The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 33
→সরে আসে রুহী।তারপর রোয়েনের হাত ধরে টেবিলে বসায়।রুহী এবার রোয়েনের পাশের চেয়ারে বসে প্লেটে ফ্রাইড বেড়ে রোয়েনের সামনে দিয়ে আরেক প্লেটে বাড়তে গেলে ওকে থামায় রোয়েন।রুহী কিছুটা অবাক হয়ে তাকায়।রোয়েন বলতে লাগলো,
.
.
-এক প্লেটে খাবো।
-আপনি খেয়ে নিন।
-যা বলছি করো।প্লেটটা রাখো।ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
-আচ্ছা রাখছি।
.
.
রুহী প্লেটটা রেখে দেয়।রোয়েন এবার একটু তরকারি প্লেটে নিয়ে রুহীকে খাইয়ে দিতে শুরু করে।আবার নিজে ও খেতে থাকে।রুহী এবার প্লেটটা নিয়ে নেয়।সেখানে আরেকটু বেড়ে এবার একলোকমা রোয়েনের দিকে ধরে।রোয়েন খেয়ে নেয়।খাওয়া শেষ করে রোয়েন রুহীকে নিয়ে রুমে আসে।রুহীকে খাটে বসিয়ে ওর পাশে বসে পড়ে।রুহী রোয়েনের হাতের ভিতর একহাত আর ওপরে আরেকহাত রেখে ওকে জড়িয়ে কাঁধে মাথা রাখে। রুহীর যে হাত রোয়েনের কাঁধের ওপর সেই হাতে রোয়েন হাত রাখে।রুহী এগিয়ে এসে রোয়েনের গালে চুমু খায়।তারপর আস্তে করে বলল,
.
.
-আপনার গিটার আছে?
-কেন.?ভ্রু কুঁচকায় রোয়েন।
-গান শুনতে ইচ্ছে আপনার কন্ঠে।
.
.
রোয়েন রুহীর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।আজ প্রথম রুহী রোয়েনের কাছে গান শুনতে চাইছে।রুহীর চেহারায় রোয়েন কি যেন দেখতে পায়।কথা না বলে রোয়েন উঠে আলমারি থেকে গিটার বের করে রুহীর কাছে আসে।গিটারের ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে রুহীকে হ্যাঁচকা টানে কোলে নেয়।রুহী রোয়েনেের কাঁধে মুখ গুঁজে মুচকি হাসে।রোয়েন ওকে নিয়ে ছাদে চলে আসে।সাথে সাথে দমকা হাওয়া ওদের গায়ে এসে লাগে।রুহীকে নিয়ে ছাদের মাঝখানটিতে চলে আসে রোয়েন।রুহীকে নামিয়ে একটা চেয়ারে বসে রুহীকে টেনে কোলে বসায়।তারপর গিটার টা ঠিক করে সুর তু্লে।তারপর গলা ছেড়ে তার ভরাট মধুর কন্ঠে গান ধরে রোয়েন,
Hum Tere Bin Ab Reh Nahi Sakte
Tere Bina Kya Wajood Mera
Hum Tere Bin Ab Reh Nahi Sakte
Tere Bina Kya Wajood Mera
Tujhse Juda Gar Ho Jaayenge
Toh Khud Se Hi Ho Jaayenge Judaa
Kyunki Tum Hi Ho
Ab Tum Hi Ho
Zindagi Ab Tum Hi Ho
Chain Bhi, Mera Dard Bhi
Meri Aashiqui Ab Tum Hi Ho
Tera Mera Rishta Hai Kaisa
Ik Pal Door Gawaara Nahi
Tere Liye Har Roz Hai Jeete
Tujh Ko Diya Mera Waqt Sabhi
Koi Lamha Mera Na Ho Tere Bina
Har Saans Pe Naam Tera
রোয়েনের গান শুনতে থাকা রুহী একদম যেন অজানা এক জগতে চলে গেছে।লোকটাকে দেখছে রুহী মন ভরে।হঠাৎ রোয়েনের ডাকে সম্বিৎ ফিরে পায় ও।
.
.
-কই হারিয়ে গেলে?
-আছি।বলেন।
-তুমি ও গান শুনাও।
-আমি!!!কিভাবে?
