The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 38

পরদিন রোয়েনের বাসায় রুপন্তী আর রেহানকে ডাকা হয় রোয়েনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে।কারন দুটো পরিবারে যেকোন বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলে দুই ভাইকে একসাথে নিতে হয়।আর যেখানে ব্যাপারটা হলো রোয়েনের তাহলে রেহান কে ও থাকতে হয়।রোয়েনকে দেখতে আসার সময় বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে এসেছে রেহান।রুপন্তী রেহান আর্ভিন আরাভ আরাবী রোয়েন রুহী রোয়েনের বেডরুমে বসে আছে।ক্ষানিক নিস্তব্ধতার পর আরাভ বলল আঙ্কেলের প্রেজেন্ট সিচুয়েশনে বেশিদিন ওয়েট না করাই ভালো।এই দেশের চিকিৎসার ওপর আমার তেমন ভরসা নেই।বাহিরে করালেই ভালো হবে।আর আমি যেহেতু আমেরিকার সিটিজেন সো আমার অনেক বড় বিজনেস ও আছে সেখানে।অনেক ডাক্তারদের সাথে আমার পরিচিতি ও আছে।আঙ্কেল ওখানে গেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবে আশা করি।
রেহান বলল কথাটা তো ঠিক।এখন কথা হলো যাচ্ছে কে?ভাই ভাবি একসাথে গেলেতো হবে না।সার্জারিতে অনেক সময় লাগবে।সে সময় ভাবির সাথে আরেক জন থাকতে হবে।ঔষধ কিনতে নিচে একশোবার যেতে হবে।
রোয়েন বলল আমার পরিচিত একজন ডাক্তার যাবে তোমরা চিন্তা করোনা।রুপন্তী তখনই বলল জিজু পরিচিত ডাক্তার কে কতক্ষন নিচে নামতে বলা যায়।আপন কেউ গেলে যখন তখন নিচে নামবে।আরাভ আর আর্ভিন বলল তাহলে আমরা কেউ যাই।রোয়েন বলল না তোমরা নিজেদের কাজ সামলাবা।ওখানে কাউকে দরকার হলে ডেকে পাঠাবো।রুপন্তী আবার বলল জিজু আপুর দিকটা চিন্তা করলে মেয়ে আরেকজন যাওয়া লাগে।আপু ঐখানে একা থাকবে।সেখানে যেহেতু রিং পরাবে অনেক সময়ের ব্যাপার।রোয়েন দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লো তা অবশ্য ঠিক।আরাবী বলে উঠলো আমি যাই ওদের সাথে।রোয়েন বলল না তোর সামনে দরকারি মিটিং আছে।রুহী বলে উঠলো সমস্যা নেই আমি থাকবো।নামাজ আদায় করবো ওখানে।তখনই রুপন্তী বলল আমি যাচ্ছি।ইয়ারাবী নাহলে এখানে এসে থাকবে আরাবীর সাথে।রেহানের জন্য খাবার পাঠালেই হবে।ও যখন ফ্রি থাকবে ঘরে এসে খেয়ে যাবে।আর যেহেতু আর্ভিন আরাভ এখানে আছে তাহলে মেয়ে দুটোর সাহায্যে ওরা থাকবে।রোয়েন রেহান আর কিছু বললনা।ওরা হয়ত মেনেই নিয়েছে কিছুটা।আর্ভিন আড়চোখে আরাবীর দিকে তাকিয়ে হাসলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
