Addition !! Part- 07
মায়ার ঘুম ভাঙতে দুপুর ২ টা বেজে গেল।
-এতটা সময় কেটে গেছে।( ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে মায়া)। আমার তো গোসল করতে হবে।
এটা ভাবতে ভাবতে মায়ার ফোন বেজে উঠে।
-কি জান ঘুম ভাঙলো।
-(এই লোকটা জানলো কিভাবে)
– কি আমি জানি সব এখন তুমি হয়তো গোসল করবার কথা ভাবছো। আলমারি খুলো সারি আছে দেখ ব্লু কালার এর সারিটা পরবা আমার কথার নর চর না হয় যেন।
ফোনটা কেটে দিলো। মায়া আর কি করবে সেতো কাঠের পুতুল নীলের । 😑
চুপ চাপ সারি পরে নিল নীলের বলা সারিটা। গোসল করে আয়নার সমনে এসে চুল মুছতে মুছতে ভাবতে লাগলো কি করবে সে এখন কিসের প্রতিসোধের কথা নীল বলছে।
হটাৎ মায়ার সারি ভেত করে পেট আকরে মায়ার চুলে মুখ গুঁজে দেয় কেউ৷। মায়া হতচকিত হয়ে আয়নায় তাকাতে নীলকে দেখতে পায়।
-জানু তুমিতো পাগল করে দিবা। (মায়ার পেটে স্লাইড করতে করতে)
-আমাকে ছাড়ুন। (রেগে)
-উহু না। (আরো শক্ত করে চেপে ধরে)
-কি হচ্ছে এগুলা।
– বৌকে আদর করা হচ্ছে।
– ছাড়ুন আামাকে।
-ধুর ১০ টা না ৫ টা না ১ টা মাত্র বৌ তকে ধরলেই ছাড়ো ছাড়ো করে।
নীল মায়াকে ছাড়তে মায়া সরে আসে।
-চলো খাবার খেতে।
-তার আগে আমাকে কিছু কথার উত্তর দিতে হবে।
-কি কথা। (ভ্রু কুচকে)
-আপনি কাল রাতে কোন প্রতিসোধের কথা বলেছেন। কেন?
-সময় হলে সব জানতে পারবে এখন চলো।
মায়ার হাত ধরে টেবিল কাছে নিয়ে এসে মায়াকে নিজের হাতে খাইয়ে দিয়ে নিজে খেয়ে নেয় নীল।
-মায়া
-জী
– চলো।
-কোথায়।
-বিশেষ কারোর সাথে দেখা করতে।
-আমার উত্তর পায় নি এখোনো।
– হয়তো এখানে গেলে কিছুটা পেয়ে যাবে।
মায়াকে নিয়ে নীল চললো। একটি হসপিটালে এনেছে নীল মায়াকে।
-এখানে কেন?
-চলো দেখতে পাবে।
মায়াকে নিয়ে নীল একটা কেবিনে আাসলো। ভেতরে এক ভদ্র মহিলা। মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে আছে কিন্তু তার চোখ দুটো ফুলে গেছে লালচে দাগ হয়ে গেছে যেন আনেক বছর সে চোখ দুটো খোলে না। কিন্তু তার মুখে অসম্ভব একটা মায়া আছে। যেটা মায়াকে তার কছে টানছে।
-জানো ইনি কে।
-না (নীলের মুখের দিকে তাকিয়ে) ।
-আমার মা তোমার শাশুড়ী।
-আপনার মা তাহলে ওনার এই অবস্থা কেন?
– আত্মাহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তাই।
-আত্মাহত্যা। কেন?
-জানতে পারলে ঠিক থাকতে পারবে তো?
-কেন পারবো না কি এমন ঘটেছে?
