The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 05

অফিসাররা চলে যায়।সবাই রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।প্রফেসরকে তারা চিনে খুব ভালো করে চিনে।প্রফেসর তো এমন করতে পারেননা।কিন্তু এগুলো কে করেছে?সবাই ভাবছে।কিন্তু ডাক্তাররা কেউ প্রফেসর কে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছেননা।রোয়েন একমনে ওর হাসপাতালের দিকে চেয়ে আছে।কিছু বলছেনা।কোন রিএ্যাকশন নেই চেহারায়।কিন্তু ভিতরে কি চলছে শুধু সেইই জানে।ডাক্তার রাব্বি রোয়েনের পাশে এসে দাঁড়ায়।তারপর গলা একটু পরিষ্কার করে বলতে শুরু করলো,
-স্যার আমরা জানি আপনি কিছু করেননি।কিন্তু বুঝতে ও পারছিনা কাজ টা কার?
-রোয়েনের রেসপন্স না পেয়ে বলল স্যার প্লিজ টেনশন নিবেননা।আমি অন্য এক হাসপাতালে বসবো।আপনি কি করবেন ভেবেছেন?জিজ্ঞেস করে উঠে রাব্বি।
রোয়েন এবার রাব্বির দিকে তাকায় তারপর মৃদু হাসে।কিন্তু এমন হাসিতে ও যেই কারোর চোখে পানি চলে আসবে। তারপর বারবার সবার দিকে তাকায় রোয়েন।সবাই তাদের প্রফেসর কে দেখছে।তাদের ও যে খারাপ লাগছে খুব।রোয়েন এরপর পিছু ফিরে গাড়ির দিকে চলে আসতেই ডাক্তার সম্পু রোয়েনের কাছে আসে।
-স্যার কেন জানি মনে হচ্ছে কাজটা হামিদুল ইসলামের।ওনার সাথে তো বড় বড় মন্ত্রীদের কানেকশন আছে।
রোয়েন কিছু না বলে গাড়িতে ঢুকে পড়ে।গাড়ি চলতে শুরু করে।সারারাস্তায় রোয়েন এটাই ভেবেছে সে খারাপ ছিলো না।তাকে বানানো হয়েছে।একটা সুখী পরিবার চেয়েছিলো সে।যার কারনে মাফিয়া ছেড়ে দিয়েছে।মাফিয়াতে কোন ভাবেই আসতে চায়না ও।সন্তানদের জন্য সিকিউর লাইফ ইনসিওর করতে চেয়েছিলো।বদলে এটা আশা করে নি রোয়েন।
কলিংবেল বাজতেই রুহী পাকঘরের পাতলা ন্যাকড়ায় হাত মুছে পাকঘর থেকে বেরিয়ে ড্রয়িংরুমের দিকে আগাতে শুরু করে। দরজার কাছে এসে লকে হাত দেয় রুহী।লক ঘুরিয়ে দরজা খুলতেই রোয়েন ভিতরে ঢুকে।
রুহী অনেক অবাক হয়।কিছুক্ষন আগেই তো গেলো আর এখনই ফিরে এলো।কারনটা কি?ভাবছে রুহী।
রোয়েনের হাত থেকে ব্যাগটা হাতে নেয় রুহী।
-আজ এতো জলদি?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-হুম।আস্তে করে বলে রোয়েন।
-ভালো লাগছেনা তোমার?রোয়েনের গায়ে কপালে হাত ছুঁইয়ে জিজ্ঞেস করে রুহী।
-নাহ আমি রুমে গেলাম।বলে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে যায় রোয়েন।
রুহী কিছুটা অবাক চোখে রোয়েনের যাওয়ার দিকে চেয়ে থাকে।হঠাৎ প্রেসার কুকারের শব্দে ঘোর কাঁটে রুহীর।পুডিং বসিয়ে এসেছিলো।অলরেডি তিনবার সিটি উঠে গেছে।রুহী দৌড়ে পাকঘরে চলে এসেছে।পুডিং হয়ে যাওয়ার পর সেটাকে প্লেটে ঢেলে ফ্রিজে রেখে রুমে এলো।রোয়েন চোখের কোনা ভিজে যাওয়ার আগেই মুছে নেয় রুহীর আগমনে।রুহী রোয়েনের পাশে এসে বসে।রুহীকে দেখে পাশে তাকায় রোয়েন।
-কি হলো?ফ্রেশ না হয়ে শুয়ে পড়লে?জিজ্ঞেস করে রুহী।
রোয়েন কিছু না বলে রুহীর কোলে মাথা রাখে।রোয়েন চোখ বন্ধ করলো।রুহী আলতো হাতে রোয়েনের চুলে বিলি কাঁটছে।
