার তাই না?
-আরাভ প্লিজ এ বিষয়ে আর কোন কথা চাইনা।বেশ রেগে বলল ইয়ারাবী।
আরাভ হাত বাড়িয়ে ইয়ারাবীর মাথায় হাত বুলায়।হাসপাতালে এসে পৌছায় ওরা।ডাক্তার এসেছেন আবার একসপ্তাহ পর যাবেন।আরাভ ইয়ারাবী ডাক্তারের সামনে এসে বসলো।
– হালো মিঃ এন্ড মিসেস চৌধুরী।
-হায় ডক্টর।ওর রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম আপনাকে।
-জি।পেয়েছি আমি।ওনার প্রেগন্যান্সিটা বেশ রিস্কজোনে আছে।এখন থেকে যদি ভালোমতো টেক কেয়ার না করা হয় তাহলে মাদার আর বেবির ওপর বাজে এফেক্ট পড়বে।এক্ষেত্রে মায়ের জান চলে যাওয়ার অাশংকা অনেক বেশি।
-কোন উপায় নেই ডক্টর?জিজ্ঞেস করে আরাভ।
-ওনি মেইবি খুব বেশি টেনশন করে। নরমাল রাখবেন ওনাকে।
-আর হ্যা কিছু ভিটামিনস,মিনারেলস লিখে দিচ্ছি।এগুলো টাইমলি দিবেন।
ইয়ারাবীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আরাভ। মনটা ভালো নেই ওর।তবে বৌকে বুঝানো যাবেনা।আরাভ একটু হেসে ইয়ারাবীর দিকে তাকায়।তারপর জিজ্ঞেস করে,
-খাবে কিছু?
-মাথা নাড়ায় ইয়ারাবী।
আরাভ যেয়ে একটা কোন আইসক্রিম এনে ইয়ারাবীর হাত ধরে গাড়িতে এসে বসলো।এখন আইস্ক্রিম ইয়ারাবীর হাতে দিয়ে বলল,
-খাও।
-খাবোনা।
-ইয়ারাবী এমন করছো কেন?রেগে যেতে গিয়ে ও রাগলো না আরাভ।
আইসক্রীম টা হাতে নিয়ে সেটাকে খুলে ইয়ারাবীর মুখের সামনে ধরে আরাভ।
-খাও।
ইয়ারাবী আর না করতে পারলোনা।সেটায় কামড় বসায়।আরাভ আইসক্রিমটা ওকে খাইয়ে দিতে শুরু করলো।ইয়ারাবীর চোখে পানি জ্বলজ্বল করছে।আরাভ ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে আবার ও খাওয়াতে আরম্ভ করে।
ইয়ারাবী এবার আইস্ক্রিম নিয়ে আরাভের মুখের সামনে ধরলো।আরাভ সেটা থেকে একটু খেলো।ঘরে পৌছে ইয়ারাবী রুপন্তী রেহানকে দেখে ও না দেখার ভান করে বলল,
-আমার ভালো লাগছেনা।একটু রেস্ট করবো আমি।
আরাভ ইয়ারাবীকে নিয়ে রুমে চলে গেলো।ইয়ারাবী রুমে এসে কাপড় পাল্টে একটা কমলা ফতুয়া নীল বর্নের প্লাজো পরে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো।আরাভ ইয়ারাবীর দিকে তাকায়।
-তুমি সত্যিই নিচে যাবেনা?ওনাদের সাথে দেখা করবেনা?
-নাহ।
-ইয়ারাবী তারা তোমার বাবা মা।
-প্লিজ আপনি নিচে যান।আমি যাবো না এখন।রেগে গেলো ইয়ারাবী।
আরাভ চুপচাপ নিচে এলো।রুপন্তী রেহান কাঁদছে।রোয়েন রুহী ওদের সান্তনা দিচ্ছে।আরাভ ওদের সামনে বসলো।
-খালামনি চাচ্চু জানি আপনাদের খুব খারাপ লাগছে।
-রেহান কথা বলছেনা আরাভের সাথে।
-আমি ওকে আপনাদের সাথে অবশ্যই কথা বলাবো।ও আপনাদের মেয়ে।বেশিদিন অভিমান করে থাকতে পারবেনা।
কিছুসময় পর রেহান রুপন্তী চলে যায়।আরাভ রুমে আসতেই ওর ফোনে অর্পনের কল এলো।আরাভ ফোন কানে রেখে বারান্দায় এলো।
– হ্যালো ভাই বনানীর একটা প্রজেক্ট পাইছি।
-ওহ গুড।কোন কোম্পানী?
-ব্রাদার্স গ্রুপ অব লিমিটেড।এখানে ফেন্সি আছে এমডি হিসেবে।
-হোয়াট!!!!অবাক হয় আরাভ।
-জি ভাই।বিলিভ করবানা ফেন্সি পুরাই চেঞ্জড।
-তুই ওর থেকে দূরে থাক।ওর পরিবর্তন স্বাভাবিক লাগছেনা আমার কাছে।
-সেটা তো আমার ও লাগছেনা।
-তুই প্রজেক্ট ডিল ক্যান্সেল কর।
-ভাই আমাদের কোম্পানীর অনেক লস হবে।
-ওকে বাট বিকেয়ারফুল।দুরে দুরে থাকবি ফেন্সি থেকে।
-ইয়াহ ভাই ওর ওপর কড়া নজর আছে আমার।তা ভাই ভাবির কি খবর?
