The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 59
এদিকে আরাভ ইয়ারাবীকে না জানিয়ে ওর রিপোর্ট গুলো আমেরিকায় ওর পরিচিত একজন ডাক্তার কে পাঠিয়ে দিলো।কারন আরাভ যেকোন মূল্যে ইয়ারাবীকে বাঁচাতে চায়।তাই রিপোর্ট পাঠিয়ে ল্যাপটপের সামনে বসে ছিলো দরজার দিকে পিঠ দিয়ে।হঠাৎ ইয়ারাবী রুমে দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে খাটে উঠে পিছন থেকে আরাভের গলা জড়িয়ে ওর কানে আলতো করে কামড় দিয়ে হেসে উঠলো। ঘোর ভাঙ্গে আরাভের।চোখ কুঁচকে ফেললো আরাভ তারপর কিছুটা রাগী গলায় বলল,
-তুমি কি লাফ দিয়ে খাটে উঠলে ইয়ারাবী?
-হ্যা। কেন?
-আরাভের ঘাড়ে চুমু দিতে দিতে বলল ইয়ারাবী।
-তুমি জানো তোমার শরীর ভালো না।তারপর ও কেন লাফ দিয়ে উঠলে?রেগে গেলো আরাভ।
-ইয়ারাবীর মুখ মলিন হয়ে গেলো।আরাভের গলা থেকে হাত ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলল সরি বুঝতে পারিনি।
-ইয়ারাবীর দুহাত টেনে নিজের গলায় শক্ত করে প্যাঁচালো আরাভ তারপর বলল,দেখো ইয়ারাবী তোমাকে একটু সবাধান হতে হবে প্লিজ।শান্ত গলায় বলল আরাভ।
আরাভের ঘাড়ে মাথা গুঁজে দিলো ইয়ারাবী।সেখানে ঘন ঘন চুমু বর্ষন করছে ও।তৎখনাৎ আরাভ সামনে ফিরে ইয়ারাবীর দুকাঁধ চেঁপে ধরে ওকে আরো কাছে টেনে নিয়ে বলল,
-কি করছো এসব?
-আপনাকে আদর করছি আমি।বুঝতে পারছেননা?
-সেটা যে আমাকে ঠিক থাকতে দিচ্ছেনা?
কথা গুলো বলে ইয়ারাবীকে শুইয়ে ওর ওপর আধশোয়া হলো আরাভ।তারপর ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো আরাভ।হঠাৎ দরজায় নকের শব্দে ঘোর কাঁটে ওদের আরাভ উঠে বসলো।ইয়ারাবী নিজেকে ঠিক করে নিলো।আরাভ ইশারা দিয়ে দাঁত মুখ খিঁচে বলল
-দরজা লাগাও নি কেন?
-সরি।ধীরে বলল ইয়ারাবী।
আরাভের ঘরে ঢুকে রোয়েন।ইয়ারাবী মাথা নিচু করে খাট থেকে নেমে নিচে চলে যায়।
এদিকে অর্পন আর ফেন্সিকে প্রজেক্টের জন্য প্রায়শই একসাথে বনানী যেতে হচ্ছে।বিভিন্ন মিটিং এ এ্যাটেন্ড করতে হচ্ছে।ফেন্সি সবসময় নিজেকে কাজেই ব্যাস্ত রাখছে।কাজের বাহিরে কোন কথা বলেনা ও।
অর্পন বেশ অবাক একটা মানুষ এতোটা অল্প সময়ে কিভাবে এতো চেঞ্জ হতে পারে?
তবে যা হয়েছে ভালোই।অন্তত ভাইয়ের পিছু ছেড়ে কাজে মন দিয়েছে।নট ব্যাড।ফেন্সিকে দেখতে দেখতে কথা গুলো ভাবছিলো অর্পন।
কাজের ফাঁকে ও ফেন্সির বুঝতে দেরি হলো না অর্পন ওকে দেখছে।
-এতো কি দেখছেন কাজ বাদ দিয়ে?
-দেখছিলাম কতোটা চেঞ্জ হয়ে গেছো।আমেরিকার ফেন্সি আর তোমার মাঝে বড় তফাৎ।
-টাইম সিচুয়েশন চেঞ্জড মি।চেঞ্জ হয়েছি কজ বাবা আর কতো বছর কাজ করবে?বয়স হয়ে গেছে।
-হুম।ভালো লাগছে আমার।
-কাজে মনযোগ দিন।মুখ শক্ত করে বলল ফেন্সি।
অর্পন হেসে ল্যাপটপে মন দিলো।
|
|
|
|
ঐ ডাক্তার জানালো ইয়ারাবীর অবস্থা ভালো না।যে করে হোক আমেরিকায় নিয়ে যেতে।আরাভ বুঝতে পারছেনা কি করবে ও এখন?এসময়ে ফ্লাইটটা ও রিস্কি।মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় আরাভের।লাঞ্চ শেষে রোয়েনের পাশে এসে বসলো আরাভ।অপর সোফায় রুহী ও বসে আছে।
-বাবাই!!!!