রোয়েনের খুব কান্না পাচ্ছে কিন্তু কাঁদবেনা ও।মায়াবতীর সামনে কাঁদবেনা।মায়াবতীটা যে ভীষন কষ্ট পাবে।কলেজে ভর্তি হলো আজ।ইয়ারাবীর মনটা বেশ প্রফুল্ল দেখাচ্ছে।গাঢ়ো নীল রং এর একটা টপস আর ব্লু জিন্সপ্যান্ট পরেছে ও।লম্বা চুল গুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে।ভর্তি হয়ে নিচে এসে রেহান কে কল দিলো ইয়ারাবী।বাবা জানালো ওনি কাছেই আছেন।ইয়ারাবী একটা বেঞ্চে বসে ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করছে হঠাৎ চোখ আটকে যায় একটা আইডিতে।
A.R Chowdhury. ইয়ারাবী আইডিতে ঢুকে দেখলো লক করা আইডি।আবার প্রোফাইল পিকে খুব হ্যান্ডসাম একজনের ছবি দেয়া আর কভার ফটোতে একটা একটা কোম্পানীর নাম দেয়া”Arvpon company”আইডি লক হওয়ার কারনে কিছু দেখতে পারছেনা ইয়ারাবী।কেমন জানি একটা ফিল হচ্ছে ওর আইডিটা দেখার পর থেকে।মনের অজান্তেই ফ্রেনড রিকোয়েস্ট পাঠায় ইয়ারাবী।আবার ক্যান্সেল ও করে দিলো।
তারপর আইডিটা থেকে বেরিয়ে নোটিফিকশনে ঘুরাঘুরি করছে।হঠাৎ আবারও আইডিটায় ঢুকলো ও।ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে নিজেকে বেহায়া প্রমান করা হবে।কোন মতে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে আসে ইয়ারাবী।তারপর দীর্ঘ নিশ্বাস টেনে নেয়।
হঠাৎ কারোর চুটকিতে ঘোর কাঁটে ইয়ারাবীর।পাশে তাকিয়েই মুখে মিষ্টি হাসির ঝলক ফুঁটে উঠে।
-পাপা এসেছো?
-হ্যা আম্মু এসেছি।চলো বাসায় যাই।বলে উঠে রেহান।
-ওকে চলো।বাবার সাথে বাসার পথে রওনা হয় ইয়ারাবী।গাড়িতে বসেই অনেক বার আইডিটায় ঢু মেরে এসেছে ও।
মেয়েকে এভাবে বসে থাকতে দেখে খানিকটা অবাক হয় রেহান।
-কিরে মা তোকে বিজি মনে হচ্ছে।বলে রেহান।
-একটু বিজি পাপা।হেসে বলল ইয়ারাবী।
-তা আমার আম্মুটা কি কাজ করছে জানতে পারি?
-ফেসবুক নোটিফিকেশন ঘুরছিলাম পাপা।আদুরে গলায় বলল ইয়ারাবী।
রেহান আর কিছু বললনা।মেয়েটাকে ভীষন ভালোবাসে ও। একটা মাত্র মেয়ে ইয়ারাবী রুপন্তী আর রেহানের ভালোবার সংসারে। কোন কিছুরই কমতি রাখেনি মেয়ের জন্য।অবশ্য ইয়ারাবীর নামটা ভাইয়াই রেখেছে।ওনি ও তো ইয়ারাবী কে খুব ভালোবাসেন।
ঘরে পৌছে প্রতিদিনকার মতো মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে ইয়ারাবী।রুপন্তী মেয়ের গালে চুমু খেয়ে বলল,
-আমার মেয়েটা আর বড় হলোনা।
-মায়ের কথায় হাসে ইয়ারাবী।তারপর মায়ের থেকে সরে এসে রুমে চলে যায়।
গোসলের কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় ইয়ারাবী।ঝড়নার পানি গুলোকে অনুভব করতে পারছে ইয়ারাবী।সেদিন রোয়েনকে একদমই ভালো দেখাচ্ছিলোনা।কেমন ছটফট করছিলো সারাক্ষন।রুহী অনেকবার জিজ্ঞেস করেছিলো কিন্তু উত্তর মেলেনি।লোকটাকে কখনো এমন করতে দেখেনি।কিছু নিয়ে খুব টেনশন করছে বুঝতে দেরি হয়নি রুহীর।রাতে কোনমতে একটা ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলো রুহী।কারন তার চোখে ঘুমের ঘ ও দেখতে পায়নি রুহী মুুহূর্তের জন্য।সারারাত রোয়েনের পাশে শুয়ে তার চুল হাতিয়ে দিয়েছে রুহী।
.
