The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 20

★★★★
আর্ভিন খাটের ওপর বসে আছে।ডান হাতটা নব জ্বলন্ত সিগারেটটাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলছে।চোখের নিচে ও কেমন কালি পড়ে গেছে ওর।পড়বেই না কেন ঘুম খাওয়া সব ছেড়েই দিয়েছে।আগে যেমন মেয়েদের নেশায় ডুবে থাকতো এখন আর ভালো লাগেনা এসব।ক্লাব ড্রিংকস সব যেন বিষের মতো লাগছে এখন।চোখ জোড়া প্রচন্ড লাল হয়ে আছে আর্ভিনের।চুল গুলো ভীষন উষ্কো খুষ্কো দেখাচ্ছে।ভাই আপনার মা!!!বলতে গিয়ে থেমে গেলো শরৎ।ভাই কি হইছে আপনার?এমন লাগছে আপনাকে?চিন্তিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো শরৎ।শরৎ ইব্রাহীম আর্ভিনের বডিগার্ড কিন্তু ভাইয়ের মতো।খুব ক্লোজ ওরা একে অপরের।আমি কি করবো শরৎ?একনজরে সামনে তাকিয়ে বলল আর্ভিন।ভাই সব ঠিক আছে তো?কি হলো আপনার হঠাৎ?খাওয়া দাওয়া করছেননা।ঘুমোচ্ছেননা।কোথাও যাচ্ছেন না।ভাই বলেননা কি হলো?খুব ভয় লাগছে আমার।বলে উঠে শরৎ।সেদিন পার্টিতে আরাবীকে দেখেছিলি না?বলে উঠে আর্ভিন।জি ভাই,চৌধুরী গ্রুপের সিইও।বলে উঠে শরৎ।ও আমাকে পাত্তা দেয়না কথা বলেনা ফোন ও ধরেনা।ওর ছোট বেলার বন্ধু নিয়ে ব্যাস্ত।মেয়েরা আমার পিছে ঘুরে,আমার সাথে একটা রাত কাঁটাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।কিন্তু আমি আরাবী আরাবী করে পাগল হচ্ছি।তার কথা শুনার জন্য আমার কান হাহাকার করছে।কেন শরৎ?সে কে?তার মাঝে কি আছে বলবি?কতো টা বেহায়া হয়েছি তার কাছে আমি আর্ভিন মাহবুব।যার নাম শুনলে ভয় পায় সবাই।
ভাই একটা কথা বলি আপনি যদি কিছু মনে না করেন?বলে উঠে শরৎ।বল কি বলবি?বলল আর্ভিন।আমার মনে হয় আপনি আরাবী ম্যমকে ভালোবাসেন।বলে উঠে শরৎ।কি বলছিস এসব?ভ্রু কুঁচকালো আর্ভিন।জি স্যার ম্যামকে প্রথমদিন দেখার পর আপনার মাঝে অনেক বড় পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি আমি।আর আমার সময়ে ও আমি বুঝিনি আমি রুপালীকে ভালবাসি।কিন্তু পরে বুঝতে পারছি কারন ওর সাথে কথা না বললে ভালোই লাগতোনা।
ভ্রু কুঁচকায় আর্ভিন। হ্যা তোর গার্লফ্রেন্ড ও আছে?কেমনে কি?তোরে বয়ফ্রেন্ড বানাইলো কে? ঠিকমতো কথা বলতে পারিসতো রুপালীর সাথে?নাকি বন্দুক দিয়ে কথা বলিস।আমার কথা না মানলে একটা বুলেট ও মিস যাবেনা।বলে উঠে আর্ভিন।আরে ভাই কি যে বলেননা।আরে একটু সত্যি করে বলতো প্রপোজ করলি কেমনে রুপালীকে?ওর মাথায় বন্দুক ঠেঁকিয়ে?আই লাভ ইউ বল নাহলে খুলি উড়ায় দিবো।তারপর দুজনেই হেসে দিলো।তোর কি সত্যি মনে হয় ওকে আমি ভালোবাসি?জিজ্ঞেস করলো আর্ভিন।জি ভাই কারন ওনার সাথে কথা বলতে পারছেননা।