The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 07

রোয়েনকে হাতে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে রুহী।লোকটা কয়েকদিনে যেন খুব বেশি বুড়িয়ে গেছে।কানের ওপরের চুল গুলো গাঢ়ো সাদায় পরিনত হয়েছে।খুব ক্লান্ত ভাব তার চেহারায়।রুহী নানান কথা বলছে খাওয়ানোর ফাঁকে।আর রোয়েনতো শুধু প্রিয়তমা কে দেখে যাচ্ছে।রোয়েনের চোখের কোনায় পানি জমে যায় একসময়ে।রুহী দ্রুত পানি টুকু মুছে দিলো।
-কি হলো ঝাল লাগছে বেশি?পানি দিবো?আতংকিত গলায় বলে রুহী।
-রোয়েন ডুকরে কেঁদে উঠে।খুব কষ্ট দিচ্ছি তোমায় রুহী।
রুহীর চোখজোড়া ভিজে যায়।লোকটা বলছে কি এসব?পাগল হয়ে গেলো নাকি?
-পাগল তুমি?কি বলো এসব?কে বলেছে কষ্ট দিচ্ছো আমাকে?চিৎার করে বলল রুহী।
-আমি জানি।কেঁদে বলে রোয়েন।
-বা* জানো।কোন কষ্ট হচ্ছেনা আমার।কেন এমন বলছো হ্যা?আমি কি কখনো বলছি রোয়েন আমার খারাপ লাগতেছে?কখনো বলছি আমার কষ্ট হচ্ছে?আরে তোমাকে খাওয়ানোর সুযোগ কখনো পাইছি বলো?চেঁচিয়ে কাঁদতে থাকে রুহী।নাক আর চোখের পানি এক করে ফেলছে ও।
-রুহী সরি।কি করবো বলো?নিজেকে বড় বোঝা মনে হয়।কাঁদতে থাকে রোয়েন।
রুহী ভাতের প্লেটটা পাশে রেখে রোয়েনের গাল ধরে বলল এসব বলো না প্লিজ।তুমি নিজেকে কেন এসব ভাবছো?দেখো যা হইছে সেটা এক্সিডেন্ট। এখানে কারোর হাত নাই।এটা অবশ্যই ঠিক হবে।তুমি ভালো হয়ে যাবা আবার ও হাসপাতাল যাবা।অশ্রুসজল চোখে শান্ত গলায় বলে রুহী।
-রোয়েন এবার রুহীর কাঁধে মাথা রাখলো।রুহী ও স্বামীকে জড়িয়ে ধরলো।ভালোবাসি তোমাকে।আর কখনো এসব বলোনা প্লিজ।মরে যাবো।কাঁদতে কাঁদতে বলল রুহী।
-আর বলবোনা।কিন্তু আর কখনো আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলবানা।তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবেনা।রেগে বলল রোয়েন।
রুহী সামনে এসে রোয়েনের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে আলতো করে চুমু দিতেই।রোয়েন দুর্বল হাত জোড়া দিয়ে রুহীর কোমড় নিজের সাথে চেঁপে ধরে।
আরাভের সময়টা ভালোই কাঁটছে।অর্পন চলে এসেছে।সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে রাতে দুভাই একসাথেই সময় কাঁটায়।আর অর্পন যখন রুমে চলে যায় তখন ইয়ারাভের সাথে কথা বলে অর্ধেকেটা রাত পার করে দেয়।
মেসেজ চলছে দুজনায়,
-Ghumanni?(Yarav)ওরফে ইয়ারাবী
– Ghum ashchena.Tumi ghumacchona keno?(Arav)
-Assignment korchilam.(Yarav)
-Oh good.New class kemon katche?(Arav)
-Good.New friends hocche.(Yarav)
-Chele o ache ki?(Arav)
-Ache to.Keno?অবাক ইমোজি ইয়ারাবীর।
-Nah emnitei.Khub beshi proshno koro.(Arav)
-Curiosity kaj kore apnar kothai tai.(Yarav)
-Kokhon Ghumabe?(Arav)
-Assignment sesh hoye esheche.Front page tai ektu desgin korchi.(Yarav)
-Oh that’s good.Joldi Ghumiye jeo.(Arav)
-Ok.Ekhon chole jaben?(Yarav)
-Sokale office ache.Ghumote hobe.(Arav)
-oh Thik ache.Ghumiye porun.(Yarav)
-Cheleder sathe oto mishbena.(Arav)
-Keno bolun to?Ora o friend. (Yarav)
-Ja bolchi tai korbe nahole,,,,,,,,আরাভ অবাক হয় নিজের কথায়।
-Nahole!!!!ki korben?(Yarav)
-kichuna.Ghumao.
