The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 21

সকাল বেলা পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙ্গে ইয়ারাবীর।চোখ খুলে আশেপাশে তাকায় ও।কাল কি হচ্ছিলো ওর সাথে?কি হতে যাচ্ছিলো?ইয়ারাবী নিজে ও তো নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছিলো লোকটার কাছে।বুক ধড়ফড় করতে শুরু করেছে ইয়ারাবীর।নিজের জামার দিকে তাকায় ইয়ারাবী।জামার গলার উপরের দু তিনটে বোতাম খোলা।পায়জামাটা ও ঠিক ঠাক নেই।চোখজোড়া কুঁচকে নিলো ইয়ারাবী লজ্জা পেয়ে।কোনমতে জামা কাপড় ঠিক করে বিছানা ছাড়ে ইয়ারাবী।ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে ও।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসতেই খেয়াল করলো আরাভ টেবিলে ওর নাস্তা রেখে খাটের ওপর বসে ফোনে কথা বলছে।ইয়ারাবীকে দেখে থমকে যায় আরাভ।কান থেকে ফোন সরিয়ে আরাভ উঠে দাঁড়ায়।তারপর ঘন ঘন নিশ্বাস টেনে ইয়ারাবীর দিকে এগিয়ে আসতেই ইয়ারাবী সরে এসে বলল আমি একটু একা থাকবো আমার ভালো লাগছেনা।আরাভ চোখজোড়া কুঁচকে দাঁতে দাঁত চেঁপে রাগ দমন করার চেষ্টা করলো।তারপর বলল নাস্তা সেড়ে নাও।বেরিয়ে গেলো আরাভ।ইয়ারাবী পিছনে ফিরে আরাভের যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।মনটা না চাইতে ও খারাপ হয়ে যায় ইয়ারাবীর।ইয়ারাবীর রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমের দিকে এগোয় আরাভ।খাটে বসে হাতজোড়া শক্ত করে মুঠ করে বসে আছে।কেমন অস্থির অস্থির লাগছে ওর।ঠিক তখনই কল আসে আরাভের ফোনে।ফোন রিসিভ করে কানের সামনে ধরলো আরাভ।ফোনটা করেছে ওর একজন লোক।লোকটাকে বাবার হাসপাতালের জন্য রেখেছিলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-হ্যালো অপর পাশ থেকে বলল পরশ।
-হুম পরশ বলেন। গম্ভীর কন্ঠে বলল আরাভ।
-স্যার আপনার বাবার হাসপাতালে যে সিলগালা লাগিয়েছে তাকে ডিটেক্ট করা হয়েছে।স্যার আপনি চলে আসেন।আপনাকে দরকার এখন।বলে উঠে পরশ।
-ওকে।আমি আজ বিকেলে রওনা দেব।বলেই কল কাঁটলো আরাভ।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ রুম থেকে বেরিয়ে ইয়ারাবীর রুমে এলো।ইয়ারাবী এক মনে খাচ্ছে।আরাভ গলা পরিষ্কার করলো একটু শব্দ করেই।ইয়ারাবীর খাওয়ায় ছেদ পড়লো।মাথা তুলে তাকায় দরজার দিকে। আরাভ ওর কথার অপেক্ষা না করে বলল,বিকেলে আজ ঢাকায় ফিরবো।তোমার প্যাকিং শেষ করে রেখো।সাতদিনের ট্রিপ তো বলে উঠে ইয়ারাবী।আজ বিকেলেই যাবো এন্ড দ্যাটস ফাইনাল।ইয়ারাবীকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বেরিয়ে যায় আরাভ।মন খারাপ হয়ে যায় ইয়ারাবীর।ঠিকমতো মজা করতে পারলোনা কয়েকটা দিন।আর আজই যেতে হবে।
রাগ লাগছে ওর।আরো কয়েকটা দিন থাকলে কি হতো?ঝড়নার নিচে বসে আছে আরাবী।অশ্রু গুলো ঝড়নার পানির সাথে একাকার হয়ে যাচ্ছে।এমনটা তো আশা করে নি ও।লোকটার ওপর দূর্বল হয়ে পড়ছিলো তাই ইকরামকে আসতে বলেছিলো।কিন্তু আজ আর্ভিন এ কাজটা করবে ভাবতেই পারেনি আরাবী।
ঘন্টাখানেক আগে,
বেশ দেরি করে অফিস থেকে বের হয় আরাবী।গাড়ির কাছে এসে চাবি দিয়ে দরজা খুলতে যাবে ঠিক তখনই পিছন থেকে কেউ জাপটে ধরলো ওকে।হাত পা ছিটাতে লাগলো আরাবী।সে ছাড়ছে না ওকে।আরাবীকে সে একটা গাড়িতে উঠালো।তখনই তাকে দেখতে পায় আরাবী। লোকটা আর্ভিন।আপনি আমাকে এখানে কেন আনলেন?যেতে দিন।চিৎকার করে বলল আরাবী।আর্ভিন চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে।আরাবীর কথা ওর কানেই আসছেনা।আর্ভিনের কাঁধে মারতে থাকে আরাবী।আর্ভিন কোন পাত্তা দিচ্ছে।আরাবী অনেক চেষ্টা করলো ছাড়া পাওয়ার জন্য কিন্তু হলো না আর।গাড়িটা বড় একটা ম্যানশনের সামনে থামায় আর্ভিন।আরাবীর হাত টেনে ভিতরে ঢুকায় আর্ভিন।ম্যানশন টা বড় সুন্দর করে সাজানো।লাইটিং করা পুরো ম্যানশন।ডিনার সাজানো আছে টেবিলে।সেখানে হরেকরকমের খাবার সাজানো।আরাবী ঝাড়ি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে বলল
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-Don’t you dare to touch me Mr Arvin Mahbub.
