The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 27
→রুহীর ঠোঁটেরকোনের হৃদয়কেড়ে নেয়া হাসিটা বন্ধ হচ্ছেনা।রোয়েন ডুবে যাবে এই হাসির অন্তরালে।ডান গালের টোলটা পরিষ্কার ভাবে ফু্ঁটে উঠেছে।রোয়েন রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায়।রুহী রোয়েনের হাত ধরে সযত্নে গোল টেবিলটার বাম সাইডের চেয়ারে বসায়।রোয়েন তো রুহীকে দেখছে।রুহীর মুখে হাসি লেগে আছে।রুহী চুপচাপ রোয়েনের প্লেটে কিছু খাবার বেড়ে নিজের জায়াগায় বসে।রোয়েন এবার মুখ খুলে,
.
.
-গর্জিয়াস।
.
.
রুহীর গাল দুটো টকটকে লাল হয়ে গেলো।রোয়েন হাত বাড়িয়ে গাল স্পর্শ করে।তারপর বলল,
.
.
-এসব কে করলো?
-মামা মামী।
-ওহ।কি কারন?
-জানিনা বলেনি তো।
.
.
রোয়েন কিছুক্ষন চুপ থেকে খেতে শুরু করে।খাওয়ার মাঝে বাম হাত বাড়িয়ে রুহীর হাতের ওপর রাখে।খাওয়া শেষে দুজনে বসে রইলো।রুহী এবার উঠে রোয়েনের হাত ধরে সামনে এগিয়ে যায়।রোয়েন চুপচাপ ওর সাথে যাচ্ছে।একজায়গায় এসে থামে রুহী।সেখানে ওদের চুরি করা একটা ছবি বেশ বড় করে বাঁধাই করা।লাল ফিতা আছে ওটার ওপর।রুহী রোয়েনের হাতে কাঁচি দিলো।রোয়েন কাঁচি হাতে নিয়ে রুহীর দিকে একবার তাকিয়ে ছবির ওপরের ফিতাটা কাঁটতেই গান শুরু হয়।রোয়েন রুহীর কাছে এগিয়ে এসে ওর কোমড় টেনে কাছে এনে হালকা দুলে দুলে নাচতে শুরু করে।রুহী রোয়েনের দুকাঁধে দুহাত রেখে দিয়েছে।রোয়েন নাচের মাঝেই ঠোঁট বাড়িয়ে রুহীর গালের টোল স্পর্শ করে।রুহী চোখ বুজে মুচকি হাসে।রোয়েন সরে এসে রুহীর একহাত ধরে ঘুরিয়ে নিজের বুকের সাথে ওর পিঠ লাগিয়ে দুহাতে রুহীর পেট জড়িয়ে ধরে।রুহীর বুকের মাঝে কেমন একটা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।রোয়েন রুহীর কাঁধ থেকে হাতা সরিয়ে সেখানে চুমু খেতে থাকে।রুহীর নিশ্বাস মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।রুহীকে আচমকা ঘরিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেঁপে চুমু দিতে থাকে রোয়েন।
রুহীকে নিয়ে গাড়িতে বসে রোয়েন।ড্রাইভার ড্রাইভ করে ওদের বাসায় নিয়ে আসে।ওরা নীরা হামিদ আর আরমান হামিদকে কে গেটের সামনে দেখতে পায়।ওনারা দাঁড়িয়ে হাসছে ওদের দিকে।রুহী রোয়েন ওদের কাছে এসে দাঁড়ায়।
রোয়েন বলল,
.
.
-থ্যাংকস সব কিছুর জন্য।
-থ্যাংকস দিতে হবেনা।আপনাদের ভালো লেগেছে তো?
-জি হ্যা।
-তাহলে ঘরে চলো।আমরা কিন্তু সবাই একসাথে ছিলাম এতসময় ওকে?বলে উঠেন আরমান হামিদ।
-শিওর। হেসে বলল রোয়েন।
.
.
চারজনে ঘরে ঢুকে যায়।যে যার মতো ঘুমাতে চলে যায়।পরদিন সকালে নাস্তা শেষ করে মামা ঠিক করেন রুহী রোয়েনকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন।রুহী রুমে আসে জামা চেঞ্জ করতে তখনই সেলিনা হামিদ আর হাসান হামিদ ওর রুমে আসে।রুহী চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।ওনারা রুহীর কাছে এসে বলতে থাকে।
.
.
-সরি রুহী মাফ করে দে আমাদের।কাল চলে যাবি শুনেই খুব খারাপ লাগছে।এতোটুকুন থেকে কতো বড় করলাম তোকে।তোর খারাপ চাইনি আমরা।তোকে কতো ভালোবাসি আমরা খারাপ চাইতে পারি?বুঝতে পারছি তোর বাবার পীড়াপিড়িতে রোয়েন সাহেবকে বিয়ে করছিস।না করে দেয়।রশিদ তোকে অনেক ভালো রাখবে।
-প্লিজ এসব কথা শুনতে চাইনা।একা ছাড়েন আমাকে।
.