-হুম।টিভি দেখতে দেখতে বলছে রোয়েন।
-আমি ইয়ারাবীকে নিয়ে একটু আমেরিকায় যাবো।
-রোয়েন এবার ছেলের দিকে তাকায়।
-এ অবস্থায় প্লেন জার্নি ওর আর বাবুর জন্য রিস্কি।
-জানি বাবাই।বাট যাওয়াটা ও প্রয়োজন।বড় নিশ্বাস নিয়ে বলল আরাভ।
-কি হয়েছে বলতো?
-বাবাই ওর প্রেগন্যান্সিতে অনেক কমপ্লিকেশনস।ডেলিভারি হলে ওর বাঁচার পার্সেন্টিজ ১০%
রুহী এতোক্ষন চুপচাপ ছেলের কথা শুনতে থাকলে ও আর চুপ থাকতে পারলোনা।
-কি বলছিস এসব আরাভ?কাঁদো গলায় জিজ্ঞেস করলো রুহী।
-হুম।
-আগে বলিসনি কেন?রোয়েন জিজ্ঞেস করে উঠে।
-সরি বাবাই।আসলে তোমার শরীর ভালো না।
-এজন্য এতো বড় কথা লুকাবি?রেগে গেলো রোয়েন।
আরাভ নিচে তাকায়।
-একটা কাজ কর তোর ডাক্তার কে বল এখানে আসতে।সে আমার হাসপাতালে বসবে।তারপরও ইয়ারাবীকে ফ্লাইট করতে দেয়া যাবেনা।
-আচ্ছা ওনাকে জানাবো আমি।বলে উঠে আরাভ।
-হুম।
আরাভ চুপচাপ রুমে এলো।ইয়ারাবী খাটে শুয়ে আছে।হঠাৎ পায়ের শব্দ পেয়ে পাশ ফিরে তাকায়ও।আরাভ রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে খাটে এসে ইয়ারাবীর পাশে শুয়ে পড়লো।
আরাভের চোখ বন্ধ দেখে ইয়ারাবী বলল,
-ঘুম পাচ্ছে?
-উহুম।চোখ খুলে আরাভ।কেন?
-ইয়ারাবী আরাভের গলা জড়িয়ে বলল আপনি আমাকে বুকে নিয়ে ঘুমাননা কখনো।
-ম্লান হাসে আরাভ।আমার বৌটার কি সেজন্য অভিমান হয়েছে?
-হুম।
আরাভ ইয়ারাবীর মুখ সামনে এনে ওর থুতনিতে চুমু দিকে বুকে উঠিয়ে নিলো।
এদিকে রেহানের ফোন বাজতেই দ্রুত কল রিসিভ করে কানের সামনে ধরলো ফোন।অপরপাশ থেকে একটা মেয়েলি আওয়াজ শুনতে পেলো ও।
-হ্যালো মিঃ রেহান চৌধুরী বলছেন?
-জি।আপনাকে ঠিক চিনতে পারলামনা।
-ধরুন আপনার ওয়েল উইশার আমি।আপনার মেয়েকে বাঁচান।
-হোয়াট?কি বলেন এসব?
-আপনার মেয়ের হাতে বেশি সময় নেই।তার বেবি হলে সে বাঁচবেনা।
রেহান থমকে গেলো কিছুসময়ের জন্য।বিকেলেই রোয়েনের ঘরে উপস্থিত হলো রেহান আর রুপন্তী।ঘরে ঢুকেই রোয়েনের রুমে এলো ও।হঠাৎ ভাইকে দেখে কিছুটা অবাক হলে ও হাসে রোয়েন।
-কিরে রেহান কি খবর ভালো আছিস?
-ভালো ছিলাম এখন আর ভালো লাগছেনা।
-কেন কি হয়েছে?
-ইয়ারাবীর প্রেগন্যান্সিতে নাকি সমস্যা আছে?আগে বলেননি কেন?
রেহান কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।আরাভ রেহান কে রোয়েনের ঘরে ঢুকতে দেখে আরাভ চলে এলো এঘরে।ইয়ারাবী ও এলো।
রেহান এবার আরাভের দিকে তাকায়।
-তোমাকে তো কিছু বলেই লাভ নেই।তুমি কিছু জানাবাই না।
-আরাভ কিছু বলতে গেলে ইয়ারাবী বলল,আমি মানা করেছিলাম ওনাকে।কসম দিয়ে বলেছিলাম যেন কাউকে এ খবর না জানায়।
রেহান মেয়ের দিকে অবাক চোখে তাকায়।আরাভ বৌকে দেখছে।ও মিথ্যে কেন বলল?
চলবে