The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 34

→রামীন আশফিনাকে হ্যাঁচকা টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে।আশফিনা পড়েই যাচ্ছিলো।ওর কোমড় ধরে আটকায় রামীন।আশফিনা রামীনের দিকে তাকায়।রামীনকে আজ অন্যরকম লাগছে একদম অন্যরকম।তার চোখ জোড়া অাজ অন্যরকম সুন্দর লাগছে।আশফিনা অজান্তেই রামীনের শার্টের কলার চেঁপে ধরে একটু শক্ত হয়ে দাঁড়ায়।তারপর কাঁপা গলায় বলল,
.
.
-কি করছেন আপনি?
.
.
রামীন আশফিনার ঠোঁটজোড়ার ওপর আঙ্গুল রেখে বলল,
.
.
-শশশশ।
-ওকে।
.
.
রামীন মুচকি হেসে আশফিনার গালে আলতো করে চুমু দেয়।আশফিনা কেঁপে উঠে শক্ত করে খাঁমচে ধরে রামীনের শার্ট।রামীন এবার আশফিনাকে টেনে একদম নিজের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয় তারপর বলল,
.
.
-আই লাভ ইউ আশফিনা।
.
.
রামীনের কথায় চোখ বড় করে আশফিনা তাকায়।আশফিনার বিশ্বাস হচ্ছেনা রামীন ও যে ওকে ভালোবাসে।আশফিনা এ কয়দিনে রামীনকে দেখে বেশ কাছ থেকে।বেশ ভালো মানুষটা।ওর ও বেশ ভালো লাগে রামীনকে।এই ভালো লাগাটা কবে যে ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে বুঝতে পারেনি আশফিনা।তবে আজ খুব ভালো লাগছে ওর।রামীন ওকে ভালোবাসে শুনেই খুব ভালো লাগছে।আশফিনাকে চুপ দেখে রামীন বলল,
.
.
-তাহলে কি মানবো?হ্যা না কি না?কারন মৌনতা যে সম্মতির লক্ষন?
.
.
আশফিনা কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।লজ্জা হচ্ছে ওর খুব।তবে লোকটা কে ও হারাতে চায়না।তার সাথে থাকতে চায় সারাজীবন।আশফিনা মুচকি হেসে চোখের পলক ফেলে নিচে তাকায়।রামীন মুচকি হেসে বলল,
.
.
-চোখজোড়ার ভাষা বলছে আ’ম এক্সেপ্টেড।
.
.
আশফিনা কিছু না বলে রামীনকে জড়িয়ে ধরে।রামীন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নেয় ভালোবাসার মানুষটাকে।তারপর মজা করে গাইতে শুরু করে,
তোমাকে দেখিবো পরানো ভরিয়া
আসমান জমিন দরিয়া
চলিতে চলিতে থামিয়া দেখিবো তোমারে আমি ও
ও রুপে দিলা তুমি পাগল করিয়া,,,,,,,,,,
.
.
-যাহ কি গাইছেন এসব?লজ্জা পেয়ে সরে আসতে চায় আশফিনা।
-রামীন ওকে টেনে ধরে পাগল করে দিয়েছেন তো?
-তো কি করবো এখন?মুচকি হেসে।
-আমাকে একটু ভালোবাসা দিয়ে সুস্থ করে দাও।
-ভালোবাসা চান?
-হুম চাই তো?দিবেন নাকি?
-আপনি চাইলে নিষেধ করার জো আছে?
-উহুম।
.
.
রামীন এবার নিজের গাল এগিয়ে দেয়।আশফিনা মজা করে গালে কামড় দিতেই রামীন আর্তনাদ করেই ওর হাত আলগা করে ফেলে।আশফিনা দৌড়ে পাকঘরে চলে আসে।রামীন এবার দৌড়ে পাকঘরে চলে আসে।আশফিনা চা বসিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুলার সামনে।রামীন এসে পিছন থেকে ওর পেট জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।
.
.
-ছাড়ুন।আঙ্কেল কখন চলে আসে।
-তো আমার প্রেমিকা কে জড়িয়ে ধরেছি কার কি?
-আপনার লজ্জা নেই বলে কি আমার ও নেই?ছাড়েন।
-আমি কি অন্য কিছু করছি যেটা তোমাকে বিরক্ত করছে।তাহলে আমাকে বিরক্ত করছো কেন? চা বানাও।
.
.
আশফিনা চুপচাপ চা বানিয়ে নেয়।চা বানিয়ে ড্রয়িংরুমে চলে আসে ওরা।চা খেতে থাকে একসাথে বসে।
এদিকে শামীম রোয়েনের কাছে কিছুটা দৌড়ে আসে।রোয়েন ফোনে কথা বলছিলো।শামীমকে দৌড়ে আসতে দেখে ফোনে কাকে যেন বলল,
.
.
-একটু পর জানাচ্ছি।
.
.
