The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 73

সেখান থেকে সরে আসে রুহী।ওদিকে আশফিনা আর আন্টি বেঘোরে ঘুমুচ্ছে।রুহী নিচে গিয়ে কাজের লোকদের সব খাবার রেডি রাখতে বলে বেরিয়ে পড়ে।ঘরে এসে খেয়াল করে রোয়েন রেডি হচ্ছে।চটজলও কফি বানিয়ে রোয়েনের সামনে আসে রুহী।মুখে রুহী রুমে গিয়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়।চোখে ঘুম নেমে আসে ওর।এদিকে নাতির এই অস্থিরতা মেনে নিতে পারেননা বিজলি বেগম।নাতিকে কখনোই এমনটা দেখেনি।তার আদরের নাতি কাজ ছাড়া কিছু বুঝেনা।আর সেই ছেলে এখন কাজে ও মন দিতে পারছেনা।ভেবে ভেবে প্রচন্ড অস্থির বিজলি বেগম।সারাদিন কি যেন করে জয়?সারাক্ষন ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে।কাজে খাওয়ায় কোন কিছুতেই মন নেই।নাতির খেয়াল রাখতেই একজন পার্সোনাল সেক্রেটারির ব্যাবস্থা করেছিলেন বিজলি বেগম।যে প্রতিনিয়ত জয়ের সাথে থাকবে ঘরে।জয় প্রচন্ড বিরক্ত।যা করতে যায় বেকুব টা চেয়ে থাকে।ওয়াশরুমে যেতে চাইলে ও মনে হয় ওর সাথে ওয়াশরুমে ঢুকবে।মানে দাদি খেয়াল রাখতে বলেছে বলে সব জায়গায় গিয়ে গিয়ে খেয়াল রাখতে হবে নাকি।এইতো রাতে শুয়ে ফোনে মিষ্টি পাখির ছবি দেখছিলো জয়।তখন সাইফ বলল,
.
.
-”স্যার এই ম্যাডাম কে?”
.
.
চমকে উঠে জয়।সাইফ নিচে শুয়ে ছিলো।মাথা উঠিয়ে লুকিয়ে দেখছিলো জয়ের ফোন।রেগে গেলো জয়।ও বলল,
.
.
-”এসন কি?”
-”এই ম্যাডাম কিন্তু নাইস স্যার।”
-”বের হ বলছি।”
-”বড় আম্মারে বলে দিবো।”
-”যা বলছি।”
.
.
ঘরে পরার স্যান্ডেলটা সাইফের দিকে ছুড়ে মারে জয়।দৌড়ে পালায় সাইফ।সাইফকে হাজার খানেক গালি দিয়ে শুয়ে পড়ে জয়।
সেদিন রাতে ঘরে ফিরে এসে নিজের রুমে ঢুকে চমকে যায় রোয়েন।বুকের ভিতর ঝড় শুরু হয়ে গেছে।মন বলছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে ভালবাসায় ডুবিয়ে নিতে প্রিয়তমা কে।কিন্তু বিবেক বলছে অভিমান করবে।নিজের স্ত্রীকে এভাবে দেখে কি সামলাতে পারে কেউ নিজেকে?
রোয়েন ও পারছেনা।মনের কাছে বিবেক হেরে যাচ্ছে।বিছানায় শুয়ে আছে রুহী।ওর পরনে লাল টুকটুকে একটা স্লিভলেস নাইট ড্রেস।ড্রেসটি ওর হাটু থেকে একটু ওপরে।রুহী চোখ বুজে শুয়ে আছে।ওর গাল জোড়ায় হালকা লাল আভা ফুঁটে উঠেছে।নিজেকে সামলাতে রোয়েন এবার বলল,
.
.
-”এসব কি?”
.
.
রোয়েনের ডাকে চোখ খুলে রুহী।তারপর একটু রেগে বলল,
.
.
-”এসব কি মানে?কিছু বলেছি আমি?”
-”কিছু বলোনি ঠিক আছে।কিন্তু এগুলো পরে আছো কেন?”
.
.
রোয়েনের কথায় রুহী উঠে দাঁড়ায়।তারপর রোয়েনের দিকে এগুতে এগুতে বলল,
.
.
-”তাহলে কি কাপড় ছাড়া থাকবো।আপনি আমার হাসবেন্ড মানলাম তাই বলে কি কাপড় ছাড়া থাকবো।তা কিভাবে হয়?”
.
.
