The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 47

দেখতে দেখতে আরাভ ইয়ারাবীর বিয়ের দিনটা ঘনিয়ে এলো।সকালে ওকে আরাবী ডেকে খাইয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেছে তারপর থেকে রুমে খাটের ওপর বসে আছে ইয়ারাবী।নীরবে কেঁদে যাচ্ছে ও।বের হতে মন চাইছে না কেউই কথা বলছেনা ওর সাথে।সেখানে গিয়েই বা কি করবে।তারপরও এই বাসাটায় আজ ওর শেষ দিন।শেষবারের মতো একবার ঘুরে না দেখলে নয়।কথা গুলো ভেবে খাট থেকে নেমে পড়ে ইয়ারাবী।তারপর রুম থেকে বেরিয়ে দেখলো সবাই বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত।রুপন্তী দৌড়ের ওপর আছে।রেহান বাসায় নেই।আরাবী রুপন্তীকে এটা ওটা করে দিচ্ছে।ইয়ারাবীকে দেখে বিরক্তি নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলো রুপন্তী।ইয়ারাবী মন খারাপ করে মায়ের কাছে আসে।রুপন্তী পানি ভরা ডেকচি নিয়ে নিজের পাকঘরে যাচ্ছিলো।আরাবী পাশে দাঁড়িয়ে শসা কাঁটছে।ইয়ারাবী পাতিলের এক কোনা ধরতেই রুপন্তী রেগে বলল,
..আরাবী একে বল আমার সামনে থেকে যেতে নাহলে আমি ঘর থেকে বের হয়ে যাবো।
..মাম্মা প্লিজ অন্তত আজকের দিনটায় মাফ করে দাও।আজ তো চলে যাবো আমি।কেঁদে দিয়ে বলল ইয়ারাবী।
রুপন্তী জোর করে পাতিল নিয়ে পাকঘরে চলে যায়।আরাবী শসা রেখে বোনকে নিয়ে রুমে চলে আসে।
..ইয়ারাবী খালামনির মন মেজাজ এখন ভালোনা।দেখ সব খুব জলদি ঠিক হয়ে যাবে প্রমিজ।খালামনি তো তোর মা তাইনা?
..আপু আমি নিতে পারছিনা।কাঁদতে কাঁদতে বলল ইয়ারাবী।
আরাবী কিছু বলতে পারলোনা।সত্যি কথা বলতে নিজের ভীষন কষ্ট হচ্ছে বোনের এ অবস্থায়।ইয়ারাবীকে বিয়ের গোসল দিলো আরাবী আর রুহী।গোসলের সময়ে খুব কাঁদছিলো ইয়ারাবী।খালার পা ধরে কাঁদছিলো বারবার বলছিলো খালামনি মাফ করে দিও।রুহী ও একসময় কেঁদে দিলো।তারপর দৌড়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে যায়।সন্ধ্যায় আরাবী ইয়ারাবীকে সাজিয়ে দিলো বধুর সাজে।আরাভের বাসা থেকে লাল টুকটুকে বেনারসী শাড়ী পাঠিয়েছে তবে খুব হালকা।ইয়ারাবীকে সাজিয়ে ওর চুল সুন্দর করে বেঁধে দিলো আরাবী।সাতটার মধ্যেই সবাই বেরিয়ে পড়লো গুলসানের একটা কনভেনশন সেন্টারের জন্য ।ইয়ারাবী বার বার মা বাবা খালামনি জেঠুর দিকে তাকাচ্ছে।মাম্মা পাপা একবার ও তাকায়নি ওর দিকে কিন্তু রোয়েন আর রুহী অসহায়ত্বের দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলো ইয়ারাবীর দিকে।কনভেনশন সেন্টারে পৌছে গেলো ওরা।বর এখনো এসে পৌছায়নি।ইয়ারাবী কে একটা রুমে এনে সেখানকার সোফায় বসিয়ে একটা দিলো রুহী আর আরাবী।কিছুক্ষন পর আরাবী ওকে একটু জুস আর দুটুকরো আপেল খাইয়ে দিলো।
আধঘন্টার মাঝেই আরাভের গাড়ি এসে পৌছালো।আরাভের সাথে রোয়েন আর রেহান কথা বলে নেয়। অর্পন আকরাম আজহার আরাভ কে স্টেজে এনে বসায়।
কাজী চলে এসেছে।আগে বরের বিয়ে পড়ানো হবে তারপর বৌয়ের।আরাভের বিয়ে পড়িয়ে ইয়ারাবীর কাছে এলো কাজী।ইয়ারাবীর সাথে ওর কিছু বান্ধুবী আরাবী আর রুহী ছিলো।ইয়ারাবী কাঁদছিলো ওকে যখন কবুল বলতে বলা হয়।আরাবী বুঝিয়ে সুঝিয়ে কবুল বলায় ইয়ারাবীকে।তারপর আরাভের পাশে স্টেজে বসানো হলো ইয়ারাবীকে।আরাভ আড় চোখে বৌকে দেখে নেয়।আজ তিনবার কবুল বলে মায়াময়ী কে নিজের করে পেয়েছে আরাভ।মালা বদল হলো তবে ইয়ারাবী মালা পরানোর সময় মাথা নিচু করে কাঁদছিলো।মালাবদল শেষে সবাই আসছিলো বর কনের সাথে ছবি তুলতে।রোয়েন আর রুহীও এসেছে আরাভ ইয়ারাবীর সাথে ছবি তুলতে কিন্তু রুপন্তী আর রেহান এলো না একবারের জন্য ও।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভের সহ্য হলো না।স্টেজ থেকে উঠে রুপন্তী আর রেহানকে নিয়ে অপর কক্ষে এলো।আরাভ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে রুপন্তী আর রেহানের সামনে।
