The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 46
★★★★
রেহান খেয়াল করলো রোয়েনের পুরো শরীর কাঁপছে কপাল বেয়ে দরদর করে ঘাম ঝড়ছে।রেহান আর রুহী তৎখনাৎ রোয়েনকে খাটে বসালো।রোয়েন হাঁপাচ্ছে।রুহী রোয়েনের পাশে বসে ওর ঘাম মুছে দিচ্ছে শাড়ীর আঁচল দিয়ে।রেহানের চোখে পানি রুপন্তী কাঁদছে।কি হয়ে গেলো এসব?এমনটাতো হওয়ার ছিলো না।মেয়েটাকে কম ভালোবাসা দেয়নি ওরা।প্রচন্ড বিশ্বাস করেছিলো।যখন যা চেয়েছিলো তাই দিয়েছে।এতোকিছুর এই প্রতিদান দিলো ইয়ারাবী!!!ভাবতেই বুক ফেঁটে কান্না পাচ্ছে রুপন্তীর।এদিকে ঘরে ফিরে সেলিনা ফুপি আর তার মেয়ে তারান্নুম কে দেখতে পায় আরাভ।বাসার সবাই হলরুমে বসে চা পান করছে।সেলিনা ফুপি দৌড়ে আরাভের কাছে এলো, তারপর আদর মাখা কন্ঠে বলল
..ভালো আছো আব্বু?
..জি ফুপি ভালো আপনি?বলে উঠে আরাভ
..এই তো ভালো।তা তোমার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন হঠাৎ এভাবে ডাকলো তোমায়!!!সব ঠিক আছে তো?
..একটু কাজেই গেছিলাম ফুপি।আমি ফ্রেশ হয়ে এসে আপনার সাথে কথা বলছি।
কথা গুলো বলে সামনে চলে যেতে নেয় আরাভ।পিছন থেকে সেলিনা ফুপি বলেন
..ওটা কিসের ফাইল বাবা?
..এটা আমার দরকারি ফাইল বলে উপরে চলে যায় আরাভ।
সেলিনার মনে সন্দেহের কাঁটা খচখচ করছে।হাসপাতালের ফাইল এত কিসের দরকারি ফাইল হতে পারে জানতে হবে।সেলিনা ফুপি আরাভের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের মেয়ের দিকে তাকায়।তারপর মিষ্টি স্বরে বলেন,
..তারান্নুম চল উপরে।কিছু কাজ আছে।
..জি মা আসছি।মায়ের ডাকে সাড়া দিলো তারান্নুম।
মেয়েকে নিয়ে উপরে আসে সেলিনা ফুপি।দুই মা মেয়ে আরাভের রুমে একটু উঁকি দিয়ে দেখলো আরাভ আছে কিনা।আরাভ শার্ট খুলে তোয়ালে তে হাত দিয়েছে।দরজার সামনে থেকে সরে এলো ওরা।তারপর তারান্নুমের দিকে তাকান সেলিনা ফুপি।
সেলিনা ফুপি আর তারান্নুম নিজেদের রুমে চলে এলো।সেলিনা একবার খাটে বসছেন আবার সারা রুমে হাঁটছেন।তারান্নুম মাকে অস্থির হতে দেখে চুপ থাকতে পারলোনা।
..মা কি হয়েছে তোমার বলো তো।
..ঐ ফাইলটা কিসের জানতে হবে।যা তো নিয়ে আয় ফাইলটা।বলে উঠেন ফুপি।
..ভাই যদি আমাকে দেখে?ভয় পেয়ে বলল তারান্নুম।
..ও নিশ্চয়ই ফ্রেশ হতে গেছে।যা নিয়ে আয়।
তারান্নুম রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।আরাভের টিটেবিলের ওপর ফাইলটা রাখা।তারান্নুম ফাইলটা নিয়ে রুমে এলো মায়ের কাছে।সেলিনা ফুপি ফাইল হাতে নিয়ে খুলে পড়তে লাগেন।তারপর ওনার চোখ জ্বলে উঠে।খুশিতে আত্মহারা হয়ে মেয়েকে বলেন,
..এবার মনে কর আরাভ তোর।
..কি হয়েছে মা?
..জানিস আরাভ যা কে বিয়ে করছে সে প্রেগন্যন্ট। তাও আবার বিয়ের আগেই।
..ক কি বলো এসব?
..আরে হ্যা হ্যা চল চল সবাই খবর টা দিয়েই দেই।
মেয়েকে নিচে নেমে আসেন সেলিনা ফুপি তারপর জোরে জোরে বলতে লাগলেন আজহার ভাই ভাবি অর্পন সবাই শুনো তোমাদের আদরের ছেলে কাকে বিয়ে করছে।সবাই সেলিনার কাছে এলো।আকরাম আজহার বোনের কাছে এসে বলেন,
..কি হলো?কাকে বিয়ে করছে?
