The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 18

আরাভ ইয়ারাবীকে জড়িয়ে ধরে আছে।ওর ঠোঁটজোড়া এখনো ইয়ারাবীর ঠোঁটজোড়াকে সিক্ত করায় ব্যাস্ত আছে।ইয়ারাবী ও কিছুটা রেসপন্স দিতে চেয়ে ও পারছেনা।ওর বুক দুরুদুরু করছে।বেশকিছুক্ষন পরে সরে এলো আরাভ।ইয়ারাবীর নাক লাল হয়ে গোলাপের পাপড়ীর মত ফুঁটে আছে।আরাভ ইয়ারাবীর দিকে একবার তাকিয়ে ওর ঠোঁটে আলতো করে আরেকবার চুমু দিয়ে সরে এলো।ইয়ারাবী আরাভকে জড়িয়ে ধরেছে।কাঁদছিলো ও।প্লিজ আমাকে নিয়ে যান।ভয় লাগছে আমার।বাসায় নিয়ে যান আমাকে।আরাভ ওর পিঠে হাত রাখলো।চলো বাসায় চলো।বলে উঠে আরাভ।ইয়ারাবী একটু সরে এলো।তখন ও আরাভের বাহুডোরে বন্দী ও।আরাভ টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ইয়ারাবী কে নিয়ে ফিরে এলো। সবাই ইয়ারাবীকে দেখে দৌড়ে ওর কাছে এলো।প্রিন্সিপ্যাল স্যার ইয়ারাবীকে এটা ওটা প্রশ্ন করছে।কিন্তু বেচারী কিছু বলছেনা।ক্যাথরিন ম্যাম বলল,
,
,
,
,
,
,
-স্যার ওকে এখন প্রশ্ন না করাই ভালো হবে।আই থিংক খুব ভয় পেয়েছে ও।
-আচ্ছা বুঝলাম।আমাদেরই ঠিক হয়নি ওকে একা ছাড়ার।আজ আরাভ না থাকলে কি হতো কে জানে?মন খারাপ করে বললেন প্রিন্সিপ্যাল স্যার।
-আমার মনে হয় এখন বেরিয়ে পড়া ভালো।রাত ও হচ্ছে।ওর এখন রেস্ট দরকার।ইয়ারাবীর দিকে চেয়ে বলল আরাভ।
-ঠিক বলেছো।সবাই সব কিছু গুছিয়ে নাও।বেরিয়ে পড়বো আমরা।
,
,
,
,
,
,
স্নিগ্ধা ইয়ারাবীর পাশে দাঁড়িয়ে ওর হাত ধরে আছে।ইয়ারাবী আগুনের দিকে চেয়ে আছে।চোখের কোনে পানি জমে আছে।স্নিগ্ধা লম্বা নিশ্বাস টেনে বলল চিন্তা করিসনা।এখন তো এসে গেছিস।আমরা আছি তোর সাথে।
ইয়ারাবী আরাভের দিকে তাকালো।কিন্তু ভাবতে পারছেনা কিছু।কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে ও।সব গুছিয়ে আরাভ ইয়ারাবীর হাত ধরে বসে।স্নিগ্ধা সরে আসে সেখান থেকে।ইয়ারাবীর দিকে একটু উঁবু হলো আরাভ।ইয়ারাবী চলো ঘরে যাবো আমরা।
ইয়ারাবী মাথা নিচু করে আরাভের সাথে হাঁটতে শুরু করে।
রিসোর্টে ফিরে আসে ওরা।ইয়ারাবীর পাশের রুমটা হলো ক্যাথরিন ম্যামের স্নিগ্ধা শুতে গিয়েছিলো।ইয়ারাবী বলছিলো একা থাকতে চায় ও।স্নিগ্ধা অন্য রুমে চলে গেলো।প্রিন্সিপ্যালের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরাভ।আমি ইয়ারাবীর সম্পূ্র্ন দায়িত্ব নিতে চাই মিঃ ক্লিনটন।
এখানে যতোদিন আছে আমার দায়িত্বে থাকবে।বলে উঠে আরাভ।মিঃ রেহান বলেছিলো ওনার মেয়ের খেয়াল রাখতে কিন্তু আমরা পারলাম না।খারাপ লাগছে আমার।বলেন মিঃ ক্লিনটন।আমি চাচ্ছি ওর পাশের রুমটায় শিফট হতে।তাহলে ওর খেয়াল রাখতে পারবো।বলে উঠে আরাভ।তাহলে ক্যাথরিন ম্যামের সাথে কথা বলতে হবে আমার।কথা বলে জানাচ্ছি আপনাকে মিঃ আরাভ।বলে বেরিয়ে গেলেন ক্লিনটন।আরাভ একটা সিগারেট ধরালো।ইয়ারাবী খাটে বসে আছে চুপচাপ।হাতে ছিলে গেছে।সেটাকে খোঁচাচ্ছে ও।
কিছুক্ষনের মধ্যে সেখান থেকে রক্ত বেরুতে লাগলো।
আরাভ ইয়ারাবীর রুমের দিকে তাকিয়ে বেরিয়ে যায়।সেখানকার একজন গাইডকে বলে ডাক্তার ডাকার ব্যাবস্থা করে।
ইয়ারাবী শুয়ে পড়েছে।ওর কেন জানি মনে হচ্ছিলো তখন ওর পিছে কেউ ছিলো।হয়ত ওকে শেষ করে দিতে চাইছিলো।খাট থেকে উঠে বসে ইয়ারাবী।দৌড়ে রুমের লাইট জ্বালাতেই আরাভ ভিতরে ঢুকলো।
আরাভ কে দেখে দু কদম পিছিয়ে গেলো ও।তারপর কাঁদো স্বরে বলল,
,
,
,
,
,
,
,
-আমাকে একা রেখে চলে গেছেন কেন আপনারা?ভয় লাগছে আমার।
-আরাভ ওর দিকে এগিয়ে আসতেই পিছালো ইয়ারাবী।
-কিছু হবেনা।আমি আছি।হঠাৎ ইয়ারাবীর হাতের দিকে নজর গেল আরাভের।তারপর দ্রুত এসে ওর হাত চেঁপে ধরলো।কি করেছো হাতের অবস্থা?