.
কথা গুলা শেষ করতেই রুহীর ফোন বেজে উঠে।ফোন উঠিয়ে দেখে রোয়েন কল করছে।ফোন রিসিভ করে রুহী।
.
.
-জি বলুন।
-এক্ষুনি আমার রুমে আসো।রেগে বলল রোয়েন।
-চেঞ্জ করতে আসছিলাম।
-আমার রুমে এসে করো।এখানে আর এক মুহুর্ত ও থাকবেনা।জলদি আসো।
-জি।
.
.
রুহী ফোন কেঁটে ওনাদের বলল,
.
.
-ওনি ডাকছেন।যেতে হবে আমাকে।
.
.
বেরিয়ে যায় রুহী।রোয়েনের রুমে আসতেই রুহীর দিকে তেড়ে আসে রোয়েন।
.
.
-না করেছিলাম তোমার নানা নানুর সাথে কথা বলতে।
-আপনি কিভাবে জানলেন?
.
.
রুহীর কোমড় চেঁপে হ্যাচকা টান দিয়ে নিজের সাথে লাগায় রোয়েন।
.
.
-কিভাবে জানি সেটা বড় কথা না।তুমি কথা বলছিলে সেটাই বড় কথা।
-আমি কিছু বলিনি।ওনারা এসে কথা শুরু করলো।এখন তো বলতে পারিনা আপনারা বেরিয়ে যান।
-আমাকে বিয়ে করতে নিষেধ করছিলো রাজি হয়ে যেতে।
.
.
রুহী রোয়েনের কথায় আর ঠিক থাকতে পারেনা।ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে।রোয়েন ওকে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে লাগিয়ে রাখে।কিছুসময় পর রুহী সরে আসে।
.
.
-আমি চেঞ্জ করে আসি।
-ওকে যাও।
.
.
রুহী বেরিয়ে যায়।তখনই রোয়েন রামীন কে কল দেয় কারন রামীন টিকিট কিনেছে ওদের।
.
.
-সিট কিভাবে পড়েছে?
-রেজোয়ান আর বাকিরা একদম পিছনে। আর তোর আর রুহীর টা মিডেলে জানালার পাশে।
-এভাবে করলি কেন?সবাই একসাথেই বসতাম।
-বেটা তুই আসলেই পানসা।কোথায় একটু রোম্যান্স করবি কিন্তু তুই আছিস সবাই একসাথে আসার চিন্তায়।
.
.
রোয়েন হেসে ফোন কেঁটে দেয়।কিছুক্ষন পরা ওরা বেরিয়ে পড়ে।সারাদিন ঘুরে ফিরে রাতে ডিনার করে ঘরে ফিরে ওরা।রোয়েন রুহীকে নিয়ে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে।পরদিন বিকেলে ওদের ফ্লাইট।সব কিছু প্যাকিং শেষ করে চা নাস্তা খেয়ে নেয় ওরা।রুহী নীরা হামিদ আর আরমান হামিদ কে ধরে কেঁদে ছিলো অনেকসময় ধরে।ওরা বেরিয়ে পড়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।প্লেনে রুহী রেজোয়ান মাহবুবের পাশে বসতে নিলে রোয়েন চোখরাঙ্গায় রুহীর দিকে।তখনই রেজোয়ান মাহবুব বললেন,
.
.
-যা মা স্যারের সাথে বস।ওদের সাথে কিছু কথা বলবো।
-ওকে বাবা।
.
.
রুহী রোয়েনের সাথে বসে পড়ে।রাত হওয়ার সাথে কেবিন ক্রুরা লাইট অফ করে দিলো যাত্রীদের ঘুমানোর জন্য।রুহী ও ঘুমাচ্ছে।রোয়েন রুহীর দিকে তাকায়।রুহী সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।রোয়েন রুহীর টপসের ভিতর হাত ঢুকিয়ে ওর পেটে সুঁড়সুঁড়ি দিতে শুরু করে।আবার চিমটি দিতেই রুহী চোখবড় করে রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন এবার রুহীর ঠোঁটজোড়া ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে।ইচ্ছে মতো কামড় দিচ্ছে রোয়েন।রুহী এবার রোয়েনের কানের একটু ওপরের চুল গুলো টান দিতেই রোয়েন রুহীর হাত টা মুঠে নিয়ে জোরে চাপ দিতেই রুহী এবার রোয়েনের পায়ে পাড়া দিয়ে পা সরিয়ে নেয়।
সরে আসে রোয়েন,
.
.
-আহ!!!!রুহীর দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে।
.
.