-কিভাবে আবার কি?কোন বাহানা চলবে না।আমি সুর তুলছি তুমি গাও।
-ওকে।
.
.
রোয়েন আবার ও সুর তুলে গিটারে।রুহী এবার চোখ বুজে মিষ্টি কন্ঠে গান গাইতে শুরু করে,
Kahete hai khuda ne us
Jaha mai sabhi ke liye
Kisi na kisi ko hai banaya har kisi ke liye
Tera milna hai us rab ka ishara mano
Mujhko banaya tere jaise hi kisi ke liye
Kuch to hai tujhse raabta
Kaise hum jaane Hume kya pata
Kuch to hai tujhse raabta
Tu hum humsafar hai phir kya fikar hai
jeene ki vajah yahi hai marna isi ke liye…
Kahete hai khuda ne ise jaha mai sabhi ke liye kisi na kisi ko hai banaya har kisi ke liye…!
রুহীর গান শুনতে থাকে রোয়েন।মেয়েটাকে শাড়ীতে এতো অপরুপ লাগছে। রোয়েনের আর সহ্য হচ্ছেনা।রুহী গান শেষ করতেই রোয়েন ওর মাথার পিছনে হাত রেখে রুহীর ঠোঁটজোড়া মুখে পুরে নিয়ে শুষে নিতে নিতে রুহীকে।কোলে তুলে নেয়।রুহী রোয়েনের কাঁধ জড়িয়ে ধরে দুহাতে।রোয়েন ওকে নিয়ে নিচে এসে রুমে চলে যায়।তারপর রুহীকে খাটে শুইয়ে ওর পাশে শুয়ে রুহীর দিকে তাকায়।রুহীর শাড়ী ভেদ করে ওর শীতল পেটে হাত রাখে রোয়েন।রুহী এবার মুচকি হেসে বলল,
.
.
-খুব ভালো গান গাইতে পারেন।
-তুমি ও ভালো গেয়েছো।
.
.
রুহী এবার এগিয়ে এসে রোয়েনের বুকে চুমু দিয়ে সেখানে মাথা রাখে।তারপর মন খারাপ করে বলতে থাকে,
.
.
-প্লিজ কখনো ছেড়ে যাবেননা আমাকে।ভুল হলে গালি মার দিবেন তারপর ও যাবেননা।
-কখনো যাবোনা তোমাকে ছেড়ে।ভালোবেসেছি সবসময় কাছে রাখার জন্য দূরে সরিয়ে দিতে না।
.
.
বলে রুহীর পিঠ জড়িয়ে নিজের সাথে শক্ত করে ধরে ঘুমিয়ে যায় রোয়েন।রুহী ও ঘুমিয়ে যায়।পরদিন রোয়েনকে অফিসে পাঠিয়ে ঘরের কিছু কাজ করতে থাকে রুহী।হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় কাজে ব্যাঘাত ঘটে ওর।রুহী ফোন হাতে নিয়ে দেখে আশফিনা কল করছে।ফোন রিসিভ করে রুহী।
.
.
-হ্যালো রুহী!!
-বল।
-তুই ফ্রি আছিস?আজতো কলেজ ও বন্ধ।
-আছি। কেন রে?
-একটু শপিং করবো।
-ওকে।আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করে তোকে জানাই।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
.
ফোন কেঁটে রোয়েনকে কল দেয় রুহী।রামীন বাহিরে গেছে কোন এক কাজে।রোয়েন কাজে মগ্ন।শামীম নক করে ওর রুমে।রোয়েন কাজে থেকে বলল,
.
.
-কাম ইন।
.
.
শামীম ভিতরে আসে।তারপর বলল,
.
.
-রামীন স্যারের কাজ ঠিকমতো হয়ে গেছে। ওনি এখন রওনা হবে।
-তো ঐ গাঁধা আমাকে কল দেয়নি কেন?
-স্যার বলল আসলে ওনাকে আমিই কল করেছিলাম এক কাজে।
-ঠিক আছে।ও আসুক।
-জি স্যার।
.
.
শামীম বেরিয়ে যেতেই রোয়েনের ফোন বেজে উঠে।রুহীর নম্বর দেখে কল কেঁটে দেয়।আবার কল ব্যাক করে।
.
.