-আচ্ছা চলো অন্য একটা জায়গায় তোমাকে বোলছি সবটা।
নীল মায়াকে নিয়ে গেল একটি পার্কে। মায়া আগেও একবার এসেছে এখানে তখন সে মাত্র ক্লাস ৭ এ পরতো।
-আমি আগেও এসেছি।
-আমি জানি এই কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছটা মনে আছে মায়া।
-হ্যা আমি এখানেই এসে বসেছিলাম। যেদিন আমি প্রথম এখানে আসি।
-হুম তোমাকে আমি তখন থেকে ভালোবাসি।
মায়া আবাক হয়ে নীলের দিকে তাকিয়ে আছে।
– কি বলছেন এগুলো?.
-শুন তাহলে ৫বছর আগে,
আমি এখানে এসেছিলাম তখন আমি কিছুই না এক জন সাধারণ মানুষ। ছাত্র বয়স আমার।
এই রাস্তা দিয়ে যাচছিলাম হটাৎ একটি মেয়েকে এই কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছের তলার বেঞ্চে বসে থাকতে দেখি। চুল গুলো তার বাতাসে উরছে। মুখ ভরা হাসি উফফ আমিতো জায়গাতেই দাঁড়িয়ে যায়। আমার হৃৎস্পন্দন থেমে গিয়েছিলো। অপলক দৃষ্টিতে সুধু তা্ঁকে দেখছি আমি ্কি মিষ্টি হাসি তার। মেয়েটি কে ছিলো জানো?
(মায়া নীলের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে)
-তুমি ছিলে। হ্যা মায়া তুমি ছিলে। সেই দিন তুমি আমার মনে ঘন্টা বাজিয়ে দিলে আর ভুলতে পারিনি তোমাকে।
হটাৎ করে আমার মনে পরে যায় আমি কেন এসেছি এখানে তখনি আমার ভালো লাগা গুলো সব শেষ হয়ে যায়।
-ক,,,,কি কারনে গিয়েছিলেন।
-তোমার মাকে মারতে।
-(মায়া চোখ বড়ো বড়ো করে) কি আামার মাকে মারতে। এত বড়ো সাহস আপনার।
-তুমি কি জানো কেন মারতে গিয়েছিলাম।
-না জানতে চায় না৷ আপনি আমার মাকে।
-আতিতটা শুন মায়া।
আতিত,
-কিরে তোকে বলেছিনা নিজের ছেলেকে নিয়ে যেখানে পারিস যা৷ আমার ঘাড় থেকে নাম আমি তোর থেকে ভালো কাউকে পেয়েছি ।
-রউশান আমার কথা না আনততো আমাদের ছেলেটার কথা ভাবো ওকে নিয়ে আমি কই যাবো বাবাকেও তো ছেড়ে চলে আসছি শুধু মাত্র তোমার জন্য।
-আরে এই (নীলের মায়ের চুলের মুঠি ধরে) তোর মতো মেয়ে না শুধু এই ঘরই ছাড়তে পারে আর কিছু না। তোকে বলেছি আজই বাড়ি ছেড়ে চলে জাবি ছেলেকে নিয়ে না হলে। তোর ছেলেকে সহ তোকে মেরে ফেলবো। (রউশান ছুড়ে ফেলে দিলো [আরুকে] নীলের মা)
আরু কি করবে ছেলেকে নিয়ে সে কই যাবে না আর ভাবতে পারছে না।
ওদিকে নীল বাচ্চা ছেলে মাত্র ৭ বছর বয়স মা বাবার সমস্ত কথা শুনে নেয়।
-নীল বাবা চলতো তোর নানা বাসায় যাইবো আমরা। (মিথ্যা হাসি মুখে দিয়ে)
-মা তুমিতো বলেছিলে নানা আমাদের মেনে নেয় নি।
-ফোন করেছিলো বাবা যেতে বলেছে যাবিনা নানার বাসায়।
-মিথ্যা বলছো মা তুমি। আমি সবটা শুনেছি৷ মা কে সেই মহিলা বাবা জাকে আামাদের জন্য ছেড়ে দিচ্ছে?
-বাবা তুমি এখনো আনেক ছোট।
– না মা আমাকে বলো।
-তার নাম……..
।
……
চলবে।