The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 42

আকরাম আজহার আর তার পরিবার রেহানের বাসায় ডিনার করেছে।রোয়েন ওদের জানালো কাল আরাভ আর ইয়ারাবীর এ্যাংগেজমেন্টের উদ্দেশ্যে একটা পার্টির এ্যারেঞ্জমেন্ট করা হবে।আকরাম আজহার বেশ খুশি হয়ে সায় দিলেন রোয়েনের প্রস্তাবে।ইয়ারাবী আরাভের দিকে আর তাকায় নি।কিন্তু আড়চোখে ঠিকই আরাভকে দেখেছে।আরাভ ওর মায়াময়ী দেখে গেছে সুযোগ পেয়ে।
ডিনারের পর আবার ও সবাই চা পান করে বিদায় হলো।আরাভ যাওয়ার সময় ইয়ারাবীর দিকে একটা বার ও তাকায় নি।ইয়ারাবী রুমে এসে শোবার জামা পরে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে।তখনই রেহান ওর রুমে প্রবেশ করলো। ইয়ারাবী বাবাকে দেখে মুচকি হেসে বলল পাপা তুমি?কিছু বলতে?
রেহান এসে মেয়েকে ধরে খাটে বসালো।তারপর মেয়ের চুল হাতিয়ে বলল মেয়েটা কতো বড় হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না।
ইয়ারাবী হাসে তবে হাসির পিছে বুক ভরা কষ্ট বাবা রেহানকে একবারের জন্য ও বুঝতে দেয়নি।পাপা আমি বড় কই হলাম?এখনো ছোট্টটিই আছি।আদরের স্বরে বলল ইয়ারাবী।রেহান বুকে জড়িয়ে নিলো মেয়েকে।তোকে ছাড়া কেমনে থাকবো রে মা?ইয়ারাবী বাবার বুকে মাথা রেখে বলল মেয়ে যখন হয়েছি একদিন না একদিন তো যেতে হতোই।মাম্মা ও তো এসেছে খালামনি ও এসেছে।রেহান হাসে অনেক বড় বড় কথা বলছিস মামনি।
ইয়ারাবী বাবাকে জড়িয়ে ধরলো।ইয়ারাবীর মাথায় হাত রাখে রেহান তারপর দ্বীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল এখন থেকে তোকে ঘরের কাজ করতে হবে একটু একটু করে।কারন ঐবাসায় তো একটু হলে ও তোকে কাজ করতে হবে তাই না?অন্তত নিজের কাজটা তো করতেই হবে তাইনা?পারবিনা মা?ইয়ারাবী মাথা ঝাঁকায় জি পাপা পারবো আমি।
রেহান মেয়ের সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বলে বিদায় নিলো।
ইয়ারাবী শুয়ে পড়ে।অজান্তেই পেটে হাত চলে যায় ইয়ারাবীর।চোখের কোনা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে শতশত অশ্রুকনা।ডান হাত উঠিয়ে হাতে আরাভের পরিয়ে দেয়া আংটিটায় একবার চোখ বুলায় ও।কেমন হতে যাচ্ছে ওর জীবন কে জানে?
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
পরদিন সন্ধ্যায় ইয়ারাবীদের বাসায় দুটো প্যাকেট চলে আসে।প্যাকেট গুলো দিয়ে গেছে আকরাম আজহারের ড্রাইভার।তার মতে এগুলো ইয়ারাবীর জন্য ওর শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে।রুপন্তী প্যাকেট দুটো নিয়ে ইয়ারাবীর রুমে এলো।আকরাম আজহার ভাইয়ের বাড়ি থেকে এগুলো পাঠিয়েছে তোর জন্য।ইয়ারাবী মায়ের হাত থেকে প্যাকেট গুলো নিয়ে ভাবনার দুনিয়ায় হারিয়ে যায়।ইয়ারাবী রেডি হয়ে নে এগুলো পরে।বলে উঠে রুপন্তী।জি মাম্মা বলে রুমের দরজা লাগায় ইয়ারাবী।প্যাকেট দুটো খাটে রেখে এগুলোর পাশে বসে ইয়ারাবী।প্যাকেট দুটো থেকে একটা ডার্ক ব্লু লেহেঙ্গা আর সেই সাথে ম্যাচিং করা স্টোনের নেকলেস কানের দুল আর দুটো চুড়ি।লেহেঙ্গা টা বেশ হালকা তবে দেখতে গর্জিয়াস হলে ও মোটেই গরম লাগবেনা আর ইয়ারাবীর এ অবস্থায় ওকে কোন প্রকার অশ্বস্তিতে পড়তে হবেনা।
ইয়ারাবী খুশি মনে ড্রেস টা আর অর্নামেন্টস গুলো পরে রেডি হয়ে নিলো।