-ইয়ারাবী চুপচাপ দাঁড়িয়ে কাঁদছে।
,
,
,
,
,
,
আরাভ ইয়ারাবী কে ধরে খাটে বসালো।তারপর চোখজোড়া মুছে দিয়ে এক গ্লাস পানি ধরলো ইয়ারবীর মুখের সামনে।পানি খেয়ে নিলো ইয়ারাবী।আরাভ ওর পাশে বসে হাত ধরে অপর হাতে ফোন চালাচ্ছে।কিছুক্ষন পর প্রিন্সিপাল রুমে এলেন ডাক্তার কার্তিক রায় কে নিয়ে।আরাভ সরে এলো ইয়ারাবীর পাশ থেকে।ডাক্তার ইয়ারাবীর চোখ নিচে টেনে চেক করে বললেন খুব ভয় পাইছে ও।কয়েকদিন ওর আশেপাশে সবাই থাকার চেষ্টা করবেন।ডাক্তার ইয়ারাবীর হাতে ড্রেসিং করিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।কিছু ঔষধ লিখে দিয়েছি।নিয়মিত খাওয়াবেন।প্রিন্সিপাল ডাক্তার কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।আরাভ ইয়ারাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে বেরিয়ে পড়লো।ইয়ারাবী আশেপাশে তাকাচ্ছে।কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে ওর।কেউ যেন আশেপাশে আছে ওর।কিছুসময় পর আরাভ রুমে ঢুকে খাবারের প্লেট নিয়ে।ইয়ারাবীকে খাইয়ে দিলো নিজের হাতে।তারপর ঔষধ খাইয়ে দিয়ে ওকে শুইয়ে দিয়ে বলল ঘুমিয়ে পড়ো তাহলে ভালো লাগবে।
ইয়ারাবী কিছু বলতে চেয়ে ও পারেনি।আরাভ রুমের লাইট নিভিয়ে বেরিয়ে পড়লো।ইয়ারাবী গায়ে কাঁথা চেপে শুয়ে আছে।হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় কে যেন ওর আশেপাশে আছে।কারোর পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছে।কেউ যেন ওকে দেখছে।ইয়ারাবী খেয়াল করলো বাহিরে পায়ের শব্দ ওর রুমের সামনে।
ইয়ারাবী উঠে দরজা খুলতেই মনে হলো কেউ যেন দৌড়ে পালালো। দরজা ছেড়ে ছিটকে সরে আসে ইয়ারাবী।কেঁদে উঠে শব্দ করে।
আরাবী বিছানায় শুয়ে এপাশওপাশ করছে।কাজের চাপে ঘুম ও আসছেনা।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো ওর।উঠে বসে ফোন হাতে নিলো আরাবী। ”Arvin mahbub is calling”কল রিসিভ না করে শুয়ে পড়লো আরাবী।কিছুক্ষন পর আবার ও কল এলো।আরাবী কল রিসিভ করলো।কারন ও জানে এখন রিসিভ না হলে এই লোক ঘুমোতে দিবেনা।
,
,
,
,
,
,
,
,
-হ্যালো। বলে উঠে ইয়ারাবী।
-মিস আরাবী চৌধুরী কল করেছি ফোন ধরলেননা যে।অপরপাশ থেকে বলল আর্ভিন।
-এই যে ধরলাম।বলে উঠে আরাবী।
-হুম।তা ঘুমাননি যে?জিজ্ঞেস করলো আর্ভিন।
-সে কৈফিয়ত কাউকে দেয়ার প্রয়োজন মনে করিনা।
-বুঝলাম।আমার ডিনারের কি হলো?বলে উঠে আর্ভিন।