রুহীর কথায় রোয়েন অবাক।রুহীকে এবার দেখে রোয়েন।মেয়েটাকে দেখে নেশা লাগে রোয়েনের।যা মুহূর্তে পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়।রুহী গিয়ে শুয়ে পড়ে আবার।রোয়েন নিজেকে আটকাতে পারেনা রুহীর কাছে যাওয়ার থেকে।রোয়েন হেঁটে রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায়।তারপর ওর দিকে ঝুঁকে বলল,
.
.
-”সরি।”
.
.
রুহী রোয়েনকে নিজের কাছে টেনে নেয় ওর কালো কোটের কলার ধরে।তারপর নেশা জড়ানো কন্ঠে বলল,
.
.
-”শশশশ আমি আজ তোমাকে চাই আবারো পুরোপুরি ভাবে নিজের করে খুব করে চাই রোয়েন।প্লিজ আমাকে নিজের করে নাও আবার।”
.
.
রোয়েন রুহীর কথায় ওর দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকে।রোয়েনের কালো কোটটা খুলে নেয় রুহী।তারপর ওর শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করে।রোয়েন শার্ট খুলে এবার পুরোপুরি রুহীর দিকে মনযোগ দেয়। রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে রুহীর ওপর নিজের পুরো ভর ছেড়ে দেয়।স্বামীকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে রুহী।রোয়েন রুহীর গলায় ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে রুহীর নাইটড্রেসের ফিতা খুলতে শুরু করে।ঘন ঘন নিশ্বাসে ভরে উঠে পুরো রুম।গভীর রাতে ভালবাসাবাসির শেষে দুজনে একে অপরকে দেখে।দুজনের চেহারায় তৃপ্ততার হাসি।রোয়েন রুহীর দুগালে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-”আই লাভ ইউ রুহী।
-”জানো আজ মনে হচ্ছে সব যেন আবার নতুন করে শুরু হলো।এতোদিন যেন দম আটকে ছিলো।আজ নিজেকে ফুড়ফুড়া লাগছে।”
-”নিজেকে পাল্টাতে পুরোপুরি চেষ্টা করবো রুহী।শুধু তুমি দূরে থেকোনা।”
-”আর দূরে থাকতে পারবোনা তোমার থেকে।এতটা দিন আপনার থেকে দূরে থাকাটা বারবার বুঝিয়েছে আপনাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব।”
.
.
রোয়েন এবার রুহীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওকে চুমু খেতে শুরু করে।আবার ও একে অপরকে পেতে শুরু করে।এদিকে জয়ের ঘুম ভাঙ্গে সকালে।ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতেই দেখলো বিজলি বেগম নাস্তার টেবিলে বসে আছেন।সাইফকে আশেপাশে কোথাও পায়না জয়।নাস্তার টেবিলে এসে বসে ও।বিজলি বেগম ওকে স্যুপ বেড়ে দিতে দিতে বলেন,
.
.
-”এতো পছন্দ হয়েছে মেয়েটাকে বললি না যে?”
-”কোন মেয়ে দাদী?”
-”ঐ যে যার ছবি সারাদিন দেখিস।”
-”সাইফ বদমাশটা তোমার কান ভরেছে না?”
-”ওর কান ভরার জন্য না।আমি খেয়াল করছিলাম কিছুদিন যাবৎ তুই অন্য এক দুনিয়ায় ছিলি।”
-”না দাদী তেমন কিছুনা।কাজের চাপ তাই।”
-”তুই তোকে যতোটুকু চিনিস তার চেয়ে অনেক বেশি আমি তোকে চিনি।এবার ঝটপট বলে দে কে মেয়েটা?”
-”দাদী চিনিনা।দেখেছিলাম শুধু।আমার এক্সিডেন্ট হয়েছিলো যেদিন।সে আর আরেকজন লোক এসে বাঁচিয়েছিলো।”
-”ওহ।তা মেয়েটাকে খুব ভালো লেগেছে।”
-”ঐ একটু আরকি।”
-”আর বলতে হবেনা।তোর লজ্জা মাখা মুখটা বলছে কতোটা পছন্দ হয়েছে তোর।”
.
.
