The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 44
রোয়েন বিছানায় সোজা হয়ে বসে আছে।ঝুঁকে কিছু করতেই পারেনা।কতোদিন হাসপাতালে।যাওয়া হয়না ওর।রুহীই ওকে যেতে দেয়না।হাসপাতালে যাওয়ার কথা বললেই রেগে গালা গালি করে একাকার করে ফেলে রুহী।রোয়েন কতো বুঝিয়েছে যে ও ঠিক আছে কিন্তু বৌটা মানবার পাত্রী নয়।তাই অগত্যা ঘরেই কাঁটাতে হচ্ছে।অবশ্য পেশেন্টরা ঘরে আসছে।কথা গুলো ভাবতেই কাশি এসে যায় রোয়েনের।এই একটা কাজেই ভীষন কষ্ট হয় রোয়েনের। কাশি আসলে যেন বুকটা ছিড়ে যাচ্ছে।হার্ট যেন বেরিয়ে যায়।বুকে আলতো করে হাত রেখে মুখের সামনে হাত দিয়ে কাঁশি দিতেই চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে রোয়েন।
ঠিক তখনই কোথা থেকে যেন দৌড়ে এলো রুহী।রোয়েনের পিঠে হাত রাখে ও।কাশি কিভাবে বাঁধালে?চিন্তিত কন্ঠে বলল রুহী।হঠাৎ চলে এলো রুহী।বলে উঠে রোয়েন।রুহী রোয়েনের পাশে এসে বসলো এ্যালবাম নিয়ে।রুহীর হাতে এ্যালবাম দেখে রোয়েন রুহীর গা ঘেঁষে বসলো।রোয়েনের দিকে একটু হেসে এ্যালবামের প্রথম পাতা খুলতেই ওদের বিয়ের ছবি ভেসে উঠলো।রুহী রোয়েন দুজনে একসাথে ছবিটার ওপর আলতো করে হাত ছোঁয়ায়।এর পাশেই ইয়ারাবী আরাভের ছবি।রোয়েন রুহী দুজনকে কোলে নিয়ে রেখেছে।ওদের তখন তিন বছর বয়স।রোয়েন বলল কি রকম কিউট ছিলো কেমন ছোট ছিলো বাচ্চা গুলো।রুহীর বুক ভেঙ্গে দীর্ঘনিশ্বাস বেরিয়ে আসে আরাভের ছবি দেখে।কিছুক্ষন পর আবার পাতা উল্টায় রুহী।এখানে ওদের বিয়ের পর লন্ডনে তোলা কিছু ছবি।রোয়েন বলল টেমস নদীর পাড় এটা।কেমন ওপ করেছিলা।ইচ্ছে হচ্ছিলো জোরে চড় বসাতে গালে।কিস করেছিলাম কিন্তু কোন রিসপন্স দাওনি তুমি।অভিমানী কন্ঠে বলল রোয়েন।
তখনকার সিচুয়েশনের কথাটাতো ভাবো তুমি।মন খারাপ করে বলল রুহী।রোয়েন সাথে সাথে বলল থাক ওসব মনে করে লাভ নেই।রুহী মুখ ভেংচি দিয়ে পাতা উল্টায়।সেখানে আরাবী আরাভের প্রথম জন্মদিনের ছবি।সেদিন আরাভকে প্যান্ট পরানো যাচ্ছিলো না খুব কাঁদছিলো।শেষ মেষ শুধু প্যাম্পার্স পরে কেক কেঁটেছে।ছবিটায় রুপন্তী আর রেহান আরাবী আর আরাভ কে কোলে নিয়ে আছে।পাশেই একটা ছবিতে রুহী আর রোয়েন পাশাপাশি দাঁড়ানো।রোয়েনের মুখে দুষ্টুমি হাসি।ও একটা আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে আছে রুহীর পেটের দিকে।সেখানে লিখা Going to have our third baby Alhamdulillah.
রুহীর চোখ ভরে এলো।সেদিন ওর প্রেগন্যান্সি কনফার্ম হয়েছিলো।রোয়েন চটজলদি পাতা পাল্টে দিলো।দুজনে মিলে এ্যালবাম দেখে সেটিকে জায়গা মতো রেখে দিলো রুহী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-রুহী!!!ডেকে উঠে রোয়েন।
-জি বলো।খাটের কাছে আসতে আসতে বলল রুহী।
-ইয়ারাবী কে কি দিবে ভেবেছো কিছু?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-রুহী বলল গোল্ড দিতেই হবে।আর কিছু ক্যাশ দিয়ে দিও আমাদের মেয়ে ও।
-তাহলে টাকা নিয়ে আরাবীর সাথে শপিং করে এনো।বলে উঠে রোয়েন।
-হুম যাবোনে।এখন ঘুমুতে দাও।বলে উঠে রুহী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ বেশ অবাক বোনের সেদিনকার ব্যাবহারে।আরাবী আর্ভিনকে ভালোবাসে তাহলে ইকরামের প্রস্তাবে কি করে রাজি হতে পারে?আরাভ কয়েকদিন ব্যাস্ত থাকার কারনে আর্ভিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।আর এখন আর্ভিনটাও কল ধরছে না।আরাভ জানতে ও পারছেনা আর্ভিন কেমন আছে কোথায় আছে?