..আপনার হবু পুত্র বধু মা হতে চলেছে।এমন চরিত্রহীন মেয়েকে আমাদের আরাভ বিয়ে করছে।
..আকরাম আজহার থমকে গেলেন।ব্যাপারটা ওনি জানতেননা।তোর হয়ত কোথা ও ভুল হচ্ছে মেয়ে খুব লক্ষী।
.. ফাইলটাই দেখো ভাই।আকরাম আজহারের দিকে ফাইল এগিয়ে দেন সেলিনা ফুপি।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে আরাভ।গা মুছে টিটেবিলের কাছে এসেই থেমে যায় ও ফাইলটা এখানে ছিলো।কই গেলো কে নিয়ে গেলো।হঠাৎ সেলিনা ফুপির কথা শুনে মেজাজ চরম খারাপ হয়ে গেলো আরাভের।দ্রুত গায়ে শার্ট চেঁপে নেমে এলো আরাভ।আকরাম আজহারের হাতে হাসপাতালের ফাইল।
সেলিনা ফুপি আরাভকে বললেন,
..দেখো বাবা কাজটা তোমার সাথে মোটেই উচিৎ হয়নি।তোমাকে ওরা না জানিয়ে এমন মেয়ের সাথে বিয়ে দিচ্ছিলো।কতো ঠকবাজ মানুষ দেখো।
..কি বলছেন এসব?রাগী গলায় বলল আরাভ।
..ঠিক বলছি আরাভ।তুমি জেনে শুনে এমন চরিত্রহীন মেয়ে করতে পারোনা যে কিনা বিয়ের আগেই মা হতে চলেছে।
আরাভ কিছু বলতে গেলে আকরাম আজহার বলেন
..আরাভ কথাটা কি সত্যি?ইয়ারাবী প্রেগন্যন্ট!! আর ওরা আমাদের জানালোনা?কেন বাবা?
..আঙ্কেল বাবুটা আমার।ইয়ারাবীর সাথে আমার রিলেশন আছে। একটা ভুলের কারনে এসব হলো।তাই এতো তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করছি আমি।বলে উঠে আরাভ।
সেলিনা ফুপি কিছু বলতে যাছিলো তখনই আরাভ বলতে শুরু করে বৌ আমার বাচ্চা আমার সংসার ও আমি করবো।আমার মনে হয়না এখানে কারোর সমসা থাকতে পারে।দাঁতে দাঁত চেঁপে কথা গুলো বলে ফাইল নিয়ে রুমে চলে গেলো আরাভ।
..দেখলে ভাই কতো বড় বেয়াদব ছেলে?রেগে বলেন সেলিনা।
..দেখ সেলিনা আরাভ বড় হয়েছে ও ওর ভালো মন্দ বুঝবে।তুই আর কোন কথা বলবিনা।বিয়ের বাড়িটা কে এভাবে নষ্ট করিসনা ঝগড়া করে।বলে আকরাম আজহার ডাইনিং টেবিলের দিকে চলে যান।
ইয়ারাবী চোখ খুলে সবাই কে দেখতে পায়।ওর দিকে চোখ পড়তেই সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলো।ইয়ারাবী কষ্ট করে উঠে বসে।প্রচন্ড ভয় হচ্ছে ওর।বাবা মায়ের জেঠুর বিশ্বাস এভাবে ভাঙ্গলো ও?রেহানের কাছে আসে ইয়ারাবী,
..পাপা আ’ম সরি।
..রেহান চুপচাপ কিছু বলছেনা।
ইয়ারাবী মায়ের কাছে এলো। তারপর কাঁদো গলায় বলল
..মাম্মা প্লিজ মাফ করে দাও।অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে আমার।
..রুপন্তী ও চুপচাপ কাঁদছে।
ইয়ারাবী কাঁদতে কাঁদতে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ায়।রোয়েনকে ভালো দেখাচ্ছেনা।ইয়ারাবী রোয়েনের পায়ের কাছে বসে পড়ে।
..জেঠু প্লিজ তুমি তো কথা বলো।আমার সত্যি খুব বড় ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দাও প্লিজ।
..ইয়ারাবী উঠো তুৃমি।বলে উঠে রোয়েন।
..জেঠু মাফ করো প্লিজ।কাঁদছে ইয়ারাবী।
..তোমাকে উঠতে বলেছি মনে হয়।কিছুটা রেগে বলল রোয়েন।