রুহী খিলখিলিয়ে হেসে উঠে।রোয়েন উঠে বসে ওকে নিজের সাথে জাপটে ধরে। নির্দিষ্ট সময়ে ওরা বাংলাদেশে পৌছে যায়।রোয়েনের পার্সোনাল মার্সিডিজ এসে রুহী আর রোয়েনকে নিয়ে যায়।সেদিন শামীমের বৌ ওদের জন্য রান্না করে বাসায় পাঠায়।রুহী রোয়েন একসাথে খেয়ে ঘুমিয়ে যায়।পরদিন সকালে রুহী নাস্তা বানাতে যায়।রোয়েন এসে রুহীর পেট পিছন থেকে চেঁপে ধরে।
.
.
-এমন করলে নাস্তা বানাবো কিভাবে?
-আমি তোমাকে আটকে রাখিনি।গলায় রাগী ভাবে আনে রোয়েন।
.
.
রুহী ওভাবেই নাস্তা বানিয়ে নেয়।রোয়েন খেয়ে কাপড় পাল্টাতে গিয়ে রুহীকে কফি পঠাতে বলে।রুহী কফি আনলে।রোয়েন ওকে কফিটা খেতে বলে।রুহী কফি মুখে নিলে রোয়েন ওর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কফিটুকু খেয়ে নেয়।কিছুসময় পর রোয়েন বেরিয়ে যায়।রুহী ঠিক করেছে আজ লাঞ্চ নিয়ে যাবে।যে ভাবা সে কাজ।শামীম কে কল দেয় রুহী।
.
.
-হ্যালো রুহী কেমন আছো?
-আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া।আপনি?
-এইতো আছি।
-ভাইয়া ওনি লাঞ্চ কখন করেন?
-একটায়।কেন?
-খেয়াল রাখবেন ওনি না খায় যেন।
-কেন?
-আমি আসবো।
-ওকে।
.
.
রুহী তড়িঘড়ি করে রান্না শুরু করে।রোয়েনের পছন্দের সব কিছু।রান্না শেষে রুহী ফ্রেশ হয়ে কাপড় পাল্টে নেয়।বের হবে তখনই শামীমের বৌ আসে।রুহী ঘড়ি দেখে বারোটা বাজে।
.
.
-কই যাচ্ছো রুহী?
-ভাবি ওনার লাঞ্চ নিবো।
-ওহ।স্যারের?
-জি।
-এভাবে যাবা?
-জি।
-গাঁধি একটা।
.
.
ওনি একটা শাড়ী বের করে রুহীর আলমারি থেকে।
.
.
-চট করে পরে নাও।তোমার ভাইকে কল করে বলছি ওনাকে ব্যাস্ত রাখতে।
-জি।
.
.
রুহী শাড়ী পরে আসে।সিল্কের কালো শাড়ী পরে বেরিয়ে আসে।তারপর ভাবি রুহীকে সাজিয়ে দিলো।
.
.
-এবার যাও।
-জি ভাবি।থ্যাংক ইউ।
-আমাকে থ্যাংকস বলতে হবেনা। যাও।
-জি।
.
ওরা বেরিয়ে আসে।রুহী রোয়েনের অফিসে চলে যায়।হঠাৎ অফিসে মেয়েকে দেখে চমকে যান রেজোয়ান মাহবুব।সবাই বেশ খুশি হয় রুহীকে দেখে।রুহী সবাইকে চুপ করতে বলে।
রোয়েনের রুমের সামনে এসে নক করে।
.
.
-কাম ইন।ভিতর ভরাট গলায় বলল রোয়েন।
.
.
রুহী ভিতরে প্রবেশ করে।রোয়েন এখন দেখেনি।রামীন রুহীকে দেখে বেরিয়ে যেতে নিলে রোয়েন কাজের মাঝেই বলল,
.
.
-তুই বের হচ্ছিস কেন?
-আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাইনা।
-হোয়াট ননসন্স!!!
.
.
কথাটা বলে মাথা উঠিয়ে রুহীকে দেখে রোয়েন।রামীন হেসে বলল,
.
.
-থাকবো?
-গেট আউট।
.
.
রামীন হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায়।রুহী ছোট টেবিলের ওপর ব্যাগ রাখে হাতের।
রোয়েন রুহীকে দেখছে।শাড়ীতে বৌ বৌ লাগছে মেয়েটাকে।রোয়েন বলল,
.
.
-হঠাৎ এখানে?
-আপনার লাঞ্চ।
-ওহ।সোফায় বসো।
.
.
রুহী সোফায় বসে খাবার সাজাতে শুরু করে।রোয়েন হাত ধুয়ে ওর পাশে এসে বসে।রুহী প্লেটে ভাত বেড়ে রোয়েনের হাতে দেয়।রোয়েন রুহীকে ও খাইয়ে দেয় নিজে ও খায়।খাওয়ানোর মাঝে রুহীর ঠো্ঁটের কোনে ভাত লেগে যায়।রোয়েন এগিয়ে এসে ওর ঠৌঁটে ঠোঁট দিয়ে ভাত টুকু মুখে নিয়ে রুহীর ঠোঁটে আলতো করে চুমু খায়।
চলবে