শেষমেষ আরাভ আর্ভিনের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
শরৎ এসে দরজা খুলতেই আরাভ ভিতরে ঢুকলো।আর্ভিন কই?জিজ্ঞেস করে আরাভ।
ভাই রুমে।বলে উঠে শরৎ।
আরাভ চুপচাপ আর্ভিনের রুমে চলে আসে।খাটের মাঝামাঝি বসে আছে আর্ভিন।চোখ মুখ ফুলা,হয়ত রাতে ও ঘুমায়না আর্ভিন।এরুমে আসতে আসতে শরৎ বলছিলো আর্ভিন কোথা ও যায়না এখন,কারোর সাথে কথা ও বলেনা।আরাভ আর্ভিনের পাশে বসলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-আর্ভিন এমন করছো কেন?কি হয়েছে তোমার?
-কিছুনা আরাভ।কেমন আছো?জিজ্ঞেস করে আর্ভিন।
-এটা আমার উত্তর না আর্ভিন।তুমি বলো।ফোন রিসিভ করছিলেনা কেন?বলে উঠে আরাভ।
-ভালো লাগছেনা আমার।একা থাকতে চাই কিছুদিন।
-আরাবী কেন এমন করেছে?নিশ্চয়ই তুমি জানো।বলো আমাকে।বলে উঠে আরাভ।
-আরাভ ওসব জিজ্ঞেস করো না প্লিজ।
-আর্ভিন বলো।নাহলে সমাধান কি করে হবে?
-আরাভের জোরে পেরে উঠেনা আর্ভিন।তাই সব কথা খুলে বলল আরাভকে।আরাবী আমাকে ভালোবাসেনা। এতোদিন যা করেছে ওর নাটক ছিলো।
-ইম্পসিবল। ওর মনে যা ছিলো সেটা আমি দেখতে পেয়েছি আর্ভিন।বলে উঠে আরাভ।
-আমি ও দেখেছি আরাভ।আমি শিওর ও আমাকে।ভালোবাসে।ও যা করছে সেটা পাওনা ছিলো আমার।সেটাই পাচ্ছি আমি।আমার শাস্তি এটাই।আরাবী আমার থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছে তোমার প্রতিশোধ। একটা সন্তানকে তার পরিবার থেকে দূরে রাখার প্রতিশোধ।
-আরাভ আর্ভিনের কাঁধে হাত রাখে চিন্তা করোনা আর্ভিন।সব ঠিক হয়ে যাবে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাবীর ব্যাপারে রোয়েন আর রুহী খুব চিন্তিত।আরাবী কেন ইকরামকে বিয়ে করছে?আর্ভিনের সাথে এতোটাই মিশে গেছিলো এখন ইকরামকে বিয়ে করছে ভাবতে অবাক লাগে রোয়েন আর রুহীর।তাই সেদিন কথা বলতে আসে আরাবীর সাথে।মেয়েটা সারাদিন বাসায় থাকে।অফিসে যায়না খুব প্রয়োজন ছাড়া।ব্যাপারটা অস্বাভাবিকই লাগছে রোয়েন আর রুহীর।আরাবী নিজের রুমে বসে কফি গিলছে।রোয়েন মেয়ের মাথায় হাত রাখলো,সাথে সাথে আরাবী উঠে দাঁড়ায়।বাবাই তুমি?হুম মাথা ঝাঁকায় রোয়েন।রুহী মেয়েকে খাটে বসায় তারপর বলতে শুরু করে রোয়েন,
,
াাাাাট
,
,
,
,
,
,
,
,
-অফিসে যাস না কেন মা?
-বাবাই তেমন কোন কাজ নেই অফিসে।তাই যাচ্ছিনা।যাবো কয়েকদিন পর যাবো নিয়মিত।বলে উঠে আরাবী।
-ইকরামকে কেন বিয়ে করছিস?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।
-মা ছোটবেলা থেকে আমাদের পরিচয়।আমাদের দুজনের মাঝেই খুব ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে।আর বিয়ের পর ও ঐখানে সেটেল হয়ে যাবে।তাহলে আর কি লাগে?
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রুহী আর রোয়েন কিছু বলতে পারেনা আর।রোয়েন ধীরে ধীরে হেঁটে রুমে চলে এলো।
(কিছু কথা সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই।গল্প লেখা অনেকসময়ের ব্যাপার।আমরা একনাগাড়ে বসে গল্প লিখতে পারিনা।এটা ওটা করতে হয়।বাসার বড় মেয়ে আমি মাকে ও কিছু সাহায্য করতেই হয়।আমি স্টুডেন্ট পড়াশুনা আছে আমার।নিজের পারসোনাল লাইফের ব্যাস্ততা কিছু সময় হাতে রেখে গল্প লিখতে হয়।যার কারনে আমার পার্ট গুলো আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী বড় হয়না।সবসময় সকল ক্যারেক্টার কে আনা ও যায়না।সবাই মাফ করবেন কোন ভুল ত্রুটি হলে,ধন্যবাদ😊😊)
চলবে