চটজলদি অফলাইন হয়ে যায় আরাভ।এটা কেন বলল ও?কোন অধিকারে বলল?ভাবছে আরাভ।কেন ইয়ারাভের ওপর নিজের অধিকার খাটাচ্ছে আরাভ।
এদিকে ইয়ারাবী একনজরে ম্যাসেঞ্জারের দিকে চেয়ে আছে।ছেলে ফ্রেন্ডস থাকলে কি হয়?আর এতে ওনার প্রবলেম কি?আরাভের কথায় বুকের কোথা ও না কোথাও খুব লেগেছে ইয়ারাবীর।খুব যন্ত্রনা লাগছে ওর।কেন এভাবে বলল?
মন খারাপ করে অফলাইন হয় ইয়ারাবী।তারপর অফসেট পেপার গুলো ওর্গানাইজ করে শুয়ে পড়ে।
রাত এগারোটা।রুহী রোয়েনের দিকে ফিরে শুয়ে আছে।রোয়েনের চোখের ওপর হাত রেখে শুয়ে আছে।রুহী জানে সে ঘুমায়নি।কিছুক্ষন পর পর তার শরীরটা কেঁপে কেঁপে উঠছে।রুহী একটা হাত রোয়েনের বুকে রাখলো।সাথে সাথে চোখ থেকে হাত সরিয়ে রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।
ওর চোখ জোড়া একদম লাল হয়ে আছে।রুহী রোয়েন একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।
-ঘুমাচ্ছোনা কেন?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-তুমি ও ঘুমাও নি।বলে উঠে রুহী।
রোয়েন এবার রুহীর কাছে এসে শোয়া অবস্থাতেই বাহুডোরে জড়িয়ে ধরলো।রুহী ও স্বামীকে জড়িয়ে ধরে।
-এভাবে তোমাকে মানায় না রোয়েন।প্লিজ শক্ত হও।আগে তো কখনোই এমন ছিলানা।শান্ত গলায় বলল রুহী।
-পারছিনা যে।আমি শক্ত হতে চাই রুহী।বলতে থাকে রোয়েন।
রুহী রোয়েনের কাঁধে চুমু এঁকে বলল আল্লাহ তা’আলার ওপর বিশ্বাস রাখো সব ঠিক হয়ে যাবে।
-আশা করি তাই হবে।রুহীকে জড়িয়েই বলে রোয়েন।
সেভাবেই ঘুমিয়ে যায় ওরা শেষ রাতের দিকে।
★★★★
সকাল আটটায় ঘুম ভাঙ্গে ইয়ারাবীর।হাই তুলতে তুলতে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো মেসেজ এসে আছে জনাবের।ফোন আনলক করে ম্যাসেঞ্জারে প্রবেশ করতেই দেখলো লোকটা ওকে পাঠিয়েছে,
-Sorry.
ইয়ারাবী একটু হাসলো।আসলে সকাল বেলায় এমনটা আশা করে নি ও।তারপর রিপ্লাই দিলো,
-It’s ok.
ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায় ইয়ারাবী।ক্লাশে বসে আছে ইয়ারাবী।আরাভের প্রোফাইল ঘুরে ঘুরে দেখছে ও।একটা পিকে ও নিজের ছবি দেয়নি।ভাব দেখায় যেন ওনার মতো সুন্দর কেউ নাই।হুহ ঢং!!!!!