ফোন কেঁটে শামীমের দিকে তাকায় রোয়েন। শামীম হাঁপাচ্ছে।রোয়েন বলল,
.
.
-বসো।
.
.
শামীম বসে পড়ে।রেয়েন গ্লাসে একটু পানি নিয়ে শামীমের দিকে ধরে।শামীম পানিটুকু একঢোকে খেয়ে নেয়।রোয়েন বলতে শুরু করে,
.
.
-কোথা থেকে এলে?
-স্যার বাসা থেকে আসছি।খুব খারাপ খবর স্যার।
-কি?
-খুলনার রাজনীতিবিদ সোলেমান ফকরুল মানুষ পাচার করবে।সেজন্য রাশিয়ান ডন কিশানোর সাথে কন্টাকে আছে।সেখানে এক হাজার লোক পাচার করা হবে তাদের বোকা বানিয়ে।সেখানে ওদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেঁটে তারা বিক্রী করবে।সেখানে কিছু যুবতী মেয়ে আছে।সে মেয়ে গুলো কে তারা বড় বড় প্রোস্টিটিউটদের কাছে সেল করবে স্যার।কিশানো দুদিন পর আসবে।সময় বেশি নাই স্যার।
-সব কিছুর এ্যারেঞ্জমেন্ট করো।আমি পার্সোনালি ব্যাপারটাকে হ্যান্ডেল করবো।
-ওকে স্যার।
.
.
শামীম উঠে বেরিয়ে যেতেই রামীনকে কল দেয় রোয়েন।রামীন চা খেয়ে আশফিনার কোলে শুয়েছিলো।আশফিনা ওর চুল হাতিয়ে দিচ্ছে।রামীন মুখ উঠিয়ে আশফিনার কপালে চুমু খায়।হঠাৎ আশফিনা বলল,
.
.
-রামীন আপনার কল এসেছে।
.
.
আশফিনার কথায় ধপ করে উঠে বসে রামীন।ফোন হাতে নিয়ে দেখে রোয়েন কল করছে।রামীন ফোন রিসিভ করে কানের সামনে ধরে,
.
.
-রামীন কই তুই?
-আছি। কেন?
-এক্ষুনি আয় আমার কেবিনে।
-কাহিনী কি?
-তুই আসবি নাকি আমি চলে আসবো?
-আরে নাহ আমি আসছি।
.
.
ফোন কেঁটে দেয় রোয়েন।আশফিনা বলল,
.
.
-কি হয়েছে?
-রোয়েন যেতে বলল।
-এখনই যাবেন?
-যেতে হবে।সি ইউ লেটার।
.
.
রামীন উঠে অফিসে চলে আসে।রোয়েনের রুমে আসতেই রোয়েন বলল,
.
.
-বস।
-কি হয়েছে রোয়েন?চেয়ারে বসতে বসতে।
-হিউম্যান ট্রাফিকিং খুলনায়।রাশিয়ান ডন কিশানো করাচ্ছে সোলেমান ফকরুল কে দিয়ে।আমি সেখানে যাবো।
-আমি ও যাবো।
-ব্যাপারটা খুব ডেঞ্জারাস। আমিই যাবো।
-যেখানে তুই থাকবিনা সেখানে আমি থেকে কি করবো?আমি যাবো এটাই ফাইনাল।সেটা যতোই ডেঞ্জারাস হোক আই ডোন্ট কেয়ার।
-দেখ রামীন তোর বাবা মা আছে।
-তাদের আরেক ছেলে আছে।কিন্তু তোর কিছু হলে আমার বন্ধুকে হারাবো সেটা আমি চাইনা।
-ইমোশনালই কিছু হয়না রামীন।
-ইমোশনালই মোটেই বলছিনা।তোকে আমার লাগবে।বিয়ে হলে আমার বাসর রাত সাজাবে কে বল?
.
.
রোয়েন হেসে শামীমের কাঁধে হাত রাখে।রামীন বলল,
.
.
-আমি যাবো তোর সাথে।
-ওকে।
-তা রুহীকে কি করবি?
-রেজোয়ান মাহবুবের বাসায় দিয়ে আসবো।
-ওকে জানাবিনা?
-হুম।জানাতে হবে নাহলে আমার কিছু হয়ে গেলে ও নিজেকে সামলাতে পারবেনা।
-হুম।
.
.
রোয়েন ঘরে ফিরে দেখে রুহী ক্ষীর বানিয়েছে।সেটার ঘ্রানে চারদিক মৌ মৌ করছে।ফ্রেশ হয়ে নেয় রোয়েন।তারপর রুহীর কাছে এসে দাঁড়িয়ে ওর কাঁধের চুল সরিয়ে সেখানে চুমু খায়।রুহী মুচকি হেসে বলল,
.
.
-রোয়েন আপনি কখনো শুধরাবেননা তাইনা?
.
.