ইয়ারাবী উঠে দাঁড়ালো।ইয়ারাবী তোমার থেকে আমি এটা আশা করিনি।তুমি আমার মেয়ে আমার ছোট মেয়ে।আরাবী যেমন আমার মেয়ে তুমি ও আমার মেয়ে।আমি আমার মেয়ের থেকে তো এটা আশা করিনি।তোমাকে আমরা কতোটা বিশ্বাস করেছি ভালোবেসেছি।তোমার বাবা মার কথা একটা বার ও ভাবোনি তুমি?আমরা তো জানতামই না।আরাভ এসে বলল বাচ্চাটা ওর।তুমি কি বুঝতে পারছো আমাদের কেমন লাগছে?সমাজের কথা ভেবোনা অন্তত বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকালে এ কাজটা করতে হাজার বার ভাবতে তুমি।অন্তত এতোটুকু বুঝার ক্ষমতা তো তোমার হয়েছে যে কোন টা ভালো কোনটা খারাপ।তুমি ছোট মানুষ কিন্তু আরাভ যথেষ্ঠ বড় আর বুঝের ছেলে ও তো একটা বার ও আমাদের বললনা।তোমরা দুজনেই কিছু একটা হয়ে গেছো।দুজনে মিলে সব প্ল্যান করে রেখেছো।
ইয়ারাবী জেঠুর কথা নিতে পারছেনা।বুক ফেঁটে চৌচির হচ্ছে। চোখের পানি বাঁধা মানছেনা।এ ও কি করে ফেললো।তখনই পিছন থেকে রেহান বলল,
..তাহলে বিয়েটা ও নিজেরা করে নিতি।আমাদের জানানোর কোন দরকার ছিলো?
ইয়ারাবী দৌড়ে বাবার কাছে এসে কাঁদতে লাগলো।
..পাপা আমি বুঝিনি এমন কিছু হবে।
..সব বুঝিস তুই।তোকে ছাড় দিয়েছি দেখে কতো মিথ্যা কথা বলে ঐ ছেলের কাছে গিয়েছিস।
কি করিনি তোর জন্য বলতো ইয়ারাবী?যা চেয়েছিস দিয়েছি।ভালোবাসার কোন কমতি ছিলো তোর?তোর পরে আমরা আর বাচ্চা নেই নাই যে মেয়েটাকে ফুলের মতো বড় করবো।আর ছেলে মেয়ে লাগবেনা আমাদের এটাই আমাদের ছেলে এটা আমাদের মেয়ে।কতো ভরসা করেছিলাম তোর উপর। যেখানে যেতে চাইছিস কখনো মানা করিনি যে ছোট মানুষ যাক।কিন্তু তুই মান সম্মান সব হারিয়েছিস আমাদের।আরাভ ভালো দেখে তোকে বিয়ে করছে নাহলে কই যেতাম আমরা?কে বিয়ে করতো তোকে বল?এসব ছেলেদের ওপর কোন বিশ্বাস আছে?চিৎকার করে উঠে রেহান।
পাশ থেকে রুপন্তী বলল,
..ওকে এসব বলে লাভ নেই রেহান।আমাদের মধ্যেই দোষ ছিলো যে আজ এদিন দেখতে হচ্ছে।কেঁদে বলল রুপন্তী।
..আজ থেকে তোর সাথে কোন সম্পর্ক নাই আমাদের।তুই এখন আরাভের আমানত।যা দুইদিন পরে ওর কাছে চলে যাবি।আর কখনো আমাদের সাথে যোগাযোগ করবিনা।আমরা মনে করবো একটা মেয়ে আমাদের।সেটা হলো আরাবী।রেগে বলল রেহান
..রেহান চুপ কর।এসব বলিস না।বলে উঠে রোয়েন।
..ভাই বলার মতো কিছু রাখেনি এই মেয়ে।অভিমানী কন্ঠে বলল রেহান।
ইয়ারাবী ডুকরে কাঁদছে।রুপন্তী বলল,
..এসব ন্যাকা কান্না বন্ধ কর।রেহান চলো এখান থেকে।আমার সহ্য হচ্ছে না এই মেয়েকে।রেহানকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রুপন্তী।কিছু সময় পর রোয়েন আর রুহী ও চলে গেলো।
আরাবীকে ডেকে নিলো রেহান।তারপর ইয়ারাবীকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল,
..আরাবী এই মেয়ে কে খাইয়ে বিশ্রাম নিতে বল।এ হচ্ছে আমানত যে দুদিন পর চলে যাবে।এ অসুস্থ হলে আরাভ আবার আমাদের দোষারোপ করবে।