ঘরে রান্না বান্না হচ্ছে। দুপরিবার আজ একসাথে হয়েছে।খাওয়া দাওয়া করবে একসাথে।রোয়েন রেহান জিজ্ঞেস করলো ইয়ারাবী কই। ওকে ও আসতে বলল।ভাইয়ের প্রশ্নে রেহান বলল ও বাসায় আছে।কত বার আসতে বললাম।ও আসবেনা।ওর নাকি ভালো লাগেনা।অনেক দিন ধরে মেয়েটা কলেজে ও যায়না।সামনে এক্সাম। কি চায় মেয়েটা বুঝতে পারছিনা।
আমরা এখানে খাওয়া দাওয়া করবো আর মেয়েটা কি খাবে।বলে উঠে রোয়েন।রেহান বলল ভাইয়া সমস্যা নাই ঘরে যা আছে খাবে।রোয়েন তৎখনাৎ রুহীকে বলল ইয়ারাবীর জন্য খাবার প্যাক করে পাঠিয়ে দিতে।সময় যেতে লাগলো।রোয়েন রুহী আর রুপন্তীর পাসপোর্ট রিনিউ করা হয়েছিলো।তাই ওরা দ্রুততার সাথে ভিসার জন্য এপ্লাই করলো।অবশ্য এক্ষেত্রে আরাভ খুব হেল্প করছে। তিনজনের ভিসা খুব জলদি হয়ে গেলো।যেহেতু ডাক্তারি রিপোর্ট গুলো ওরা দেখিয়েছে।রোয়েনের ব্যাংক ব্যালেন্স ও খুব শক্ত।সেখানে গিয়ে তিনজন মাস খানিক অনায়াসেই কাঁটিয়ে দিতে পারবে।
ভিসা পাওয়ার পরপরই ওরা টিকেট বুক করলো তিনজনের জন্য।টিকেট পাওয়া গেলো পর দিন রাত এগারোটার।
যাওয়ার দিন সন্ধ্যা সাতটায় রেহান ইয়ারাবী আর রুপন্তী রোয়েন আর রুহীর বাসায় এসে উপস্থিত।রুহী রোয়েন আর নিজের প্যাকিং কমপ্লিট করে নিলো।আরাবী মা বাবাইকে বিভিন্ন কাজে হেল্প করছে।এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছে।এদিকে ইয়ারাবীর মনটা ও ভালো নেই।থাকবে বা কি করে?নিজের সাথে এতো বাজে কাহিনী ঘটে গেলো।মাম্মা পাপাকে কিছু জানাতে ও পারছেনা।শরীরটা ও ভালো নেই ওর।কলেজে যেতে ও মনটানছে না।রুপন্তী মেয়েকে এটা ওটা বুঝাচ্ছে।আরাবীর সাথে সবসময় থাকতে বলছে।মন দিয়ে পড়াশুনা আর কলেজে যাওয়া শুরু করতে বলছে।আটটার মধ্যে বেরিয়ে গেলো ওরা।সাথে রেহান ও গেলো এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।আরাবী ইয়ারাবীকে নিয়ে ডিনার সেড়ে নিলো।তারপর দুবোন শুয়ে পড়লো।আরাবী খেয়াল করলো ইয়ারাবী একদমই ঘুমাচ্ছেনা।
মেয়েটা কেমন ছটফট করছে।আরাবী ইয়ারাবীর মাথায় হাত রাখে,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-ঠিক আছিস?জিজ্ঞেস করে আরাবী।
-জি আপু।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-ঘুমোচ্ছিস না কেন?জিজ্ঞেস করে আরাবী।
-আসছেনা আপু।মাথা নিচু করে বলে ইয়ারাবী।
-শুনলাম কলেজে ও যাচ্ছিসনা।রুম থেকে ও বের হোস না। কি হলো তোর?জিজ্ঞেস করে আরাবী।
-না আপু এমনিই।যাবো কলেজে আরো কয়েকদিন পর।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-ফেল করতে মন চাইছে তোর?সামনে ইন্টার পরীক্ষা।একটু রেগে বলল আরাবী।