রেহান ধৈর্য হারিয়ে বলল,
..কি বলবা বলো।
..বাবা দেখুন যা হয়েছে সেখানে ইয়ারাবীর কোন দোষ ছিলোনা।আমি জানি আপনারা আমাদের ওপর খুব রেগে আছেন।রাগবারই কথা।আপনারা বাবা মা আমরাই আপনাদের থেকে ভালোমন্দ শিখি।আজ ইয়ারাবী চলে যাবে আপনাদের ছেড়ে।এবার আমাদের মাফ করে দিন।
..হয়েছে তোমার?জিজ্ঞাস করে রেহান।
..জি।মাথা নিচু করে বলল আরাভ।
..আমার মেয়ে আমার অনেক আদরের ছিলো।ও হওয়ার পর ডাক্তার বলেছিলো রুপন্তীকে আর বাবু না নিতে কারন ওর শারীরিক কন্ডিশন ভালো ছিলোনা।সেকেন্ড বেবি ওর জন্য অনেক রিস্কি হতো।তাই আমাদের বাচ্চার প্রয়োজন পড়েনি আর।ইয়ারাবীকে খুব যত্নে বড় করেছি।ওই আমাদের ছেলে ওই আমাদের মেয়ে।কিন্তু ও যা করেছে।তারপর ওকে মাফ করি কি করে বলো?তুমি ও বাবা হতে যাচ্ছো। একবার নিজেকে আমার জায়গায় রেখে চিন্তা করো।তোমার সন্তান যদি এমন করে মাফ করে দিতে তুমি?পারতেনা তাইনা?পারতেনা সম্ভব ও না।আর শুনো ও যেমন দোষী তুমি ও সমান দোষী।তুমি জামাই আমাদের তাই যতোটুকু দরকার ততোটুকু সম্মান তোমাকে আমরা দিচ্ছি।কারন এখন যদি তোমার সাথে খারাপ আচরন করি সেটার প্রতিশোধ তুমি আমার মেয়ের ওপর নিবে।আমার মেয়ের ওপর আমার রাগ আছে কিন্তু তাই বলে আমার মেয়ের খারাপ চাইবোনা আমি।জামাই আছো জামাই থাকো।অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটাকে এঞ্জয় করো এবং জলদি তোমার বৌকে নিয়ে ঘরে ফিরে যাও।আর শুনো তোমাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক নাই।তোমরা কেউ আমাদের সাথে কোন কন্টাক্ট রাখবানা।
আরাভ চুপ হয়ে যায়।রুপন্তী কাঁদছে শাড়ীর আঁচলে মুখ লুকিয়ে। আরাভের সামনের থেকে রেহান রুপন্তীকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।আরাভ দীর্ঘনিশ্বাস নিয়ে স্টেজে এসে বসলো।ইয়ারাবী সামনে তাকাচ্ছেনা ঠিকমতো।ক্যামেরা ম্যানরা ওকে ডেকে অস্থির।ইয়ারাবী নীরবে চোখের পানি ফেলছে।অবশ্য আরাবী বেশ কয়েকবার ওকে ওপরে তাকাতে বাধ্য করেছে।
বিদায়ের সময়ে ইয়ারাবী মাম্মা পাপা কাউকে পায়নি।রোয়েন আর রুহীকে ধরে কাঁদছিলো।আরাভের হাতে ইয়ারাবীর হাত রেখে রোয়েন বলল,
..দেখো বাবা রেহান যা বলেছে মনে কিছু নিওনা।রাগ কমে গেলে তোমাদের বুকে টেনে নিবে।আমার মেয়েটাকে খুব ভালো রেখো।একজন বাবা তোমাকে বলছে মেয়েটাকে কষ্ট দিওনা।এখন তুমিই ওর সব।
..ও ভালো থাকবে আমার কাছে।আর ওনাদের কথায় কিছু মনে করিনি আমি আঙ্কেল।শেষমেষ ইয়ারাবীকে আরাভের গাড়িতে উঠিয়ে দিলো রোয়েন।সারা গাড়িতে কেঁদেছে ইয়ারাবী।কাঁদবেনা কেন মাম্মা পাপা একবার ও এসে বুকে জড়িয়ে নেয়নি ওকে।একবার ও মায়াভরা কন্ঠে বলেনি ভালো থাকিস।রাত দেড়টায় আরাভের বাসায় পৌছালো ওরা।ইয়ারাবীকে আরাভের কিছু কাজিনরা ধরে রুমে নিয়ে গেলো।তবে ইয়ারাবীকে শুনিয়ে শুনিয়ে সেলিনা ফুপি অনেক কথা বলছিলেন।ইয়ারাবীকে আরাভের রুমে আনা হলো।পুরো রুম ফুলের ঘ্রানে মৌ মৌ করছে।ইয়ারাবীর সাথে একটু দুষ্টুমি করে ওকে খাটে বসিয়ে সবাই চলে গেলো।ইয়ারাবী চাদর খামচাচ্ছে।ওর জীবন টা এমন না হলে ও পারতো।কি থেকে কি হয়ে গেলো?কেন হলো এমনটা?