আটটার দিকে রোয়েনের বাসায় সবাই উপস্থিত হয়।আকরাম আজহার আর তার পরিবার ও উপস্থিত।আরাভ তো শুধু তার মায়াময়ী কে দেখে যাচ্ছে।এদিকে আরাবী আজ খুব সুন্দর করে সেজেছে।আর্ভিন সুযোগ পেলেই আরাবীর সাথে সময় কাঁটানোর সুযোগ খুঁজছে।
আর্ভিন ঠিক করেছে আজ আরাবীকে প্রোপজ করবে বিয়ের জন্য।
রোয়েন তার বন্ধু আর বাকি গেস্টদের আরাভের সাথে পরিচয় করাচ্ছে।আরাভ ও হাসিমুখে কথা বলছে সবার সাথে।
ইয়ারাবী হেঁটে হেঁটে গেস্টদের আনাগোনা দেখছে।হঠাৎ ওর মনে হলো সব কেমন ঝাপসা লাগছে ওর চোখের সামনে।পা চলতে চাইছেনা।শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ইয়ারাবী পড়ে যেতে নিতেই কেউ ওর কাঁধ ধরে সামলালো ওকে।ইয়ারাবী এবার যেন শক্তি ফিরে পেলো।থ্যাংকস বলার জন্য পিছনে তাকিয়ে আরাভকে দেখতে পায়।বেশ রাগি ভাব নিয়ে আরাভ ইয়ারাবীকে দেখছে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-চোখ কান খোলা রেখে হাঁটো।এরকম ইরেসপন্সিবল হলে আমার বাচ্চাটার ক্ষতি করে বসবে তুমি।বলে ইয়ারাবীকে পাশের টেবিলের চেয়ারে বসালো আরাভ।
-ননা মানে আমার তো মাথ,,,,,,,,,কথা শেষ করতে পারেনা ইয়ারাবী।
-আরাভ ইয়ারাবীর দিকে একগ্লাস লেবুর পানি ধরে বলল এটা খেয়ে এখানে বসে থাকো।কোথাও যাবেনা।বলে অন্যদিকে চলে যায় আরাভ।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রোয়েন মাইক হাতে সবার সামনে এসে দাঁড়ায় আজ এই পার্টি মূলত আমার ছোট্ট মামনি ইয়ারাবীর জন্য।আপনারা সবাই হয়ত জানেন কাল আমার মা টার এ্যাংগেজমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে আমার এক বন্ধু আকরাম আজহার ভাইয়ের বড় ছেলে মিঃ আরাভ আজহারের সাথে।সবাই ওদের ভাবিষ্যতের সুন্দর একটা জীবনের জন্য দোয়া করবেন।সবাই হাত তালি দিচ্ছে।হঠাৎ ইকরাম এসে হাজির হলো কোথা থেকে যেন।আরাবী ইকরামকে দেখে আর্ভিন থেকে সরে এলো।ইকরাম আরাবীর হাত ধরে বলল আজ তোকে একটা সারপ্রাইজ দিতে চাই আরাবী।
আরাবী হেসে বলল কি?
ইকরাম সবার সামনে আরাবী কে নিয়ে এলো।তারপর ওর হাত ধরে এক হাঁটু ভাজ করে বসে বলল উইল ইউ মেরি মি আরাবী।আই লাভ ইউ আ লট।আরাবী হেসে বলল ইয়েস।
আরাবীর কথায় চমকে যায় সবাই।রোয়েন রুহী আরাভ সবাই থমকে যায়।কারন এতোদিন আর্ভিনের সাথে বেশ ক্লোজ হতে দেখেছে।এদিকে ইয়ারাবী বোনের ইয়েস বলার কোন মানে খু্ঁজে পেলোনা।ও নিজ চোখেই সেদিন আরাবী আর্ভিনকে দেখেছিলো একসাথে।আর্ভিন আরাবীকে ইয়ার রিং পরিয়ে দিয়েছিলো।ওর কাঁধে কামড় দেয়ার দৃশ্যটাও ইয়ারাবীর নজর এড়ায় নি।তাহলে আজ বোন এটা কি করছে।
এদিকে আর্ভিন থমকে গেছে।ওর পুরো শরীর কাঁপছে।কি হচ্ছে ওর সামনে এসবের কোন আইডিয়া নাই আর্ভিনের।হাতের ব্রেসলেটটা জোরে চেঁপে ধরে আছে।চোখজোড়া লাল হয়ে এসেছে আর্ভিনের।পুরো শরীর জ্বলছে ওর।প্রচন্ড রাগ অভিমান নিয়ে রোয়েনের বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে আর্ভিন।
ঐদিনের পর থেকে আরাবী আর্ভিনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।আর্ভিন কল দিলে ও আরাবর ওর ফোন রিসিভ করতো না।আর্ভিন পাগল প্রায়।
আরাবী কি করে ইকরামের প্রস্তাবে রাজি হতে পারে?আরাবী তো শুধু আর্ভিনের আর কারোর না।আর্ভিন আরাবীর সাথে কথা বলার বহু প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু প্রত্যেকবার ব্যার্থ হয়ে ফিরে।
চলবে