ওনার কথা শুনার জন্য আপনি ছটফট করছেন।আর্ভিন কিছু না বলে শরৎ এর দিকে চেয়ে রইলো।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রুহী দুকাপ চা বানিয়ে উপরে যাচ্ছিলো তখনই কলিংবেলের শব্দে থেমে যায় ও।চায়ের ট্রে রেখে দরজার দিকে এগুলো।দরজা খুলেই দেখলো একটা লোক বয়স্ক একজন মহিলা কে নিয়ে এসেছে।বেচারীর পুরো শরীর কাঁপছে।লোকটা রুহীকে জিজ্ঞেস করলো প্রফেসর রোয়েন চৌধুরীর বাসা না?জি ওনারই বাসা।ভিতরে আসুন।বলে উঠে রুহী।
স্যার আমার মা কে ১৫ বছর ধরে চিকিৎসা করছিলেন।যেদিন থেকে স্যারের হাসপাতাল বন্ধ হলো আমার মা অন্য ডাক্তার দেখাবেননা।তাদের ঔষধ ও খাবেননা।মা স্যারকেই দেখাবেন।একনাগাড়ে বলল লোকটা।রুহীর চোখজোড়া ভরে এলো।মহিলার পাশে বসলো চাচী আমহ এক্ষুনি প্রফেসরকে ডেকে পাঠাচ্ছি।আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।বুড়ি কাঁপা হাত দিয়ে রুহীর মাথা মুছে দিলো।কেঁদে দিলো রুহী।তারপর দৌড়ে সিড়ি বেয়ে উঠে গেলো।রোয়েন বিছানায় টিভি দেখছে।রুহী দৌড়ে রুমে ঢুকে রোয়েনের পায়ের ওপর মাথা রেখে কাঁদতে লাগলো।কারন আজ স্বামীর মুখে কিছুটা হলে ও সেই হাসি দেখবে।সেই প্রতিক্ষীত হাসি।রোয়েন উঠে বসলো ধপ করে।রুহী!!!!!কি হলো কাঁদছো কেন?রুহী কে উঠে বুকে চেঁপে বলল রোয়েন।তুমি জলদি নিচে যাও।কেউ অপেক্ষা করছে।কেঁদে কেঁদে বলছিলো রুহী।অপেক্ষা করছে কে?তুমি কাঁদছো কেন?আতঙ্কিত গলায় বলল রোয়েন।রুহী উঠে রোয়েন কে টেনে সিড়ির কাছে আনলো।রোয়েন থমকে যায়।ওর খুব পুরোনো পেশেন্ট।মহিলা ভীষন অসুস্থ।রোয়েনের ঠোঁটের কোনে হাসি চোখে পানি।ওর ওপর এখনো কারো কারো বিশ্বাস আছে দেখে।যাও না আর অপেক্ষা করাবানা।রোয়েন রুহীর দিকে মাথা ঝাঁকায়।তারপর নিচে নেমে আসে।রোয়েনকে দেখে লোকটা উঠে দাঁড়ায়।স্যার আমার মাকে আনতাম আপনার কাছে।কারোর কাছে যেতে রাজি হয়না আম্মা।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-রোয়েন বুড়ির পাশে বসলো।খালাম্মা ভালো আছেন?
-আব্বা তোমারে দেইখা পরান জুড়াইয়া গেলো।রোয়েনের মাথায় হাত রেখে বলল বুড়ি।
-খালাম্মা আপনি আবার সুস্থ হয়ে যাবেন।আমার কথা গুলো মেনে চলেন ঠিকমতো।বলে উঠে রোয়েন।
-জি আব্বা তুমি ঔষধ লিখা দাও।বলে উঠেন বুড়ি।
-খালাম্মা ঔষধ দিবো।আগে একটু চেক আপ করতে হবে।বলে উঠে রোয়েন।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রুহী নাস্তা বানাতে গেলো মেহমানদের জন্য।চোখ মুছে নাস্তা বানানোয় মন দিলো।বুড়ির চেকআপ করে রোয়েন ঔষধ লিখে দিলো।রুহী সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে নিলো।রুহীকে দেখে বুড়ি বলল স্যার আপনার বিবিজান বুঝি?