বেশ সময় পর আরাভ এলো রুমে।খাটের মাঝে ইয়ারাবী বসে আছে।কারোর রুমে প্রবেশের শব্দে মাথা তুলে ইয়ারাবী।ও জানে আজ রাতে স্বামীর পা ধরে সালাম করতে হয়।ইয়ারাবী খাট থেকে নেমে আরাভের কাছে এলো ধীর পায়ে।তারপর ওর পা ধরে সালাম করতে যেতেই আরাভ সরে গেলো।ইয়ারাবী উঠে দাঁড়িয়ে যায়।আরাভ আলমারি থেকে একটা ফাইল এনে ইয়ারাবীর সামনে রাখলো।তারপর গম্ভীর গলায় বলল,
..এটা একটা দলিল।এ দলিল অনুযায়ী তুমি একবছরের জন্য আমার বৌ থাকবে।বাবু হয়ে গেলে ওকে ফিডিং করাতে হবে।একবছর পূরন হলে আমি আমার বাচ্চা নিয়ে নিবো আর আমাদের তালাক হয়ে যাবে।এটা হচ্ছে সেই তালাক নামা।
..কি বলতে চান আপনি?বিয়েটা কি মষ্করা আপনার জন্য?আমি এটা জীবনে ও সাইন করবো না নেভার।রেগে যায় ইয়ারাবী।
..বিয়ের আগের দলিল টার কথা মনে আছে তো?সেই দলিল অনুযায়ী বিয়ের পর তোমাকে যা বলবো তাই করবে তুমি।এটা যদি সাইন না করো তাহলে আরেকটা দলিল আছে আলমারিতে।সেটায় সাইন করতে হবে তোমার।আর সেটায় সাইন করলে এ মুহূর্তে তোমার আমার তালাক হয়ে যাবে।এন্ড নাউ চয়েজ ইজ ইওরস।এখন তালাক মানে বুঝো কি হবে তোমার সাথে।রাতে বিয়ে আর সকালে বৌ বাবার বাড়িতে।সেটা তো ভালো দেখাবেনা তাইনা?তো ঐটাই সই করে দাও।তুমি যেহেতু এটায় সাইন করতে চাইছোনা।কাল সকালেই চলে যেও। কারন তালাকের পর এক ছাদের নিচে ব্যাপারটা মোটেই ভালো দেখাবে না তাইনা?