রোয়েন কিছু না বলে রুহী কে পিছনে ফিরিয়ে কিচেন কাউন্টারের সাথে চেঁপে ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেঁপে ধরে।তারপর সেই ঠোঁটজোড়া শুষে নিতে নিতে রুহী পিঠে হাত পৌছে দেয় রোয়েন।রুহী ও জড়িয়ে ধরেছে রোয়েনকে।অনেকক্ষন পর সরে আসে রোয়েন।তারপর বলল,
.
.
-না শুধরাবোনা।
.
.
এতোক্ষন রোয়েনের ঠোঁটের মাঝে পড়ে থাকা রুহী শ্বাস নিতে নিতে রোয়েনের আচমকাএই কথা শুনে হেসে দেয়।ক্ষীর রান্না করে রোয়েনকে বাটিতে বেড়ে দেয় রুহী।নিজে ও খায়।রোয়েন জানায় ক্ষীর খুব ভালো লেগেছে ওর।রুহী বেশ খুশি।
ডিনারের পর রুহীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে রুমে চলে আসে রোয়েন।
ওকে বিছানায় শুইয়ে গলায় কাঁধে চুমু খেয়ে ওর ঠোঁটে শব্দ করে চুমু দেয় রোয়েন।রুহী মেতে আছে রোয়েনের ঠোঁটের স্পর্শে।এদিকে রোয়েন বেরিয়ে যেতেই আশফিনার নম্বরে কল দেয় রামীন।রামীনের কল পেয়ে মুচকি হেসে রিসিভ করে আশফিনা।তারপর বলল,
.
.
-জি বলেন।
-নিচে আসো।
-কিন্তু আঙ্কেল তো বাসায়।
-কিছু হবেনা। আচ্ছা আমিই কিছু করছি।
.
.
কল কেঁটে দেয় রামীন।এরপর রেজোয়ানের বাড়ির ছাদে উঠে।আশফিনাকে আসতে বলে।আশফিনা চলে।আসে।
.
.
-জি।
-আশু তোমার সাথে এটাই হয়ত আমার লাস্ট দেখা।
-মানে??বুক কেঁপে উঠে আশফিনার।
-হুম।রোয়েনের পুরো কথাটা আশফিনাকে বলে রামীন।
.
.
আশফিনা কেঁদে দেয়।তারপর ও না করেনা কারন ও জানে রামীন শুনবেনা।রামীনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে।রামীন ওকে কোনমতে বুঝায়।তারপর দুজনে অনেকসময় ধরে গল্প করে।এদিকে রুহীকে অনেকটা ভালবেসে রোয়েন ওর পাশে এসে শুয়ে রুহীর মুখটা দুহাতে ধরে।
.
.
-তোমাকে কিছু বলবো রুহী।
-জি বলেন।
-আমাকে একটা মিশনে যেতে হবে খুলনায়।সেখানে হিউম্যান ট্রাফিকিং করবে রাশিয়ান ডন কিশানো।একহাজার মানুষ পাচার করা হবে রাশিয়ায়।সেখানে তাদের অর্গান বেঁচা হবে।আমি হয়ত ফিরে নাও আসতে পারি।তুমি নিজের খেয়াল রাখবে।ভালোমতো পড়াশুনা করবে।
.
.
রোয়েনের কথায় মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয় রুহীর।কি বলে এ লোক?লোকটাকে তো বড্ড ভালবাসে ও।কি করে কাঁটাবে বাকিটা জীবন।কেঁদে দেয় ও।
.
.
-না রোয়েন প্লিজ আপনি যাবেননা।আপনার কিছু হলে আমি কি করবো কই যাবো?প্লিজ রোয়েন যাবেননা।
.
.
রুহীর দুগালে হাত রাখে রোয়েন।তারপর মায়াভরা কন্ঠে বলল,
.
.
-রুহী এটা আমার কাজ মানুষের উপকার করা,তাদের রক্ষা করা।আর যেখানে বাংলাদেশের মানুষ পাচার হচ্ছে সেখানে কি করে না যাই বলো।আর একথা তোমাকে বলার কারন তুমি নিজেকে যেন শক্ত রাখতে পারো।
-না প্লিজ রোয়েন।আপনাকে যেতে দিবোনা।
-রুহী সেখানে আমাকে যেতেই হবে কি করে না যাই বলো তুমি?
.
.
রুহী কাঁদতে থাকে।রোয়েন ওকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে।সারারাত রোয়েনের বুকে কেঁদেছে রুহী।সকালে রুহীকে ঘুম থেকে উঠায় রোয়েন।ঘুমথেকে উঠে রুহী দেখে কালো লম্বা কোট জড়িয়ে আছে রোয়েন।রুহী কিছুটা লাফ দিয়ে উঠে জড়িয়ে ধরে রোয়েনকে।
.
.
-আপনি এখন যাবেন?
-হ্যা রুহী।
.
.
রুহী আবার ও গুমড়ে কাঁদতে শুরু করে।
.
.
-আপনাকে ফিরে আসতেই হবে।কারোর জন্য না হোক আমার জন্য প্লিজ।
চলবে