.
.
.
.
.
.
★★★★
নিজের ও ভালো লাগছেনা।লোকটাকে আগে কখনো এমন টেনশন করতে দেখেনি।কখনোইনা।তাহলে আজ কেন?কি হয়েছে তার?রুহীর চোখজোড়া বেয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু গড়াতে শুরু করে।অশ্রুসজে চোখে স্বামীর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়।
তারপর রোয়েনের বুকে শুয়ে পড়ে রুহী।
ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলো ইয়ারাবী।মাম্মা পাপা বাহিরে গেছেন।ইয়ারাবী উপুড় হয়ে শুয়ে কানে হেড ফোন গুঁজে চোখ বুজে আছে।
কি মনে করে ফেসবুকে লগ ইন করে ইয়ারাবী।সেই আইডিটায় ঢুকে।কেমন লোভ হচ্ছে আইডিটার প্রতি।ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে আবার ও ক্যান্সেল করলো ইয়ারাবী।
কি করবে ও? আবার ও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়।তারপরে টাইমলাইনে স্ক্রোল করতে শুরু করে।কেমন জানি লজ্জা লাগছে ইয়ারাবী।আবার ও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ক্যান্সেল করে দিলো।
ওহ গড ইয়ারাবী কি করছিস তুই পাগল টাগল হয়ে গেলি না তো?নিজে নিজে বলতে থাকে।
তারপর কোনমতে ফোনটা পাশে রেখে ঘুমিয়ে যায় ইয়ারাবী।
এদিকে পরদিন সকালে রুহীর কল আসে আরাবীর নম্বর থেকে।কিছুক্ষন আগেই গায়ে এপ্রোন চেঁপে বেরিয়ে গেছে রোয়েন হাসপাতালে যাচ্ছে বলে।তার চোখ জোড়া লাল দেখে রুহী বলছিলো আজ না গেলে কি নয়?
জবাবে রোয়েন বলছিলো নাহ রুহী ওসব হয়না।বাদ দিতে পারবোনা।কিন্তু রোয়েনের মনে চলছিলো অন্য কিছু।কই যাবে?কোথায় সময় কাঁটাবে?তারপর ও বের হতে হবে।অন্তত পরিবারের মুখে হাসিটা তো থাকবে।
রুহী কাজ ফেলে কানে ফোন চেঁপে সোফায় বসলো।
-মাম্মা বাবাই কই?অপরপাশ থেকে মন খারাপ করে বলে আরাবী।
-তোর বাবাই হাসপাতালে গেলো।কেন রে মা কি হয়েছে?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-ইয়ারাবী কেঁদে দিলো।জানো মাম্মা বাবাই হাসপাতালে যায়নি।
-মানে কি বলছিস এসব?তাহলে কই গেলো ও?
-বাবার হাসপাতালে সিলগালা পড়েছে মাম্মা।বাবার চেম্বাট থেকে অনেক ড্রাগস আর ডেট এক্সপায়ার্ড মেডিসিন পাওয়া গেছে।কাঁদতে কাঁদতে বলে ইয়ারাবী।
রুহী কিছুই বলছেনা।ওর চোখজোড়া ভরে গেছে।
-মাম্মা শুনছো তুমি?জিজ্ঞেস করে আরাবী।
-হুম কান্না সামলে বলল রুহী।
-বাবাই কল দিয়ে জলদি ঘরে আসতে বলো প্লিজ মাম্মা।
রুহী ইয়ারাবীর কল কেঁটে দ্রুত রোয়েনকে কল দিয়ে ঘরে আসতে বলে।কারন জানতে চাইলে রুহী বলল ওর একা একা ভালো লাগছে না।রোয়েন দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বাসার পথে।
ঘরে ঢুকেই রুহী বলে চিৎকার করতেই রোয়েন অনূভব করে কেউ খুব জোরে জাপটে ধরেছে।ওর এপ্রোন টা ভিজে যাচ্ছে কারো চোখের অশ্রুতে।রোয়েন ও জড়িয়ে ধরে মায়াবতীকে।