..না না সাইন করছি আমি।কেঁদে কেঁদে বলল ইয়ারাবী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
তারপর দলিলে সই করে দিলো ও।আরাভ এবার দলিল হাতে নিয়ে বলল যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।ইয়ারাবী কিছু না বলে লাগেজ থেকে কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।কিছুক্ষন পর হলুদ একটা ফতুয়া আর প্লাজো পরে বের হলো ইয়ারাবী।বিছানায় বসে আরাভ ফোনে ব্যাস্ত।ইয়ারাবীর উপস্থিতি টের পেয়ে আরাভ ফোনে তাকিয়ে বলল,
..ঘুমিয়ে পড়ো জলদি।
..জি।বলে চুপচাপ
বিছানার এককোনায় শুয়ে পড়ে।কিছুক্ষন পর ইয়ারাবীর মনে হলো ওর পাশে একটু দুরত্ব বজিয়ে কেউ শুয়েছে।ইয়ারাবীর সাহস হলো না পাশ ফিরে তাকানোর।আরাভ হঠাৎ একটানে ইয়ারাবীকে কাছে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে।ইয়ারাবী অবাক হয়ে চেয়ে আছে আরাভের দিকে।
..কোলবালিশ ছাড়া ঘুম হয়না আমার। বাসায় অনেক গেস্ট তাই বালিশের শর্ট পড়েছে।
..কিছু না বলে চুপচাপ আরাভকে দেখছে ইয়ারাবী।লোকটাকে বুঝা ভীষন কষ্টের।
..আমাকে না দেখে চোখবুজে ঘুমিয়ে পড়ো।ধমক দিলো আরাভ।
ইয়ারাবী চটজলদি চোখ বুজে ফেললো।সকাল হয়ে যায়।রাভ উঠে পর্দা সরাতেই মায়াময়ীর মায়া ভরা চেহারাটা আরাভের চোখে পড়ে।ইয়ারাবীর পাশে বসে ওর দিকে তাকায় আরাভ।ওর ঠোঁট নাক চোখ আলাদা আলাদা সুন্দর।আরাভ লোভ সামলাতে না পেরে ইয়ারাবীর কপালে চুমু দিলো।তারপর উঠে দাঁড়িয়ে কিছুসময় ফোনে কথা বলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ে আরাভ।কথা শেষে রুমে এসে দেখলো খাটে বসে আছে ইয়ারাবী।আরাভ প্যান্টের পকেটে দুহাত ভরে বলল,
..উঠে কাপড় চোপড় নাও।ফ্রেশ হবে।
ইয়ারাবী বাধ্য মেয়ের মতো বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।তারপর লাগেজ থেকে লাল একটা শাড়ী বের করে ওয়াশ রুমে যেতে নিতেই আরাভ ওর পথ আগলে দাঁড়ায়।তারপর ওর হাত থেকে শাড়ী নিয়ে বলল,
..ফলো মি!!ওয়াশরুমের দিকে এগুতে থাকে আরাভ।
..মানে কি কই যাচ্ছেন আপনি?
..ডোন্ট টক।বিয়ের আগের দলিল অনুযায়ী তুমি আমার সব কথা শুনবে।সো চলো আমার সাথে কথা না বাড়িয়ে।
ইয়ারাবী যেতে চাইছিলোনা। আরাভ ওর হাত টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে নিলো।তারপর সযত্নে নিজ হাতে বৌকে গোসল করায় আরাভ।কাপড় চেঞ্জের সময় বেরিয়ে আসে আরাভ।ইয়ারাবী কাপড় পরে নিলো।আজ পর্যন্ত কখনোই নিজ হাতে চুল মুছে নি ও।মাম্মা হেল্প করেছে সবসময়।চুল অনেক লম্বা হওয়ায় কখনো নিজে ঠিক মতো চুল মুছতে পারেনি ইয়ারাবী।তাই যেনতেন করে চুল মুছে বেরিয়ে আসে ওয়াশরুম থেকে।
আরাভ ইয়ারাবীকে দেখে অজানা ঘোরে চলে যায়।এতো সুন্দর লাগছে ওর বৌকে।আরাভ হঠাৎ খেয়াল করলো ইয়ারাবীর চুলের পানি শাড়ী ভিজিয়ে দিচ্ছে।আরাভ উঠে এসে ইয়ারাবীর পিছনে দাঁড়ায়।ড্রেসিংটেবিলের আয়নায় আরাভকে দেখতে পায় ইয়ারাবী।আরাভ ওর হাত থেকে তোয়ালে নিয়ে আলতো হাতে ইয়ারাবীর চুল মুছে দিতে লাগলো।ইয়ারাবীর পিঠ ঘাড় আরাভকে কাছে টানছে।চুল থেকে আসা মিষ্টি গন্ধটা আরাভের মন প্রান জুড়িয়ে দিচ্ছে।আরাভ ইয়ারাবীর মাথার পিছনে চুমু খেলো।ইয়ারাবী কেঁপে উঠলো।আরাভের হাতজোড়া ইয়ারাবীর কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো।তারপর ওর পিঠে ঘন ঘন চুমু দিতে শুরু করে।ইয়ারাবীর কাঁধে চুমু দিয়ে ওকে সামনে ফিরায় আরাভ।ওর সামনের চুল গুলো মুছে দিতে দিতে আরাভ ইয়ারাবীর দিকে এগুতে থাকে।ইয়ারাবী পিছাতে পিছাতে আলমারির সাথে লেগে যায়।আরাভ হাতের তোয়ালে ফেলে ইয়ারাবীর কপালে চুমু দিয়ে ওর নাকে ঠোঁট ছোঁয়ায়।
..আ আর আরা,,,,, ইয়ারাবীকে কথা বলতে না দিয়ে ওর রসালো ঠোঁটে আরাভ নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।তারপর শুষে নিতে শুরু করলো ইয়ারাবীর সুমিষ্ট ঠোঁটজোড়াকে।
চলবে