পাশে বসা মেয়েটি হলো আস্মিতা।
ইয়ারাবী সাথে ভালোই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আস্মিতার।ইয়ারাবীকে এভাবে ফোন চালাতে দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় ওর।ইয়ারাবীর পাশে ঘেষে দেখার চেষ্টা করলো ফোনে কি করছে ও এতো।
-লোকটা কে রে?জিজ্ঞেস করে আস্মিতা।
-নিউ এফবি ফ্রেন্ড। বলে উঠে ইয়ারাবী।
-লোকটা তো বেশ মনে হচ্ছে।কিন্তু ব্যাক সাইডের পিক কেন সব?জিজ্ঞেস করে আস্মিতা।
-জানিনা।তার নাকি এভাবেই ভালো লাগে।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-ওহ।তাই বলে সব ছবিই এমন হবে?আস্মিতা বলে উঠে।
-তাই তো দেখছি।বলে ইয়ারাবী।
এদিকে আরাভ তার কেবিনে বসে কাজ করছিলো আর কফি মগে চুমুক দিচ্ছে।হঠাৎ খেয়াল হলো মায়াময়ীর কথা।
আরাভের কাছে কম্পিউটারের প্রত্যেকটা এপস কে ইয়ারাবী দেখছে।মনে হচ্ছে সব গুলো এপস ইয়ারাবী।
-What’s this Arav?Why are you thinking about her?দাঁতে দাঁত চেঁপে বলল আরাভ।
কম্পিউটারের স্ক্রীনে ও যেন ইয়ারাবী কেই দেখছে আরাভ।ইয়ারাবীর ছবিটাই চোখে ভাসছে ওর।কাজে কোন মতেই মন বসাতে পারছে না আরাভ।শব্দ করে কম্পিউটারে বাড়ি দিলো আরাভ।
-Damn it.What’s happening to me?রেগে বলল আরাভ।
-জ্যাক!!!জ্যাক চিৎকার করে ডাকতে থাকে আরাভ।
আরাভের রুমের পাশ ঘেষে নিজের কেবিনে যাচ্ছিলো অর্পন।আরাভের চিৎকার শুনে কিছুটা অবাক হয় অর্পন।তারপর দরজা খুলতেই আরাভ বলে উঠে,
-ইয়ারাভ তুমি?অর্পনকে ও যে বেচারা ইয়ারাভ দেখছে।
-হোয়াট ভাই?ইয়ারাভ আর আমি!!!ঠিক বুঝলামনা।নতুন নাম দিলে বুঝি?জিজ্ঞেস করে অর্পন।
-আরে নাহ।যাহ কেবিনে।জ্যাক কোথায় রে?জিজ্ঞেস করে আরাভ।
-ভাই জ্যাক তো এখানে নেই।কোন দরকার ছিলো?বলে উঠে অর্পন।
-দরকার তো ছিলো।আচ্ছা তুই যা।ওকে কল দিচ্ছি।বলে ফোনে জ্যাক কে কল দিতে থাকে আরাভ।
-আচ্ছা ভাই ইয়ারাভ ঐ মেয়েটা তাই না?দুষ্টু হেসে বলতে থাকে অর্পন।
আরাভ রেগে তাকাতেই বেরিয়ে যায় অর্পন।জ্যাককে কল দিয়ে আরো এক মগ কফি দিয়ে যেতে বলল আরাভ তাও আবার সুগার ফ্রী।
সেদিন খুব তাড়াহুড়োয় ঘরে আসে আরাভ।অর্পনের একটা পার্টি ছিলো। তাই ও জানিয়ে দিয়েছিলো আজ ফিরতে সময় লাগবে।
ঘরে আসতেই ফেন্সি আরাভ কে জড়িয়ে ওর গালে চুমু দিতেই আরাভ সজোরে ফেন্সির গালে চড় বসিয়ে দিলো।
ফেন্সি জ্বলজ্বল চোখে আরাভ কে দেখছে।
-বেইবি মারতে পারলে আমাকে?গালে হাত রেখে বলল ফেন্সি।
-এ কাজ টা আরো আগে করার দরকার ছিলো।ইউ ব্লাডি উইছ।গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে কথা গুলো বলে ঘরে ঢুকে ধড়াম করে দরজা লাগিয়ে দেয় আরাভ। ফেন্সি আর না দাঁড়িয়ে দরজায় জোরে বাড়ি দিতে লাগলো।আর চিৎকার করে আরাভের গুষ্টিউদ্ধার করছে।
আরাভের কানে কোন কথাই যাচ্ছেনা।
কিছুক্ষন আগে যখন কাজে মগ্ন ছিলো তখন আকরাম আজহার আঙ্কেল কল দিলো আরাভ কে।
-হ্যালো আরাভ!!!ভালো আছো আব্বু?(আকরাম আজহার)
-জি আঙ্কেল।আপনি?(আরাভ)
-এইতো ভালোই।তোমার বাবার খবর জানো?(আকরাম আজহার)
-না আঙ্কেল আসলে এতো দিন খুব বিজি ছিলাম।তাই খবর নেয়া হয়নি।বলে উঠে আরাভ।
-তারপর আকরাম আজহার যা বলল তা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলোনা আরাভ।যতটুকু জানে বাবাই ভীষন সৎ একজন ডাক্তার।আর আরাবী ও কেন এতো টা শাস্তি পাচ্ছে?ভাবতেই মাথা রেগে ফেঁটে যাচ্ছে আরাভের।আর বাবাই।ওনি কখনো অসততার পথ মাড়াতে পারেননা।তারপরই ইমার্জেন্সিতে টিকিট করাতে বলল আরাভ পরদিনের জন্য।
চলবে
Image may contain: 1 person, standing, text that says 'The Mysterious Man'
1.3K
87 Comments
4 Shares
Share