-ভালোই আছে।একবার এসে দেখা করে যাস।
-ওকে।এখন রাখছি ভাই।
-ওকে বায়।
|
|
|
|
আরাভ বেশ চিন্তায় পড়ে যায়।এই ফেন্সি সুবিধের না।অর্পনটা ফেঁসে যাবে।আরাভ রুমে এসে খেয়াল করলো ইয়ারাবী অন্যদিকে ফিরে শুয়ে আছে।আরাভ ইয়ারাবীর পাশ ঘেঁষে শুয়ে ওর কাঁধে ঠোঁট ছুঁইয়ে বুকে টেনে নিলো।
ইয়ারাবী ও স্বামীর বুকের মাঝে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলো।
রাতের ডিনার শেষে ইয়ারাবী কে নিয়ে আরাভ রুমে চলে এলো।ইয়ারাবী আজ দুষ্টুমি করেনি আরাভের সাথে একেবারে চুপচাপ হয়ে শুয়ে পড়েছে।আরাভ ওকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লো।
আরাভ আর ইয়ারাবী একটা পাহাড়ের পাশে হাঁটছে।ইয়ারাবীর কোলে ছোট্ট একটা বাচ্চা।ওদের খুব সুখি লাগছে।হঠাৎ ইয়ারাবীর চিৎকার শুনতে পায় আরাভ।ইয়ারাবী আর বাবু পাহাড় থেকে পড়ে এক জায়গায় আটকা পড়েছে।এখান থেকে মাত্র একজনকে বাঁচাতে পারবে আরাভ।হয় ইয়ারাবী না হয় ওদের বাচ্চা।আরাভ যখনই ইয়ারাবীর হাত ধরতে গেলো।ইয়ারাবী ওদের বাবুকে আরাভের হাতে দিয়ে পড়ে গেলো একদম নিচে।
আরাভের ঘুম ভেঙ্গে গেলো।পুরো শরীর ঘেমে একাকার।পাশে ইয়ারাবী আরাভের বুকে গুঁটিসুঁটি মেরে শুয়ে আছে।
আরাভ ইয়ারাবীর কপালে চুমু দিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আবার শুয়ে পড়ে।এটা কি স্বপ্ন ছিলো এতো ভয়ানক কেন ছিলো?ইয়ারাবী কে তো হারাতে পারবেনা ও।
এদিকে আরাবী সেদিন তাড়াহুড়ো করেই ঘরে ফিরে আসে বেশ আগে ভাগে।রুমে এসে শাড়ী নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ঝড়না ছেড়ে দিলো।এমন করছে যেন ওর ভীষন গরম লাগছে।
আর্ভিন ঘরে এসে একটু পানি খেয়ে রুমে এসেই ঝড়নার সাউন্ড পেলো।গোসল কে করছে ভাবছে আর্ভিন।আরাবীর তো এসময়ে ঘরে আসার কথা নয়।তাহলে কে আসলো?
আর্ভিন বাথরুমের দিকে এগুতেই খেয়াল করলো
আরাবী শাওয়ার নিচ্ছে।তবে দরজা না লাগিয়ে।আর্ভিন থমকে গেলো।নিজের বৌকে এভাবে দেখবে কখনো ভাবতে পারে নি ও।
আরাবীর গায়ের শার্ট ওর গায়ের সথে লেগে আছে।চুল গুলো গালে লেপ্টানো।
আরাবী আর্ভিনকে দেখে চমকে যায়।কিন্তু ততক্ষনে আর্ভিন ওয়াশরুমে ঢুকে গেছে।আরাবী নড়তে পারছেনা।আর্ভিন আরাবীর কাছে এসে ওর গালে আঙ্গুল ছুঁইয়ে দিতেই আরাবী চোখ বুঁজে নিলো।আরাবীর গাল ঠোঁট নাক লাল হয়ে ফুঁটে আছে।আর্ভিন পর্যায়ক্রমে আরাবীর গালে নাকে ঠোঁট বুলিয়ে ওর ঠোঁটজোড়া নিজের মুখে পুরে নিলো।আরাবী আটকাতে পারছেনা আর্ভিনকে।তবে চায়না আটকাতে।আরাবীর হাতের কবজি ছেড়ে আর্ভিন ওর হাতের আঙ্গুল গুলোকে আরাবীর আঙ্গুলের ভাজে ঢুকিয়ে দিয়ে ওর গলায় নেমে এলো।গলায় অজস্র চুমুর বন্যা বয়ে দিয়ে আরাবীকে কোলে নিয়ে রুমে এলো।আরাবীকে খাটে শুইয়ে দিয়ে আর্ভিন নিজের পরনের শার্ট খুলে আরাবীর ওপর সম্পূর্ন ভর ছেড়ে দিলো।আরাবী আর্ভিনকে দেখছে অবাক চোখে।আর্ভিন আরাবীর কপালে ঠোঁট বুলিয়ে ওর গলায় নেমে পড়লো।আর্ভিনের হাত চলে গেলো আরাবীর শার্টের বোতামে।আরাবীর খালি পেটে আর্ভিন চুমু খেতে শুরু করে গলা থেকে নেমে আসে।আর্জ আর ওদের মাঝে কোন দূরত্ব থাকবেনা।আজ ভালোবাসা দিয়ে আরাবীকে আপন করে নিচ্ছে আর্ভিন।
চলবে