জয় লজ্জা পেয়ে কিছু বলেনা।শুধু মুচকি হাসছিলো।এদিকে সেদিন সকালে রোয়েন আর রুহী যেন নতুন করে সব পেলো।একদম নতুন লাগছে সকাল টা ওদের।গোসল সেড়ে রোয়েন রেডি হচ্ছে।রুহী কফি বানিয়ে আনে ওদের রুমে।তারপর রোয়েনের কাছে এগিয়ে এসে ওর শার্টের বোতাম লাগাতে শুরু করে।রোয়েন হেসে দুহাত প্রসারিত করে রুহীর কোমড় জড়িয়ে ধরে।রুহী এবার সরে এসে টিটেবিল থেকে কফির মগটা রোয়েনের হাতে ধরিয়ে দেয়।রোয়েন রুহীকে নিয়ে সে আগের স্টাইলে কফি টা খেয়ে নেয়।রুহীর কলেজের সামনেই জয়ের অফিস।রুহীকে কলেজে দিয়ে যায় শামীম।সেই মুহূর্তে জয় নিজে ও অফিসে আসে।রুহীকে গাড়ি থেকে দেখতে পায় ও। গাড়ি বন্ধ করে বেরিয়ে এসে খেয়াল করলো রুহী কলেজের গেট দিয়ে ঢুকে গেলো।জয় বুঝতে পারে এটাই রুহীর কলেজ।পরশুদিন থেকে রুহীর সেকেন্ড ইয়ার টেস্ট এক্সাম।রুহী প্রচুর চিন্তায় পড়ে যায়।এতো এতো সিলেবাস।কিভাবে শেষ করবে ও?রোয়েন সেদিন অফিস থেকে ফিরে খেয়াল করে রুহী পড়ার টেবিলে বসে চিন্তিত মুখে বই দেখছে।রোয়েন রুমে এসে রুহীর পিছনে দাঁড়িয়ে ওর কাঁধে চুমু খায়।রুহী কেঁপে উঠে দাঁড়িয়ে রোয়েনের দিকে ফিরে।রোয়েন অবাক।তার মানে রুহী ওকে খেয়াল করেনি।রুহী বলল,
.
.
-”কখন আসলে?”
-”একটু আগে।কি ভাবছিলে যে আমাকে খেয়াল করোনি।”
-”পরশুদিন টেস্ট এক্সাম রোয়েন।”
-”ওহ।তাহলে তো অনেক পড়া আছে তাইনা?”।
-”হুম অনেক।”
-”তাহলে ফ্রেশ হয়ে তোমার সাথে বসছি আমি।হেল্প ও হয়ে যাবে।”
-”ওকে।তাহলে খাবার গরম করছি। ”
-”হুম।”
.
.
ওয়াশরুমে ঢুকে যায় রোয়েন।রুহী খাবার গরম করে নেয়।রাতে ডিনার করে।রোয়েন রুহীকে নিয়ে পড়তে বসে সাথে এক কাপ কফি আর রুহীর জন্য গরম দুধ।রোয়েন রুহী।প্রথম পরীক্ষা হচ্ছে ম্যাথ।রোয়েন রুহীকে অংক করাচ্ছে।হঠাৎ রোয়েন খেয়াল করলো কোন সাড়াশব্দ নেই ওর বৌয়ের।পাশে তাকিয়ে খেয়াল।করে ঘুমিয়ে গেছে রুহী।ভাবলো ডাকবে কিন্তু ডাকতে ইচ্ছে হলোনা।এত মায়াবী লাগছে ইচ্ছে হচ্ছে ওকে এভাবে ঘুমোতে দেখবে রোয়েন।রুহীকে কোলে তুলে নেয় রোয়েন।তারপর খাটে শুইয়ে দিয়ে ওকে বুকে টেনে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।পরদিন সকাল নয়টায় রোয়েনের ঘুম ভাঙ্গে।পাশে রুহীকে না পেয়ে উঠে বসে ও।রুহী গনিত নিয়ে বসে আছে।রোয়েন উঠে টেবিলের কাছে আসে।রোয়েনকে দেখে উঠে দাঁড়ায় ও।রেগে বলল,
.
.
-”ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম ডেকে তুলোনি কেন?”
-”গভীর ঘুমে ছিলে।ডেকে দিলে শরীর খারাপ হয়ে যেতো।তাতে এমন রিয়্যাক্ট করার কি হলো?”
-”সিলেবাস শেষ হবেনা।”
.
.
কান্না জড়িত মুখে বলল রুহী।রোয়েন এসে রুহীর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল,
.
.
-”আমি আছি এখানে।চিন্তা করোনা।হয়ে যাবে।”
-”তোমার অফিস???”
-”ওরা সামলে নিবে।যাও ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নেই।তারপর বসবো।”
-”ওকে।আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন।নাস্তা বানিয়ে দিচ্ছি।”
.
.
রোয়েন ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।রুহী নাস্তা বানাতে শুরু করে।
চলবে