-রুহী কাঁদছো কেন?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-কেন এমন করো তুমি?এতো বড় বিপদে আছো বলো নাই কেন?বিশ্বাস করোনা আমাকে?নিজে একাএকাকেন কষ্ট পাচ্ছিলে বলো।আমি তোমার দুঃখের ভাগীদার হতে চাই।আমি জানি তুমি ওসব করতে পারোনা। কেন এতো কষ্ট পাচ্ছো?জোরে কেঁদে কথা গুলো বলতে থাকে রুহী।
রোয়েনের চোখ ও ভিজে এসেছে। নিজেকে আর সামলাতে পারলোনা ও।স্ত্রীর কাঁধে মুখে গুঁজে কাঁদতে আরম্ভ করলো।
সাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসে আরাভ।ড্রেসিংটেবিলের মিররের সামনে এসে দাঁড়ায়।গায়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি জমে আছে ওর।সপ্তাহখানেক হলো অর্পন ওয়াশিংটনে গেলো।একটা জরুরী মিটিং এর জন্য।মেইড সার্ভেন্ট স্যালাড আর কফি দিয়ে গেলো রুমে।নিচে যেতে মন টানছেনা আরাভের।অর্পনকে ছাড়া ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ,অসহ্য লাগে।ডিনার টাও ঠিক মতো খেতে পারেনা।ভেবে ফোনের দিকে তাকায় আরাভ।ওয়ালপেপারে অর্পন আর ওর ছবিটা। কি ছোট ছিলো অর্পন।আরাভ অর্পনকে কল করতেই অপরপাশ থেকে রিসিভ করে অর্পন,
-হ্যালো ভাই।কি খবর?জিজ্ঞেস করে অর্পন।
-এইতো ভালো আছি।তোর কি খবর কাজ কেমন চলছে?জিজ্ঞেস করে অারাভ।
-ইটস গোয়িং ফাইন।তোমাকে এমন শোনা যাচ্ছে কেন?মিস করছিলে বুঝি?
-Absolutely not.কবে আসবি?
-তা তোমাকে কেন বলবো?মিস করছিলেনা।বলে উঠে অর্পন।
-জাস্ট রিপ্লাই কর কবে আসছিস?জিজ্ঞেস করে আরাভ।
-এই আরো ওয়ান উইক।বলে উঠে অর্পন।
-ইটস আ ভেরি লং টাইম অর্পন।কি করবি এখানে থেকে?রেগে যায় আরাভ।
-জুলির সাথে থাকবো।যা হট মেয়েটা ভাইয়া। বলে হাসতে থাকে।
-ইউ ডিসগাস্টিং ম্যান।রেগে বলে আরাভ।
-অর্পন জোরে হাসতে শুরু করে।
-আরাভ কল কেঁটে বসে থাকে।খেতে ও মন চাইছেনা।
কাল থেকে ইয়ারাভ নামের আইডিটা থেকে বারবার রিকোয়েস্ট আসছে আর ক্যান্সেল হচ্ছে আরাভের আইডিতে।আরাভ ফেসবুকে ঢুকতেই খেয়াল করলো ইয়ারাভ নামের আইডি থেকে রিকোয়েস্ট এসে আছে আবার কিছুক্ষন পর ক্যান্সেল হয়ে গেলো।এই কিছু সময়ের মাঝেই অনেকবার রিকোয়েস্ট এলো আর গেলো।রাগ উঠেনি তবে ব্যাপারটা ফানি লাগলো আরাভের কাছে।ইয়ারাভের আইডিতে ঢুকলো আরাভ।জীবনের প্রথম কারোর আইডি দেখছে আরাভ।অতোবেশি ছবি নেই আইডিতে তবে একটা ছবিতে চোখ আটকে যায় আরাভের ডিপব্রাউন চুলের পিছে মায়াময়ী চেহারাটা লুকিয়ে আছে।কেমন একটা ঘোরে চলে যায় আরাভ।অনেক্ষন যাবৎ মায়াময়ী কে দেখতে থাকে আরাভ।মেয়েটা নিজের হাত দিয়ে চুল গুলো স্পর্শ করে আছে।হাতের বড় আঙ্গুলের পরের দুই নম্বর আঙ্গুলে কালো স্টোনের আংটি পরানো।ব্যাপারটা নরমাল হলে ও আরাভের কাছে সেটা অসাধারন মনে হচ্ছে।আংটিটা মেয়েটার আঙ্গুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। আইডিটা থেকে বেরিয়ে আসে আরাভ।আগের মতোই রিকোয়েস্ট আসছে আর যাচ্ছে।আরাভ আবার ও মেয়েটার আইডিতে ঢুকে মেসেজ অপশনে চাপ দিলো।
“হয়ত নিজে রিকোয়েস্ট দাও আমি এক্সেপ্ট করছি নয়তো আমি রিকোয়েস্ট দিচ্ছি তুমি এক্সেপ্ট করো।অমন হাইড এন্ড সিক খেলার কিছু নেই বিউটিফুল। “
চলবে