-ওহ আমি টাচ করলেই খারাপ লাগে?আর ইকরাম টাচ করলে খুব ভালো লাগেনা?এতোটাই ভালো লাগে যে লিপ কিস পর্যন্ত করতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন আপনি।গলায় ফাঁটিয়ে চিৎকার করলো আর্ভিন।
-শুনেছিলাম আপনি লুচ্চা টাইপের মেয়ে বাজি করেন। কিন্তু কখনো বিশ্বাস করিনি।আর করলে ও বলতাম এটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।কিন্তু আপনি এতো টা খারাপ আজ এর প্রমান পেলাম।কথা বলার আগে ভেবে চিন্তুে বলুন।আপনার এমন কিছু লাগিনা আমি যে আপনি আমাকে বাঁধা দিবেন।আর আমি আমার ঠোঁট আমার জিনিস।যাকে ইচ্ছে তাকে কিস করবো।তাতে আপনার কিছু যায় আসেনা।চিৎকার করে বলল আরাবী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আর্ভিন এবার আরাবীর দিকে এগিয়ে আসত থাকে।আর আরাবী একপা একপা করে পিছুতে থাকে।আর্ভিন বলছিলো তুমি তোমার ঠোঁট তোমার সব কিছু আজ আমার হবে।আজ তোমার সাথে এমন কিছু আমি করবো যে সবসময় আমার কথাই চিন্তা করবো।তোমার পুরো দুনিয়া জুড়ে আমিই থাকবো।তুমি চেয়ে ও অন্য কারোর হতে পারবেনা।অন্য পুরুষকে তোমার পাশে ঘেঁষতে দিবেনা।আরাবী দেয়ালে লেগে গেলো।আর্ভিন ওকে চেঁপে ধরলো দেয়ালে।আমার থেকে দূরে থাকেন।চিৎকার করে বলল আরাবী।কিন্তু ওর কথায় পাত্তা না দিয়ে আর্ভিন আরাবীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।আরাবীর চোখজোড়া বড় হয়ে যায়।অনেকবার সরাতে গিয়ে ও পারলোনা আরাবী।হঠাৎ ওর মনে হতে থাকে সুখের সাগরে ডুবে যাচ্ছে ও।আর্ভিনের ঠোঁটজোড়া ওকে ভীষন রকমের সুখ দিচ্ছে।আরাবীর চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে যায়।নিজে ও আর্ভিনকে চুমু দিতে শুরু করে।বেশ কিছুক্ষন পর আর্ভিন আরাবীর গলায় নেমে এলো।ঘন ঘন চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিতে থাকে আরাবীর গলায় কাঁধ।আর্ভিনের শার্ট চেঁপে ধরলো আরাবী।হঠাৎ আরাবীর কল আসায় আর্ভিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো আরাবী। তারপর দৌড়ে বেরিয়ে পড়লো।
বাহিরে এসে ফোন চেক করলো আরাবী।রাত বারোটা পয়াতাল্লিশ বাজে।তাই বাবা কল করছিলো।আরাবী মেসেজ পাঠালো রোয়েনকে “আমি এক্ষুনি আসছি”ঘরে ফিরে এলো আরাবী।রোয়েন রুহী অনেক কথা জিজ্ঞেস করার পর ও কিছু বলেনি আরাবী।দ্রুত নিজের রুমে চলে এলো ও।তারপর ফ্রেশ হতে চলে যায়।ভাবনার থেকে ফিরে আসে আরাবী।ঘন্টাখানিক শাওয়ার নেয়ার পর বেরিয়ে এলো।আর্ভিনের মতো লোকদের সাথে প্রেম করে বিয়ে করা যায়না।এরা ভালোবাসার যোগ্যই না।খাটে শুয়ে পড়ে আরাবী।চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়াতে থাকে ওর।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