জি খালাম্মা আমার বিবিজান রুহীর দিকে তাকিয়ে প্রেম প্রেম হাসি দিয়ে বলল রোয়েন।সেদিন রাতে ডিনার সেড়ে রুমে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালো ইয়ারাবী।আরাভ বেরিয়ে গেছে।ও আর সামার নামের লোকটা ছাড়া আর কেউ নেই এখানে।ইয়ারাবীর এ লোকটাকে একদম পছন্দ না।ভীষন বিরক্ত করে সে।কথা গুলো ভেবে বের হওয়ার জন্য সামনে আগায় ইয়ারাবী।তখনই ওর উড়না খুলে ফেলল পিছন থেকে।পিছনে ফিরে তাকায় ইয়ারাবী।সামার ইয়ারাবীর কাছে এসে দাঁড়ালো।ঐ আরাভের সাথে এতো কি তোমার?রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো সামার।আপনার সমস্যা কি এমন করলেন কেন?উড়না দিন আমার।চিৎকার করে বলল ইয়ারাবী।দিবোনা আজ নিজের করে ছাড়বো তোমাকে।সামার ইয়ারাবীর গলায় মুখ ডুবাতে নিলে ইয়ারাবী ওকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলো।সরেন আমার কাছ থেকে কখনো আমার সামনে আসবেননা।চিৎকার করে বলল ইয়ারাবী।তারপর পিছু ফিরে আসতে নিলে সামার ইয়ারাবীর হাত টেনে ধরে।যার কারনে কাঁটা জায়গা থেকে আবার ও রক্ত গড়াতে শুরু করলো।ইয়ারাবী সামারকে মারতে গেলে ওর গলায় উড়না চেঁপে ধরলো সামার।দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় ইয়ারাবীর।চোখজোড়া উল্টে গেছে ওর।হঠাৎ ঝড়ের বেগে কেউ এসে সামারকে দেয়ালে চেঁপে ধরে ওর গলায় টিপে ধরলো।রাগে ফুঁসছে আরাভ।জোরে কয়েকটা ঘুষি লাগালো সামারের নাকে আরাভ।
ইয়ারাবীর গায়ে হাত দেয়ার সাহস কি করে হয় তোর?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করলো আরাভ।
ওকে ভালোবাসি আমি।তোর সমস্যা কি?বলে উঠলো সামার।সারারাত একটা মেয়েকে ভয় দেখানো তার ক্ষতি করার চেষ্টা করিস আর সেটাকে ভালোবাসা বলছিস?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে সামারকে খুব মারতে লাগলো আরাভ।সামারের নাক মুখ ফেঁটে রক্ত বেরুচ্ছে।ঠিক তখনই প্রিন্সিপাল সহ বাকি সবাই এসে হাজির হলো।প্রিন্সিপাল দৌড়ে এসে আরাভকে থামালেন।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-কি হলো মিঃ আরাভ ওকে মারছেন কেন?জিজ্ঞেস করলেন প্রিন্সিপ্যাল।
-আরাভ রক্তচক্ষু দিয়ে সামারের দিকে চেয়ে আছে।ইয়ারাবীর সাথে বেয়াদবি করছিলো।
-দেখেন আরাভ হয়ত অনিচ্ছাবশত করে ফেলেছে।বলে উঠেন ক্লিনটন।
-কারোর গলায় উড়না পেঁচিয়ে ধরা অনিচ্ছাবশত ভুল?দেখুন মিঃ ক্লিনটন আমি ওকে এমনি এমনি মারিনি।সেদিন ইয়ারাবী যখন বলছিলো ওকে কেউ ভয় দেখায় গখন আমার বডিগার্ডদের ওর খেয়াল রাখতে বলি।আমার বডিগার্ডরা বলেছে।এই জনাব(সামারের দিকে চেয়ে)রাত বিরাতে ইয়ারাবীর রুমের সামনে হাঁটে ওকে ভয় দেখায়। চিৎকার করে উঠে আরাভ।
-কাম ডাউন মিঃ আরাভ ওকে আমি এক্ষুনি ঢাকায় পাঠাচ্ছি।আর তোকে বলছি (সামারকে উদ্দেশ্য করে)জেলে দিবো আমি অসভ্য ছেলে।গলা ফাটিয়ে চিৎকার করলেন।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ ইয়ারাবীর পাশে দাঁড়িয়ে ওর রক্তাক্ত হাত চেঁপে ধরলো।
তখনই দুজন পুলিশ ডেকে এনে সামারকে ঢাকা পাঠানো হলো।যাওয়ার সময় সামার ওদের দুজনকে বলছিলো দেখে নিবে।কথা হলো ওরা ঢাকা যাওয়া না পর্যন্ত পুলিশরা তাদের সমস্ত ফোর্স নিয়ে সামারের বাসায় পাহাড়া দিবে যেন পালাতে না পারে।আরাভ ইয়ারাবীকে নিয়ে ওর রুমে চলে এলো।ইয়ারাবী বিছানায় বসে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।আরাভ ফাস্টএইড বক্স নিয়ে ওর সামনে বসলো।হাতের অবস্থা ভালো দেখাচ্ছেনা।আরাভ ওপরে তাকিয়ে খেয়াল করলো ওর গলায় লাল দাগ হয়ে আছে।আরাভ ইয়ারাবীর হাতের কাঁটা স্থানে ঠোঁট ছুঁয়ে রক্ত গুলো শুসে নিয়ে সেখানে মলম লাগালো।ইয়ারাবী কেমন যেন হয়ে গেলো কাঁদছেনা।