-ইয়ারাবী কিছু বলতে পারলোনা।মন খারাপ করে অপরপাশে ফিরে শুয়ে পড়লো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাবী বুঝতে পারলো ইয়ারাবীর মনটা এমনিতেই ভালোনা।তারওপর আরাবী রেগে কথাটা বলেছে।আরাবী বোনকে বুকে টেনে নিলো।ঘুমিয়ে যা ইয়ারাবী।ইয়ারাবী চুপচাপ বোনের কাছে ঘুমিয়ে গেলো।পরদিন দুপুর কাজ সেড়ে আরাবীর অফিসে এলো আর্ভিন।মেয়েটা বেশ চুপচাপ।বিষন্ন মনে হচ্ছে ওকে।আর্ভিন আরাবীর সামনে বসলে আরাবী মলিন হেসে বলল কেমন আছো?ভালো।তোমাকে এমন লাগছে কেন? পুনরায় জিজ্ঞেস করে আর্ভিন।বাবাইয়ের এতো বড় রোাগ ধরা পড়েছে অার্ভিন।ভালো লাগছেনা আমার।আরাবীর হাতের ওপর হাত রাখলো আর্ভিন তারপর বলল, দেখো আরাবী আঙ্কেল ভালো হয়ে যাবে।কিছু হয়নি।আঙ্কেলের ওপর সবার দোয়া আছে।আঙ্কেল সুস্থ হয়ে যাবে।
আর্ভিন তারপর ও। কতো বড় সার্জারি হবে।ভাবতেই ভয় হচ্ছে আমার।মা মন থেকে খুব দূর্বল।কান্না কাটি করবে।মন খারাপ করে বলল আরাবী।ছোট খালা গেছে না আন্টিকে সাহস যুগাবেন ওনি।বলে উঠে আর্ভিন।আভিন খেয়াল করলো তারপর ও আরাবীর মন ভালো হচ্ছেনা।আরাবীর হাত টেনে ধরলো আর্ভিন।চলো আমার সাথে।কই যাবো অবাক হয় অারাবী।আগে চলো তো। তারপর দেখো কই যাই।বলে উঠে আর্ভিন।আরাবী উঠে গেলো আর্ভিনের সাথে।সেদিন দুজনে সারাদিন ঘুরেছে।হালকা বুট বাদাম খেয়েছে।রাতে আরাবীকে নিয়ে চাইনিজে এলো আর্ভিন।দুজনে ডিনারটা একসাথে করবে।আরাবীর পছন্দের সব কিছু অর্ডার করেছে আর্ভিন।আরাবী আসবেইনা।কিন্তু আর্ভিন ছাড়বার পাত্র নয়।জোরপূর্বক নিয়ে নিয়ে এসেছে আরাবীকে।আরাবী ইয়ারাবীর কথা বলছিলো মেয়েটা একা একা কি করবে কি খাবে।আর্ভিন বলল ইয়ারাবীর জন্য খাবার পার্সেল করে নিয়েছে ও।
অপর দিকে ইয়ারাবীর সাথে দেখা করতে এসেছে স্নিগ্ধা।ইয়ারাবী এতোদিন ধরে কলেজে যাচ্ছে না।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-কলেজে আসছিস না কেন?জিজ্ঞেস করে স্নিগ্ধা।
-এমনি।ভালো লাগছেনা।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-ভালো লাগেনা বললে হবে না ইয়ারাবী।কলেজে চল কাল থেকে।বলে উঠে স্নিগ্ধা।
-আমার কিছুই ভালো লাগছেনা রে স্নিগ্ধা।
-এসব ঠিক না ইয়ারাবী।সামনে এক্সাম।অনেক পড়া বাকি।কবে শেষ করবি।বলে উঠে স্নিগ্ধা।
-আমি আসলে তোকে জানাবো।বলল ইয়ারাবী।
-আসলে না।তুই কাল থেকে ক্লাশ করবি।জোর করে বলল স্নিগ্ধা।
-ওকে।আমি আসবো।বলে উঠে ইয়ারাবী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
পরদিন স্নিগ্ধার কথামতো ইয়ারাবী ঠিকই কলেজ যায়।কয়েকদিন ক্লাশ করার পর ইয়ারাবীর মনে হলো কেউ ওকে ফলো করছে।কিন্তু কাউকে দেখেনি ও।
চলবে