-আমি পারবোনা যেতে।ফোন কেঁটে দিলো আরাবী।
,
,
,
,
,
,
,
ফোন সামনে ধরলো আর্ভিন।পরী তোমাকে তো যেতেই হবে এবং খুব শীঘ্রই।পরদিন সকাল আরাবী অফিসে এসে এক মগ নিয়ে নিজের জায়গায় এসে বসলো।কাজের মাঝেই কাউকে কল দিয়ে কানে ফোন রাখে আরাবী।অপরপাশ থেকে ওর ড্রাইভার কল ধরলো।
জি ম্যাম বলেন।আচ্ছা ভাই শুনেন যাওয়ার সময় বাবার প্রেশারের ঔষধ গুলো নিয়ে যাবেন।আজ ঘরে ফিরতে লেট হবে মাকে জানিয়ে দেবেন।এক নাগাড়ে বলল আরাবী।ওকে ম্যাম,বলে উঠলো ড্রাইভার।আরাবী কল কেঁটে কাজে মন দিলো।হঠাৎ কারোর প্রবেশে কাজে ব্যাঘাত ঘটলো আরাবীর।মাথা উঠিয়ে দেখলো আর্ভিন।
আর্ভিন আরাবীর দিকে একনজরে চেয়ে আছে।আরাবী সিটে হেলান দিয়ে বসলো।ওর চেহারায় বিরক্তির ভাব।সেটা উপেক্ষা করে আর্ভিন বলল বসতে বলবেননা?জানেন না গেস্ট আসলে বসতে দিতে হয়।
সিট বলে উঠলো আরাবী।থ্যাংক ইউ বসে বলে পড়লো আর্ভিন।আরাবীর কাগজের ওপর থেকে পেপার হোল্ডার নিয়ে সেটাকে ঘুরাচ্ছে আর্ভিন।আরাবী আড়চোখে আর্ভিন কে একবার দেখলো।লোকটা দেখতে এতো হ্যান্ডসাম বলার মতো না।চেহারায় ও আছে মায়া মায়া ভাব।আরাবীর তাকিয়ে থাকায় পেপারহোল্ডারের দিকে তাকিয়েই হেসে উঠলো আর্ভিন।তারপর বলল,
,
,
,
,
,
,
,
-মিস আরাবী চৌধুরী কাজ বাদ দিয়ে আমাকে এতো দেখা হচ্ছে যে?
-ঘোর কাঁটে আরাবীর।আপনি কেন এসেছেন এখানে?কোন কাজ নেই আপনার?কিছুটা রেগে গিয়ে বলল আরাবী।
-আপনাকে দেখার পর থেকে সব ভুলে গেছি।কি করবো বলুন?
-ঘাস কাঁটেন।আমার এখান থেকে যান।রাগী গলায় বলল আরাবী।
-জান বলতে হবেনা পরী।আমার সাথে ডিনার টা কবে করছো সেটা বলো।মনহরোন করা হাসি দিয়ে বলল আর্ভিন।
-কথা বেশি শুনেন।এখানে কেউ জান বলেনি আপনাকে।আর না আমি ডিনারে যাচ্ছি আপনার সাথে।
,
,
,
,
,
,
,
আরাভ ল্যাপটপে কাজ করছে।হঠাৎ খেয়াল হলো ইয়ারাবীর কথা।মেয়েটার শরীর ভালো নেই।একবার দেখে আসি কি করছে ও।কথাটা ভেবে আর দেরি করলোনা আরাভ।উঠে রুম থেকে বেরিয়ে ইয়ারাবীর রুমের সামনে গিয়ে খেয়াল করলো দরজা খোলা।আরাভ রুমে ঢুকে দেখলো ইয়ারাবী দাঁড়িয়ে কাঁদছে।
লাইট জ্বালিয়ে দিলো আরাভ।তারপর ইয়ারাবীর কাছে এগিয়ে এলো।মেয়েটার নাক চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।কাঁদছো কেন ইয়ারাবী?জিজ্ঞেস করলো আরাভ।মেয়েটা কিছু বলছেনা শুধু কেঁদে যাচ্ছে।আরাভ ওকে খাটে বসালো।তারপর চোখ মুছে বলল এই বিউটিফুল কাঁদছো কেন?