আরাবী ইয়ারাবীকে ফ্রেশ করিয়ে ওর জন্য খাবার নিয়ে এলো।ইয়ারাবী খুব কাঁদছে।আরাবী বুঝিয়ে সুঝিয়ে একটু খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়ালো ইয়ারাবীকে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এদিকে হানিফ খান মেয়েকে বুঝাতে বুঝাতে বুঝাতে ক্লান্ত। এউ মেয়ে বুঝতেই চাইছেনা কিছু ঘরে আসার পর থেকে নিজের রুমে ভাঙ্গচুর করে একাকার করে ফেলেছে।
আরাভের বাসা থেকে আসার পরই এই মেয়ে খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ করে ভাঙ্গচুর করছে।হানিফ খান মেয়ের রুমে এলেন।ফেন্সি হানিফ খানের সামনে বড় ফুলদানি টাকে আছাড় দিলো।
..ফেন্সি দেখ আরাভ তোর হবে।একটু ধৈর্য ধর।এসব ভাঙ্গচুর করে কোন লাভ হবে না।
..আরাভকে আমার চাই বাবা।ওর থেকে আগে অপমানের প্রতিশোধ নিবো তারপর বিয়ে করবো।বলে উঠে ফেন্সি।
..আচ্ছা শোন সব হবে।এখন একটু ঠান্ডা হ মা।বলে উঠেন হানিফ খান।
মেয়ের পাশে এসে বসে ফেন্সির মাথা হাতিয়ে বুঝাতে শুরু করেন হানিফ খান।বেশ কিছুসময় বুঝানোর পর ফেন্সি বলল
..বাবা আমি নিজেকে পরিবর্তন করবো।তোমার সাথে অফিসে জয়েন করবো।বেশ কনফিডেন্সের সাথে বলল ফেন্সি।
..হয়ে যাবে মা।বলে উঠেন হানিফ খান।
ইয়ারাবীর হলুদের পরদিনই আরাভের হলুদ।বিকেলে ফ্রেশ হয়ে খাটের ওপর রাখা সাদা পাঞ্জাবীতে নিজেকে আচ্ছাদিতো করে নিলো আরাভ।তখনই আর্ভিন আর অর্পন আরাভের রুমে এলো।অর্পন আরাভের পাঞ্জাবী ঠিকঠাক করে দিচ্ছে।আর্ভিন হেসে বলল,
.. কি ইয়াং ম্যান ফিলিং কেমন?
..দীর্ঘ নিশ্বাস ফেললো আরাভ ভেরি কনফিউশন ওল্ড ম্যান।
..অর্পন আরাভের দিকে চেয়ে বলল ভাই সব ঠিক আছে তো?
..আরাভ হেসে বলল হুম সব ঠিক আছে।
আর্ভিন আরাভের দিকে চেয়ে আছে।আরাভের ভালো বলার মাঝে ও কেমন একটা উদাসীন ভাব।কিন্তু অর্পন ও চুপচাপ রইলো।ও জানে ভাই মলিন রুপ কেন ধারন করে আছে।শেষমেষ আরাভ কে নিচে নামালো আর্ভিন আর অর্পন।আরাভ কে স্টেজে বসালো ওরা।আরাভ খেয়াল করলো রোয়েনদের ঘর থেকে কেউ আসেনি।ও জানতো কেউ আসবেনা।আরাভের গালে প্রথমেই হলুদ লাগালো অর্পন তারপর মুচকি হেসে বলল
.. লাভ ইউ ভাই।
..আরাভ মুখ দিয়ে ইশারা করে বলল লাভ ইউ টু
এরপর সবাই এসে আরাভকে হলুদ লাগাতে থাকলো।এদিকে ইয়ারাবীর বিশ্রী সময় কাঁটছে।সবাই ওর খেয়াল রাখছে কিন্তু কেউ মন খুলে ওর সাথে কথা বলছেনা।কাল ও চলে যাবে কিন্তু ওর বাবা মা জেঠু খালামনি ওর সাথে মন খুলে কথা বলছেনা।যতোটুকু বলছে আরাবী আপুই।
এদিকে আরাবী বোনের বিয়েতে নিজেকে সম্পূর্ন ভাবে ব্যাস্ত রাখলে ও মনটা আজ ও আর্ভিনের কাছে।লোকটা ফোন কল মেসেজ কিছুই দেয়নি।আরাবী তো এটাই চেয়েছিলো তাহলে এখন মানতে পারছেনা ও কেন?কারনটা ওর জানা নেই।যখনই আর্ভিনের কল দেয়ার সময় গুলো আসে তখনই বুক ভার হয়ে আসে আরাবীর।
চলবে