সেদিন সারাটাদিন ইয়ারাবীকে কাছে পেলোনা আরাভ।মেজাজ বিগড়ে আছে ওর।কালকের পর থেকে মেয়েটার থেকে দুদন্ড দূরে থাকতে পারছেনা ও।আজ সারাদিন কথা বলার চেষ্টা করেছে ও কিন্তু ইয়ারাবী ওর কাছেই আসেনা।কথা ও বলছেনা।নিজের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরাভ।হঠাৎ ইয়ারাবীকে রুমের দিকে এগোতে দেখে ও।ইয়ারাবী আরাভকে দেখে দ্রুত রুমে চলে যেতে চায়।কিন্তু আরাভ ওকে টেনে নিজের রুমে এনে দেয়ালে চেঁপে ধরে,তারপর দাঁতে দাঁত চেঁপে জিজ্ঞেস করলো,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-এই মেয়ে প্রবলেম কি তোমার?
-ছাড়ুন আমাকে।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-আমার থেকে দূরে থাকার সাহস কি করে হয় তোমার?
-এখানে সাহসের কি হলো?কি হই আমি আপনার?ভ্রু কুঁচকালো ইয়ারাবী।সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
-লিসেন,দুরে থাকার সাহস করবানা বুঝলে?নাহলে ভীষন খারাপ হয়ে যাবে,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
কথাটা বলে ইয়ারাবীর গলায় ঠোঁট চেঁপে ধরলো আরাভ।ভরিয়ে দিতে লাগলো উষ্ণ চুমুতে ইয়ারাবীর গলা আর ঠোঁট।সেদিন বিকেলে বেরিয়ে পড়লো ওরা ঢাকার উদ্দেশ্যে।পুরো জার্নিতে ইয়ারাবী কোন কথা না বললে ও আরাভ পুরোটা সময় ওকে জড়িয়ে ধরে ছিলো।পরদিন সকাল ভোরে ঢাকায় চলে এলো ওরা।ইয়ারাবীকে ঘরের সামনে দিয়ে আরাভ বেরিয়ে পড়ে আকরাম আজহারের বাসার উদ্দেশ্যে।ইয়ারাবীকে ঘরে দেখে বেশ অবাক হলো রুপন্তী আর রেহান। মেয়েকে ওরা জিজ্ঞেস করলো তোমার তো আরো তিনদিন পরে আসার কথা।আর আজ আসবা সেটাতো স্যাররা জানালোনা।একা আসলে কেন?পাপাকে কল দিলেতো পাপা নিয়ে আসতো।ইয়ারাবী জানালো স্যারদের ইমার্জেন্সি কাজ এসে পড়েছিলো তাই চলে এসেছে ওরা।আর কলেজ বাস দিয়ে গেছে ওকে।রুপন্তী আর রেহান মেয়ের কথায় আশ্বস্ত হয়।নিজের রুমে চলে গেলো ইয়ারাবী।হাত মুখ ধুয়ে বিছানায় শরীর ছেড়ে দিলো।
আরো দুদিন পার হয়ে যায়।আরাবী একটু নরমাল হয়ে এসেছে।সেদিন বেশ রাত করেই অফিস থেকে বের হয় ও।আজ গাড়িটা সাথে নেই।কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় গাড়িটা সারাতে দিয়েছে ও।তাই হেঁটে সামনে এগুতে শুরু করলো আরাবী।হঠাৎ মনে হলো কয়েকজন লোক ওর পিছু নিচ্ছে আর খারাপ কথা বলছে।আরাবী কে ধরার চেষ্টা করছে লোকগুলো।ভয় পেয়ে দৌড়াতে থাকে আরাবী।হঠাৎ একটা গাড়ির সাথে বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে যায় ও।
(আজ শরীর ভালো লাগছেনা।খুব ক্লান্ত আমি।তাই একটু ছোট হয়ে গেলো।মাফ করবেন)
চলবে