শুধু আরাভের দিকে একনজরে চেয়ে আছে।আরাভ ইয়ারাবীর দিকে তাকায়।চোখ নাক লাল হয়ে আছে।চোখের পাপড়িতে এক ফোঁটা অশ্রু দেখতে পাচ্ছে ও।কি অপরুপ লাগছে মেয়েটাকে কান্নারত অবস্থায়।কাউকে কান্না করলে এতো চমৎকার লাগে আরাভের জানা ছিলোনা।নিজেকে সংবরন করতে চাইছে আরাভ।কিন্তু ইয়ারাবীর জ্বলজ্বলে চোখ জোড়া ওকে নিজের মাঝে থাকতে দিচ্ছেনা।একটা অজানা টান অনূভব করছে আরাভ।ইয়ারাবীর গালে আলতো করে হাত রাখলো আরাভ। তারপর ওর দিকে এগিয়ে এসে গালে কপালে নাকে ঠোঁট ছু্ঁইয়ে দিয়ে ওর দিকে তাকায়।ইয়ারাবী চেয়ে আছে।ওর চোখের পাতা পড়ছেনা।আরাভ ইয়ারাবীর ঠোঁটে আলতো করে দুতিনবার চুমু দিতেই ইয়ারাবীর টনক নড়ে।ততক্ষনে আরাভ ওর ঠোঁটজোড়ায় ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।ইয়ারাবী পারছেনা হয়ত চাইছে তাকে সরাতে।কারন মনে হচ্ছিলো এ স্পর্শটা তার এখন দরকার।আরাভের ঠোঁটের ছোঁয়া ওকে ভিন্ন এক দুনিয়ায় নিয়ে যায় যেখানে অসীম সুখ রয়েছে।আরাভের ঠোঁটের ছোঁয়ায় শরীরে ব্যালেন্স রাখতে পারছেনা ইয়ারাবী।বিছানায় শুয়ে পড়লো ইয়ারাবী।আরাভ ওর ওপর শুয়ে আবার ও ঠোঁট শুষে নিতে শুরু করে ইয়ারাবীর।আরাভের ঠোঁটের ছোঁয়া গুলো ইয়ারাবীকে সুখের সাগরে নিয়ে যেতে থাকে।ইয়ারাবীর ঠোঁটজোড়ার মাঝে আরাভের ওষ্ঠদ্বয় সফ্টলি আবেশে প্রবেশ করছে।ইয়ারাবী ও আজ আরাভের ভালবাসার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছে। নিজে ও সমান তালে ভালোবেসে যাচ্ছে আরাভকে।প্রায় ত্রিশ মিনিট পর অারাভ ইয়ারাবীর গলায় নেমে আসে।তারপর ঘনঘন চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিতে থাকে ইয়ারাবীর গলা কাঁধ।আরাভের শার্ট খামচে ধরে আছে ইয়ারাবী।ইয়ারাবী খুব ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে।আরাভ উন্মাদ হচ্ছে ইয়ারাবীর নিশ্বাসের শব্দে।ইয়ারাবীর গলা থেকে সরে এসে ওর পায়ে ঠোঁট ছোঁয়ায় আরাভ।বুড়ো আঙ্গুল মুখে পুরে দিতেই ইয়ারাবী আরাভের হাত খামচে ধরলো।বেশকিছুক্ষন পরে সরে এলো আরাভ।ইয়ারাবীর ঠোঁটে আরো কিছুক্ষন চুমু দিয়ে ইয়ারাবীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো।ইয়ারাবী ও আজ পরম আরামে আরাভের বাহুডোরে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলো।
শেষ রাতে আরাভ নিজ রুমে চলে যায়।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
আরো দুদিন অপেক্ষা করলো আর্ভিন।আরাবী যে ওর ফোন ও রিসিভ করছেনা।কথা বলার সুযোগ ও পাচ্ছেনা আর্ভিন।সেদিন ঠিক করলো আরাবী কে নিয়ে ডিনারে যাবেই।বিকেলে আরাবীর অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয় আর্ভিন।ইয়ারাবীর কেবিনের দরজা খুলে আর্ভিনের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো।ইকরাম আর আরাবী এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে আর্ভিন ভাবলো ওরা একে অপরের ঠোঁটের স্বাদ নিতে ব্যাস্ত।আর্ভিনের চোখ জোড়া লাল হয়ে আসে।জোরে শব্দ করে দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে পড়ে আর্ভিন।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-আরাবী ঠিক হয়েছে চোখ?আর খোঁচা লাগছেনা তো?জিজ্ঞেস করলো ইকরাম।
-নারে ঠিক আছে।এতো খোঁচা লাগছিলো চোখে।চোখ ধরে বলল আরাবী।
-ভ্রু পড়েছিলো তোর চোখে।বলে উঠে ইকরাম।
-থ্যাংকস রে।বলল আরাবী।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
পেশেন্ট চলে যাওয়ার পর রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায় রোয়েন।রুহীর চোখ জলে ভরে গেছে।রোয়েন চুপচাপ রুহীকে বুকে জড়িয়ে নেয়।রুহী ও জড়িয়ে ধরে স্বামীকে।
চলবে