-বলো রুহী।
-এ ম মানে আমি।
-কি মানে মানে করছো?বলো কি বলবে?কিছুটা রেগে।
-আরেহ আপনি রাগেন কেন কথায় কথায়?আপনার রাগারাগির কারনেই তো কথা বলতে পারিনা ঠিকমতো।কিছুটা রাগ করে।
.
.
রোয়েন বেশ অবাক হয় রুহীর কথায়।ছোটখাটো ঝটকা খেলো ও।তারপর কোন মতে নিজেকে সামাল দিয়ে বলল,
.
.
-বলো।
-আশফিনা শপিং করতে যাবে।আমাকে ও যেতে বলছে।
-যাও কিন্তু বিকেলের আগে বাক করবে।ফোন দিয়ে যেন শুনি তুমি বাসায়।আর হা আমার গাড়ি বাসার সামনে থাকবে ওটা দিয়ে যাবে।
-জি।
.
.
কল কেঁটে দেয় রোয়েন।রুহী আশফিনাকে জানিয়ে দেয় ও যাবে।আশফিনা বলল ও বের হয়ে রুহীকে কল দিবে।রুহী ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নেয়।আশফিনা কল দিলে রুহী বের হয়ে রোয়েনের গাড়িতে বসে ড্রাইভার কে রেজোয়ান মাহবুবের বাসায় যেতে বলে।রেজোয়ান মাহবুবের বাসায় গাঢি থামলে আশফিনা ভিতরে এসে বসে।শপিং শেষে দুজনে ঠিক করে ফুচকা খাবে।দুজনে একটা দোকানে এসে বসে।ফুচকা অর্ডার করে রুহী বলল,
.
.
-কেমন লাগছে আমাদের বাসায়? কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?
-না রুহী।আঙ্কেল অনেক খেয়াল রাখে।তুই বল কেমন আছিস তুই?
-ভালো।ওনি ও খুব খেয়াল রাখে আমার।
-হুম ভালো।
-তা ইদানীং কই থাকিস তুই?খুঁজে পাওয়া যায়না যে?
-রামীন ভাইয়ের সাথে ঘুরতে যাই।তুই তো কলেজে থাকিস।
-বাব্বাহ রামীন ভাইয়ের সাথে আপনার ঘুরাঘুরি ও হচ্ছে?
-রুহী তেমন কিছুনা।একা থাকি তাই।তুই ঘরে থাকিস রোয়েন ভাইয়ের।ভাবলাম রোম্যান্সে ব্যাস্ত থাকিস তাই আর ডিস্টার্ব করিনা।
-যাহ কি যে বলিস না।তা রামীন ভাইয়া কিন্তু খুব ভালো।প্রেম করতে পারিস।
.
.
রুহীর কথা হেসে দেয় আশফিনা।তারপর বলল,
.
.
-মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর।বাসায় চল নাহলে ভাই বকা দিবে।
-আরে হ্যা।বারবার বলছিলো দেরি যেন না হয় ফিরতে।
.
.
ওরা বাসায় চলে যায়।আশফিনা ঘরে ফিরে ফ্রেশ হয়ে কিছুসময় রেস্ট নেয়।কখন যে ঘুমিয়ে যায় বলতে পারেনা।আশফিনার ঘুম ভাঙ্গে ফোনের রিংটোনের শব্দে।কানে ফোন রেখে বলল,
.
.
-জি কে?
-আপনার চায়ের কাস্টমার ম্যাম।
-চায়ের কাস্টমার!!!!
.
.
ফোন টা সামনে এনে নম্বরটা ভালো মতো দেখে নেয় আশফিনা। আরে এতো রামীন।জলদি কানে ফোন রাখে আশফিনা।তারপর বলল,
.
.
-আ’ম সরি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
-বুঝতে পেরেছি।দয়া করা দরজা খুলেন।পা ব্যাথা করছে।
-ওকে খুলছি।
.
.
আশফিনা দৌড়ে এসে দরজা খুলে।রামীন হাসতে হাসতে ভিতরে ঢুকে।
.
.
-অনেকসময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাইনা?
-নাহ এই পাঁচমিনিট হলো।
-ওহ থ্যাংকস।আসুন বসুন।
.
.
বলে পাকঘরে চলে যাচ্ছিলো আশফিনা।তখনই রামীন ওর হাত টেনে নিজের সাথে লাগিয়ে নেয়।
চলবে