ইয়ারাবী আরাভের কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে শুরু করলো।আরাভ ইয়ারাবীর মাথায় আলতো করে হাত রাখলো।এই কি হলো?এভাবে কাঁদছো কেন?ইয়ারাবীর খেয়াল হলো ও আরাভের অনেক কাছে এসে পড়েছে।সরে এলো ও।চোখ মুছে মাথা নিচু করলো ইয়ারাবী।আরাভ ওর চিবুকে হাত রাখলো।বলো কি হয়েছে?জিজ্ঞেস করলো আরাভ।
আমার কাঁটা জায়গা গুলো খুব ব্যাথা করছে।ইতস্তত করে বলল ইয়ারাবী।পাগল মেয়ে এজন্য কাঁদতে হয়?আমাকে ডাকবেনা?বলে উঠে আরাভ।ভাবছিলাম ঘুমুচ্ছেন তাই ডাকিনি।বলে উঠে ইয়ারাবী।আরাভ ওর দুগালে হাত রেখে বলল কোন সমস্যা হলে ডাকবে আমাকে।ভরসা করতে পারো।তারপর ইয়ারাবীর গালে চোখে নাকে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো আরাভ।
তারপর ওর কাঁধ ধরে শুইয়ে দিয়ে বলল আমি আছি তুমি ঘুমাও।ইয়ারাবী চোখ বুজে নিলো।আরাভ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো ওর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত।ইয়ারাবী ঘুমিয়ে গেলে আরাভ রুমে চলে যায়।পরদিন সকাল স্নিগ্ধা কে প্রিন্সিপাল পাঠান ইয়ারাবীকে ডেকে তুলতে।স্নিগ্ধা রুমে যাওয়ার সময় খেয়াল করলো ওদের কলেজের সামনের ভার্সিটির একজন ছাত্রলীগ নেতা সামার রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।স্নিগ্ধা তাকে উপেক্ষা করে ইয়ারাবীর রুমে ঢুকে।ইয়ারাবী ঘুমে কাতর।স্নিগ্ধা ইয়ারাবীর গায়ে হাত রেখে আস্তে করে ডাকতেই ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড়িয়ে উঠলো ইয়ারাবী।
,
,
,
,
,
,
,
-কি হলো ইয়ারাবী?আমি স্নিগ্ধা। এত ভয় পাচ্ছিস কেন?
-না না মানে আমি আসলে?কি যেন বলতে গিয়ে ও পারলোনা ইয়ারাবী।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
-কালকের কাহিনীর পর থেকে দেখছি ভয়ে আছিস।কি হলো বলবি?জিজ্ঞেস করলো স্নিগ্ধা।
-কাল ঐ খানে যাওয়ার আমার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে লাইট অফ হয়ে যায়।পুরো রাস্তা অন্ধকার। কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না।তখন মনে হচ্ছিলো কেউ যেন আশেপাশে আছে।আমাকে ধরার চেষ্টা করছে।কিন্তু তার আগেই আরাভ চলে আসে।ভয়ার্ত কন্ঠে বলল ইয়ারাবী।
-আরাভ!!!!অবাক হওয়ার ভান করলো স্নিগ্ধা।
,
,
,
,
,
,
,
লজ্জায় মাথা নিচু করলো ইয়ারাবী।ঐ যে ঐ লোকটা এসে বাঁচায় আমাকে।দেখ ইয়ারাবী যা ভাবছিস সবই তোর মনের ভুল।প্লিজ এগুলো ভুলে যা।বলে।উঠে স্নিগ্ধা।আমি পারবোনা।কারন এটা মনের ভুল নয় স্নিগ্ধা।কারন কাল রাত মনে হচ্ছিলো আমার রুমের সামনে কেউ হাঁটছে।আমাকে দেখছে।রুমে ঢোকার চেষ্টা করছে।যখন দরজা খুললাম।কাউকে দেখলাম।সে দৌড়ে পালিয়ে গেলো।স্নিগ্ধা কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলো।তারপর ও নিজেকে সামলিয়ে বলল ফ্রেশ হয়ে নেয়।ব্রেকফাস্ট করতে যাবো।
আপনি যান আমি ওকে নিয়ে যাবো।পিছন থেকে বলল আরাভ।পিছে ফিরে স্নিগ্ধা।তারপর হেসে বলল ওকে।
আরাভ এসে ইয়ারাবী কে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিলো।ইয়ারাবী ফ্রেশ হয়ে আসার পর ওর চুল শুকিয়ে সেগুলো আঁচড়িয়ে দিলো।ইয়ারাবী আরাভ কে দেখে ভাবছে কাল ওনি না থাকলে হয়ত বাঁচতেই পারতামনা।ইয়ারাবীকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরাভ বলল তোমার দায়িত্ব আমার হাতে।নিজের শেষটুকু দিয়ে রক্ষা করবো তোমার।চলো ইয়ারাবীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো আরাভ।আরাভ আজ নিজের সাথে বসিয়েছে ইয়ারাবীকে।ইয়ারাবী চুপচাপ খাচ্ছে আর আরাভ ওকে দেখছে।
চলবে